কর্পোরেট সংবাদ
সহজে স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা দেবে এনআরবিসি ব্যাংক

সারাদেশের সকল নাগরিকদের সহজে অতি দ্রুত সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রদান করবে এনআরবিসি ব্যাংক। গত ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি ব্যাংকের দুদিনব্যাপী স্ট্রাটেজিক বিজনেস মিট- ২০২৪ শীর্ষক’ বার্ষিক কনফারেন্সে এই কৌশল গ্রহণ করেছে ব্যাংকটি।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ব্যাংক। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির বিশেষ প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করছি। আমরা চাই গ্রামের মানুষেরা এই ব্যাংকের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠুক। এই সেবা বিতরণের কাজটি আমরা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছি। ব্যাংকের সকল কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে নিরাপদ রাখতে হবে। এজন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সব সময় শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু বলেন, গণমানুষের ব্যাংকে পরিণত হতে উপশাখা ব্যাংকিং আমরাই চালু করেছি। উপশাখা ব্যাংকিংয়ের সফল বাস্তবায়ন করে চলেছি। এই ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ মানুষও ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক সমসাময়িক সকল ব্যাংকের তুলনায় অনেক এগিয়ে। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের মধ্যে সেবা কার্যক্রম বাড়িয়ে আমানত সংগ্রহ এবং ঋণ বিতরণ বৃদ্ধি করতে চাই। প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্সসহ অন্যান্য সেবা আরো সহজভাবে উপস্থাপন করতে চাই। টেকসই অগ্রযাত্রার জন্য সেবা কার্যক্রমের সকল স্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করছি।
‘এনআরবিসি প্লানেট লাইফ স্টাইল সলিউশন’ শীর্ষক স্লোগানে এই কনফারেন্সে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, এএম সাইদুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. রাদ মজিব লালন, উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (মামুন), ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম, কবীর আহমেদ, হারুনুর রশীদ, মোহা. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কনফারেন্সে প্রধান কার্যালয়ের সকল বিভাগীয় প্রধান, আ লিক অফিসের প্রধানসহ বিভিন্ন শাখা ও উপশাখার ম্যানেজাররা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা

জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় রেজিস্ট্রেশন, চাঁদা সংগ্রহ এবং এপিআই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান।
এই সমঝোতার মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের জনগণের অংশগ্রহণ আরও সহজতর হবে এবং এর প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ নিশ্চিত হবে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সর্বদা সরকারের উন্নয়নমুখী উদ্যোগসমূহে সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এই চুক্তি তারই একটি প্রমাণ।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার জোন ও কর্পোরেট শাখার ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা সেন্ট্রাল, নর্থ, সাউথ ও ইস্ট জোন এবং ঢাকার ৬টি কর্পোরেট শাখার অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৩ জুলাই) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন এবং মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলম, মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মোঃ মাকসুদুর রহমান। সম্মেলনে জোন ও কর্পোরেট শাখাসমূহের প্রধানগণ, জোনসমূহের অধীন শাখাপ্রধান, প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, সকল সংকট কাটিয়ে ইসলামী ব্যাংক শরী‘আহভিত্তিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক ব্যাংকিংয়ের মূল মডেলে ফিরে এসেছে। মানুষের আস্থা ও অপরিসীম ভালোবাসার ফলশ্রুতিতে গত ১০ মাসে ইসলামী ব্যাংকে ২৪ লাখ ৩০ হাজার নতুন গ্রাহক এবং ২০ হাজার কোটি টাকার নিট আমানত বেড়েছে। তিনি বলেন প্রবাসীদের প্রথম পছন্দ ও নির্ভরতার ঠিকানা ইসলামী ব্যাংক। যার ফলে এ ব্যাংকের মাধ্যমে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৬.৩২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ইতোমধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং আমানত সংগ্রহে ২০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের কর্মীদের কাজের গতিশীলতা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে শীঘ্রই ইসলামী ব্যাংক সকল খাতে দেশের অর্থনীতিতে যুগপৎ পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে ব্যাংকের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
কর্পোরেট সংবাদ
এসডিজি লক্ষ্যপূরণে আইপিডিসি পেলো দুটি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড

আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ অনুষ্ঠানে দুটি স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জনে কর্পোরেট পর্যায়ে উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক প্রভাবসৃষ্টিকারী উদ্যোগগুলোর সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসিকে তাদের ‘ফাইন্যান্স ফর দ্যা প্ল্যানেট অ্যান্ড পিপল; আইপিডিসি’স হলিস্টিক এসডিজি ড্রাইভেন স্ট্রাটেজি’ কৌশলের কারণে ‘সর্বাধিক টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সারাদেশব্যাপী এই উদ্যোগের মাধ্যমে আইপিডিসি তাদের মূল আর্থিক কার্যক্রমে টেকসই উন্নয়নকে একীভূত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে সবুজ ঋণ প্রদান, জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন। শুধু ২০২৪ সালেই, আইপিডিসি টেকসই ও এসডিজি-লিংকড ঋণ হিসেবে মোট ৩৮,৫৫২ মিলিয়ন টাকা বিতরণ করেছে, যা তাদের মোট ঋণ বিতরণের ৭৭.৭৫ শতাংশ এবং মোট লোনের ৪২.০৬ শতাংশ। এই অর্জন বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ন্যূনতম সীমার অনেক ঊর্ধ্বে।
আইপিডিসির পোর্টফোলিওতে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আইসিটি অবকাঠামো, নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোক্তা এবং সবুজ ভবন নির্মাণে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। ‘জয়ী’ ও ‘প্রীতি’ নামক উদ্ভাবনী পণ্য এবং ‘জয়ী ৩৬০’ এর মতো বিশেষায়িত শাখার মাধ্যমে আইপিডিসি শুধু আর্থিক সেবা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নেই বরং বৃহত্তর পরিসরে লিঙ্গ সমতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলছে।
এছাড়া ‘ইকুইটি, ডাইভারসিটি এবং ইনক্লুশন’ ক্যাটাগরিতে আইপিডিসি দ্বিতীয়বারের মতো ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডের সম্মাননা অর্জন করেছে। তাদের রূপান্তরমূলক প্রকল্প ‘উইমেন-ফোকাসড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফর দ্যা ভালনারেবল কমিউনিটিস’-এর জন্য এই স্বীকৃতি এসেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নে এই উদ্যোগ চালু করা হয়। এর লক্ষ্য হলো উত্তরবঙ্গের ১০০ জন প্রান্তিক নারী কৃষককে ভূমি ব্যবহারের সুযোগ, পরিবেশবান্ধব কৃষি যন্ত্রপাতি, জলবায়ু সহনশীল বীজ, জৈব চাষ ও ভার্মি কম্পোস্টিং প্রশিক্ষণ, নারীনেতৃত্বাধীন বাজার কর্নার ও বীজ ব্যাংক স্থাপনের সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্প এসডিজি ৫ (লিঙ্গ সমতা), এসডিজি ১০ (অসমতা হ্রাস), এসডিজি ১২ (দায়িত্বশীল উৎপাদন ও ব্যবহার) এবং এসডিজি ১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা এবং নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়ন একসাথে সম্ভব, যার ফলে স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।
এই স্বীকৃতি প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, এই পুরস্কারগুলো আমাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন। অর্থনীতি শুধু সংখ্যার হিসাব নয়, এটি মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথপ্রদর্শক হতে হবে। আমরা যখন গ্রামীণ নারীদের আধুনিক কৃষিকাজে সহায়তা করি বা প্রতিটি ঋণে টেকসই উন্নয়নের বিষয়গুলো যুক্ত করি, তখনও আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—একটি ভালো, টেকসই বাংলাদেশ গড়া।
পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে একসাথে নিয়ে আইপিডিসি যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখায় বেসরকারি খাত কীভাবে এসডিজি অর্জনের পথে দেশের অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের মতো দ্বৈত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ যখন লড়ছে, তখন আইপিডিসির লক্ষ্যভিত্তিক এই উদ্যোগ টেকসই ও বিস্তৃত প্রভাব তৈরির একটি শক্তিশালী উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এই দুটি পুরস্কারের মাধ্যমে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি দেশের টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হিসেবে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করলো এবং একইসাথে মানুষ, পরিবেশ এবং সমৃদ্ধির প্রতি তাদের অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী হলো।
কর্পোরেট সংবাদ
উদ্যোক্তা ও ব্যবসা উন্নয়ন বিষয়ে সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম চালু করবে প্রাইম ব্যাংক-আইবিএ

দেশব্যাপী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে যৌথভাবে ‘এন্টারপ্রেনারশিপ ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম চালু করবে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)। রবিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান দুটি এ বিষয়ে একটি চুক্তি বিনিময় করে।
এই সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম চালুর মূল উদ্দেশ্য হলো- দেশব্যাপী টেকসই উদ্যোগ (এন্টারপ্রাইজ) গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক জ্ঞান সরবরাহ করা ও নেতৃত্ব বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন করা। আট সপ্তাহব্যাপী এই কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল, ব্যবসায়িক মডেল উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সার্ভিসের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই কার্যক্রমে থাকছে- খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ পরিচালিত বিভিন্ন সেশন, কেস স্ট্যাডি এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ আলোচনা, যা অংশগ্রহণকারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা বাড়াবে এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মানসিকতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এই প্রোগ্রামটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, তবে অংশগ্রহণকারীদের একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাছাই করা হবে।
এ সংক্রান্ত চুক্তিনামা হস্তান্তর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং আইবিএ-এর অধ্যাপক শেখ মোর্শেদ জাহান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইবিএ’র ম্যানেজমেন্ট ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের কোঅর্ডিনেটর মো. রিদওয়ানুল হক-পিএইচপি; অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন-পিএইচডি; অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ-পিএইচডি; অধ্যাপক ড. সুতাপা ভট্টাচার্য-জিপিএইচআর।
এই সহযোগীতা মূলত বাংলাদেশের উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এছাড়া উদ্যোক্তা কমিউনিটির মধ্যে নেতৃত্ব গুণাবলী বৃদ্ধি এবং ব্যবসা উন্নয়ন দক্ষতা বাড়াতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে আইবিএ।
কর্পোরেট সংবাদ
মেটলাইফের বীমা সেবার আওতায় গুড নেইবারস বাংলাদেশ

বাংলাদেশে নিজেদের কর্মীদের বীমা সুবিধা প্রদানে সম্প্রতি মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক উন্নয়নমূলক এনজিও গুড নেইবারস বাংলাদেশ। এ চুক্তি অনুযায়ী, গুড নেইবারস বাংলাদেশের ২৪৮ জন কর্মী জীবনহানি ও চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রে বীমার কাভারেজ পাবেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন গুড নেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাইনুদ্দিন মাইনুল এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ কর্পোরেট বিজনেস অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে ধারাবাহিক সাফল্য, কাস্টমাইজড বীমা সেবা, অত্যাধুনিক ড্যাশবোর্ড, ক্যাশলেস আউটপেশেন্ট ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং বীমাদাবির দ্রুত পেমেন্ট ও ঝামেলামুক্ত দাবি নিষ্পত্তির আর্থিক সক্ষমতার কারণে নিজেদের কর্মীদের বীমা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে মেটলাইফকে নির্বাচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গুড নেইবারস একটি আন্তর্জাতিক মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থা, যা ৫০টি দেশে শিক্ষা, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন এবং দুর্যোগ ত্রাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের জীবন উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
বাংলাদেশে, দেশজুড়ে ১০ লাখের বেশি গ্রাহক এবং ৯শ’র বেশি প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখেরও বেশি কর্মী ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের বীমা সুরক্ষা প্রদান করে আসছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালে মেটলাইফ বাংলাদেশ গ্রাহকদের ২,৮৯৫ কোটি টাকা এবং গত ৬ বছরে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে।