কর্পোরেট সংবাদ
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও আইবিএ’র মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসিত ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) বিভাগের কনফারেন্স সেন্টার এবং টিচার্স লাউঞ্জ আধুনিকীকরণে সাহায্য করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং জনসাধারণের কল্যাণে অবদান রাখার ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতির অংশস্বরূপ। সম্প্রতি ঢাকায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সদর দপ্তরে এ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয়, আইবিএ’র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. মোমেন এবং চারুতা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল আহমেদ সুফি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ উন্নত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। অত্যাধুনিক এই কনফারেন্স সেন্টার এবং টিচার্স লাউঞ্জ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।
এই প্রসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “তরুণ প্রজন্মের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ করা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সামাজিক কার্যক্রমের অন্যতম একটি স্তম্ভ। আইবিএ বাংলাদেশের অত্যন্ত স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান এবং বর্তমানে শতাধিক নামীদামী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে আইবিএ গ্র্যাজুয়েটরা নেতৃত্ব প্রদান করছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে, আমরা আগামীর বিজনেস লিডারদের দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যস্থির করেছি। আমরা মেধাবী ও উদ্যমী তরুণদের জন্য কাজ করতে পেরে গর্বিত। নতুন কনফারেন্স সেন্টার এবং টিচার্স লাউঞ্জ আগামী প্রজন্মের দক্ষ কারিগর বিনির্মাণে আইবিএ’র যাত্রাকে শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. মোমেন বলেন, “আমরা শ্রেণীকক্ষের বাইরেও শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী কাজে উৎসাহ দান ও প্রতিভা বিকাশে কাজ করি। ইন্ডাস্ট্রির সাথে কাজের ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে আইবিএ ৫৮ বছরের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ, তাদের সহায়তায় নবনির্মিত এই কনফারেন্স সেন্টার ও টিচার্স লাউঞ্জ ব্যবহার করে আমরা সমাজ ও জাতিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।”
দেশের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসাবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিস্থাপকতার অনুপ্রেরণামূলক গল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে। ১১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ব্যাংক এই দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য ও উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিকরনের লক্ষে নিবেদিত রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) দেশের সেরা বিজনেস স্কুলগুলোর মধ্যে একটি। আইবিএ ক্রমাগত মানসম্মত বহু-বিভাগীয় ও অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার সুযোগ এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যতের বিজনেস লিডার তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড আন্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী, ব্যাংকের হেড অব প্রপার্টি মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, ব্যাংকের চীফ কমপ্লায়েন্স অফিসার ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
হায়ারের গ্লোবাল পার্টনারশিপ: একসঙ্গে লিভারপুল ও পিএসজি

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার টানা ১৬ বছর ধরে ইউরোমনিটরে ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি বহুবছরের বৈশ্বিক অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দুটি ফুটবল ক্লাব, লিভারপুল ও প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি)-এর সঙ্গে।
জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত আইএফএ এক্সিবিশনে নতুন ব্র্যান্ড কৌশল উন্মোচনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় দুই ক্লাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় হায়ার মাঠে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও রিটেইল টাচপয়েন্টস-এ অ্যাক্টিভেশন করবে, ফানস দের জন্য এক্সক্লুসিভ এক্সপেরিয়েন্স তৈরি করবে এবং কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্ট হোম প্রোডাক্ট আনার পরিকল্পনা করেছে।
হায়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট হাইশান লিয়াং বলেন: “বিশ্বের দুই শীর্ষ ক্লাবের সঙ্গে পার্টনারশিপ আমাদের গ্লোবাল ভিশন ও ইনোভেশন-কে আরও শক্তিশালী করবে।”
লিভারপুল এফসি, প্রতিষ্ঠিত ১৮৯২ সালে, ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল ক্লাব। তাদের রয়েছে ১৯টি লীগ টাইটেল, ৬টি ইউরোপিয়ান কাপ এবং প্রায় ৫০ কোটি গ্লোবাল ফ্যানবেস। ক্লাবটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার বেন ল্যাটি বলেন: “হায়ারের গ্লোবাল রিচ আমাদের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফ্যানবেস-এর সঙ্গে মিলে যায়, আমরা একসাথে কাজ করতে উচ্ছ্বসিত।”
প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি) ফরাসি ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাব। গত ১২ মৌসুমে তারা ১০টি লীগ ১ টাইটেল জিতেছে এবং ইন্টারন্যাশনাল সুপারস্টারস নিয়ে গঠিত। ক্লাবটির চিফ রেভিনিউ অফিসার রিচার্ড হিজেলগ্রেভ বলেন: “এই পার্টনারশিপ আমাদের ফানস দের আরও কাছে নিয়ে আসবে—স্টেডিয়াম-এ এবং ঘরে।”
হায়ার ইতিমধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও টেনিস সহ বিভিন্ন খেলায় গ্লোবাল স্পনসরশিপ পোর্টফোলিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে লা লিগা, লা লিগা পর্তুগাল, রয়্যাল মরোক্কান ফুটবল ফেডারেশন এবং এটিপি ট্যুর।
বাংলাদেশে হায়ার দ্রুত পপুলার হয়ে উঠছে। স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স, মডার্ন শোরুম এবং লোকাল মার্কেটিং ইনিশিয়েটিভস-এর মাধ্যমে হায়ার এখন গ্লোবাল ইনোভেশন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের ১০ দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

এনআরবিসি ব্যাংকের দশ দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্ব) ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সনদপত্র বিতরণ করেন এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হাফিজ ইমরোজ মাহমুদ এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক মো. আবদুল্লাহ-আল-ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সেবার উৎকর্ষতা অর্জন, নিয়ম-নীতির যথাযথ পরিপালন এবং কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনামাফিক প্রশিক্ষণ আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, উপশাখা ও বিভাগের মোট ৪২ জন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। সমাপনী দিনে সেরা তিন প্রশিক্ষণার্থীকে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দশ দিনব্যাপী এই কোর্সে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম, কমপ্লায়েন্স, গ্রাহকসেবা, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কর্পোরেট সংবাদ
এমজেএল বাংলাদেশকে অর্থায়ন সুবিধা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক

দুটি সমুদ্রগামী আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার ক্রয়ের জন্য এমজেএল বাংলাদেশ-কে ঋণসুবিধা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই উল্লেখযোগ্য অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে এমজেএল বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার হলো সমুদ্রে বাংলাদেশি পতাকাবাহী সর্ববৃহৎ জাহাজ।
৯৫.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই অর্থায়ন সুবিধা বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃক শিপিং ও পেট্রোলিয়াম লজিস্টিক খাতে প্রদান করা সর্ববৃহৎ একক বৈদেশিক মুদ্রা (এফসিওয়াই) অফশোর ব্যাংকিং টার্ম লোন।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলোকে সমুদ্র পরিবহন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এমজেএল বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই নিজেদের বহরে একটি ‘এমটি ওমেরা গ্যালাক্সি’ নামক আফ্রাম্যাক্স শ্রেণির তেলবাহী ট্যাংকার যুক্ত করেছে। উল্লেখ্য, ১,১৫,৬০০ ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ক্ষমতাসম্পন্ন এ জাহাজ বাংলাদেশি পতাকা বহনকারী সর্ববৃহৎ সমুদ্রগামী জাহাজ। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এমজেএল বাংলাদেশ ‘এমটি ওমেরা লিবার্টি’ নামক আরেকটি আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে, যা বর্তমানে একটি বিশ্বখ্যাত জাহাজ নির্মাণ কারখানায় নির্মাণাধীন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মবিল হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং এমজেএল বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মুকুল হোসেন। এসময় ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান এবং এমজেএল বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজম জে. চৌধুরী এবং এমজেএল বাংলাদেশের ডিরেক্টর তানজিল চৌধুরীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই অর্থায়ন সুবিধা এমজেএল বাংলাদেশকে নিজেদের বহরে আধুনিক জাহাজ যুক্ত করার সুযোগ দেবে, যা বাংলাদেশের সামুদ্রিক লজিস্টিক সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজতর করবে।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, এই চুক্তি বহুদিক থেকে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এটি শিপিং খাতে বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃক করা সর্ববৃহৎ ফরেন কারেন্সি অফশোর টার্ম লোন, যা বাংলাদেশি পতাকা বহনকারী সমুদ্রগামী জাহাজ বহরে যুক্ত করবে দেশের সর্ববৃহৎ জাহাজ। এটি বৃহৎ পরিসরে অর্থায়নের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের সক্ষমতার প্রতিফলন। এই অর্থায়ন সুবিধা সামুদ্রিক লজিস্টিক শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে, যা দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব’

আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ‘ফেসটিভাল অব ইয়থ ২০২৫’।
গত মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যত নেতৃত্ব গঠনের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মো. মনিতুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সারওয়ার জাহান।
এ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা ও তার প্রয়োজনীয়তা, সঞ্চয়ের গুরুত্ব ও কৌশল, ব্যাংকিং খাত ও সেবার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ডিজিটাল আর্থিক সেবা, সাইবার নিরাপত্তা ও জাল নোট শনাক্তকরণ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ব্যাংকিং খাতে ক্যারিয়ার গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ উপস্থাপন করা হয়। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে বিশদ ধারণা লাভ করেন এবং সরাসরি অতিথিদের নিকট থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পান।
কর্পোরেট সংবাদ
আন্তর্জাতিক ‘ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডস’ পেলো বিকাশ

বিগ ডেটা এবং রিয়েল-টাইম ডেটা-ড্রিভেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকদের নিরাপদ ও উদ্ভাবনী সেবা দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক ‘ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে বিকাশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিগ ডেটা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ক্লাউডেরা, ডেটা ব্যবস্থাপনা ও অ্যানালিটিক্সে উদ্ভাবনী প্রয়োগকে স্বীকৃতি দিতে ২০১৩ সাল থেকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এ বছর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘ডেটা ইন মোশন অ্যান্ড স্ট্রিমিং সাকসেস’ বিভাগের বিজনেস ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার জিতে নিয়েছে বিকাশ।
প্রথম বারের মতো কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ক্লাউডেরা ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডস’ জিতেছে বিকাশ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে-তে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিকাশের পক্ষ থেকে প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মহিউদ্দিন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। বিকাশের পাশাপাশি ‘ডেটা ইন মোশন অ্যান্ড স্ট্রিমিং সাকসেস’ বিভাগের অন্য ক্যাটাগরিতে সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি গ্রুপ এবং ভারতের ভোডাফোন আইডিয়া পুরস্কার পায়। পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও ডেটা-অ্যানালিটিক্স নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে নানা সেশনও অনুষ্ঠিত হয়।
২০১১ সালে যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বিকাশ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সবার জন্য সহজ, নিরাপদ ও সময়সাশ্রয়ী ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিশ্চিত করেছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনে দিয়ে তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে বিকাশ। নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিকাশ হয়ে উঠেছে মানুষের স্বপ্নপূরণের সারথি, তাদের পরিবারেরই একজন সদস্য। আর তাই, সাধারণের কাছে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে ‘বিকাশ করা’।