ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করবেন যেভাবে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে; যা সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে।
ভর্তি-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন অনলাইনে করা যাবে। পরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক-নির্বাচনী ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত আবেদনকারীরা মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। চূড়ান্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চে।
প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় থাকবে ১ ঘণ্টা। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরের ধাপে চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদে বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন। যেসব ছাত্রছাত্রী ২০২০ বা ২০২১ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, অথবা ২০২০ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন, অথবা ২০১৯ সালের নভেম্বর বা তার পরে জিসিই ‘ও’ লেভেল এবং ২০২২ সালের নভেম্বর অথবা তার পরে জিসিই ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন, অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে শুধু তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেসব ছাত্রছাত্রী ইতিপূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন অথবা অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছেন, তারা এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অথবা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগে (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ) জিপিএ ৫-এর স্কেলে ন্যূনতম জিপিএ-৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা দাখিল অথবা সমমানের পরীক্ষায় পাস করতে হবে অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক/আলিম/সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে জিপিএ ৫-এর স্কেলে জিপিএ-৫ এবং উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়সমূহের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক/আলিম/সমমানের পরীক্ষায় পাস করতে হবে অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড/নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় ২ লাখ ৭৯ হাজার আবেদন
যেসব প্রার্থী ২০২০ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় তাদের সংশোধিত ফলাফল ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন, সে ক্ষেত্রে তাদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক/আলিম/সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫-এর স্কেলে জিপিএ-৫.০০ এবং উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়সমূহের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক/আলিম/সমমানের পরীক্ষায় পাস করতে হবে অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড/নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে।
সব সঠিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে বাছাই করে ১ম থেকে ১৮০০০তম পর্যন্ত সব আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রমে আবেদনকারীর উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয় তিনটিতে প্রাপ্ত মোট নম্বর এবং উচ্চতর গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
জিসিই ‘ও’ লেভেল এবং জিসিই ‘এ’ লেভেল পাস করা প্রার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ের (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিসহ) প্রতিটিতে ন্যূনতম বি গ্রেড এবং জিসিই ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন-তিন বিষয়ের যেকোনো দুটিতে ন্যূনতম ‘এ’ গ্রেড এবং একটিতে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে।
ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে জিসিই ‘ও’ লেভেল এবং জিসিই ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্ত সব সঠিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে উল্লিখিত নির্ধারিত গ্রেডের ভিত্তিতে বাছাই করে ১ম থেকে ৪০০তম পর্যন্ত আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রমে আবেদনকারীর জিসিই ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেডকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত সব সঠিক আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
উল্লিখিত শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের দুটি শিফটে বিভক্ত করে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা হবে। পরিসংখ্যানভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি শিফটে প্রার্থীদের মেধার বিন্যাসের সমতুল্যতা নিশ্চিত করা হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের ১ম থেকে ৩০০০তম শিক্ষার্থীকে মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত ন্যূনতম ১২ জন পরীক্ষার্থী (পর্যাপ্ত আবেদন গ্রহণ সাপেক্ষে) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আবেদনপত্র গ্রহণ, প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি
১. অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও জমা শুরু : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা।
২. অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও জমা শেষ : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার বেলা ৩টা।
৩. মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদান শেষ : ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার বেলা ৩টা।
৪. ইটিএসআর চিহ্নিত আবেদনপত্র সরাসরি রেজিস্ট্রার অফিসের ভর্তি শাখায় জমা দেওয়া অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে/কুরিয়ারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার অফিসে প্রেরণ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) সকাল ১০টা বেলা ৩টা (সরাসরি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
৫. প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের নামের তালিকা প্রকাশের সর্বশেষ তারিখ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার।
৬. প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শনিবার (শিফট ০১-‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপ, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা), শিফট ০২- ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপ: বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা।)
৭. মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
৮. মূল ভর্তি পরীক্ষা: ৯ মার্চ ২০২৪, শনিবার, (মডিউল ‘A’: গ্রুপ ‘ক’ এবং ‘খ’ উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা) এবং
৯. ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ : ৩১ মার্চ ২০২৪।
আবেদনের নিয়ম
আবেদন করার নিয়ম ভর্তির নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট-এ পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে নির্দেশনা মোতাবেক আবেদন ফরম পূরণ করে তা অনলাইনে দাখিল করতে হবে। দাখিল করা শেষে একটি আবেদন ক্রমিক নং প্রদান করা হবে এবং পরে এই নম্বরের বিপরীতে বুয়েটের ওয়েসবাইটে বর্ণিত পদ্ধতিতে প্রাথমিক আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা বাবদ প্রদেয় ফি জমা দিতে হবে। অতঃপর আবেদনটি চূড়ান্তভাবে দাখিল করতে হবে।
মোট আসনসংখ্যা
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি এবং স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসনসংখ্যা এক হাজার ৩০৯টি।
অর্থসংবাদ/এমআই

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি ও সমমানের আজকের পরীক্ষা স্থগিত

আজ মঙ্গলবারের (২২ জুলাই) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে তার ফেসবুক আইডি থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলমের সাক্ষাত হয়েছে। আজকের (মঙ্গলবার) এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা। এডমিন।
পরবর্তীতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।”
এরআগে সোমবার রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যথাসময়ে পূর্বের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মধ্যরাতে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসে।
মঙ্গলবার রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা), ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র বা গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে, গত ১০ জুলাই বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর গত ১৭ জুলাই কারফিউয়ের কারণে গোপালগঞ্জ জেলার ঢাকা, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের আওতাধীন সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছিল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ৬৮৩

সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পদে ৬৮৩ জন নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএস-২০২৫। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
সোমবার (২১ জুলাই) পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সরকার শুধু শিক্ষা ক্যাডারের জন্য বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করছে। এর মাধ্যমে সরকারি কলেজে বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে এন্ট্রি লেভেল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য সর্বশেষ বিশেষ বিসিএস অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে। ওই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৭ জন প্রভাষক নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর সাধারণ বিসিএসের মাধ্যমেই শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়ে আসছিল। দীর্ঘদিন পর এবার শিক্ষার জন্য আলাদা বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে।
বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় পরবর্তী সময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd)-এ অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট (http://bpsc.teletalk.com.bd)-এ পাওয়া যাবে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ জন

৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট পাঁচ হাজার ২০৬ জন সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
রবিবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাতে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছেন পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মতিউর রহমান।
তিনি জানান, গত ১৮ জুলাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সহকারী সার্জন পদে চার হাজার ৬৯৫ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৫১১ জন প্রার্থী সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে দুই হাজার ৭০০টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০০টিসহ মোট তিন হাজার পদে নিয়োগের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২৯ মে ৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
এরআগে এই বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ২৭ মে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরকারি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ এর সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশান মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, ক্যাডার পদসমূহে নিয়োগের জন্য বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আওতায় পরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ প্রার্থী সুপারিশ করা যাবে।
পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) পাওয়া যাবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি-এইচএসসি নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা

আগামী বছর বা ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ এবং সেগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাসময়ে বিতরণ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনা অমান্য করলে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে বিতরণ না মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র যথাসময়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হলেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে তা ‘যথাসময়ে বিতরণ না’ করে পরীক্ষা শুরুর কিছুদিন আগে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘এক দিন আগে’ শিক্ষার্থীদের কাছে বিতরণ করে থাকে। ফলে ভুলবশত কোনো শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা না হলেও ‘সময় কম থাকার’ কারণে সেসব শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা সম্ভব হয় না।
অননুমোদিত বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ অনেক প্রতিষ্ঠান ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিষয় খোলার অনুমোদন না থাকলেও অননুমোদিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে থাকে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের সময় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের অনুমোদিত বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করে থাকে। যেহেতু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আগের দিন রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেওয়া হয়, সেহেতু সময় কম থাকার কারণে এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র স্থানীয় প্রশাসনের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকায় বোর্ডের পক্ষে ‘অননুমোদিত বিষয়ে’ ফরম পূরণ করে প্রবেশপত্র দেওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা ‘চরম মানসিক যন্ত্রণা’র শিকার হয় এবং তাদের ‘শিক্ষাজীবন হুমকি’র মুখে পড়ে।
নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণ করতে হবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ড কর্তৃক ‘নির্ধারিত সময়ের’ মধ্যে সব শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ সম্পন্ন করতে হবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পর কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ‘পর্যাপ্ত সময়’ দেওয়া হবে।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শিক্ষা বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে তা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র যথাসময়ে বিতরণ না করার কারণে কোনো জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, নিরাপত্তা জোরদারে তৎপর ইবি প্রশাসন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার পর গাফিলতি ও নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা, অভিযোগ, মানববন্ধন ও আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা, সার্চ লাইট ও স্ট্রিট লাইট স্থাপন-সহ নিরাপত্তা জোরদারে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২০ জুলাই) উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। ভিসি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম-সহ ইবি সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভিসির রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ ছিলেন সজ্জন ও সংস্কৃতিমনা। তার মৃত্যুতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো গাফিলতি নেই। ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকলেই দিন-রাত আন্তরিকতার সঙ্গে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সাজিদ আব্দুল্লাহকে হারিয়েছি। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের মনে যেন দ্বিধা তৈরি না হয় সেজন্য আমরা সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছি। শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানাচ্ছে তা যৌক্তিক। দাবিগুলো পূরণে তাদেরকে ধৈর্যধারণের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। একজন হাউস টিউটর এবং একজন সহকারী প্রক্টর প্রতিরাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করা, শান্তিপূর্ণভাবে চলা এবং উন্নয়নের পথে নেওয়ার কাজটি শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীসহ সবার আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও জানান, আমাদের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা- ঘটনা প্রবাহের তথ্য উদঘাটন করা। তবে কাউকে বিচার করা, ফাঁসি দেওয়া আমাদের ক্ষমতা নেই। এটা সম্পূর্ণ পুলিশবাদী কেস। আমরা সর্বোচ্চ পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারি।
সম্মেলনে কোষাধ্যক্ষ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এতো দিন বিগত প্রশাসনের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে আমাদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তৃতা-সহ নানা মাধ্যমে জিজ্ঞেসা করা হয়- ‘প্রশাসন এতো এতো টাকা কী করে?’ আমরা জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। দুঃখের বিষয় হলো- হল প্রশাসন থেকে জানানো হয় না তাদের কী প্রয়োজন। প্রশাসনের কোথাও আর্থিক দৈন্যতা নেই। দৈন্যতা আছে ইউজারের, জিনিসগুলো প্রপারলি ইউজ করলে আর কোন ঝামেলা থাকবে না। সাজিদের মৃত্যুর খবর শুনে সাথে সাথে কুষ্টিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদারে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই সার্চলাইট এবং স্ট্রিট লাইট স্থাপনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। রোববার থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। লালন শাহ হল ও শাহ আজিজুর রহমান হল পকেট গেইটে ২৪ ঘণ্টার জন্য দু’জন আনসার সদস্য দেওয়া হয়েছে। থানা গেইটেও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে পুকুর পাড় ও জিমনেসিয়ামসহ বিভিন্ন পয়েন্টে লাইট লাগানো হয়েছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, আজকেও কিছু স্থানে লাইট স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলমান ছিল; আজকে ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ান আসছিল তারা জরিপ করছে কোথায় কোথায় ক্যামেরা স্থাপন করা যায়।
গতকাল (শনিবার) শহিদ জিয়াউর রহমান হলে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সাজিদ এই হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতো। হলে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। একে একে অন্যান্য সমস্যাগুলোও সমাধান করা হবে৷ সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তে হল প্রশাসন থেকে কমিটি করা হয়েছে এবং তদন্তের কাজ চলছে।
এর আগে গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা নিছক দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন।
অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি