আইন-আদালত
৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ
৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণদের তালিকা ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, আইনজীবী নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
আইনজীবীরা বলেন, রুলে ইতোপূর্বে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশ না করা পর্যন্ত যত নন-ক্যাডার শূন্যপদ হবে তার তালিকা করে ৪৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার প্রার্থীদের থেকে নিয়োগের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ক্যাডার পদে সুপারিশ পায়নি এমন ৫০০ জন চাকরি প্রার্থী এই রিট আবেদন দায়ের করেন। রিটে পিএসসি চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল ও আদেশ জারি করেছেন।
৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মো. মারুফ হোসেন, মো. হাসান সরদার, মো. ফারুকুল ইসলামসহ ৫০০ জন বাদী হয়ে রিট মামলা দায়ের করেছিল।
রিট আবেদনে বলা হয়, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরে ওই বিসিএসে সর্বমোট ৯৮৪১ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পিএসসি ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নন-ক্যাডার পদে চাকরি করতে ইচ্ছুক এমন প্রার্থীদের অনলাইনে পছন্দ কম আহ্বান করে। পরে গত ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস পদে ২১৬৩ জনকে এবং একইসঙ্গে ৬৪২ জনকে বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। অথচ নন-ক্যাডার মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যেটি ‘নন ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০১০, সংশোধিত ‘বিধিমালা ২০১৪’ এর পরিপন্থি।
৪৩তম বিসিএস সার্কুলারে বলা হয়েছিল যে, সংশ্লিষ্ট বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে বঞ্চিত নন-ক্যাডার প্রার্থীদের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০১০, সংশোধিত ‘বিধিমালা ২০১৪’ অনুযায়ী সুপারিশ করা হবে। উক্ত বিধি অনুযায়ী পিএসসি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আসা পদগুলোকে সংরক্ষণ করবে এবং পরবর্তী বিসিএস’র চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিসিএস এর নন-ক্যাডার প্রার্থীদের ধাপে ধাপে সুপারিশ করবে। কিন্তু পিএসসি নন-ক্যাডারদের মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই সম্পূর্ণ অন্যায় এবং বিধি বহির্ভূতভাবে ৬৪২ জনকে বিভিন্ন নন-ক্যাডার করার পদে সুপারিশ করেছে, যা আইনের দৃষ্টিতে অন্যায়, যা বাতিল করা আবশ্যক।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ‘নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ না করা এবং ফল প্রকাশের আগেই নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পছন্দক্রম আহ্বান করা সংশ্লিষ্ট নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মেধাবী হাজার হাজার উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের বিষয়টি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা পিএসসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। ইতিমধ্যে অনেক চাকরি প্রার্থীর বয়সসীমা অতিক্রম হওয়ায় তারা অন্য কোনো সরকারি চাকরিতে আবেদনও করতে পারবেন না। ফলে তারা চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। আশা করি বিবাদীরা যথাসময়ে রুলের জবাব দেবেন।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত ৪৩তম বিসিএস এর নন-ক্যাডারের ফল বাতিল, ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ এবং ৪৪তম বিসিএস এর চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত শূন্য হওয়া নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের সুপারিশ অব্যাহত রাখার জন্য গত ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে রেজিস্টার্ড ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
নিম্ন আদালতের ৮১ বিচারক বদলি
বিচার প্রশাসনে জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পদমর্যাদার ৮১ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) তাদের বদলি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া বিচারকদের মধ্যে সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পদমর্যাদার ৪৪ জন, জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার ২২ জন এবং ১৫ জন অতিরিক্ত ও যুগ্ম জেলা জজ রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের এ কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও বিচার বিভাগ।
বদলি করা জেলা জজদের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা/জেলা ও দায়রা জজ/দপ্তর প্রধানের মনোনীত ব্যক্তির কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দায়িত্বভার অর্পণ করে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বদলি হওয়া সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের জেলা ও দায়রা জজ/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা দপ্তর প্রধান মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর এবং প্রশিক্ষণ/ছুটিতে থাকা বিচারকদের প্রশিক্ষণ/ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের তারিখে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
বদলি করা অতিরিক্ত জেলা জজ ও যুগ্ম জেলা জজদের জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ/মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/দপ্তর প্রধানের মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
জুলাই গণহত্যায় ৫২ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
জুলাই গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীস শেখ হাসিনা ও ৩২ জন সাংবাদিকসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আন্দোলনে নিহত রিহানের বাবা গোলাম রাজ্জাক এ আবেদন করেন। আইনজীবী এমএইচ গাজী তামিম বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সভানেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; ওবায়দুল কাদের, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী; মো. আনিসুল হক সাবেক আইনমন্ত্রী; হাসান মাহমুদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী; হাসানুল হক ইনু সাবেক তথ্যমন্ত্রী; মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী; জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী; মোহাম্মাদ আলী আরাফাত, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক এমপি; আতিকুল ইসলাম, সাবেক মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন; চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাবেক আইজিপি; হারুন আর রশিদ, অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক ডিবি প্রধান; হাবিবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার ও কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য; মো. হারুন আর রাশিদ, সাবেক মহাপরিচালক।
বিপ্লব কুমার সরকার সাবেক যুগ্ম কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ; জিয়াউল আহসান, সাবেক মহাপরিচালক, টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি); মো. মাহাবুব রহমান, ওদি, আদাবর থানা ডিএমপি, ঢাকা; সাদ্দাম হোসেন, সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ; শেখ ওয়ালী আসিফ ইনাস, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র লীগ।
এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক বিচারক, আপীল বিভাগ, সুপ্রিমকোর্ট; মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; নিঝুম মজুমদার, আইনজীবী ও অনলাইন আক্টিভিস্ট; মেজবাহ কামাল, অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; নাঈমুল ইসলাম খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব; ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীত তথা উপদেষ্ঠা; ফরিদা ইয়াসমিন, সভাপতি প্রেস ক্লাব, ঢাকা ও সাবেক এমপি।
শ্যামল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক, প্রেস ক্লাব, ঢাকা; মোজামোল বাবু, সিইও, প্রধান সম্পাদক, একাত্তর টিভি; নবনীতা চৌধুরী, সাংবাদিক ও টিভি সঞ্চালক; সুভাষ সিংহ রায়, সম্পাদক, এবি নিউজ২৪ডটকম; আহমেদ যোবায়ের, এমডি, সময় টিভি; তুষার আব্দুল্লাহ, সাবেক বার্তা প্রধান, সময় টিভি। বার্তা প্রধান এখন টিভি; সাইফুল আলম, সিইও, ডিবিসি নিউজ; নইম নিজাম, সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন; আবেদ খান, সাবেক সম্পাদক, সমকাল।
প্রভাষ আমিন, বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ; ফারজানা রুপা, সাবেক প্রধান প্রতিবেদক, একাত্তর টিভি; শাকিল আহমেদ, বার্তা প্রধান, একাত্তর টিভি; মিথিলা ফারজানা (মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা), হেত ও কারেন্ট এফেয়ার্স, একাত্তর; জাহেদুল হাসান পিন্টু, সম্পাদক, ডিবিসি; মজুরুল ইসলাম, প্রধান সম্পাদক, ডিবিসি; আশীস সৈকত, প্রধান বার্তা সম্পাদক, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি; মানষ ঘোষ, হেড অব নিউজ, এশিয়ান টিভি; প্রনব সাহা, ডিবিসি।
মাসুদা ভাট্টি, বাংলাদেশের সাবেক তথ্য কমিশনার; মুন্নি সাহা, সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক, এটিএন নিউজ; জ ই মামুন (জহিরুল ইসলাম মামুন) সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক, এটিএন বাংলা; স্বদেশ রায়, নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক জনকণ্ঠ; সোমা ইসলাম (চ্যানেল আই, ৫০. শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক); অজয় দাশ (সমকাল); আশরাফুল আলম খোকন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী উপ-প্রেস সচিব।
গত ১৪ আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবীর এ আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম আবেদনটি দায়ের করেন।
আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরাও এর আওতায় থাকবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।
অভিযোগে অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আট দিনের রিমান্ডে টিপু মুনশি
রাজধানীর বাড্ডা থানার সুমন সিকদার হত্যা মামলায় সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশিকে আট দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার (২৮ আগস্ট) টিপু মুনশিকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
প্রসঙ্গত, টিপু মুনশি ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে তিনি শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ২০২৪ সালে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি তিনি।
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা হয়। এসব মামলায় এরইমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। এর মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে সালমান-আনিসুল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বাড্ডায় ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদার নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের চতুর্থ দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পরই আত্মগোপনে চলে যান সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড। এরপর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ডিবির কাছে সোপর্দ করে।
সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
সালমান এফ রহমান ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। পরে তাকে নিজের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইনজীবী আনিসুল হক ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখনই তাকে আইনমন্ত্রী করা হয়। এরপর থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর পদে ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ছয় আনসার সদস্য ২ দিনের রিমান্ডে
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আনসার সদস্যের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- শরিফুল ইসলাম, আহসান হাবিব, মনিরুজ্জামান, হাসিবুর রহমান, নাসির মিয়া ও শফিকুল ইসলাম।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালতে শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক সাইমুল ইসলাম তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক শামীম মীর মালত বাদী হয়ে ২০৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত তিন হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট রাত ৯ টার সময় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে সাধারণ আনসার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় কিছু আনসার সদস্যরা পল্টন মডেল থানাধীন জিরো পয়েন্ট এলাকায় চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজপথ অবরোধ করে রাখে। এসময় পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অমান্য করে রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টা তাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ আনসারদের পক্ষে কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন এবং আংশিক দাবি পূরণ করেন। এছাড়াও অন্যান্য যৌক্তিক দাবিগুলো একটি কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে আশ্বাস দেন।
কিন্তু সাধারণ আনসাররা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তথা সচিবালয়ের চারপাশে অবস্থান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং জিরো পয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবরোধ করে দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবে মর্মে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
বাংলাদেশের সাধারণ আনসাররা একটি সু-শৃঙ্খলিত আনসার বাহিনীর সদস্য। সচিবালয় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তথা কেপিআই জানা সত্ত্বেও আনসার সদস্যরা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে অবস্থান করতে থাকে। একপর্যায়ে সাড়ে ৯টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ঘটনাস্থলে আসলে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে অসংখ্য পথচারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা গুরুতর আহত হন। উক্ত আনসার সদস্যরা রাস্তার ওপর আগুন ধরিয়ে দেয় এবং রাস্তায় চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা, অগ্নি-সংযোগ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ি ভাঙচুর করে।
কাফি