লাউ খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। হজমের সমস্যা হয় না। শরীরের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি দিয়ে নানা রকম রান্না সহজেই রেঁধে ফেলা যায়। অর্থাৎ স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ। লাউয়ের পুষ্টিগুণ বেশি থাকলেও এর মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট একেবারেই নেই। ফলে ওজন কমানোর জন্য লাউ সেরা।
লাউ দিয়ে যেমন পাতলা ঝোল রেঁধে ফেলা যায় তেমনই পায়েস বানানো যায়। এছাড়া মাছের মাথা দিয়ে লাউ, চিংড়ি দিয়ে লাউ খেতেও দারুণ লাগে। করলার থেকেও পুষ্টিগুণে অনেক এগিয়ে লাউ। কার্বোহাইড্রেট কম থাকায় এই সবজি শরীরের জন্য খুব ভালো।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে, অন্ত্রের যত্ন নিতে এই সবজি ডায়েটে রাখা আবশ্যক। পাকস্থলী, লিভার পরিষ্কার রাখতে, যেকোনো চর্মরোগ সারিয়ে দিতে এই লাউয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে, যা শরীর ঠান্ডা রাখে। এছাড়াও এর মধ্যে কোনো রকম ক্যালোরি নেই ফলে তা হার্টের জন্যেও খুব ভালো। অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় লাউ জ্বর, জন্ডিস, ডায়াবেটিস, হজমের সমস্যা মেটাতেও ভীষণ রকম উপকারী।
শরীরে ভালো খারাপ দু রকম কোলেস্টেরল থাকে। তবে কোলেস্টেরল বাড়তে দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে চাপ পড়ে হার্টের ওপরে। যে কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। যে কারণে নিজেকেই খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বুঝে শুনে খাবার খান। কোনোভাবেই বেশি কিছু খেয়ে ফেলবেন না। এতে শরীর খারাপের ঝুঁকি বাড়ে। আর তাই ব্যালান্সড ডায়েট, হালকা খাবারই শরীরের জন্য সবচাইতে ভালো।
লাউয়ের মধ্যে ফাইবার অনেকটা বেশি পরিমাণে থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না, অন্ত্র পরিষ্কার থাকে। তাই নিয়ম করে অবশ্যই এই লাউ খান। রোজ একটা করে লাউয়ের সবজি খেলে পেটও অনেক ঠান্ডা থাকবে। অনেকের কম বয়সে মুখে বৃদ্ধের ছাপ পড়ে। সেটা দূর করতেও কাজ করে লাউ।
লাউয়ে পানির পরিমাণ বেশি আর ক্যালোরি একেবারেই নেই। যে কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, ক্ষুধা পায় না। ফলে চর্বি গলতে শুরু করে তাড়াতাড়ি। শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য লাউয়ের জুড়ি মেলা ভার। তাই শরীর সুস্থ রাখতে রোজ অবশ্যই নিয়ম করে খান লাউ।
অর্থসংবাদ/এমআই