কর্পোরেট সংবাদ
বিরল রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর পাশে বিকাশ ও রাঙামাটি জেলা পুলিশ

হাড়জনিত (এংকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস) বিরল রোগে আক্রান্ত রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুপক খীসার পাশে দাঁড়িয়েছে রাঙামাটি জেলা পুলিশ ও দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অসুস্থ শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।
এ সময় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম (বার), বিকাশের ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর এ কে এম মনিরুল করিম (অবঃ), অসুস্থ শিক্ষার্থীর মামা এডভোকেট রাজীব চাকমাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক রিট, আদালতের দণ্ড ও জরিমানা

প্রতারণার মাধ্যমে রিট পিটিশন দাখিল করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির এবং আদালতের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগে ৬জনকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। একই সাথে মামলার বিষয়ে ভবিষ্যতে কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- এম.এ. সবুর, বশির আহমেদ, শওকত আজিজ (রাসেল), বজল আহমেদ, আহমেদ আরিফ বিল্লাহ ও সুজন চন্দ্র নাথ।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ, যা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নেতৃত্বে ছিল, তা ভেঙে দেয়। সম্প্রতি দুদকের মামলায় এই গ্রুপটির ২৩ জনের বিরুদ্ধে শেয়ার জব্দ দাবি করে আদালত নির্দেশও জারী করেন। এরপর এই গ্রুপটিরই একাংশ গত জুলাইতে ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার এবং কোম্পানিজ অ্যাক্ট, ১৯৯৪-এর ২৩৩ ধারার অধীনে পিটিশন দাখিল করে। তারা পরিচালনা পর্ষদের পুনর্গঠন, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্ডার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। রিটকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথমে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চ এজিএম স্থগিত করে আদেশ দেন। তবে, আপিল বিভাগের চেম্বার জজ পরে এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার অনুমতি দেন এবং তা কার্যকর হয়।
কিন্তু সম্প্রতি ইউসিবির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান (সুপ্রিম কোর্ট) জানান, কয়েকজন পিটিশনকারী দেশেই ছিলেন না, অথচ তারা হলফনামা জমা দিয়েছেন যেন তারা স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এতে শপথ কমিশনার এবং আদালতকে প্রতারিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডিংয়ের যোগ্যতা দেখানো হয়েছে, যা ব্যাংকের সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
ইউসিবির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবীরা যুক্তি দেন, পিটিশনকারীদের এ আচরণ প্রতারণার শামিল এবং এর মাধ্যমে ব্যাংকের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে ইউসিবি চলমান সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমানতকারীদের আস্থা পুনঃস্থাপন এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর ফল হিসেবে এ বছরের প্রথম আট মাসেই ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি নেট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি এবং ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি নতুন একাউন্ট খোলা হয়েছে, যা একটি রেকর্ড।
আদালত রায়ে পিটিশনকারীদের একই বিষয়ে নতুন মামলা দায়েরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ইউসিবিকে এবং ৩ লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও মার্শাল অফিসে জমা দিতে হবে।
রায়ের ফলে বশির আহমেদ ও তার সহযোগীদের শুধু মোটা অঙ্কের জরিমানাই বহন করতে হবে না, বরং তাদের সুনামও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ব্যাংকিং খাতে একটি শক্ত বার্তা যে কোনো ধরনের সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা এখন আদালতের কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে এবং দায়ীদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংক ও বিডিডিএন জব ফেয়ারে ৪৬ প্রতিবন্ধীব্যক্তির কর্মসংস্থান

ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগে ‘অপরাজেয় আমি’ এর অংশ হিসেবে ও বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিসঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্কের (বিডিডিএন) সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য একটি জব ফেয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এই চাকরি মেলাটি প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য মেধা ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে এক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ু
শুক্রবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এ মেলায় ৬০০ -এরও বেশি নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী এবং ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিলো ম্যানুফ্যাকচারিং, রিটেইল, ব্যাংকিং, আইসিটি, টেক্সটাইল ও উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বার্জার পেইন্টস, উর্মি গ্রুপ, টিম গ্রুপ, শিন শিন গ্রুপ, সাজিদা ফাউন্ডেশন, এ সি আই লজিস্টিকস (স্বপ্ন), এম. এম. ইস্পাহানি, ব্র্যাক ব্যাংক, বি-স্ক্যানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে নিজ নিজ নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন চাকরিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধীব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, সত্যিকারের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পায়। এই ধরনের জব ফেয়ার আমাদের দেখিয়ে দেয় কিভাবে সরকার, বেসরকারি খাত ও সহযোগী সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে অন্তর্ভুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আবদুল মোমেন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক শুধুমাত্র আর্থিক সেবাই নয়, কর্মসংস্থানের মতো শক্তিশালী সুযোগ সৃষ্টিতেও বিশ্বাস করে। কর্মসংস্থানই মর্যাদা, ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার অন্যতম মাধ্যম। এই মেলার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য প্রতিভা ও কর্মসংস্থানের এক অনন্য সমন্বয় হয়েছে।
বিডিডিএন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির বলেন, এই জব ফেয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার একটি বাস্তব অগ্রগতি। প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য দরজা খুলে দিয়ে আমরা শুধু তাঁদেরকেই নয়, জাতীয় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকেও উন্মোচন করছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিডিএন বোর্ড সদস্য ও বিইএফ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিগনেট ম্যাক্স টুনিয়ন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন, যারা অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার তৈরির এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে সাজায়, যেন সামাজিক সংকীর্ণতা এবং আর্থিক বাধা দূর করে প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং একটি অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান।
কর্পোরেট সংবাদ
হায়ারের গ্লোবাল পার্টনারশিপ: একসঙ্গে লিভারপুল ও পিএসজি

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার টানা ১৬ বছর ধরে ইউরোমনিটরে ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি বহুবছরের বৈশ্বিক অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দুটি ফুটবল ক্লাব, লিভারপুল ও প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি)-এর সঙ্গে।
জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত আইএফএ এক্সিবিশনে নতুন ব্র্যান্ড কৌশল উন্মোচনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় দুই ক্লাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় হায়ার মাঠে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও রিটেইল টাচপয়েন্টস-এ অ্যাক্টিভেশন করবে, ফানস দের জন্য এক্সক্লুসিভ এক্সপেরিয়েন্স তৈরি করবে এবং কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্ট হোম প্রোডাক্ট আনার পরিকল্পনা করেছে।
হায়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট হাইশান লিয়াং বলেন: “বিশ্বের দুই শীর্ষ ক্লাবের সঙ্গে পার্টনারশিপ আমাদের গ্লোবাল ভিশন ও ইনোভেশন-কে আরও শক্তিশালী করবে।”
লিভারপুল এফসি, প্রতিষ্ঠিত ১৮৯২ সালে, ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল ক্লাব। তাদের রয়েছে ১৯টি লীগ টাইটেল, ৬টি ইউরোপিয়ান কাপ এবং প্রায় ৫০ কোটি গ্লোবাল ফ্যানবেস। ক্লাবটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার বেন ল্যাটি বলেন: “হায়ারের গ্লোবাল রিচ আমাদের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফ্যানবেস-এর সঙ্গে মিলে যায়, আমরা একসাথে কাজ করতে উচ্ছ্বসিত।”
প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি) ফরাসি ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাব। গত ১২ মৌসুমে তারা ১০টি লীগ ১ টাইটেল জিতেছে এবং ইন্টারন্যাশনাল সুপারস্টারস নিয়ে গঠিত। ক্লাবটির চিফ রেভিনিউ অফিসার রিচার্ড হিজেলগ্রেভ বলেন: “এই পার্টনারশিপ আমাদের ফানস দের আরও কাছে নিয়ে আসবে—স্টেডিয়াম-এ এবং ঘরে।”
হায়ার ইতিমধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও টেনিস সহ বিভিন্ন খেলায় গ্লোবাল স্পনসরশিপ পোর্টফোলিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে লা লিগা, লা লিগা পর্তুগাল, রয়্যাল মরোক্কান ফুটবল ফেডারেশন এবং এটিপি ট্যুর।
বাংলাদেশে হায়ার দ্রুত পপুলার হয়ে উঠছে। স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স, মডার্ন শোরুম এবং লোকাল মার্কেটিং ইনিশিয়েটিভস-এর মাধ্যমে হায়ার এখন গ্লোবাল ইনোভেশন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের ১০ দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

এনআরবিসি ব্যাংকের দশ দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্ব) ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সনদপত্র বিতরণ করেন এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হাফিজ ইমরোজ মাহমুদ এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক মো. আবদুল্লাহ-আল-ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সেবার উৎকর্ষতা অর্জন, নিয়ম-নীতির যথাযথ পরিপালন এবং কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনামাফিক প্রশিক্ষণ আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, উপশাখা ও বিভাগের মোট ৪২ জন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। সমাপনী দিনে সেরা তিন প্রশিক্ষণার্থীকে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দশ দিনব্যাপী এই কোর্সে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম, কমপ্লায়েন্স, গ্রাহকসেবা, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কর্পোরেট সংবাদ
এমজেএল বাংলাদেশকে অর্থায়ন সুবিধা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক

দুটি সমুদ্রগামী আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার ক্রয়ের জন্য এমজেএল বাংলাদেশ-কে ঋণসুবিধা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই উল্লেখযোগ্য অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে এমজেএল বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার হলো সমুদ্রে বাংলাদেশি পতাকাবাহী সর্ববৃহৎ জাহাজ।
৯৫.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই অর্থায়ন সুবিধা বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃক শিপিং ও পেট্রোলিয়াম লজিস্টিক খাতে প্রদান করা সর্ববৃহৎ একক বৈদেশিক মুদ্রা (এফসিওয়াই) অফশোর ব্যাংকিং টার্ম লোন।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলোকে সমুদ্র পরিবহন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এমজেএল বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই নিজেদের বহরে একটি ‘এমটি ওমেরা গ্যালাক্সি’ নামক আফ্রাম্যাক্স শ্রেণির তেলবাহী ট্যাংকার যুক্ত করেছে। উল্লেখ্য, ১,১৫,৬০০ ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ক্ষমতাসম্পন্ন এ জাহাজ বাংলাদেশি পতাকা বহনকারী সর্ববৃহৎ সমুদ্রগামী জাহাজ। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এমজেএল বাংলাদেশ ‘এমটি ওমেরা লিবার্টি’ নামক আরেকটি আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে, যা বর্তমানে একটি বিশ্বখ্যাত জাহাজ নির্মাণ কারখানায় নির্মাণাধীন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মবিল হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং এমজেএল বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মুকুল হোসেন। এসময় ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান এবং এমজেএল বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজম জে. চৌধুরী এবং এমজেএল বাংলাদেশের ডিরেক্টর তানজিল চৌধুরীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই অর্থায়ন সুবিধা এমজেএল বাংলাদেশকে নিজেদের বহরে আধুনিক জাহাজ যুক্ত করার সুযোগ দেবে, যা বাংলাদেশের সামুদ্রিক লজিস্টিক সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজতর করবে।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, এই চুক্তি বহুদিক থেকে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এটি শিপিং খাতে বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃক করা সর্ববৃহৎ ফরেন কারেন্সি অফশোর টার্ম লোন, যা বাংলাদেশি পতাকা বহনকারী সমুদ্রগামী জাহাজ বহরে যুক্ত করবে দেশের সর্ববৃহৎ জাহাজ। এটি বৃহৎ পরিসরে অর্থায়নের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের সক্ষমতার প্রতিফলন। এই অর্থায়ন সুবিধা সামুদ্রিক লজিস্টিক শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে, যা দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।