কর্পোরেট সংবাদ
মোস্ট লাভড পার্সোনাল কেয়ার ক্যাটাগরিতে প্রথম হলো প্যারাসুট অ্যাডভান্সড

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস’-এর ১৫তম আসরে মোস্ট লাভড পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড। এ নিয়ে টানা ১৪ বারের মতো মোস্ট লাভড হেয়ার অয়েল ব্র্যান্ডের প্রথম পুরস্কার জিতেছে ব্র্যান্ডটি। এছাড়া, সকল ক্যাটাগরিতে ব্র্যান্ডটি অষ্টম স্থান অর্জন করেছে৷
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এনসার্চের সহযোগিতায় একটি গ্লোবাল মডেলের (উইনিং ব্র্যান্ডস) উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। দেশব্যাপী দশ হাজার গ্রাহকের মতামত ও সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ৪০টি আলাদা ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোকে বেছে নেয়া হয় এবং সকল ক্যাটাগরির মধ্যে ১৫টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
গত কয়েক বছরে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড বাংলাদেশের এফএমসিজি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। গ্রাহকের ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা মেটাতে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড বছরের পর বছর ধরে হেয়ার অয়েল ক্যাটাগরিতে একাধিক পণ্য বাজারে নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে; প্যারাসুট অ্যাডভান্সড বেলিফুল, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অ্যালোভেরা অয়েল, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার এবং প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অনিয়ন হেয়ার গ্রোথ অয়েল অন্যতম।
গত কয়েক বছরে গ্রাহকদের নিত্যনতুন চাহিদা মেটাতে নানা ধরণের পণ্য এনেছে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড। শ্যাম্পু ক্যাটাগরিতে প্যারাসুট ন্যাচারেল শ্যাম্পু। বেবি কেয়ার ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছে প্যারাসুট জাস্ট ফর বেবি- যার মধ্যে রয়েছে বেবি লোশন, বেবি পাউডার এবং বেবি ফেসক্রিম। স্কিন কেয়ার ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছে প্যারাসুট স্কিনপিউর, যার মধ্যে রয়েছে বডি লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি, অ্যালোভেরা জেল এবং ফেস ওয়াশ।
অনুষ্ঠানে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি হেড সুমিতাভা বসু বলেন, “আমি দেশের সকল ভোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যাদের অকৃত্তিম ভালবাসায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্যারাসুট অ্যাডভান্সড দৈনন্দিন পার্সোনাল কেয়ারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, আর তাই দেশের বেস্ট লাভড ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া প্যারাসুট অ্যাডভান্সডের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটি বিশাল মাইলফলক। এই অর্জনকে পুঁজি করে আগামীতেও ভোক্তাদের প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং আমাদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
অর্থসংবাদ/এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান

পেশাগত কর্মদক্ষতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ আইএফআইসি ব্যাংকের ১১৫ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আইএফআইসি টাওয়ারে আয়োজন করা হয় ‘সেলিব্রেটিং ক্যারিয়ার প্রগ্রেশন’ শীর্ষক পদোন্নতি প্রদান অনুষ্ঠান। হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা ও সিনিয়র ম্যানেজম্যান্ট টিমের সদস্যরা ৪১ জন কর্মকর্তার কাছে সরাসরি পদোন্নতি পত্র হস্তান্তর করেন।
এসময় বিভিন্ন শাখা-উপাশাখা থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আরো ৭৪ জন কর্মকর্তার কাছে ভার্চুয়ালী পদোন্নতি পত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে সৈয়দ মনসুর মোস্তফা পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকের অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি আমাদের নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মীবৃন্দ। তাঁদের নিরলস পরিশ্রম ও অঙ্গীকারের ফলেই প্রতিষ্ঠান আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। মেধা ও সাফল্যের স্বীকৃতি কেবল ব্যক্তিগত অর্জনের অনুভূতি সৃষ্টি করে না, বরং এটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে একটি সহযোগিতামূলক, অনুপ্রেরণামূলক এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা ভবিষ্যতের পথচলাকে আরও সুসংহত ও দৃঢ় করে তোলে।
উল্লেখ্য, পেশাগত উন্নয়নের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলতি বছরে আইএফআইসি ব্যাংক ৭৭৭ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি প্রদান করেছে।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংক ও জেসিএক্স ডেভলপমেন্টের চুক্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট রিয়েলস্টেট প্রতিষ্ঠান জেসিএক্স ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রিমিয়াম আবাসন সল্যুশন উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা আবাসন চাহিদা মেটাতে জেসিএক্স ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড থেকে আকর্ষণীয় সুবিধা ও কাস্টমাইজড অফার উপভোগ করবেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং জেসিএক্স ডেভলপমেন্টের ডিরেক্টর, এফসিসিএ এম. মুহিত হাসান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস এবং রিটেইল অ্যাসেট জোয়াদ্দার তানভীর ফায়সাল এবং জেসিএক্স ডেভলপমেন্ট লিমিটেড-এর হেড অব সেলস মোহতাসিম রাকিন।
কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের প্রজেক্ট কালচার উইদাউট বর্ডারস ৪.০

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট আয়োজন করলো তাদের বহুল প্রতীক্ষিত বৈশ্বিক উদ্যোগ কালচার উইদাউট বর্ডারস ৪.০। ২০২২ সালে যাত্রা শুরু করা এই প্রজেক্ট এখন কেবল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উদযাপন নয় বরং সীমান্ত ছাড়িয়ে ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও নতুন সম্ভাবনার প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
এবারের আয়োজন নতুন মাত্রা পেয়েছে। শুধু সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীই নয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও উপস্থাপিত হয়েছে। তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্যপ্রযুক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পাট শিল্পসহ নানা খাতকে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশসহ টিউনিসিয়া, ভারত, ফিলিপাইন, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাম্বিয়া, পর্তুগাল, কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, ব্রাজিল, গিনি এবং ম্যাকাও এসএআর, চীনসহ ১৫টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অনলাইনে অংশ নেন। প্রতিনিধিরা দেখান কিভাবে সংস্কৃতি ও বাণিজ্য মিলেই হতে পারে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার সেতুবন্ধন।
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট ২০২৫ এর লোকাল প্রেসিডেন্ট সুজাউর রহমান ইমনের অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বে এবং প্রজেক্ট ডিরেক্টর গিবসন মধু এরিক ও প্রজেক্ট লিড মো. তানভীর হাসানের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় প্রজেক্টটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জেসিআই ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট, গ্লোবাল লিডার ও সিনেটররা উপস্থিত ছিলেন এবং তরুণদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন সৃষ্টির জেসিআই’র ভিশনকে আরও শক্তিশালী করে তোলেন।
সবচেয়ে আলোচিত ছিল ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত তৃতীয় সেশন, যেখানে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। বিদেশি প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখে মুগ্ধ হন এবং ভবিষ্যতে ব্যবসা ও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দীর্ঘমেয়াদি মূল্য সংযোজনের জন্য একটি অনলাইন প্রেজেন্টেশন আর্কাইভ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী, ব্যবসায়িক অন্তর্দৃষ্টি ও অন্যান্য রিসোর্স পুনরায় দেখতে পারবেন।
আয়োজনের মূল বার্তা ছিল, সংস্কৃতি আনে বোঝাপড়া, ব্যবসা আনে সুযোগ, আর দু’য়ে মিলে গড়ে ওঠে শান্তি ও সমৃদ্ধি। ২০২৫ সালের অধ্যায় শেষ করে কালচার উইদাউট বর্ডারস রেখে গেল এক শক্তিশালী বার্তা, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই যৌথ প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন ও সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি। আগামী ২০২৬ সালের পর্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮-৪০ বছর বয়সী উদ্যমী তরুণদের একটি সংগঠন। জেসিআইর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। ১২০টিরও বেশি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে। বিশ্বে এর সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআইয়ের প্রায় ৩৫টির বেশি লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে। এরমধ্যে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট সবচেয়ে বড় এবং পুরোনো।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক রিট, আদালতের দণ্ড ও জরিমানা

প্রতারণার মাধ্যমে রিট পিটিশন দাখিল করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির এবং আদালতের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগে ৬জনকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। একই সাথে মামলার বিষয়ে ভবিষ্যতে কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- এম.এ. সবুর, বশির আহমেদ, শওকত আজিজ (রাসেল), বজল আহমেদ, আহমেদ আরিফ বিল্লাহ ও সুজন চন্দ্র নাথ।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ, যা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নেতৃত্বে ছিল, তা ভেঙে দেয়। সম্প্রতি দুদকের মামলায় এই গ্রুপটির ২৩ জনের বিরুদ্ধে শেয়ার জব্দ দাবি করে আদালত নির্দেশও জারী করেন। এরপর এই গ্রুপটিরই একাংশ গত জুলাইতে ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার এবং কোম্পানিজ অ্যাক্ট, ১৯৯৪-এর ২৩৩ ধারার অধীনে পিটিশন দাখিল করে। তারা পরিচালনা পর্ষদের পুনর্গঠন, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্ডার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। রিটকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথমে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চ এজিএম স্থগিত করে আদেশ দেন। তবে, আপিল বিভাগের চেম্বার জজ পরে এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার অনুমতি দেন এবং তা কার্যকর হয়।
কিন্তু সম্প্রতি ইউসিবির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান (সুপ্রিম কোর্ট) জানান, কয়েকজন পিটিশনকারী দেশেই ছিলেন না, অথচ তারা হলফনামা জমা দিয়েছেন যেন তারা স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এতে শপথ কমিশনার এবং আদালতকে প্রতারিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডিংয়ের যোগ্যতা দেখানো হয়েছে, যা ব্যাংকের সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
ইউসিবির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবীরা যুক্তি দেন, পিটিশনকারীদের এ আচরণ প্রতারণার শামিল এবং এর মাধ্যমে ব্যাংকের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে ইউসিবি চলমান সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমানতকারীদের আস্থা পুনঃস্থাপন এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর ফল হিসেবে এ বছরের প্রথম আট মাসেই ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি নেট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি এবং ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি নতুন একাউন্ট খোলা হয়েছে, যা একটি রেকর্ড।
আদালত রায়ে পিটিশনকারীদের একই বিষয়ে নতুন মামলা দায়েরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ইউসিবিকে এবং ৩ লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও মার্শাল অফিসে জমা দিতে হবে।
রায়ের ফলে বশির আহমেদ ও তার সহযোগীদের শুধু মোটা অঙ্কের জরিমানাই বহন করতে হবে না, বরং তাদের সুনামও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ব্যাংকিং খাতে একটি শক্ত বার্তা যে কোনো ধরনের সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা এখন আদালতের কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে এবং দায়ীদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংক ও বিডিডিএন জব ফেয়ারে ৪৬ প্রতিবন্ধীব্যক্তির কর্মসংস্থান

ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগে ‘অপরাজেয় আমি’ এর অংশ হিসেবে ও বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিসঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্কের (বিডিডিএন) সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য একটি জব ফেয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এই চাকরি মেলাটি প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য মেধা ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে এক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ু
শুক্রবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এ মেলায় ৬০০ -এরও বেশি নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী এবং ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিলো ম্যানুফ্যাকচারিং, রিটেইল, ব্যাংকিং, আইসিটি, টেক্সটাইল ও উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বার্জার পেইন্টস, উর্মি গ্রুপ, টিম গ্রুপ, শিন শিন গ্রুপ, সাজিদা ফাউন্ডেশন, এ সি আই লজিস্টিকস (স্বপ্ন), এম. এম. ইস্পাহানি, ব্র্যাক ব্যাংক, বি-স্ক্যানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে নিজ নিজ নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন চাকরিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধীব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, সত্যিকারের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পায়। এই ধরনের জব ফেয়ার আমাদের দেখিয়ে দেয় কিভাবে সরকার, বেসরকারি খাত ও সহযোগী সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে অন্তর্ভুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আবদুল মোমেন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক শুধুমাত্র আর্থিক সেবাই নয়, কর্মসংস্থানের মতো শক্তিশালী সুযোগ সৃষ্টিতেও বিশ্বাস করে। কর্মসংস্থানই মর্যাদা, ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার অন্যতম মাধ্যম। এই মেলার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য প্রতিভা ও কর্মসংস্থানের এক অনন্য সমন্বয় হয়েছে।
বিডিডিএন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির বলেন, এই জব ফেয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার একটি বাস্তব অগ্রগতি। প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য দরজা খুলে দিয়ে আমরা শুধু তাঁদেরকেই নয়, জাতীয় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকেও উন্মোচন করছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিডিএন বোর্ড সদস্য ও বিইএফ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিগনেট ম্যাক্স টুনিয়ন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন, যারা অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার তৈরির এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে সাজায়, যেন সামাজিক সংকীর্ণতা এবং আর্থিক বাধা দূর করে প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং একটি অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান।