জাতীয়
রমজানে ৪ পণ্যে শুল্কহার কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রমজানে যাতে এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্বাচনের পরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সমন্বয়ের ভিত্তিতে এটির ওপর কাজ করতে বলেছেন। আজ মন্ত্রীদের কাছ থেকে সর্বশেষ অবস্থা জেনেছেন, মন্ত্রীরা কী কী কাজ করেছেন সেটি জানিয়েছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রমজানে যে পণ্যগুলোর দরকার হয়, বিশেষ করে খেজুর, ভোজ্যতেল, চিনি ও চাল-এই চারটি পণ্যের শুল্কহার হ্রাস করার জন্য এনবিআরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটি নিয়ে এখন তারা কাজ করছে। কী পরিমাণ কমানো হবে সেটি এনবিআর হিসাব করে দেখবে, যাতে করে দ্রব্যমূল্যের চাপটা মানুষের ওপর কম থাকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বাজারে যেন সরবরাহ ও চাহিদার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি না থাকে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এখন এলসি ওপেনের হার অনেক বেশি আছে এবং খাদ্য মজুতের পরিমাণ অনেক বেশি আছে, সেই তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রীদের ‘রিপ্লাইয়ে’ প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) সবকিছু শোনার পর নির্দেশনা দিয়েছেন। বাকি কাজটুকু মাঠে যেভাবে আছে, সেটি কন্টিনিউ করতে বলেছেন। সাপ্লাই যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন না হয়, সেজন্য এলসি ওপেন করে দিচ্ছেন, যাতে কেউ কোনো কারসাজি করতে না পারে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দাম ইস্যুতে অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা যে মেসেজ দিচ্ছেন সেখানে তারা সাজা, জরিমানা ও জেল দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সাজা দেওয়া হচ্ছে না বলা হলেও সেটি ঠিক নয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসির সমস্যা নেই জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছরের এই সময়ে ৩৭ হাজার ১০৭ টন খেজুর আমদানির এলসি ওপেন করা ছিল, এবার এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৭৩৪ টন এলসি ওপেন করা আছে।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময় ৯৭ হাজার ২৮৭ টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানির এলসি করা ছিল। এবার ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৪ টনের এলসি করা আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে ডলারের সংকট আছে এটা এই পরিসংখ্যান প্রমাণ দেয় না।
গত বছর এই সময়ে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭০ টন অপরিশোধিত চিনির এলসি ওপেন হয়েছিল। এবার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৩৮ টন চিনি আমদানির এলসি ওপেন করা আছে বলে জানান তিনি।
এদিকে জানা গেছে, রমজান ঘিরে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে ছোলা, মসুর ডাল ও মোটরসহ মসলা জাতীয় পণ্যের। তবে দাম বেড়েছে মুগডালের।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গত ৬ মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন। খেজুর আমদানি হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৩৪ মেট্রিক টন।

জাতীয়
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শুক্রবার (২৭ জুন) দিনগত রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে এক্সপ্রেসওয়ের হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার অদূরে বিপরীত পাশে ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৭ জুন) দিনগত রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে যশোর থেকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চরমোনাইর সমাবেশে অংশ নিতে আসার পথে ‘হামদান এক্সপ্রেস’ নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে যাই এবং আটকে পড়াদের উদ্ধার করি।
ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুইজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুইজন মারা যান। এ ঘটনায় আহত ১৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের জন্মদিন আজ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৮৫তম জন্মদিন আজ (শনিবার)। তিনি ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু ব্যক্তি, সংগঠন ও শুভানুধ্যায়ী।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা দুলা মিঞা সওদাগর ছিলেন একজন মহুরী এবং মাতা সুফিয়া খাতুন গৃহিণী। তার সহধর্মিণী অধ্যাপক দিনা আফরোজ, দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
ড. ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেন। নোবেল ছাড়াও তিনি বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন, যা তাকে বিশ্বমঞ্চে একজন মানবকল্যাণে নিবেদিত সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস পড়াশোনায় ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। চট্টগ্রামের কলিজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় ৩৯ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬তম স্থান অর্জন করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬১ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার সুযোগ লাভ করেন। সেখানে তিনি ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট-এ অধ্যয়ন করে ১৯৭১ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়, ১৯৭১ সালে ড. ইউনূস আমেরিকায় অবস্থানকালেই একটি নাগরিক কমিটি গঠন করেন। তিনি অন্যান্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিলে ‘বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার’ পরিচালনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত ও সমর্থন গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। সেই সময় তিনি গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান। ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প’ চালু করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এই প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
গ্রামীণ ব্যাংক মডেল আজ বাংলাদেশের অধিকাংশ গ্রামে বিস্তৃত, এবং এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে আমেরিকাসহ প্রায় ৪০টি দেশে এই মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য ড. ইউনূস দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার পান। এ ছাড়া তিনি সেই অল্পসংখ্যক ব্যক্তির একজন যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল- এই তিনটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছেন।
গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা রাজপথে সক্রিয় হয়। এই আন্দোলন ক্রমেই সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে রূপ নেয়। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা পরে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পরপরই, ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যেখানে তিনি এখন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
কাফি
জাতীয়
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১ হাজার ৬১৬ জন

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলায় এক হাজার ৬১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক হাজার ৬০ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত এক হাজার ৬০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৫৫৬ জন। মোট এক হাজার ৬১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল ও চারটি শর্টগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশেষ এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদরদপ্তরের এ কর্মকর্তা।
জাতীয়
চলতি বছর হজে গিয়ে ৪০ বাংলাদেশির মৃত্যু

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৩৯৭ জন হাজি দেশ ফিরেছেন। এবার ৪০ বাংলাদেশি হজ পালন করতে গিয়ে মারা গেছেন। সর্বশেষ মৃত্যু হয়েছে দুই হাজির।
গত বুধবার (২৫ জুন) এ দুইজন মারা যান। তারা হচ্ছেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার মো. আ. রহমান জোমাদ্দার (৬১) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মোহাম্মদ আলী (৬৮)।
শুক্রবার (২৭ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের মৃত্যু সংবাদে এসব তথ্য জানা গেছে।
মৃত্যুবরণ করা ৪০ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও নারী ১১ জন। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ২৫ জন, মদিনায় ১২ জন, জেদ্দায় ২ জন ও আরাফায় একজন।
সূত্রে জানা যায়, এ বছর হজে গিয়ে গত ২৯ এপ্রিল প্রথম মারা যান রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০)। এরপর ২ মে মারা যান কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মো. ফরিদুজ্জামান (৫৭), ৫ মে মারা যান পঞ্চগড় সদরের আল হামিদা বানু (৫৮), ৭ মে মারা যান ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবির (৬০), ৯ মে মারা যান জামালপুরের বকশিগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), ১০ মে মারা যান নীলফামারী সদরের বয়েজ উদ্দিন (৭২), ১৪ মে মারা যান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মো. অহিদুর রহমান (৭২) ও ১৭ মে মারা যান গাজীপুর সদরের মো. জয়নাল হোসেন (৬১)।
গত ১৯ মে মারা যান চাঁদপুরের মতলবের আ. হান্নান মোল্লা (৬৩), ২৪ মে মারা যান রংপুরের পীরগঞ্জের মো. সাহেব উদ্দিন (৬৯), ২৫ মে মারা গেছেন চাঁদপুরের কচুয়ার বশির হোসাইন (৭৪)। ২৭ মে মারা যান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের শাহাদাত হোসেন, ২৯ মে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫৩), একই দিন মাদারীপুর সদরের মোজলেম হাওলাদার (৬৩), গাজীপুরের টঙ্গীর পূর্ব থানার আবুল কালাম আজাদ (৬২) এবং ৩১ মে নওগাঁ সদরের মো. আবুল হোসেন (৭৩)।
এ ছাড়া, গত ১ জুন মারা যান গাজীপুরের পূবাইলের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান (৬০) ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. জাহিদুল ইসলাম (৫৯), ৫ জুন মারা যান ঢাকার কেরানীগঞ্জের মনোয়ারা বেগম মুনিয়া (৫৩), ৬ জুন খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম (৬২), ৭ জুন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির মো. মুজিব উল্যা (৬৮), ৯ জুন মারা যান গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের এ টি এম খায়রুল বাসার মণ্ডল (৬৪), ১০ জুন মারা যান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গোলাম মোস্তফা (৫৮)।
১২ জুন মারা যান পাঁচজন- নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আব্দুর রশিদ (৬৮), লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আমির হামজা (৬০), ঢাকার আদাবরের এ এস এম হায়দারুজ্জামান (৬০), ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার মো. মনিরুজ্জামান (৬৬) ও নোয়াখালীর চাটখিলের খাতিজা বেগম (৪১) এবং ১৪ জুন মারা যান ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের রোকেয়া বেগম (৬২) ও যশোরের মণিরামপুরের মিসেস মনজুয়ারা বেগম (৫৯), ১৬ জুন মারা যান ঢাকার রামপুরার মো. মোজাহিদ আলী প্রাং (৫১) ও কুমিল্লার মুরাদনগরের বেগম সামছুন্নাহার (৭৬), ১৭ জুন মারা যান ঢাকার উত্তরার মোছা. নাজমা রানা (৪২) এবং ১৮ জুন মারা যান সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আফিয়া খাতুন (৬৩) ও ঢাকার শাহজাহানপুরের মনোয়ারা ছিদ্দিকা (৫৮), ১৯ জুন মারা যান গাজীপুরের গাছার মো. আফজাল হোসাইন (৬৮), ২০ জুন মৃত্যুবরণ করেন নাটোরের সিংড়ার মোছা. ফিরোজা বেগম (৬৩) ও সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের মোছা. ফাতেমা খাতুন (৪৪)।
সৌদি আরবের সরকারি হাসপাতালগুলো এ পর্যন্ত ৩০৮ জন বাংলাদেশিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে এখনো ২৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই।
জাতীয়
তুলে ফেলা হচ্ছে যমুনা সেতুর রেলপথ

প্রমত্তা যমুনার বুক চিরে নির্মিত যমুনা সেতুর উপরের রেলসেতুর রেলপথ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সেতুর প্রস্থ বাড়াতে পরিত্যক্ত রেলপথের নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে সেতু বিভাগ।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে যমুনা সেতুর টাঙ্গাইলের অংশ থেকে রেললাইনের নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়।
জানা গেছে, এপ্রিলের শুরুতে যমুনা সেতু সড়কে পরিত্যক্ত রেলপথটির অপসারণ চেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও সেতু বিভাগে পৃথক দুটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অপসারণের কাজ শুরু হয়। এ কাজ শেষ হলে সমুদয় মালামাল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিলো, প্রমত্তা যমুনা নদীর উপরে রেল সেতু চালু হওয়ায় পুরাতন সেতুর রেলপথ এখন পরিত্যক্ত। এজন্য সেতুর সড়ক প্রশস্ত করতে রেলপথটি অপসারণ প্রয়োজন। কারণ সেতুর এক লেন সড়কের মাপ সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৩ মিটার। কিন্তু এই সেতুর একটি লেনের মাপ ৬ দশমিক ৩ মিটার।
ফলে ঈদে গাড়ির চাপ বাড়লে সেতুর ওপর দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা। অথচ সেতুর প্রস্থ অংশে পরিত্যক্ত ও অবহেলায় পড়ে আছে সাড়ে ৩ মিটার। এটি অপসারণ করা হলে সেতুর দুটি লেন আরও প্রশস্ত করা সম্ভব হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা নদীতে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের মধ্যে ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ওই দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। পরবর্তীতে যমুনা সেতুতে রেল সংযোগের দাবিতে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন রেল বিভাগ আন্দোলন করে।
এর প্রেক্ষিতে সরকার তাৎক্ষনিকভাবে যমুনা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা দেয়। বিদ্যমান সড়ক সেতুর উত্তরপাশ দিয়ে লোহার এঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয় রেলসেতু। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। দ্রুত গতিতে ট্রেন চলাচলের কারণে ২০০৬ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। পরে ট্রেন চলাচলের গতিসীমা করা হয় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।
এতে একটি ট্রেনকে সেতু পার হতে ২২ মিনিট সময় লাগে। এ কারণে সেতুর দুই প্রান্তে ট্রেনের জট বেঁধে যায়। এই সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২০ সালে যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে সমান্তরাল পৃথক রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
জাইকার অর্থায়নে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতু। গত ১৮ মার্চ থেকে রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে পুরাতন যমুনা সেতুর রেললাইন সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নেয় সেতু বিভাগ। একারণে সেতুর উপর থেকে রেললাইন সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে যমুনা রেলসেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, সেতু বিভাগ রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে। কাজ শেষ হলে সমুদয় মালামাল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সেতু কর্তৃপক্ষ সড়ক সেতু বর্ধিত করার জন্যই রেললাইন সরিয়ে ফেলছেন।
You must be logged in to post a comment Login