পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারের জন্য ১৭ ব্রোকারেজ হাউস পাচ্ছে ৫৫ কোটি টাকার ঋণ

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল (সিএমএসএফ) থেকে ঋণ চেয়েছে ১৭টি ব্রোকারেজ হাউস। এসব প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের শর্তে সিএমএসএফের পর্ষদ স্বল্প সুদে ১০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ব্রোকারেজ হাউসগুলো এই ঋণের জন্য আবেদন করে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। তার আগে কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ বিতরণসংক্রান্ত চুক্তি করবে সিএমএসএফ কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাংকের মাধ্যমেই এ ঋণ বিতরণ করা হবে। তবে সিএমএসএফের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৭টি ব্রোকারেজ হাউসের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। গত মঙ্গলবার তহবিলটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার পর্যন্ত যে ১৭টি ব্রোকারেজ হাউস তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পেতে আবেদন করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, রাস্তি সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, রিলায়েন্স ব্রোকারেজ সার্ভিস, বিনিময় সিকিউরিটিজ, বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ, বারাকা সিকিউরিটিজ, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইমার্জিং গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, বেটাওয়ান ইনভেস্টমেন্ট, সিএএল বা ক্যাল সিকিউরিটিজ, বিডি ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল, স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স, ম্যাট্রিক্স সিকিউরিটিজ, এসআইবিএল সিকিউরিটিজ, কাজী ইক্যুইটিজ এবং ইবিএল সিকিউরিটিজ।
এদের মধ্যে রিলায়েন্স ব্রোকারেজ, বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ ও বিডি ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স, এসআইবিএল সিকিউরিটিজ এবং ইবিএল সিকিউরিটিজ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী ব্রোকারেজ হাউস। সিএমএসএফের পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা করে মোট ৩৫ কোটি টাকা ঋণসহায়তা পাবে। বাকি ১০টি ব্রোকারেজ হাউস ২ কোটি করে মোট ২০ কোটি টাকা ঋণ পাবে। সব মিলিয়ে উল্লিখিত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ কোটি টাকা ঋণসুবিধা দেওয়া হবে।
তবে শেষ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠান কত ঋণ পাবে, তা নির্ভর করবে কয়েকটি শর্তের ওপর। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে ঋণের বিপরীতে জামানত দেওয়ার সক্ষমতা ও ঋণগ্রহীতাদের ঋণের সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ।
সিএমএসএফের পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউসগুলো এ ঋণের বিপরীতে তহবিল কর্তৃপক্ষকে ৭ শতাংশ হারে সুদ দেবে। এর বাইরে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নেবে ১ শতাংশ সেবা মাশুল বা সার্ভিস চার্জ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ব্রোকারেজ হাউসগুলো ৮ শতাংশ সুদে এ ঋণ পাবে।
শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সিএসএমএফ থেকে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের স্বল্প সুদে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তহবিলটির পরিচালনা পর্ষদ। এ জন্য সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করা হয়। প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এ ঋণের বিপরীতে সিএমএসএফ কর্তৃপক্ষ ৯ শতাংশ হারে সুদ নেবে। পরে সুদহার কমিয়ে ৭ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত মাসেই ঘোষণা দিয়েছিল যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর শেয়ারবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে। বিএসইসির ওই ঘোষণার পর সিএমএসএফ তহবিল থেকে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
মূলত ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর যাতে বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসির পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২১ জানুয়ারি শেয়ারবাজারের ৩৫টি বাদে বাকি সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার তুলে নেওয়া হয় আরও ২৩টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। বর্তমানে ফ্লোর প্রাইস আরোপ রয়েছে মাত্র ১২টি কোম্পানির ওপর।
শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে বিএসইসি ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। ফ্লোর প্রাইস ছিল এমন একটা ব্যবস্থা, যার আওতায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয়। এর ফলে বেঁধে দেওয়া দামের নিচে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের নামার সুযোগ ছিল না। এখন সেই বাধা উঠে গেছে। ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার পর শেয়ারবাজারের লেনদেনে গতি ফিরেছে।
সিএমএসএফের ঋণের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, ঋণসুবিধা নেওয়া ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকেও ঋণের সমপরিমাণ অর্থ বাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, কোনো একটি ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংক সিএমএসএফ থেকে স্বল্প সুদে ৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে।
তাহলে তার বিপরীতে ওই প্রতিষ্ঠানকেও নিজস্ব তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে নিজস্ব অর্থ জমা হওয়ার পর ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে। ফলে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হলে ঋণগ্রহীতাদেরও ৫৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
এ বিষয়ে সিএমএসএফের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. মনোয়ার হোসেন অর্থসংবাদকে বলেন, মঙ্গলবার তহবিলটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় দ্রুত এ ঋণ বিতরণ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। শুরুতে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শ্রেণিভেদে ২ থেকে ৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে কমানো হয়েছে সুদের হার।
২০২১ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে সিএমএসএফ তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিলের অবণ্টিত নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০০ কোটি টাকার বোনাস শেয়ার ও ৭০০ কোটি টাকার নগদ অর্থ রয়েছে।
তহবিলে থাকা নগদ অর্থ থেকে এরই মধ্যে ২২৫ কোটি টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আইসিবির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে। আরও ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে একটি মিউচুয়াল ফান্ড গঠনে। বাকি অর্থ থেকে এখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। যার মধ্যে প্রথম দফায় ৫৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়। সিএমএসএফ সূত্রে জানা যায়, শুরুতে ১৮০ দিন তথা ছয় মাস মেয়াদে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ঋণ দেওয়া হবে। পরে ঋণ পরিশোধের দক্ষতার ভিত্তিতে মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
সিএমএসএফ সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২১ সালে এই তহবিল গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৫০ কোটি টাকার লভ্যাংশ দাবির নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
লেনদেন বাড়লেও বাজার মূলধন কমেছে শেয়ারবাজারে

বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ মে-২২ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। তবে আলোচ্য সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৩৯৪ কোটি টাকার বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ১ হাজার ৭২১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি ০৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বেড়েছে ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিলো ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩৯৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৪ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ‘ডিএসই-৩০’ সূচক এক সপ্তাহে ৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ‘ডিএসইএস’ বা শরীয়াহ সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক ০২ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৯০ প্রতিষ্ঠান শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টির শেয়ারের দরই অপরিবর্তিত ছিল। অপরদিকে দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩২টির, বিপরীতে কমেছে ১২৩ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
অর্থসংবাদের নামে ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে গুজব

অনলাইন বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদের নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া ফটোকার্ড দিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। শুক্রবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ‘পদত্যাগ করেছেন রাশেদ মাকসুদ সন্ধ্যা ৭টায় বিদেশ যাচ্ছেন’ এমন হেডলাইনে মিথ্যা খবর প্রচারের মাধ্যমে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র গুজব ছড়াচ্ছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি অর্থসংবাদ কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। অর্থসংবাদের নামে ছড়ানো এই ছবিটি নকল। বিভ্রান্তি এড়াতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও অনলাইনের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। অর্থসংবাদের একমাত্র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটি হলো https://www.facebook.com/Orthosongbad/। এই পেজ ছাড়া অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রচারিত কোনো তথ্যের জন্য অর্থসংবাদ দায়ী থাকবে না।
এছাড়া, অর্থসংবাদ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের সতর্ক করে বলেছে, পত্রিকার নাম ব্যবহার করে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র। এরআগেও ফেসবুকে অর্থসংবাদের নামে ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে, সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য অর্থসংবাদের অফিসিয়াল পেজ অনুসরণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ফিনিক্স ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪৮ টাকা ৭৩ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৪২ টাকা ৫২ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২৮ পয়সা, যা আগের বছর তা মাইনাস ১ টাকা ৫৬ পয়সা ছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল ৮২ টাকা ১ পয়সা।
আগামী ১১ আগস্ট বেলা ১১টায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ জুন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংকের পর্ষদ সভার নতুন তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩১ মে, সন্ধ্যা ৬টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সভায় ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। সভায় সমাপ্ত হিসাববছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়াও, একই সভায় ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মাচ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম