ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী ১০ ফেব্রুয়ারী

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফকরুল ইসলাম ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে অনলাইনে গুগল ফর্মের মাধ্যমে সাবেক ৫৮২ জন ও বর্তমানে অধ্যয়নরত ৩১৬ জন শিক্ষার্থী ও পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করবে বলে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে। এখানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সর্বমোট ৩২টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে।
আরও জানা যায়, বিভাগের পক্ষ থেকে এটি প্রথম পুনর্মিলনী। সে উপলক্ষে পুনর্মিলনীর আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের দ্বিতীয় তলায় পিঠা উৎসব, লালন সংগীত ও এক চা-চক্রেরও আয়োজন থাকবে সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। এছাড়াও পুনর্মিলনীতে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন সেবা দেওয়া হবে।
এবিষয়ে পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, লোকপ্রশাসন বিভাগ প্রথমবারের মতো এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে। বিভাগের ছাত্র এবং শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে মনে হচ্ছে আমার বয়সের ব্যবধান ঘুচিয়ে আমি যে ৯২-৯৩ সেশনের ছাত্র ছিলাম সেখানে ফিরিয়ে নিয়েছে। সেই সময়ে শিক্ষক, বড় ভাই, সহপাঠীদের সাথে ক্যাম্পাসে-হলে যে বিচরণ ছিলো সেই স্বাদ পাচ্ছি।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, আয়োজনটি সাজাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত এবং আমাদের সৌভাগ্যবান মনে করি। দেরীতে হলেও আমরা এতো সুন্দর একটি আয়োজন করতে যাচ্ছি। আমি এই শুভক্ষণে পুরাতন সকল শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাই এবং আমি আমার বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সুস্বাগতম জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল যুগের এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য অবশ্যই এধরণের উদ্যোগ প্রতি স্তরেই নেয়া উচিত। বর্তমান বিশ্বের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে আমাদের বিভাগের পক্ষ থেকে এধরণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে বর্তমান যারা ছাত্র তাদের জন্য সহায়ক একটি উদ্যোগ হবে এবং তাদের অনুপ্রাণিত করবে। পুরাতনদের অভিজ্ঞতা, পরামর্শ নবাগতদের উজ্জীবিত করবে।
উল্লেখ্য, পুনর্মিলনী উৎসব ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবন ও ভবন সংলগ্ন রাস্তায় লাল-নীল ঝাড়বাতি শোভা বাড়াচ্ছে। এছাড়াও বিভাগ প্রাঙ্গনে অঙ্কিত হচ্ছে রংবেরঙের আল্পনা এবং নতুন রঙে ডিপার্টমেন্ট সাজছে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম এ ঘোষণা দেন। এ সময় অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের সময়সূচি অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৩০ জুলাই এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১১ আগস্ট।
তপশিলে বলা হয়, ডাকসুর নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে ১২ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা। আর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ আগস্ট। প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ আগস্ট।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ আগস্ট। এরপর ২৬ আগস্ট প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের ফলাফল।
জানা গেছে, এ বছর হল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ৬টি নিরপেক্ষ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হল- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবে।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ভোট দেবেন রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) ভোট দিতে পারবেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
৬। উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তপশিল আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ২০ জুলাই তপশিল ঘোষণার তারিখ এবং ডাকসু নির্বাচনের সময় ঘোষণা দেওয়া হয়। সেদিনই ২৯ জুলাই তপশিল ঘোষণার কথা প্রথম জানানো হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে পারে। এ বছর হল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ৬টি নিরপেক্ষ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হল- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবে।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ভোট দেবেন রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) ভোট দিতে পারবেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
৬। উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, প্রজ্ঞাপন জারি

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকরা জাতি গঠনের মূল কারিগর। তাদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সম্প্রতি ১২৪/২০২২ নম্বর সিভিল রিভিউ পিটিশনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান ১১তম থেকে দশম গ্রেড বেতন স্কেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
‘এর ধারাবাহিকতায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ যৌক্তিক বিবেচিত হওয়ায় সরকার সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। গৃহীত উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবে। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
দশম গ্রেড দিয়ে সরকার প্রধান শিক্ষকদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সম্মান দেখিয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে তাদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে সরকার।
সরকারের এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সর্বস্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সাজিদ স্মৃতি অ্যালবাম প্রদর্শনী

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ শিক্ষার্থী রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করা সাজিদ আব্দুল্লাহর স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে “ECHOES OF SAJID” শীর্ষক স্মৃতি অ্যালবাম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাত আটটার দিকে ইবি মেইন গেইটের সামনে ‘জাস্টিস ফর সাজিদ আব্দুল্লাহ’ প্লাটফর্মের আয়োজনে এ স্মৃতি প্রদর্শনী দেখানো হয়। এতে জুলাই অভ্যুত্থানে সাজিদের অংশগ্রহণ, সাজিদের কুরআন তেলাওয়াত ও কাওয়ালীর সুরেলা সঙ্গীত, সাজিদের মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তদন্তে প্রশাসনের অবহেলার বিষয়টি তুলে আনা হয়।
প্রদর্শনী শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদের মৃত্যুর প্রায় দশ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। প্রশাসন বেশ আরামেই তাদের সময়গুলো পার করছে। ক্যাম্পাসে এমন একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে কিছুই হয়নি। অথচ সাজিদের জায়গায় আমরা যে কেউ-ই থাকতে পারতাম। আজ যারা সাজিদকে হত্যা করে পার পেয়ে যাচ্ছে, তারা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা ধরে নিচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো হত্যাকাণ্ড করা হয় তাহলে এর কোনো বিচার বা তদন্ত হয়না। তাই আমরা সকলেই সাজিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ইবি থানা পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ক্যাম্পাসে নানা মহলে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহের। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রশাসন তদন্তে কমিটি গঠন করলেও তদন্ত কমিটির কাজের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থীরা। সাজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট ও দুর্নীতি শ্বেতপত্র প্রকাশে ইবিতে ফের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আহ্বানে বটতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘পুকুরে লাশ কেন, প্রশাসন জবাব দে; তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ”; Justice Justice, we want justice ; আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না; ভয়ভীতি আর অন্ধকার, চাই না চাই না; গাফিলতি মানি না, জবাব ছাড়া ছাড়ি না!; প্রশাসনের তালবাহানা, মানি না মানব না; শিক্ষার্থীরা মর্গে, প্রশাসন স্বর্গে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ কর্মসূচিতে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল কুরআন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, অধ্যাপক ড. মোহা. জালাল উদ্দিন, ইবি শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, খেলাফত ছাত্র মজলিস, জমিয়তে তালাবিয়্যা আরাবিয়া-সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনে বিভাগের শিক্ষার্থী জানান, সাজিদ শুধু আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী নয়, আপনাদেরও ভাই। আমরা পরিক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছি। অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরিক্ষা দিচ্ছেন, এটা কাম্য নয়। জুলাই আন্দোলনে যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা মাঠে নেমেছিলাম, সাজিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একসাথে রাজপথে আন্দোলনে আপনাদের চাই।
আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আরও জানান, সাজিদ রহস্যময় মৃত্যুর তদন্তের কোন অগ্রগতি দেখছি না। ইবি প্রশাসন এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে অবচেতন কেন? ২৪ ঘন্টায় প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল, আমরা পাইনি। ছয়দিন তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল সেটাও পার হয়ে গেছে। আদৌ তদন্ত রিপোর্ট পাবো কি না জানি না। জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহিদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আপনারা দায়িত্ব পেয়েছেন। আপানাদের ঘুমিয়ে থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয়নি। আমার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে না কি হত্যাকান্ড এটার রহস্য দ্রুত বের করতেই হবে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত তদন্ত কমিটি থেকে আশ্বস্ত হওয়ার মত কোন তথ্য পাইনি। সাজিদের মৃত্যু ঠিক কিভাবে হয়েছে তার ন্যূনতম তথ্য প্রশাসন এখনো উপস্থাপন করতে পারেননি। প্রশাসনকে বলে দিতে চাই- অতিদ্রুত সাজিদের সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে যাব, তখন প্রশাসনের কোন সুযোগ থাকবে না।
অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন, জুলাইয়ের পরে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবন্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে চেয়েছি। সেই কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি এগিয়ে না আসে তবে আমরা মনে করব এই প্রশাসন জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেনা। সাজিদের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত জড়ালো দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি সাজিদের মৃত্যু অর্থাৎ এই মূল বিষয়কে এড়িয়ে বিভিন্ন অপশক্তি সেখানে ঢোকার চেষ্টা করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে সাজিদ হত্যার রহস্য উন্মোচনে আল কোরআন বিভাগ থেকে শুরু করে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রসংগঠনগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সাজিদ মূল রহস্য উন্মোচনে আমরা এক চুলও ছাড় দেব না ইনশাল্লাহ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাকে চুল পরিমানও ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসের কানে এই বাণী যাবে, তারা সচেতন হবে এবং সজিদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে অতিদ্রুত সকলের সামনে পেশ করতে হবে।
রুটিন উপাচার্য দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিন বাদে ৫ দিন কার্যদিবস পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আশা করছি ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলে চলতি সপ্তাহের মঙ্গল/বুধবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন। অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কাজ চলমান।
কাফি/সাকিব
You must be logged in to post a comment Login