জাতীয়
গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা: রাষ্ট্রপতি

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন। দিনটি আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৬৯ সালের এই দিনে দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। পূর্ব পাকিস্তানে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত ৬-দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। ৬-দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয় এবং সারা পূর্ব বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণআন্দোলনকে বেগবান করে। তৎকালীন স্বৈরশাসক এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে। ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক-ছাত্র-শিক্ষক-জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ঢাকাস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউশন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথানে শহীদ মতিউরসহ অন্যান্য শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি। গণঅভ্যুত্থানের ফলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর ছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে একটি মাইলফলক। গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ ধরে অর্জিত এই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চট্টগ্রাম বন্দর আমরা কাউকে দিচ্ছি না: প্রেস সচিব

চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি। বন্দর কাউকে দিচ্ছি না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরামের আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো চট্টগ্রাম বন্দরকে যেন ম্যানেজ করতে পারে, আমরা তা চাচ্ছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না। আমরা চাই টার্মিনালে যেন তারা বিনিয়োগ করেন, ম্যানেজ করেন। ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি, তারা তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত ২ বাংলাদেশি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ মে) গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
আহতরা হলেন- শের আলীর ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (২৮) ও মো. আজাদ হোসেন (২৬)। তারা একই এলাকার বাসিন্দা। দু’জনই শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা এবং বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত হলেও আতঙ্ক কাটেনি পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে শ্যামনগর সীমান্তের খাদলা এলাকায় ছয়জন স্থানীয় ব্যক্তি ভারতের অন্তত দেড়শ গজ ভেতরে অনুপ্রবেশ করেন। সেই সময় বিএসএফ টহল দল ছররা গুলি ছোড়ে। অন্যরা পালিয়ে এলেও রবিউল ও আজাদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ঈদকে সামনে রেখে গরু, মসলা, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান বেড়েছে। বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালালেও চোরাকারবারিদের বেপরোয়া গতিবিধি ঠেকানো যাচ্ছে না।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। সীমান্তে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টহলও বাড়ানো হচ্ছে। স্থানীয়দের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদযাত্রায় ৪ জুনের ট্রেনের টিকিট মিলছে আজ

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের জন্য ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ঈদ ৭ জুন ধরে চলতি কর্মসূচির আওতায় আজ বিক্রি হচ্ছে পঞ্চম দিনের (৪ জুন) ট্রেনের টিকিট।
রোববার (২৫ মে) সকাল ৮টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট।
এবার শুধু ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মোট আসন সংখ্যা থাকছে ৩৩ হাজার ৩১৫টি। ঈদ উপলক্ষে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কর্মপরিকল্পনার তথ্যমতে, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মের আসন বিক্রি হয়েছে ২১ মে, ১ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২২ মে, ২ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৩ মে, ৩ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৪ মে, ৫ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৬ মে এবং ৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৭ মে।
রেলওয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে ৭ দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করবে। এ সময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী ৪টি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে সংগ্রহ করতে পারবেন।
ঈদে নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে এবারও বিশেষ ব্যবস্থায় ৭ দিনের জন্য আগাম টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ৮ দলের বৈঠক সন্ধ্যায়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদসহ আটটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। আজ রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে শনিবার (২৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বৈঠকের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় যমুনায় ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম তার দলের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেবেন।
ইসলামী আন্দোলন ছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, নেজামে ইসলামী পার্টি ও হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে অংশ নেবেন।
বৈঠকে সংস্কার, নির্বাচন ও স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় নিয়ে পরামর্শ দেবেন রাজনৈতিক নেতারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ৫৯ হাজার ১০১ হজযাত্রী

হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে রোববার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৫৯ হাজার ১০১ জন। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মোট ১৫৩টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৮৩ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৪ হাজার ৫১৮ হজযাত্রী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৮৬ হাজার ৯২৭টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক।
হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, ১৫৩টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৭৯টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৫৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
চলতি বছর হজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ পুরুষ ও একজন নারী। এরা হলেন— জামালপুর বকশীগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), রাজবাড়ীর খলিলুর রহমান, কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান, পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু, ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবীর, নীলফামারির ফয়েজ উদ্দীন (৭২), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার অহিদুর রহমান (৭২), গাজীপুর সদরের জয়নাল হোসেন (৬০) ও চাঁদপুর মতলবের আব্দুল হান্নান মোল্লা (৬৩)।
এখন সৌদি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৪ জন। এছাড়া বর্তমানে সৌদি সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন ২৬ হজযাত্রী।
গত ২৯ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৩৯৮ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্য দিয়েই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ৩১ মে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ৭০টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল। শেষ হজ ফ্লাইট ৩১ মে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুন, আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুলাই।