পুঁজিবাজার
শিগগিরই চীনে হবে ইনভেস্টমেন্ট সামিট: বিসিসিসিআই
![শিগগিরই চীনে হবে ইনভেস্টমেন্ট সামিট: বিসিসিসিআই রিটার্নে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/01/বিসিসিসিআই.jpg)
চীনা বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এ জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। এরই ধরাবাহিকতায় বাংলাদেশে সম্ভব্য বিনিয়োগের সেক্টরগুলো নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই)। আলোচনায় দেশের পুঁজিবাজারে চীনের বড় বিনিয়োগ আনতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিডার সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই চীনে একটি ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিসিসিআই’র সাধারণ সম্পাদক ও মৃধা বিজনেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল মামুন মৃধা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যালয়ে পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নবনির্বচিত কমিটি সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আল মামুন মৃধা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজার অনেক বেশি শক্তিশালী। সে তুলনায় আমাদের দেশের পুঁজিবাজার এখন পর্যন্ত সে পর্যায়ে পৌঁছাতে পানেনি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে তাদের সাধারণ মানুষ অনেক বেশি সম্পৃক্ত। যেটা আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে অনেক কম। দুইবার বড় ধসের কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আগ্রহ কমে গেছে। এরপরেও পুঁজিবাজার গতিশীল হয়ে উঠছিল। কিন্তু সম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুক্তসহ নানান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমাদের পুঁজিবাজারে নেতিবচক প্রভাব পড়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা) বহাল রাখার কারণে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেকটা কমেছে। তবে আমরা আশা করছি, নির্বাচন পরবর্তী পুঁজিবাজার আরো গতিশীল হবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে বিভিন্ন সেক্টরের কোম্পানি রয়েছে। ওই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চায়নার ব্যবসা রয়েছে। তাই যেসব কোম্পানির সঙ্গে চায়নার ব্যবসা রয়েছে তাদেরকে আমরা একটি ছাতার নিচে আনতে চাই। এতে চায়নার সঙ্গে কোম্পানিগুলোর সেক্টরভিত্তিক আলোচনা করতে সহজ হবে। এ কাজে সহযোগিতা করতে সিএমজেএফ বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় আমারা জোরালো ভূমিকা রেখে আসছি। তাই আমরা দেশের প্রয়োজনে যে কোনো উদ্যোগের সঙ্গে আমরা কাজ করব। সিএমজেএফের সঙ্গে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার কাজ করতে আগ্রহী।
মৃধা বিজনেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, চায়নার সঙ্গে সম্পৃক্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। তাই আমরা দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ আরো বাড়াতে চাই। আমরা চাই বেশি বেশি কোম্পানি এখানে থাকুক। আগামীতে যেসব কোম্পানির সঙ্গে চিনের ব্যবসা বেশি তাদেরকে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজর বোর্ডে অ্যাসোসিয়েট মেম্বার হিসেবে রাখার চেষ্টা করব। সেখানে তাদের ভোট প্রদান করার ক্ষমতা না থাকলেও তাদের সুবিধা-অসুবিধা তুলতে ধরতে পারবে। আমরা তাদের দাবিগুলো চিনের কাছে তুলে ধরতে সহায়তা করব। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যে নানান প্রতিবন্ধকতার দেখা দিতে পারে। তা সমাধানে বিসিসিসিআই ইন্টারমিডিয়ারিজ ফোর্স হিসেবে কাজ করতে পারে।
বিসিসিসিআই’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশে বিনিয়োগ না আসার মূল কারণ সমন্বয়হীনতা। এটা যতদিন কাটিয়ে উঠা সম্ভব না হবে, ততদিন কোনো সেক্টরেই বিনিয়োগ আসবে না। বাংলাদেশে সাড়ে পাঁচশোর বেশি চাইনিজ কোম্পনি কাজ করছে। তারা বিভিন্ন ডাইভার্সিফাই সেক্টরে কাজ করছে। বাংলাদেশে চাইনিজদের যত রকমের ইনভল্বমেন্ট দেখছেন তাদের অধিকাংশই বিসিসিসিআই এর সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ। এই সুযোগটা যদি বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক ব্যপার। বাংলাদেশ যে বিনিয়োগের জন্য একটা উর্বর ক্ষেত্র, সেটা প্রোমট করার জন্য কোনো সেক্টর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ কথাটাই আমরা প্রোমট করা চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ এখনো সেই পর্যায়ে যায়নি, যে বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগকরার জন্য ছুটে আসবে। বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দি দেশগুলো বিনিয়োগ আকৃষ্টের জন্য প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও চায়নার মধ্যে গ্রোইং ট্রেড রিলেশনশিপ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সম্পর্ক দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা আশা করছি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়বে। চাইনিজ কাস্টমসের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর ২৮ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে এক্সপোর্ট হয়েছে। এ বছর সেটা আশা করছি ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এদিকে চায়না বাংলাদেশ থেকে কিছু প্রোডাক্ট আমদানি করবে। এ বিষয়ে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের কারণে এ বিষয়টা থেমে ছিল। এখন সেটা দ্রুত কার্যকর হবে।
মতবিনিময়কালে সিএমজেএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বলেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তির মাধ্যমে ডিএসইর ২৫ শতাংশ মালিকানা চীনা কনসোর্টিয়ামের হাতে। সে কারণে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টদের আশা ছিল চীনা কনসোর্টিয়ামের সম্পৃক্ততায় ডিএসই কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এগিয়ে যাবে এবং বদেশি বিনিয়েগ আসবে। কিন্তু তা দেখা যায়নি। তাই পুঁজিবাজারসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিএমজেএফ ও বাংলাদেশ চায়না চেম্বার একসঙ্গে কাজ করবে। এ কাজে সিএমজেএফের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, চায়নার সঙ্গে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের একটা যোগসূত্র রয়েছে। কারণ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী
এ সময় সিএমজেএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি বাবুল বর্মণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন রেজওয়ান, কার্যনির্বাহী সদস্য হামিদ সরকার, এস এম নুরুজ্জামান তানিম, জুনায়েদ শিশির ও তৌহিদুল ইসলাম রানা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক রিটার্নে ২১ খাতেই বিনিয়োগকারীরা মুনাফায়
![সাপ্তাহিক রিটার্নে ২১ খাতেই বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় রিটার্নে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/profil-return.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ জুন থেকে ০৪ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ২১ খাতেই। ফলে ২১ খাতের বিনিয়োগকারীরাই আলোচ্য সপ্তাহে মুনাফায় রয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। এ খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। ৮ দশমিক ২১ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক রিটার্ন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাত। একই সময়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে কাগজ ও প্রকাশনা খাতের শেয়ার।
তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে- ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিরামিকস খাতে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, পাট খাতে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ, চামড়া খাতে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, মিউচুয়াল খাতে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১ দশমিক ০৩ শতাংশ, কর্পোরেট বন্ড খাতে ০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ০ দশমিক ০৮ শতাংশ দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ২.৪৪ শতাংশ
![ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ২.৪৪ শতাংশ রিটার্নে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/pe-ratio.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ জুন-৪ জুলাই জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ২.৪৪ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০ দশমিক ২১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
খাত ভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে ৬.১২ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ৭.৯৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৮.৭৬ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১০.৪৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৩.৭৭ পয়েন্টে, পাট খাতে ১৩.৮৫ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৪.২৭ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১৪.৫৯ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৪.৮৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৫.৩৮ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১৫.৪০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৬.৬৩ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতে ১৮.৭৯ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২০.৫৪ পয়েন্টে, ট্যনারি খাতে ২১.০২ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৩.৩৩ পয়েন্টে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২৭.১৯ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৩১.৫৯ পয়েন্টে ও সিরামিক খাতে ৮০.১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে মনে করে বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে যমুনা অয়েলের ১১৮ কোটি টাকার লেনদেন
![ব্লকে যমুনা অয়েলের ১১৮ কোটি টাকার লেনদেন রিটার্নে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Jamuna-Oil.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ জুন-০৪ জুলাই) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে যমুনা অয়েল। তবে আলোচ্য সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে লেনদেনের তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির আধ্যিকতা দেখা গিয়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে যমুনা অয়েলের লেনদেন হয়েছে ১১৮ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ১৭৬ টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৭৯ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৯৯ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩০ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সা।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ফাইন ফুডসের ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ইউনিলিভার কনজুমারের ১৭ কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৩ কোটি টাকা, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং লাভেলো আইস্ক্রিমের ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
![ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন রিটার্নে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/mutual-fund-5.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ জুন-০৪ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৩ কোম্পানির মধ্যে ৪০টির শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে টপটেন লুজার বা সর্বোচ্চ দরপতনের তালিকায় উঠে এসেছে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ১৫ টাকা ৬০ পয়সা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর কমেছে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ কমায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে এটলাস বিডি।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, আলহাজ টেক্সটাইলের ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রায়াল ফাইন্যান্সের ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, লিনডে বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ দশমিক ৮১ এবং জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে আফতাব অটো
![সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে আফতাব অটো রিটার্নে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/aftab-auto.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ জুন-০৪ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৩ কোম্পানির মধ্যে ৩২৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে আফতাব অটোর শেয়ার দর আগের সপ্তাহের তুলনায় ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা সিলকো ফার্মার শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর ১৮ দশমিক ০৫ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে রতনপুর স্টিল।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেমিনি সী ফুডের ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ, সাইফ পাওয়াটেকের ১৬ দশমিক ০৪ শতাংশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নাভানা সিএনজির ১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং এডিএন টেলিকম লিমিটেডের ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি