জাতীয়
টিকিট কালোবাজারিদের ছাড় দেওয়া হবে না: রেলপথমন্ত্রী

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। রেলের টিকিট কালোবাজারি রোধে র্যাবের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষে রেলওয়ে টিকিট কালোবাজারি ও দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপের জন্য র্যাবকে ধন্যবাদ জানান।
সম্প্রতি রেলে টিকিট কালোবাজারি, ডিপো থেকে যন্ত্রাংশ চুরি এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ঘটনা আর যাতে না ঘটে এজন্য সকলকে সজাগ থাকার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, একটি চক্র টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত, তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সকলে মিলে সহযোগিতা করলে টিকিটের কালোবাজারি বন্ধ হবে।
এখন কক্সবাজারে টিকিট কালোবাজারি চক্র সক্রিয় এমন মন্তব্য করে জিল্লুল হাকিম বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে একটি চক্র রেলের টিকিট জাল করছে। তাদের ধরতে হবে এবং এগুলো বন্ধ করতে হবে। সহজডটকমের কর্মকর্তা, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তা কর্মীসহ যারা টিকিটের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কোরিয়া থেকে আমদানি করা মালামাল বিভিন্ন সময়ে চুরি হচ্ছে। এই চুরির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তা না হলে তাদের প্রতিহত করার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্রেনে সন্ত্রাসীদের আগুন লাগানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, যারা একের পর এক ট্রেনে আগুন দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন তাদের প্রতিরোধ করব। তাদের প্রতিরোধ করতে না পারলে, রেলের ওপর থেকে মানুষের আস্থা হারাবে।
বৈঠকে মন্ত্রী টিকিট কালোবাজারি এবং রেলের সার্বিক নিরাপত্তা ও চুরি বন্ধে আরএনবি, পুলিশ, আনসার, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ সকল সংস্থাকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

জাতীয়
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ১৯

ঢাকার উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি।
সোমবার (২১ জুলাই) ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৯ ইউনিট ও ৬ অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে।
এদিন দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়ন করে। এরপরই সেটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি মাইলস্টোন স্কুলের হায়দার হল নামের একটি ভবনের ক্যানটিনের ছাদে গিয়ে আছড়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান দুর্ঘটনার খবরে স্বজনদের অনেকেই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন। তাদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। অনেকে প্রিয় মুখটির সন্ধানে এদিক-ওদিক হন্যে হয়ে ছুটছেন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি হটলাইন চালু করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর: ০১৯৪৯-০৪৩৬৯৭।
ভয়াবহ এ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। ওইদিন দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সব সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
ওইদিন হতাহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
কাফি
জাতীয়
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের রক্তের প্রয়োজন, সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান

উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর (এফ-৭ বিজিআই) প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে।
এখন পর্যন্ত নারী শিশুসহ ২৯ জনকে জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছে। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইতোমধ্যে, হতাহতদের জন্য প্রচুর রক্ত লাগবে, সেজন্য হাসপাতালের আশেপাশে রক্তদাতাদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এরইমধ্যে অর্ধশতাধিক দগ্ধ মানুষ ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন।
এদিকে, হতাহতদের সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই এগিয়ে আসছেন। শেখ মইনুল খোকন পোস্ট করে লিখেছেন, উত্তরায় দুর্ঘটনায় হতাহত কারো আইসিইউ লাগলে ‘হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এন্ড হাসপাতালের আইইসিইউ’র সকল সেবা বিনা খরচে প্রদান করা হবে।
কেউ কেউ লিখেছেন যেকোন প্রয়োজনে সহায়তায় করতে প্রস্তুত। অনেকেই আবার এই মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে দোয়া করেছেন।
কাফি
জাতীয়
বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক শোক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
শোক বার্তায় বলা হয়, রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। এ দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ।
প্রধান উপদেষ্টা তার শোক বার্তায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেন।
সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে বলেও বার্তায় উল্লেখ করেন তিনি।
কাফি
জাতীয়
রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত

রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি প্রশিক্ষণ বিমান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো (আইএসপিআর) এক ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি দুপুর ১টা ৬মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণ আগে শুনতে পেরেছি মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি এবং বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।
জাতীয়
১০ দিনের মধ্যে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলেছেন, আজসহ আগামী ১০ দিনের মতো সময় আমাদের হাতে আছে। এর মধ্যেই আমাদের সবগুলো সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ১৬তম দিনের বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আমরা মুক্তিযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম। তার জন্য লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু একদিনের সংগ্রাম, একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়েই সেটি হয়নি। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা সেই জায়গায় এসেছি, রাষ্ট্র অর্জন করেছি।
আলী রীয়াজ বলেন, পরবর্তী সময় ৫৩ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি, একটি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। সেই সংগ্রাম অব্যাহত আছে। তারই এক পর্যায়ে আমরা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের শাসনে নিপতিত হয়েছিলাম। সেখান থেকে সব রকম ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে সব মতপার্থক্য ভুলে একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের এই জায়গায় এসেছি।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি রাজনৈতিক দলসমূহের নেতাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ, অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান, রক্তপাত এবং হাজারো প্রাণনাশের কথা বিবেচনায় রেখে সামনে অগ্রসর হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সেখান থেকে পেছানোর কোন উপায় নেই। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে যাবার কোন উপায় নেই। সেই বিবেচনায় আমরা চাই, আগামী ১০ দিনের মতো সময় আছে। এর মধ্যে একটা ঐকমত্যে আসতে। হয়তো এক-দুইদিন বিশেষ বিবেচনায় বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আজসহ আমাদের হাতে থাকা ১০ দিনের মধ্যে বাকি বিষয়গুলোতে আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
বৈঠকটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয়। আজকের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।
You must be logged in to post a comment Login