টেলিকম ও প্রযুক্তি
টেক্সট লিখলেই ভিডিও বানিয়ে দেবে গুগল

বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক কিছুই সার্চ করতে হয় জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলে। যখন যা জানতে ইচ্ছা হচ্ছে কয়েক ক্লিকেই হাতে থাকা স্মার্টফোনে গুগল করে জেনে নিতে পারছেন। গুগল সম্প্রতি একটি নতুন প্রযুক্তি চালু করেছে, যার সাহায্যে আপনি টেক্সট লিখে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এই প্রযুক্তির নাম লুমিয়ার।
লুমিয়ার হলো একটি টেক্সট-টু-ভিডিও জেনারেশন মডেল, যাতে আপনি যে ধরনের ভিডিও চাইছেন, তেমন টেক্সট লিখতে হবে। তারপরে তা থেকে ভিডিও তৈরি হয়ে যাবে। এতে আপনি যে কোনো বিষয়ে একটি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। বিনোদনের ভিডিও থেকে শুরু করে একটি গল্প সবই লেখার মধ্যে দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারবেন। এছাড়াও এর মাধ্যমে আপনি ছবি থেকেও মোশন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
মূলত লুমিয়ার একটি স্পেস-টাইম ইউ-নেট আর্কিটেকচারের সাহায্যে কাজ করে। এই আর্কিটেকচারে, মডেলটি ভিডিওর প্রতিটি ফ্রেম তৈরি করে। তার জন্য মডেলটিতে শুধু টেক্সট-এর প্রয়োজন হয়। তাহলেই সেই টেক্সট থেকে ভিডিও তৈরি হয়ে যায়।
যদিও লুমিয়ার নিয়ে এখনো অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এতে এখনো অনেক ফিচার যোগ হওয়া বাকি আছে। কারণ এখনো এই মডেল ডেভেলপমেন্টে রয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, পরবর্তীতে কোম্পানিটি এতে আরও অনেক ফিচার নিয়ে আসবে। তবে চাইলে গুগল এআই প্ল্যাটফর্মে এটি অ্যাক্সেস করতে এবং ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে কাজটি করবেন-
>> প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার পর, আপনাকে লুমিয়ার ট্যাবে যেতে হবে। তারপরে আপনি একটি নতুন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। তার জন্য ক্রিয়েট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
>> একটি নতুন ভিডিও তৈরি করতে, আপনাকে প্রথমে বিষয় বেছে নিতে হবে।
>> এরপরে আপনাকে ভিডিওটির জন্য সঠিক পাঠ্য বা টেক্সট লিখতে হবে। টেক্সটটিতে ভিডিওর গল্প, নির্দেশাবলী বা বিনোদন যা কিছু লিখতে পারবেন। আপনি ঠিক যে ধরনের ভিডিও বানাতে চাইছেন, তেমনই টেক্সট লিখতে হবে।
>> ভিডিওটির জন্য পাঠ্য লেখার পর ক্রিয়েট বোতামে ক্লিক করতে পারেন। মডেলটি কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার জন্য ভিডিও তৈরি করবে।
কাফি

টেলিকম ও প্রযুক্তি
বিশ্বে ৮৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ভিডিও গেমস খেলেন

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে মানুষের বিনোদনের ধরন। আগে যেখানে খেলার মানে ছিল মাঠে গিয়ে বল ছোঁয়া বা ক্রিকেট ব্যাট ধরার অভ্যাস, এখন তার জায়গা দখল করেছে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে খেলা ভিডিও গেম। এই গেমিং ট্রেন্ড এখন আর কেবল তরুণদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—সব বয়সের মানুষ এতে যুক্ত হচ্ছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ৮৩.৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন কোনো না কোনোভাবে ভিডিও গেম খেলার সঙ্গে যুক্ত। এই হার বোঝায়, আজকের দিনে ইন্টারনেট ব্যবহার মানেই গেমিং জগতের সঙ্গে কমবেশি সম্পর্ক থাকা।
বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষে গ্লোবাল গেমারের সংখ্যা পৌঁছবে প্রায় ৩৩২ কোটিতে। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা, স্মার্টফোনের বিস্তার, সাশ্রয়ী ডেটা এবং মোবাইল গেম অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা এই বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্বের গেমারদের মধ্যে এশিয়া সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এ অঞ্চলে গেমারদের সংখ্যা প্রায় ১৪৮ কোটি। যা বৈশ্বিক গেমিং জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোতে মোবাইল গেমিং-এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা এই বৃদ্ধির কারণ।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপ, যেখানে গেমারদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ কোটি। এরপর রয়েছে লাতিন আমেরিকা, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইন গেমিং, ই-স্পোর্টস এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আজকের গেমিং জগৎ শুধুই ভিডিও গেম খেলা নয়। বরং এটি এখন একটি বহুমুখী ইকোসিস্টেম। এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে-
ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট: কোটি কোটি ডলার পুরস্কার নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আয়োজন হয়। লাইভ স্ট্রিমিং: Twitch, YouTube Gaming-এর মতো প্ল্যাটফর্মে লাখো গেমার নিয়মিত গেম খেলে ও তা লাইভ দেখিয়ে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। গেম ডেভেলপমেন্ট: লক্ষ লক্ষ ডেভেলপার এখন নতুন গেম তৈরির সঙ্গে জড়িত, যা একটি বিশাল কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও ক্লাউড গেমিং: ভবিষ্যতের গেমিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাচ্ছে এক নতুন উচ্চতায়।
গবেষণা বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির বাজার মূল্য ৩৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আগে যেখানে গেমিং ছিল কনসোল ও কম্পিউটার নির্ভর, এখন তার সবচেয়ে বড় অংশ হয়ে উঠেছে মোবাইল গেমিং। Subway Surfers, PUBG Mobile, Free Fire, Candy Crush—এইসব গেমের মাধ্যমে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সবাই গেমিংয়ে অংশ নিচ্ছে। এতে অংশ নিচ্ছে ছাত্র, চাকরিজীবী, গৃহিণী এমনকি অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও।
তবে এই গেমিং প্রবণতা নিয়ে অনেকের উদ্বেগও রয়েছে। অতিরিক্ত গেম খেলার ফলে আসক্তি, চোখের সমস্যা, মানসিক চাপ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন। তাই অভিভাবক ও তরুণদের সচেতনভাবে গেম খেলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয়
জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম কমবে ২০ শতাংশ

চলতি বছরের জুলাই থেকে আইএসপি (ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী) এবং আইআইজি (আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে) স্তরে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তাইয়্যেব।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার(১৫ মে) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ তাইয়্যেব এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে আইএসপি এবং আইআইজি স্তরে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমানো হবে। পরবর্তীতে ভোক্তা পর্যায়েও দাম কমানো হবে।
তাইয়্যেব মোবাইল অপারেটরদের এই উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার আহ্বান জানান। ‘আমাদের লক্ষ্য নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া।’
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. জহুরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ-উল-বারী উপস্থিত ছিলেন।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

দেশে নতুন করে তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান তিনি।
ফয়েজ আহমেদ লিখেছেন, ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। এরমধ্যে আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য হ্রাস করবেন তারা।
‘এর আগে, আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবিপিএসের পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধু মোবাইলসেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা।’
ইতোমধ্যেই সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোরও কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না।
‘সরকার মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা। আশা করছি মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে।’
ফয়েজ আহমেদ জানান, ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল সেবা টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার আশা করে অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য পতনের ঘোষণা দেবে। সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করে।
১. মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল সেটা কমাবে। (সরকার শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে তা থেকে সরে এসেছে, কিন্তু সে মতে বর্ধিত মূল্য কমায়নি মোবাইল কোম্পানিগুলো।)
২. আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী ফেসবুকে আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ফেসবুক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখনও ভুয়া অ্যাকাউন্টের দৌরাত্ম্যে ভুগছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর প্রায় ৩ শতাংশই ছিল ভুয়া প্রোফাইল। সম্প্রতি প্রকাশিত মেটার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মেটা জানিয়েছে, ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০০ কোটির (৩ বিলিয়ন) গণ্ডি পেরিয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত বছরের শেষ প্রান্তিকে বিভিন্ন কারণেই প্রায় ১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি এবং মানব পর্যবেক্ষণের সমন্বয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত এবং অপসারণের কাজ চললেও, প্রতিনিয়ত নতুন পদ্ধতিতে গড়ে ওঠা ভুয়া প্রোফাইলগুলো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থেকেই যাচ্ছে।
মেটা জানায়, কিছু অ্যাকাউন্ট ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের নীতিমালা লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। পাশাপাশি এমন অনেক প্রোফাইল রয়েছে, যেগুলো প্রকৃত ব্যক্তি নয় বরং ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান কিংবা পোষা প্রাণী উপস্থাপন করে।
এর বাইরে, স্প্যাম ছড়ানো, ভুল তথ্য প্রচার, বট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমন্বিত ভুয়া কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অন্যের পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার — এসবই ভুয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত হওয়ার মূল কারণ।
বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হওয়া সত্ত্বেও, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ফেসবুকের জন্য বহুদিন ধরেই বড় সমস্যা।
২০১৯ সাল থেকে মেটা প্রতি প্রান্তিকে গড়ে এক বিলিয়নের বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে ভুয়া প্রোফাইল শনাক্তের হার কিছুটা কমে এসেছে।
মেটা স্পষ্ট করেছে, ভুয়া অ্যাকাউন্টের মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সেইসব প্রোফাইলে, যেগুলো ক্ষতির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়, যেমন- স্প্যাম ছড়ানো এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করা অ্যাকাউন্ট।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলালিংকের নতুন ডেপুটি সিইও জহরত আদিব চৌধুরী

মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জহরত আদিব চৌধুরী। এ খাতের ডিজিটাল লিডার হিসেবে কোম্পানির যাত্রায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
জহরত ২০১৪ সালে বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে যোগদান করেন। বিভিন্ন খাতে ২০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে জহরতের।
এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি বাংলালিংককে টেলিকম অপারেটর থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটরে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি ‘অ্যাসেট-লাইট’ এবং ‘রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’ উদ্যোগসহ বাংলালিংকের বিভিন্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গ্রাহকদের জন্য ব্যতিক্রমী ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে ডেপুটি সিইও হিসেবে জহরত সিনিয়র লিডারশিপ টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে বাংলালিংকের কৌশলগত দিকনির্দেশনা ঠিক করবেন এবং দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আইন, করপোরেট গভর্নেন্স ও ইএসজি সংশ্লিষ্ট বর্তমান দায়িত্বের পাশাপাশি, তিনি বাংলালিংকের ডিজিটাল আর্থিক সেবার লক্ষ্যপূরণে কাজ করে যাবেন।
বাংলালিংকের সিইও ইওহান বুসে বলেন, নতুন ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় জহরতকে অভিনন্দন। তার পেশাগত অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তাকে এই দায়িত্বের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত করে তুলেছে। এ নিয়োগ শুধু একটি প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি নয়- এটি আমাদের গ্রাহক, অংশীদার ও অংশীজনদের জন্য আরও উন্নত অভিজ্ঞতা এবং প্রবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বহন করে। আমরা একটি উদ্ভাবনী ও ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
জহরত আদিব চৌধুরী বলেন, শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় নতুন এ ভূমিকা গ্রহণ করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। সবার জন্য উন্নত সংযোগ নিশ্চিতকরণ এবং উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণে অবদান রাখতে কাজ করে যাবো আমি। অত্যন্ত দক্ষ ও উদ্যমী বাংলালিংক পরিবারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। কার্যকর ডিজিটাল সমাধান প্রদানে আমাদের সহকর্মীদের সহায়তা করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।