ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ে আলোচিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, কোনো বিভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যদি একটি গল্প নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়, কেন হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠীর ধর্ম ব্যবহার করে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রবণতা আছে। গত বছরও সেটা ছিল। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, কওমি মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে তাঁরা দাবি করেছেন যে এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তাঁরা আমাদের নজরে এনেছিলেন। আমরা যখন আলোচনা করেছি, তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার।’
তিনি বলেন, সেটা তো আইনত স্বীকৃত যে তৃতীয় লিঙ্গ যাঁরা সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তাঁরা দেশের নাগরিক। তাঁদের নাগরিক অধিকার রয়েছে। তবে গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে এ ধরনের বিভ্রান্তি ও বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস থাকে, তাহলে এ গল্পের উপস্থাপন পরিবর্তন করা যায় কি না, তা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের প্রতি সম্মান রেখে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যদি ভিন্ন কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন। এটা যেহেতু বিশেষায়িত বিষয়, আমরা পলিসি লেভেল সেটি মন্তব্য করতে চাই না।’
অর্থসংবাদ/এমআই

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরাম নিষিদ্ধের দাবি ইবি সমন্বয়কের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি বিরোধীতাকারীরা বিভিন্নভাবে জঙ্গি তকমা দিয়ে ভিন্ন মিছিল (৪ আগস্ট,২০২৪) দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা গোপালগঞ্জের মতো হতে বেশি সময় লাগবে না। অনতিবিলম্বে সেই মিছিলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষক নেতৃত্ববৃন্দ এবং তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে সিন্ডিকেট বসিয়ে ব্যক্তি ও তাদের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলায় জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ সময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সমন্বয়ক সুইট বলেন, সেই সকলের বিরুদ্ধে দ্রুতসময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিন। যখন অন্য জায়গায় আওয়ামী শক্তিদের প্রতিহত করা হচ্ছে তখন একটি গোষ্ঠী মবের নাম দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিদেরকে অপবাদ ও হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। ইবি প্রশাসন যদি আওয়ামী দোসরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে আগামী যে প্রতিহত ও প্রতিবাদ হবে সেটিকে মব বললে আমরা মেনে নিবো না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এতদিনের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না।
বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার ফিরে এলে সবাইকে বিনাশ করতে বিন্দুমাত্র ভাববে না। আওয়ামী প্রীতির জন্যই আজ গোপালগঞ্জে এই ঘটনা ঘটেছে। একবছর পরেও বর্তমান সরকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করে যেভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটি শক্তিকে পরাজিত করেছিলাম, সেভাবে আমাদের আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন মনে করি।
তিনি আরও বলেন, অতিদ্রুত গোপালগঞ্জের এসপি ও ডিসি প্রত্যাহার করতে হবে। গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের নেতাকর্মীরা ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় মবের মধ্যে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় বোঝা যায় ইন্টিরিম যদি পুলিশি ব্যবস্থা সংস্কার না করে তাহলে দেশে অচিরেই গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। অতিদ্রুত পুলিশি ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে বলেন, মুজিববাদের নিদর্শনগুলো ধ্বংস করার জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটলি দিয়েছিলাম সেগুলো এখনো ধ্বংস করা হয়নি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আগামী ৩/৪ কার্যদিবসে মুজিববাদের নিদর্শন ও চিহ্নিত গুলোকে ধ্বংস করবে। এখনো জুলাই বিরোধীরাকারী শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, সাজ্জাদ শেখ, চয়ন, ইসমাইল হোসাইন রাহাত’সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ‘কন্ঠে আবার লাগা জোর, মুজিববাদের কবর খোড়’, ‘১, ২, ৩, ৪, আওয়ামীলীগ নো মোর, ইনকিলাব ইনকিলাব জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে, আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই, নাহিদ ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই, ওয়াসিম সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই শহীদদের স্মরণে ইবিতে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুলাই শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখা। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (দায়িত্বরত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল গফুর গাজী, ইবি ছাত্রদল আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ’সহ দলের নেতাকর্মীরা।
ইবি ছাত্রদল আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, এই দিনে আবু সাঈদ বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল হাসিনাকে বিদায় করার জন্য। শান্ত, ফারুক, ওয়াসিমসহ এই দিনে আমাদের ৫ জন ভাই শহিদ হয়েছিল বলে আমরা এই দিনটিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা শহীদ আবু সাঈদসহ ১৫০০ শহীদের বিনিময়ে এই পরিবর্তিত দেশ পেয়েছি যেখানে ফ্যাসিস্টের কোন জায়গায় নেই। আমরা তাদের রক্ত বৃথা হতে দেব না। জুলাই আন্দোলনের সময় আমাদের যে আত্মার সম্পর্ক ছিল সেটা যেন আমরা বজায় রাখি। এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে হবে।আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে তার মানে এই না যে, আমরা একে অপরের শত্রু। আমাদের শত্রু একমাত্র আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা ও দিল্লি।
অধ্যাপক ড. গফুর গাজী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য আজকের এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই অগ্রযাত্রা যেন কোনভাবে ব্যহত না হয় সেজন্য আমাদের সকলের সচেতন থাকতে হবে। বিপ্লবে যারা এখনো অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, এই ৩৬ জুলাই কোনো বিপ্লব নয়, এটি হলো গণঅভ্যুত্থান। এই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করি। আমি হলফ করে বলতে পারি জুলাই ৩৬ এর এই অবিনাশী কোনো দিন বাংলাদেশীদের অন্তর থেকে মুছে যাবে না। যারা ষড়যন্ত্রকারী সেই ফ্যাসিস্ট গত ১৫ বছর ধরে আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপেছিল তাদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। তাদের নেতা-নেত্রীরা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের কৃতদাসরা রয়েগেছে। আজ গোপালগঞ্জে এনসিপির নেত্রীবৃন্দর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ঘটনার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, তোমরা যতোই ষড়যন্ত্র করো বাংলার দামাল ছেলেরা কখনো থামবে না। ফ্যাসিস্টরা বাংলার যে প্রান্তেই থাকুক আমরা খুঁজে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো। এই চব্বিশের চেতনাকে ধ্বংসকারী যে দলের লোকই হোক আমরা তাদের প্রতিহত করবো।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

গোপালগঞ্জে সহিংস পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সারাদেশের বাকি কেন্দ্রগুলোতে রুটিন অনুযায়ী যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
স্থগিত হওয়া বিষয়টি হলো — ভূগোল (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ১৭ জুলাইয়ের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করেছি। পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।
অন্যদিকে এরইমধ্যে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন আগামীকালের (১৭ জুলাই) সকালে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫ এর ভূগোল (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র (পত্র কোড-১২৬) এর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন গোপালগঞ্জ জেলার বাইরে অন্যান্য জেলাসহ দেশের অন্যান্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে আগামীকালের পরীক্ষাটি যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। আর গোপালগঞ্জ জেলার পরীক্ষার্থীদের স্থগিত হওয়া এই পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে জারি করা হয়েছে ২২ ঘণ্টার কারফিউ। আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, আজ রাত ৮টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।
এর আগে, গত ১০ জুলাই বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী। বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে প্রতীকী প্রতিবাদী মিছিল: ঐতিহাসিক ১৪ জুলাইয়ের স্লোগানে ফের উত্তাল

আওয়ামী ন্যারেটিভ ধ্বংস করে দেওয়া ‘ঐতিহাসিক ১৪ জুলাই’ তুমি কে? আমি কে? রাজাকার! রাজাকার! স্লোগানে ‘প্রতীকী প্রতিবাদী মিছিল’ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মধ্যরাত প্রথম প্রহরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় প্রাঙ্গন থেকে এ প্রতীকি মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শহীদ আনাস হল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে প্রতীকী মিছিলের সমাপ্তি করে তারা।
এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডল বলেন, ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা আজকের এই দিনে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ৯ দফা এবং পরবর্তীতে ১ দফা আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা এই দেশ থেকে পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছিল। আমাদের আজকের এই মিছিলটা গত বছরের সেই দিনটিরই একটি প্রতীক মাত্র।
এসময় ইবি শাখার অপর সহ-সমন্বয়ক ইয়াশীরুল কবির সৌরভ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের জন্য আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ ঐতিহাসিক দিনেই আমাদের আন্দোলন তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল। আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা যে আন্দোলনে নেমেছিলাম, স্বৈরাচার সরকার সেই আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তারই প্রতিক্রিয়া স্বরূপ যে শিক্ষার্থীরা সেদিন পর্যন্ত আন্দোলনে যুক্ত ছিল না তারাও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা সেদিন রাজাকার শব্দটিকে তাদের প্রতিক্রিয়ার ভাষা হিসেবে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। সারাদেশের ন্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিন মাত্র ১৫ মিনিটের ঘোষণায় মিছিল বের হয়েছিল। আজকের মিছিলটি তারই একটি প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই জুলাইকে প্রতীক হিসেবে ধারণ করে, জুলাইয়ের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করে আওয়ামী ন্যারেটিভকে ধ্বংস করা হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে ‘অ্যাডভোকেট তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট’র ১০ লাখ টাকা অনুদান

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে ‘অ্যাডভোকেট তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট’।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাস্টের শিক্ষা সহায়ক চুক্তিনামা ও অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। এসময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন এবং অধ্যাপক ড. নূরুন নাহারসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন জানান, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তপন বিহারী নাগ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এর আগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথেও তিনি শিক্ষা সহায়ক চুক্তি করেছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত অনুদানের ১০ লাখ টাকা একটি তফসিলি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) আকারে সংরক্ষণ করা হবে। এই এফডিআরের মুনাফার ৮০ শতাংশ অর্থ প্রতিবছর সম্মান শ্রেণির ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ প্রাপ্ত আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, এই সহায়তা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগী হতে অনুপ্রাণিত করবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম