স্বাস্থ্য
এমবিবিএস ভর্তি, প্রতি আসনে লড়বেন ১৯ জন
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি)। তবে ভর্তিচ্ছুদের আবেদন ফি জমাদান চলবে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন পড়েছে এক লাখ চার হাজার ৪৪টি। সে হিসাবে আসনপ্রতি প্রায় ১৯ জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম শেষ, তবে আজ রাত পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ যতটুকু জানতে পেরেছি, এক লাখ চার হাজার ৪৪টি আবেদন জমা পড়েছে। সে হিসাবে আসনপ্রতি প্রায় ১৯ জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। যেহেতু টাকা জমা দেওয়ার সময় এখনও বাকি আছে, তাই হয়ত সংখ্যাটা আরো কিছু বাড়তে পারে।
মহিউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, আবেদন কম পড়েছে এটা বলা যাবে না। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মোট আসনসংখ্যা অনুযায়ী যথেষ্ট আবেদন পড়েছে। যাদের চান্স পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই তারা হয়ত আবেদন করেনি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ সেশনে মোট আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। সে হিসাবে প্রায় ১৯ জন আসনপ্রতি লড়বে। আর বেসরকারি মেডিকেলে আসন রয়েছে ছয় হাজার ১৬৮টি। সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৫৪৮টি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে লিপ্ত হবেন শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে আসনপ্রতি প্রায় নয়জন পরীক্ষায় বসবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারজিসের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলমের আশ্বাসে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সারজিস আলম শাহবাগে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন। এরপর তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
সারজিস বলেন, ট্রেইনি চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা লাগছে, যা দুঃখজনক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কমিটমেন্ট দিয়েছে দাবি মানার। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন না আসে, আমরা একসঙ্গে রাস্তায় নামব। জানুয়ারি থেকে ভাতা কার্যকর করতে হবে।
এরপরই চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। এ সময় ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, আমরা আজকের মতো আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করছি। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা ভাতা বৃদ্ধির জন্য আলটিমেটাম দিয়ে যাচ্ছি। তবে এই সময় আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, দুপুর ১টার দিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন ছেড়ে সড়কে অবস্থান নেন বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন ট্রেইনি চিকিৎসকের পক্ষে ২৫ হাজার টাকা ভাতায় জীবন ধারণ সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ভাতার পরিমাণ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
চট্টগ্রাম এভারকেয়ারে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ক্রিটিকাল কেয়ার সিম্পোজিয়াম
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগ প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ক্রিটিকাল কেয়ার সিম্পোজিয়াম। ইভেন্টে ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিনের লেটেস্ট সব তথ্য ও অনুসন্ধান বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং উপস্থিত হেলথ প্রফেশনালদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হয়।
ইভেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইটিআইডির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম. এ. হাসান চৌধুরী। গেস্ট অব অনার ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন। ইভেন্টে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামেরর সিওও সামির সিং।
এছাড়া, বক্তব্য রাখেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ও প্রধান অধ্যাপক ডা. এ.এস.এম. আরিফ আহসান, এভারকেয়ার চট্টগ্রামের ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট অধ্যাপক ডা. এ এ মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন এবং ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রেজাউল করিম ।
স্বাগত বক্তব্যে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সিওও সামির সিং বলেন, চট্টগ্রামে প্রথম ক্রিটিক্যাল কেয়ার সিম্পোজিয়াম আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা পেশাজীবীরা ক্রিটিক্যাল কেয়ার নিয়ে নতুন কিছু শেখার ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং একইসাথে রোগীদের বিশ্ব মানের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এভারকেয়ার’এর অঙ্গীকারকে তুলে ধরেছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধান অতিথি বিআইটিআইডির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম. এ. হাসান চৌধুরী বলেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার জীবন রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সিম্পোজিয়াম চট্টগ্রামে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেবার সক্ষমতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হেলথকেয়ার কমিউনিটিকে সহায়তা করতে এভারকেয়ার হসপিটালের এই অঙ্গীকার সত্যিই প্রশংসনীয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে একটি সেরা মানের ক্রিটিক্যাল কেয়ার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই সিম্পোজিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এভারকেয়ার হসপিটালের নেতৃত্বে সহযোগিতামূলক শিক্ষার প্রচার এবং পেশাগত উন্নয়নের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এই ধরণের সিম্পোজিয়াম রোগীদের চিকিৎসা ফলাফল উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৯৬ জন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯৮, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩০, খুলনা বিভাগে ৭২ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন, রংপুর বিভাগে ৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৭৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৪৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯৬ হাজার ২২৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫২৯ জনের। এছাড়াও গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে রাজধানীর ৫৬টি ওয়ার্ড
মৌসুম পরিবর্তনের পরও দেশে কমছে না ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটির ৫৬টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়ে বেশি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ‘মনসুন এডিস সার্ভে-২০২৪’ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডেই ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটির ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো-৩৮, ৯, ৩০, ৭, ৮, ১৮, ২৫, ২৮, ৩৬, ৩৭, ১ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটির ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো-৪৭, ৫৩, ৬১, ৫০, ২, ১৬, ২৬, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড। এর বাইরে বাকি ওয়ার্ডগুলোর বিষয়ে স্পষ্ট করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন ডেঙ্গু রোগের বাহকের কীটতাত্ত্বিক জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করে জানান যে, জলবায়ু পরিবর্তেনর কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মেয়াদ অনেক বেশি। অন্যান্য বছরে জুন-অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গি বলবৎ থাকলেও এ বছর ডিসেম্বর মাস শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বিদ্যমান। এ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে ঢাকার দুই সিটির মধ্যে একটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই জরিপে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ভেতরে ৫৯টি তে এবং ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০টি ওয়ার্ডে অর্থাৎ দুটি সিটির মোট ৯৯টি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়।
এই জরিপে ঢাকা উত্তর সিটির চেয়ে আনুপাতিক হারে দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার বেশি। ঢাকাস্থ সব হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীর চাপ রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়েও বারডেম হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, সেন্ট্রাল মুগদা হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য। ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য জেলারও অনেক ডেঙ্গু রোগী ঢাকাতে চিকিৎসা গ্রহণ করে। সে কারণে ঢাকাতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়।
সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান বলেন, সচেতনতাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূল মন্ত্র। আমরা সবাই জানি, কোথায় মশা উৎপত্তি হয়, কীভাবে ছড়ায়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু আমরা কেউ নিয়ম মানতে, সচেতন হতে রাজি নই। এটাই ডেঙ্গু বিস্তারে মূল সমস্যা। আমাদের অসচেতনতাই ডেঙ্গু মশা বিস্তারের মূল কারণ। আমরা একে অন্যকে দোষারোপ করি-কিন্তু মশার কামড় সবাই ভোগ করি। কাউকে দোষারোপ না করে ডেঙ্গু মশা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যার যার অবস্থান ও কর্মস্থল থেকে আমরা সবাই যথাসাধ্য চেষ্টা করি- তবেই এ মহামারি থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ ছুঁইছুঁই
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৭ জন। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০৫ জন, ফলে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৫৬ জনে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন এবং খুলনা বিভাগের একজন বাসিন্দা রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬০, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৯, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯০, খুলনা বিভাগে ৯৬, রাজশাহী বিভাগে ৪৩, ময়মনসিংহে ১৮, রংপুরে ১০ এবং সিলেটে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৩ হাজার ৫৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। একই সময়ে ৪৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান