জাতীয়
দুই সিটি ভোটে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা জানালো ইসি

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব এম মাজহারুল ইসলাম এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯ এর উপধারা (২)(ঘ) ও (২)(ঙ) এর বিধান হচ্ছে- কোনো ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এবং মেয়র বা কাউন্সিলর পদে থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি- (ঘ) কোনো ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে; (ঙ) প্রজাতন্ত্রের বা সিটি কর্পোরেশনের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন।
নির্দেশনায় ব্যাখ্যা দিয়ে আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন ২ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং উক্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল হলে এবং আপিল আদালত নিম্ন আদালতের রায় বা সাজা স্থগিত না করলে অযোগ্য বলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত আপিল গ্রহণ করলেও তিনি অযোগ্য হবেন বা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী জামিন পেলেও অযোগ্য হবেন অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সাজা স্থগিত বা মওকুফ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
অন্যদিকে, সিটি কর্পোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বিধায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদটি রিট পিটিশন ৯১২৪/২০০৮ এ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক লাভজনক পদ সাব্যস্ত করা হয়েছে। কাজেই স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৯ এর উপধারা (২)(ঙ) অনুযায়ী মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে উক্ত ব্যক্তি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক হলে তাকে উক্ত পদ হতে পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। কাউন্সিলর পদধারীরা লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত নন বিধায় তাদেরকে পদত্যাগ না করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দুই সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৩ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

জাতীয়
নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঈদুল আজহা উদযাপনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে গাবতলী হাট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
ঈদে মানুষ বাড়ি চলে যাচ্ছে, ঢাকার নিরাপত্তা কেমন হবে? এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদ উপলক্ষে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকেই যাচ্ছে। তারা কিন্তু বাড়ি যাচ্ছে না। অতএব, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আশা করি ভালো থাকবে। আমাদের সব বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় আছে। নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতবারের চেয়ে এবার একটু দাম কম, আমার মনে হয়। বাজারে পর্যাপ্ত গরু আছে, যারা গরু কিনতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটা স্বস্তির খবর, যে কেউ যে কোনো সময় এসে নিরাপদে গরু কিনে নিয়ে যেতে পারবেন।
বড় গরু কিনতে মানুষ ভয় পাচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে তো দুর্নীতির টাকায় পকেট ভরা ছিল। এখন আর দুর্নীতির টাকা নেই। এজন্য বড় গরু কিনতে পারছেন না। যাদের কাছে টাকা ছিল, ব্ল্যাক মানে ছিল, তারাই তো বড় বড় গরু কিনতো। কিন্তু সৎ পথে যারা আয় করে, তাদের মধ্যেও বহু লোক আছে বড় গরু কিনবে। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে ঘুরে আমি যে নিরাপত্তা দেখলাম, আমার কাছে পর্যাপ্ত এবং ভালোই মনে হয়েছে। আপনাদের কি মনে হয়, এই নিরাপত্তা পর্যাপ্ত এবং যথেষ্ট?
কল্যাণপুর থেকে গাবতলী এতটুকু সড়কের মধ্যেই বেশি যানজট, সমাধানের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ এতোটুকু জায়গার মধ্যে যানজটটা একটু বেশি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
জাতীয়
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আগামী শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে ঈদের জামাত, হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
ডিএসসিসি প্রশাসক জানান, শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। তবে, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
শাহজাহান মিয়া আরও জানান, জাতীয় ঈদগাহে এবার ৩৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পারবেন। এছাড়া, ১২ ঘণ্টার মধ্যে ডিএসসিসি কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বায়তুল মোকাররম মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি জামাতের আয়োজনের কথা রয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বায়তুল মুকাররমে প্রথম জামাত সকাল সাতটায় এবং দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও শেষ জামাত পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয়
ট্রেনে ফিরতি যাত্রার শেষ দিনের টিকিট মিলছে আজ

ঈদের ছুটি শেষ করে ঘরমুখো মানুষের ফেরার যাত্রায় আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশে রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিক্রি করা হচ্ছে আগামী ১৫ জুনের ট্রেনের টিকিট।
সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল উভয় অঞ্চলের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩০ মে, ১০ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩১ মে, ১১ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ জুন, ১২ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ জুন, ১৩ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩ জুন, ১৪ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪ জুন এবং ১৫ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে আজ ৫ জুন।
ঈদের পরে সাতদিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এ সময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী চারটি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে কিনতে করতে পারবেন। একটির বেশি আসনের টিকিট কিনলে সহযাত্রীদের নাম টিকিট কেনার সময় লিখতে হবে।
জাতীয়
বিআরটিএ’র নতুন চেয়ারম্যান আবু মমতাজ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’র নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৪ জুন) যুগ্ম সচিব আবুল হায়াত মো. রফিক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জনানো হয়, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদকে বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
জাতীয়
দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, প্রেসিডেন্ট জে-মিয়ংকে পাঠানো এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, আপনার এই বিজয় প্রমাণ করে, কোরিয়ার জনগণ আপনার নেতৃত্ব ও জাতীয় উন্নয়নের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রাখে তা গভীর। আমরা আশা করি আপনি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সাফল্য অর্জন করবেন। দেশকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব এবং অভিন্ন মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী এবং অন্যতম বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী। আমি আশাবাদী, আপনার যোগ্য নেতৃত্বে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, যা আমাদের উভয় জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
অধ্যাপক ইউনূস স্মরণ করেন, তিনি ও প্রেসিডেন্ট লি উভয়ে মাইক্রোক্রেডিট কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করেন।
তিনি বলেন, বিশেষ করে আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি, আপনি কোরিয়ায় নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যে জুবিলি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা আপনার দেশের লাখ লাখ মানুষের জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছে।
‘আমি আগামীতেও আপনাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছি- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এবং একজন মাইক্রোফাইন্যান্স ও সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা হিসেবে’, যোগ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
বার্তার শেষে অধ্যাপক ইউনূস নবনির্বাচিত কোরীয় প্রেসিডেন্টের সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ডেমোক্রেটিক পার্টির লি জে-মিয়ং বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন।