জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীকে হাঙ্গেরি ও কিরগিজস্তানের অভিনন্দন

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় ক্ষমতা গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে হাঙ্গেরি ও কিরগিজস্তান। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছেন, তারা বিগত সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনা দায়িত্বশীল নীতির মাধ্যমে অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় যে অবদান রেখেছেন, তা প্রশংসনীয়।
অরবান বলেন, তিনি নিশ্চিত যে, শেখ হাসিনার প্রতি নতুন করে বাংলাদেশের জনগণের আস্থা জ্ঞাপন তাকে তার সাফল্য অব্যাহত রাখতে সক্ষম করবে।
তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, তার সরকার অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান তাদের সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে ভবিষ্যতে একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উপায়ে কাজ করে যাবে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তায় অত্যন্ত দায়িত্বশীল এ কর্তব্য পালনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য এবং তার সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।
কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ তার বার্তায় বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কার্যক্রম দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং বাণিজ্য-অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের ক্ষেত্রে বহুমুখী কিরগিজ-বাংলাদেশ সহযোগিতার উন্নয়নে অবদান রাখবে।
তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, তারা কিরগিজস্তান ও বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে গঠনমূলক সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত।
কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট তার শুভেচ্ছা বার্তায় শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় কাজে সাফল্য কামনা করেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

জাতীয়
থমথমে গোপালগঞ্জ, চলছে কারফিউ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৯ জন এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলায় কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার সকালে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ শিরোনামে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে এনসিপি। সকাল ৯টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এনসিপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মিছিল ও সমাবেশে বাধা দিয়ে হামলা চালান।
সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় পুলিশের গাড়ি, ইউএনওর বহর, পৌরপার্কের সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও জেলা কারাগারের চারপাশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
দুপুর ২টার কিছু পর সমাবেশস্থলে পৌঁছান এনসিপির শীর্ষ নেতারা। সমাবেশ শেষে ফেরার সময় আবারও তাদের ওপর হামলা হয়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে নেতারা জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে সন্ধ্যায় এনসিপি নেতাদের গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়।
এনসিপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, হামলাকারীরা বিভিন্ন মসজিদে ঢুকে মাইক ব্যবহার করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তারা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগসহ রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে রাতের পরিস্থিতি বিবেচনায় গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শহরে প্রবেশের পথে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করায় অনেক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র।
কাফি
জাতীয়
৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে। এতে সই করেছেন উপ-সচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী।
আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ বাতিলের বিষয়ে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
সে অনুযায়ী বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কলেজের নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হলো।
নাম পরিবর্তন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর তালিকা দেখুন এখানে।
জাতীয়
নিয়ম লঙ্ঘন করে পুশ ইন করছে ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ ইনের ঘটনা এখনো ঘটছে। এটি দুদেশের বিদ্যমান চুক্তি ও ব্যবস্থার পরিপন্থি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানের মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিতি প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের মধ্যে তালিকা আদান-প্রদানের মাধ্যমে নাগরিক শনাক্ত করে ফেরত নেওয়ার একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে, কিন্তু সেটি না মেনে পুশ-ইন করা হলে তা স্পষ্টত নিয়ম লঙ্ঘনের শামিল।
তৌহিদ হোসেন বলেন, পুশ-ইন চলছে। এটা ভারতের সঙ্গে যে অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে, তার পরিপন্থি। আমাদের লোক হলে অবশ্যই ফেরত নেবো।
তিনি বলেন, অ্যারেঞ্জমেন্টের মাধ্যমে আমরা সম্প্রতি বেশকিছু নাগরিককে ফেরত নিয়েছিও। আমরা ইনসিস্ট করছি, তারা যেন এ পদ্ধতি বজায় রাখে। আমাদের প্রত্যাশা এটাই।
ভারত থেকে পুশ-ইন করা ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, তাদের ফেরাতে আমাদের কোনো চেষ্টা করতে হবে না। তাদের নাগরিক, তারা ফিরিয়ে নেবে। এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এটা নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।ভারতের নাগরিক যারা আছেন, তারা অবশ্যই ফেরত যাবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে প্রক্রিয়া করতে একটু সময় লাগবে।’
সীমান্তে কেউ আইনভঙ্গ করলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার অধিকার কোনো বাহিনীর নেই মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, যারা এ কাজ করছে তাদের যেন ভারতীয় আইনে বিচার করা হয়।
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ জানানোর ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে কঠোর অবস্থানে থাকলেও এখন কিছুটা নমনীয় কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোটেই নয়, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে, সীমান্তে আইনভঙ্গ করলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার অধিকার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নেই। আমরা নিয়মিত এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও আসছি।
জাতীয়
গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ জারি থাকবে।
আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এদিন বিকেলে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। এসময় গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এরপর এনসিপির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কে করে নিরাপদে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে, হামলার ঘটনায় সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জামায়াত আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে।
জাতীয়
মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্কহার ইস্যুতে দর কষাকষি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে দেশটি যেসব শর্ত দিয়েছে, মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নিয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে আমাদের যে আলোচনা চলছে সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিষয়গুলো রয়েছে। ফলে মন্ত্রণালয়গুলোর মতামতগুলো আমাদের নিতে হচ্ছে। মতামত নেওয়ার পর একটা প্রস্তাব ফাইনাল করে আবার যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা হবে।
তবে তৃতীয় দফার আলোচনা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো বাংলাদেশকে নির্দিষ্ট কোনো সময় দেয়নি জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ করছি।’
শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় তিনদিনের আলোচনা শেষে গত রোববার দেশে ফিরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অর্থ, কৃষি, খাদ্য, পরিবেশ, জ্বালানিসহ ১১টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন বৈঠকে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শুল্কহার কমানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত বাংলাদেশকে দিতে চায়, সেসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আগামী কয়েকদিন পর্যায়ক্রমে এ বৈঠক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনায় দেশটির দেওয়া শর্তগুলোর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মতামত দিতে হবে। তার আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।
আজ বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে আমাদের যে আলোচনা চলছে সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিষয়গুলো রয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামতগুলো আমাদের নিতে হচ্ছে। এটি প্রসেস।’
তিনি বলেন, ‘এমন বৈঠক এখন চলতে থাকবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে একটা প্রস্তাব ফাইনাল করে আবার আলোচনা হবে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফায় বৈঠকের জন্য সময় পাওয়া গেছে কি না- এ প্রশ্নে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘তারা এখনো নির্দিষ্ট সময় দেয়নি। আমরা যোগাযোগ করছি।’
আজ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্যসহ বেশকিছু পণ্য আমদানি করি। সেগুলোর বিষয়ে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে কিছু আইন-কানুন রয়েছে। সেসব বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি (শুল্ক ইস্যু) গ্লোবাল বিষয়। সারাবিশ্ব যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে, আমরাও সেটিই করছি।’
জানা গেছে, বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে অনেকাংশে একমত হলেও বাণিজ্যের বাইরের অনেক বিষয় এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দর কষাকষি পর্যায়ে আটকে আছে। আজ বৈঠকে সেরকম কোনো ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব কিছু জানাননি।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের (গোপনীয়তার চুক্তি) কারণে দর কষাকষি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা।
গত ৭ জুলাই বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতে বাংলাদেশি পণ্যে বাড়তি শুল্ক নির্ধারণ করা হয় ৩৫ শতাংশ।
এর আগে ৯ জুলাই থেকে শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে দর কষাকষি করতে পারলে শুল্কহার কমতে পারে, অন্যথায় ঘোষিত হার কার্যকর হবে।