জাতীয়
সংসদের ১২ স্থায়ী কমিটি গঠন, সদস্য হলেন যারা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে ৫০টি সংসদীয় কমিটির মধ্যে ১২টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি সংসদ সম্পর্কিত এবং বাকি ছয়টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে কার্যউপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এবারও নিজ হাতে ৫০টি কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের নাম লিখে জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটি গঠন করে চমক সৃষ্টি করেছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ হাতে লেখা কমিটির নামের খাতাটি সংসদের আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
কার্য উপদেষ্টা কমিটি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্য উপদেষ্টা কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এ কিমিটির সভাপতি- স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪৪), শামসুল হক টুকু, দীপু মনি, নূর-ই-আলম চৌধুরী, এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (বগুড়া-৪)।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), সদস্য- আহম মুস্তাফা কামাল (কুমিল্লা-১), মোস্তাফিজুর রহমান (দিনাজপুর-৫), কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), ফয়জুর রহমান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩), জাহিদ মালেক (মানিকগঞ্জ-৩), সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নওগাঁ-৩), নূর মোহাম্মদ (জামালপুর-১), আখতারউজ্জামান (গাজীপুর-৫) এবং এস এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১)।
সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
সভাপতি- আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-৫), মোরশেদ আলম (নেয়াখালী-২), আশরাফ আলী খান খসরু (নেত্রকোনা-২), সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম (কক্সবাজার-১), আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (ফেনী-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নাটোর-৪) ও আনোয়ারুল আশরাফ খান (নরসিংহী-২)।
অনুমিত হিসাব কমিটি
সভাপতি- ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), সদস্য- নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১), সালমান ফজলুর রহমান (ঢাকা-১), মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), রশীদুজ্জামান (খুলনা-৪), মো. নজরুল ইসলাম (নরসিংদী-১), প্রাণ গোপাল দত্ত (কুমিল্লা-৭), আব্দুল ওয়াদুদ (রাজশাহী-৫) ও শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬)।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: মোহাম্মদ সাদিক (সুনামগঞ্জ- ৪), সদস্য- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (ফরহাদ হোসেন), নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১), বীরেন সিদকার (মাগুরা-২), শরীফ আহমেদ (ময়মনসিংহ-২), মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২), শাহদাব আকবর (ফরিদপুর-২), আসাদুজ্জামান আসাদ (রাজশাহী-৩) ও শাহ সারোয়ার কবীর (গাইবান্ধা-২)।
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি
সভাপতি: মহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), সদস্য- মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), রফিকুল ইসলাম (চাদঁপুর-৫), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), শফিকুর রহমান (চাদঁপুর-৪), ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১) ও কে এম এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১)।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), সদস্য- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (জাহাঙ্গীর কবির নানক), আনোয়ারুল আজিম আনার (ঝিনাইদহ-৪), আনোয়ারুল আশরাফ খান (নরসিংদী-২), আব্দুল মোমিন মন্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), ওয়াকিল উদ্দিন (ঢাকা-১১), খান আহমেদ শুভ (টাঙ্গাইল-৭), রাগিবুল আহসান রিপু (বগুড়া-৬) ও মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (ঝিনাইদহ-২)।
বেসামিরক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: সাজ্জাদুল হাসান (নেত্রকোনা-৪), সদস্য: ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (মুহম্মদ ফারুক খান), আশেকুল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), আনোয়ার হোসেন খান (লক্ষ্মীপুর-১), শেখ তন্ময় (বাগেরহাট-২), মহিউদ্দিন বাচ্চু (চট্টগ্রাম-১০), মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (মৌলভীবাজার-৩) ও খসরু চৌধুরী (ঢাকা-১৯)।
শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি: আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠী-২)। সদস্য হিসেবে রয়েছেন- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/ প্রতিমন্ত্রী (নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), মির্জা আজম (জামালপুর-৩), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), আবদুদ ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), মুহিতুর রহমান (ময়মনসিংহ-৪), এবিএম আনিসুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৭)।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি শফিকুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৪)। সদস্য হিসেবে আছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (তাজুল ইসলাম), আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ (বরিশাল-১), সাঈদ খোকন (ঢাকা-৬), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), মতিয়ার রহমান (লালমনিরহাট-৩), ইকবাল হোসেন (ময়মনসিংহ-২), রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া-১), মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালী-৬)।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি: শাজাহান খান (মাদারীপুর-২)। সদস্য: ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (সাধন চন্দ্র মজুমদার), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), মোস্তফা আলম (বগুড়া-৭), আবুল কালাম মো. আহসানুল আলম (রংপুর-২), এস এম কামাল হোসেন (খুলনা-৩), এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), খান মো. সাইফুল্লাহ আল মেহেদি (বগুড়া-৩)।
সংসদ কমিটি
সভাপতি চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১)। সদস্য হিসেবে আছেন- র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), আবু জাহির (হবিগঞ্জ-৩), আশেক উল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), সাজ্জাদুল হাসান (নেত্রকোনা-৪), এস এম শাহজাদা (পটুয়াখালী-৩) ও এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার: প্রেস উইং

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শুক্রবার (৯ মে) প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।
ইতোমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে বলেও উল্লেখ করেছে প্রেস উইং।
এতে আরও বলা হয়, এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত বলেও উল্লেখ করেছে প্রেস উইং। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার-বরখাস্ত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিনভর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে রাত পৌনে ৮টায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বার্তায় জানানো হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার ও আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- অতিরিক্ত এসপি তাহসিনা আরিফ, এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এটিএসআই মো. সোলায়মান।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
এ মামলা হওয়ার আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করে প্রায় অর্ধশত মামলা হয়। তবে সেসব কোনো মামলাতেই আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়নি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনবো, না হলে চলে যাবো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশত্যাগে যারা যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের শুধু পদত্যাগ না, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। যদি আমি তাদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারি তাহলে আমি চলে যাবো (পদত্যাগ করবো)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আইশৃঙ্খলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় যারা যারা জড়িত তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। আপনারা যে পরিস্থিতিতে আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি থেকে এখন পর্যন্ত অনেক উন্নতি হয়েছে তো।’
এরপর দিনাজপুর গম গবেষণা ইনস্টিটিউটে মতবিনিময় সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ত্যাগ করেন উপদেষ্ট।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৯ মাস পর দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার (৭ মে) দিনগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল

সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বা ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৮ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে অর্থাৎ সারাদেশে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং কোস্টগার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) সারা দেশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ মে থেকে পরবর্তী ৬০ দিন এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে গত ১৫ নভেম্বর, ১২ জানুয়ারি ও ১৩ মার্চ তিন দফায় সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া ক্ষমতা দুই মাস করে বাড়ানো হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নারীসহ ৫জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চারজনকে চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন, আব্দুস সামাদ ফকির, তার ছেলে বিল্লাহ ফকির, মেয়ে আফসানা ও অ্যাম্বুলেন্স চালক। অপরজনের নাম জানা যায়নি।
দুর্ঘটনায় আহতরা জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামে। বিল্লাল ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) অন্তঃসত্ত্বা। চলতি মাসের ২৩ তারিখ তার বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ। তবে গতরাত থেকে তার ব্যথা হচ্ছিল। এজন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পরিবারের ১০ জন মিলে ঢাকার পথে আসছিলেন। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কথা ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেয়ার পর এক্সপ্রেস ওয়ের নীমতলি এলাকায় আসার পর চাকা পাংচার হয়ে যায়। এরপর রাস্তার ডান পাশে চাপিয়ে সেটির চাকা মেরামত করছিলেন চালক। আর তারা কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে বসে ছিলেন, আর কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পিছন থেকে এসে সজোরে অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসের হেল্পার সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান, তারা কুষ্টিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি নিয়ে আসতেছিলেন ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায়। নীমতলী এলাকায় এক্সপ্রেস ওয়ের ডান পাশের লেনে দাঁড়িয়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন দ্রুতগতির বাসটি চালক ফয়সাল (৪০) ব্রেক করেও থামাতে পারেননি। সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের পিছনে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইওয়ে থেকে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চারজন মারা যায়। এরমধ্যে এক নারী তিন পুরুষ। আহত কয়েকজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, মাওয়ার নীমতলি এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। আর আহতদের ঢাকা মেডিকেল পাঠান হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে কেউ মারা গেছে কিনা সেটি তার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে যেই নারী নিহত হয়েছেন তার লাশ পুলিশ হেফাজতে আছে। বাস, অ্যাম্বুলেন্স দুটিই জব্দ করা হয়েছে।
কাফি