ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সমালোচনায় জর্জরিত ইবি ছাত্রলীগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নিয়োগ বাণিজ্য’সহ বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে ক্রমাগত অডিও ফাঁস এবং বছরজুড়ে পত্র-পত্রিকার পাতায় সমালোচিত শিরোনাম হচ্ছে। ফলে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ক্ষোভের প্রকাশও করছেন তারা।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের কন্ঠস্বর সদৃশ একাধিক অডিও ফাঁস, সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নাম ব্যবহৃত কাবিননামা ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁসের পর ইবি ছাত্রলীগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় তৈরি হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নাম সম্বলিত একটি কাবিননামা। প্রকাশিত কাবিননামা সূত্রে দেখা যায়, গত ১৩ মে ২০২১ তারিখে নিকাহটি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে কনে বৈশাখী খাতুন, পিতা: জিল্লুর রহমান, মাতা আছিয়া বেগমের সাথে বর নাসিম আহমেদ জয়, পিতা: তবারক হোসেন, মাতা: নাসিমা খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন বলে কাবিননামা থেকে জানা যায়।
তবে এ বিষয়টি বানোয়াট এবং ইডিট বলে দাবি করেছেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। কাবিননামা সূত্রে আরও জানা যায়, উক্ত নিকা রেজিস্ট্রেশনের সাক্ষী ছিলেন, সাক্ষী-১: রাকিবুল ইসলাম রাকিব (সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ), পিতা: মো: রেজন আলী, মাতা: রাশিদা খাতুন। সাক্ষী-২: মো: তারিকুল ইসলাম, পিতা: তাহাজ্জত শেখ, মাতা: তহমিনা খাতুন।
এ বিষয়ে এবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার যে নাম পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে সেটা সঠিক। তবে আমি এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি নই। তবে খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করব।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এধরনের কাবিনামা তৈরি করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং মেয়ের নাম দিয়েছে সেগুলো ভিত্তিহীন তথ্য। আমাদের সংগঠনে ছাত্র রাজনীতি করা অবস্থায় বিয়ে করা সংবিধানে নাই। আমি সংগঠন বিতর্কিত হবে এমন কোন কাজ অবশ্যই করবো না। সংগঠন বিরোধী কিছু চক্র আছে যারা এসব কার্যকলাপ ছড়াচ্ছে। আমার নিজের বিয়ে অথচ আমি নিজেই জানবোনা! এটা সম্পূর্ণই ভূয়া এবং ভিত্তিহীন তথ্য।
এছাড়াও ১ বছর মেয়াদী কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেনি ছাত্রলীগ। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার আশ্বাসবাণীতে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহের প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি সেই কমিটি। এছাড়াও হল কমিটি, ফ্যাকাল্টি কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও সেই আশ্বাস এখন কেবলই অতীতের শিরোনাম। তবে এসকল বিষয়ে নিশ্চুপ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দিকপালেরা।
গতবছর ১২ ফেব্রুয়ারি ফুলপরি র্যাগিং নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা’সহ ৫ জনকে ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছিট থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গত ২০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে শোক দিবসের অনুষ্ঠানের পর কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাই এমপির উপস্থিতিতেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ছড়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ছুরিকাঘাতে আহতদের ঘটনাও ঘটে। ফলে এসকল বিষয় সমূহ নিয়ে একপ্রকার বিতর্কিত বৃত্তের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে ছাত্রলীগের এই ইউনিট।
এসব বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমি নিজেও চাই শাখা ছাত্রলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি হোক। আমার হাতে সুযোগ থাকলে আমি আজকেই পুর্নাঙ্গ কমিটি দিয়ে দিতাম। কিন্তু পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তারা অনুমোদন না দিলে আমরা কি করতে পারি! আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে বলেছি।
সাধারণ সম্পাদকের কাবিননামা ফাঁসের বিষয়ে বলেন, এমন কাবিননামা চাইলেই বানানো যায়। যেটা ফাঁস হয়েছে সেটায় মেয়ের বয়স জয়ের চেয়ে বেশি। আবার খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে কাজীর পরিচয় দেয়া হয়েছে সেটাও ভুয়া। ওই নামে, ওই ঠিকানায় কোন কাজী নেই।
নিজের নামে ছড়ানো অডিও ক্লিপের বিষয়ে বলেন, যে সকল বিষয় নিয়ে অডিও ক্লিপ ভাইরাল হচ্ছে সেগুলো অস্পষ্ট ও ভিত্তিহীন। আমার ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রোপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। আমি ইতোমধ্যে জিডি করেছি। আমিও চাই যে বিষয়গুলো খোলাসা হোক।
কাবিননামার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, কাবিননামাটা আমি এখনও দেখি নাই। তবে আমরা প্রাথমিক খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছি বিষয়টি ভূয়া। আর যদি সত্যিও হয় তবুও সাংগঠনিকভাবে সমস্যা নেই। পদবি পাওয়ার পর বিবাহিত হলে সমস্যা নাই।
এছাড়াও তিনি বলেন, অডিও ফাঁস বা কাবিননামার ব্যাপারে আমাদের কাছে অফিসিয়াল অভিযোগ আসে নাই। আর আমরা ফেসবুক দেখে সংগঠন চালাই না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেও এগুলো করে থাকে।
কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে তিনি বলেন, কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়টি চলমান। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি করতে বিভিন্ন দিক থেকে ভাবতে হয়৷ এটা একটি বড় প্রক্রিয়া। সব এলাকার ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল হচ্ছে, এ জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একইসঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হবে, পুরোনো পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাক্রম চলবে, এতে পরীক্ষাপদ্ধতি থাকবে। শিগগিরই এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) নিজ বাসভবনে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দলীয়করণ, অবকাঠামো তৈরিতে দুর্নীতি, পাঠ্যপুস্তক ছাপানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও তিনি কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশে ৫০টির বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টির বেশি এখন অভিভাবকহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শুধু উপাচার্যের পদ খালি আছে, তা নয়। উপ–উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ অনেক প্রশাসনিক পদ খালি পড়ে আছে। আগে এই পদগুলো এতটাই দলীয়করণ করা হয়েছে, শূন্যপদগুলো পূরণের জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, প্রশাসনিক দক্ষতা আছে, বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে যোগ্য— এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর মানে এই এই নয় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চমানের গবেষক-শিক্ষক নেই। দলীয় সংস্কৃতির কারণে যোগ্য অনেকে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন; কিন্তু তারা আবার বৃহত্তর শিক্ষক সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ নেই, এটাও একটা সমস্যা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির চক্র তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ঠিকাদারদের একটা দুর্ধর্ষ শ্রেণি তৈরি হয়েছে, যারা রীতিমতো ভীতিকর। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক যোগ্য শিক্ষককে ট্রেজারার নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাঁরা দায়িত্ব নিতে ভয় পাচ্ছেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে শত শত সুপারিশ আসছে নানা দিক থেকে। আমি আমার মতো যোগ্য, যাদের পদায়ন করা যায়, বিভিন্নভাবে খোঁজার চেষ্টা করছি। আশা করি যে অচিরেই আমরা অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে পারব। আবার ইউজিসির চেয়ারম্যানের পদও শূন্য হয়ে আছে। সেটার জন্য বেসরকারি খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা অভিভাবকশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এখানে আমরা অতি দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দু–একজন মানুষকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।
দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, স্কুল–কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চর দখলের মতো দখলদারি প্রতিষ্ঠার একটা অরাজকপূর্ণ বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শিক্ষকেরা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। জোর করে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করছেন, সেটা খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, যেন এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য যথাযথ প্রতিকার এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রিয়াজুল হাসান এনসিটিবির নতুন চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
শনিবার (৩১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বিভাগটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। তাছাড়া এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) পদেও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সবশেষ তাকে এনসিটিবি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
গত ২৮ জুলাই দ্বিতীয় মেয়াদে এনসিটিবির চেয়ারম্যান নিয়োগ পান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। সরকার পতনের পর তার নিয়োগের ২২ দিনের মাথায় গত ১৯ আগস্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তিনি।
অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম পদত্যাগ করার পর এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবির চৌধুরীকে একই দিনে চেয়ারম্যান পদে রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এদিকে, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল, আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া বা নতুন পদ্ধতি প্রণয়ন এবং পাঠ্যবই সংস্কারের মতো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে এনসিটিবি। এমন সময়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যাপক রিয়াজুল হাসানকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ। বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এই নিয়োগ দেন।
ঢাবি রেজিস্ট্রার অফিস থেকে পাঠানো এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উপাচার্য আপনাকে কাজে যোগদানের তারিখ থেকে প্রচলিত শর্তে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এ জন্য আপনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। আপনার এ নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করা যাবে। এ প্রসংগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালেন্ডার পার্ট-২ (১৯৯৭)-এর ১১ অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা নং-৩৭-৪০) প্রক্টর-এর দায়িত্ব ও কর্ম পদ্বতি বিষয়ক বিধি বিধানের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য ড. আমানুল্লাহ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। আজ বুধবার তাকে এই নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ এর ১১ (১) ধারা অনুসারে প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে চার বছর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শুভেচ্ছা জানাতে ফুল কিনে খরচ না বাড়ানোর আহ্বান ঢাবি ভিসির
শুভেচ্ছা জানাতে ফুল কিনে খরচ না বাড়ানোর আহ্বান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি মনে করেন, দেশের এ দুর্যোগের দিনে টাকা দিয়ে ফুল কিনে শুভেচ্ছা জানানো বাহুল্যতা। এটা বর্জনে উৎসাহিত করেছেন ঢাবির সদ্য নিয়োগ পাওয়া এ উপাচার্য।
আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, রাজনৈতিক একটি পট-পরিবর্তনের পরপরই দেশ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। মানবিক বিপর্যয় দেখা গিয়েছে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীসহ আপামর মানুষ বন্যার্তদের সহায়তায় নিরলস কাজ করছেন। যা আমাদেরকে জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের এমন দুর্যোগের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পয়সা খরচ করে ফুল কিনে তা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর প্রয়োজন নেই। এটা একটা দায়িত্বমাত্র। নিঃসন্দেহে এটা (উপাচার্য পদে নিয়োগ) সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ। এ দুর্যোগে দয়া করে কেউ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসবেন না। দুর্যোগে সবাইকে বাহুল্য বর্জন করতে হবে।
সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়ে নতুন উপাচার্য বলেন, আমি যেটুকু বলবো- ফুল লাগবে না। আপনারা উদার মনে, খালি হাতে আসুন, আমাকে পরামর্শ দিন। সম্মিলিতভাবে দল-মত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
এদিকে আজ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ১১(২) অনুযায়ী অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এমআই
You must be logged in to post a comment Login