লাইফস্টাইল
মাঝরাতে খিদে পেলে যে ৪ খাবার খাবেন
রাতের খাবারটা আগেভাগে খেয়ে নেওয়াই ভালো। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুই আগে রাতের খাবার শেষ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সব দিন একভাবে কাটে না। কোনো কোনো রাতে নানা কাজ শেষ করতে গিয়ে ঘুমাতে যেতে দেরি হয়ে যেতে পারে। তখন পেটের ভেতর ক্ষুধার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে গেলে ঘুম ঠিকভাবে আসে না। আবার ঘুমের আগে সব ধরনের খাবার খাওয়াও ঠিক নয়। বেশি রাতে ক্ষুধা পেলে কোন ধরনের খাবার খাবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
খেতে পারেন মাশরুম টোস্ট
মাঝরাতে ক্ষুধা নিবারণের জন্য বেছে নিতে পারেন মাশরুম টোস্ট। এটি একইসঙ্গে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। মাশরুম টোস্ট তৈরির জন্য মাশরুম ছোট করে কেটে নিন। এরপর এর সঙ্গে সামান্য রসুন কুচি, লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে ভেজে নিয়ে সেঁকে রাখা পাউরুটির উপর দিয়ে দিন। এতে ক্ষুধা দূর হবে, শরীর পুষ্টিও পাবে।
ক্ষুধা দূর করবে কলা
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে কলা। এতে মেলাটোনিন নামক হরমোন ক্ষরণ হয় যা দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। এই ফলে আছে ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ উপাদান। আপনি চাইলে কলা টুকরো করে কেটে নিয়ে তাতে অল্প আমন্ড বাটার মিশিয়ে খেতে পারেন।
ডিম হতে পারে উপকারী খাবার
যেকোনো সময় খাওয়ার জন্য উপযোগী খাবার হলো সেদ্ধ ডিম। শুধু ডিম খেতে ভালো না লাগলে এগ সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন। যদি কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে তবে শুধু সাদা অংশ খেতে হবে। ডিমে পাবেন প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিন।
একমুঠো বাদাম খান
একটি কৌটায় বাদাম সংরক্ষণ করুন। নানা ধরনের বাদাম রাখতে পারেন। কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, আমন্ড ইত্যাদি রাখুন। ক্ষুধা পেলে একমুঠো বাদাম নিয়ে খেয়ে নিন। এতে ক্ষুধা দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীর পাবে বাড়তি পুষ্টি। বাদামে আছে ভিটামিন, প্রোটিন ও আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। তবে বাদাম যেন লবণযুক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঠোঁট ফাটা গুরুতর রোগের লক্ষণ নয় তো?
শীত আসতেই শুরু হয়েছে ত্বক ও ঠোঁট ফাটা। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়, আর এ কারণে ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক। এর থেকে ত্বক, ঠোঁট, হাত-পা ফাটতেও শুরু করে অতিরিক্ত শুষ্কতায়। বিশেষ করে ঠোঁট বারবার শুকিয়ে যাওয়া ও ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে এটি শুধু শীতের শুষ্কতার কারণেই ঘটে না, ডায়াবেটিসেরও লক্ষণ হতে পারে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বড়েই চলছে। প্রতি বছর লাখ লাখ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি এ ব্যাধিতে। ডায়াবেটিসের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। গ্লুকোজের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রায বেড়ে ওঠায় রক্তপ্রবাহে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়।
ডায়াবেটিসের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ সবাই কমবেশি জানলেও তা এড়িয়ে যান। ডায়াবেটিস হলে অত্যধিক ক্ষুধা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি ও খিটখিটে মেজাজ হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস হলে মুখে ৪টি সতর্কতা লক্ষণ প্রকাশ পায়। মুখের স্বাস্থ্য বলে দেয় শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রাসহ সামগ্রিক অসুস্থতা সম্পর্কে। ঠিক তেমনই ডায়াবেটিস হলে ঠোঁট ফাটাসহ মুখে কয়েকটি সতর্কতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। জেনে নিন সেগুলো-
শুকনো মুখ
টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ ও প্রাথমিক লক্ষণগুলোর শুকনো বা শুষ্ক মুখ অন্যতম। সবসময় মুখ ও গলা শুকিয়ে আসে এক্ষেত্রে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীর মুখের লালা উৎপাদন কমে যায়। শুষ্ক মুখের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- রুক্ষ বা শুকনো জিহ্বা, মুখে আর্দ্রতার অভাব, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, মুখে ফোলাভাব, খাবার গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া
শীতে আর্দ্রতার অভাবে এমনিতেই ঠোঁট ফেটে শুকিয়ে যায়। এটি কিন্তু ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে সকালের দিকে বেশি শুকিয়ে যায় ঠোঁট। একই সঙ্গে প্রচণ্ড পানি পিপাসাও পায়। এই লক্ষণ দেখেলে দ্রুত ডায়াবেটিস পরক্ষা করান।
মাড়ির রোগ
শুধু শুষ্ক মুখ নয়, পাশাপাশি দাঁতের চারপাশে এবং মাড়ির নিচে লালা উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে রক্তে শর্করার মাত্রা। শরীরে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মাড়ির চারপাশে জ্বালা করে। এমনকি মাড়ির রোগ, দাঁত ক্ষয়ও হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মাড়ির রোগ বেশি দেখা যায়।
মাড়ির রোগ হওয়া রক্তের শর্করার মাত্রা আরও খারাপ হওয়ার অবস্থার ইঙ্গিত। মাড়ির রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- লাল, ফোলা, কালশিটে বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, দাঁত আলগা হওয়া, খাবারে কামড় বা চিবানোর সময় কষ্ট হওয়া, মুখের দুর্গন্ধ বা খারাপ স্বাদ ইত্যাদি।
দাঁতের ক্ষতি
মাড়ির রোগ হওয়ার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির চারপাশে প্লাক গঠনের ফলে দাঁত আলগা হতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীরা দাঁতের সমস্যায় বেশি ভোগেন। দাঁত নষ্ট হওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো- মাড়ির চারপাশ ফুলে যাওয়া, ঘা ও দাঁতের ব্যথা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে পাঁচ তেলে
শীত চলে এসেছে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা অন্যান্য ঋতুর তুলনায় অনেক বেশি থাকে। যার ফলে আমাদের ত্বক ও চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে পড়ে। তার সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বলতা হারায় এবং ফাটার সমস্যা দেখা যায়।
এমতাবস্থায় আমরা ত্বকের যত্নে নানা ধরনের নামিদামি বডি লোশন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এসব নামিদামি লোশন খুব একটা কাজে দেয় না। শীতকালে বডি লোশন দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করেও ত্বকের সমস্যা দূর করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে কিছু তেল আপনার সমস্যা মেটাবে।
এগুলোর ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা তো কমবেই, সঙ্গেই ত্বককে উজ্জ্বল ও নরম করে তুলবে। শুধু তাই নয়, এগুলো চুলকানির সমস্যাও অনেকটাই কমিয়ে দেবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি সেই তেল, আর কী কী উপকার করে।
নারকেল তেল
শীতকালে আমাদের ত্বকে নারকেল তেল লাগানো ভীষণ উপকারী। নারকেল তেল আমাদের ত্বকে গভীর আর্দ্রতা প্রদান করে। সঙ্গেই ত্বককে নরম করে তোলে। এতে থাকা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের ত্বককে নানাধরণের সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
অলিভ তেল
অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে গভীর আর্দ্রতা প্রদান করার পাশাপাশি ত্বককে বাহ্যিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর ফলে শীতেও আমাদের ত্বকে শুষ্কতার সমস্যা দেখা যায় না।
জোজোবা তেল
জোজোবা তেল ত্বকে খুব দ্রুত শোষিত হয়। এটি আমাদের ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে। এই তেলের ব্যবহারে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।
বাদাম তেল
বাদাম তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি জানি। এটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বাদাম তেল ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি ত্বককে নরম করে। সঙ্গে জ্বালা ও প্রদাহের মতো সমস্যা কমায়।
তিলের তেল
শীতকালে তিলের তেল আমাদের ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এটি ত্বকে উষ্ণতা প্রদান করার সঙ্গে ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। এটি বিশেষত ড্রাই স্কিনের জন্য বেশি উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে সুস্থ রাখে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
কর্মজীবনে শ্রেষ্ঠত্ব পেতে পাঁচ দক্ষতা জরুরি
কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্য কেবল প্রযুক্তিগত দক্ষতাই যথেষ্ট নয়। সেইসঙ্গে প্রয়োজন ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য সফট স্কিল তৈরি করা। কিছু দক্ষতা ক্যারিয়ারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে আপনাকে শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিতে পারে। জীবনে সফলতা কে না চায়। কর্মজীবনে নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে দেখতে চাইলে করতে হবে কিছু কাজ। আপনার দক্ষতাই আপনাকে অনন্য স্থানে নিয়ে যাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কর্মজীবনে শ্রেষ্ঠত্ব পেতে কী করবেন-
১. শেখার ক্ষমতা
নমনীয়তার সঙ্গে নতুন পরিবর্তন এবং পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা দ্রুতগতির কর্মক্ষেত্রে অপরিহার্য দক্ষতা। নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা আপনাকে গতিশীল পরিস্থিতিতে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।
২. ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স
নিজের আবেগ বোঝা এবং নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অন্যের আবেগকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং প্রভাবিত করা জানতে হবে। উচ্চ সংবেদনশীল বুদ্ধিমত্তা কর্মক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের যোগ্যতা বহন করে। তাই ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এক্ষেত্রে জরুরি।
৩. সংযোগ
যেকোনো নতুন আইডিয়া বাস্তবায়ন করার জন্য পারস্পারিক সংযোগ অত্যন্ত প্রয়োজন। এটি মৌখিক বা লিখিত হতে পারে। আপনি যদি আপনার চিন্তাভাবনা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন তবে বাকিরা সেটি বুঝতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আপনাকে সহায়তা করা সহজ হবে।
৪. টাইম ম্যানেজমেন্ট
সময়সীমা পূরণের জন্য ব্যবহারিক টাইম ম্যানেজমেন্ট জানা প্রয়োজন। কার্যকর টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য আপনার কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত এবং বিলম্ব এড়ানো উচিত। টাইম ম্যানেজমেন্ট জানলে আপনি অনেক কাজেই এগিয়ে থাকবেন।
৫. সমস্যা-সমাধান
নিয়োগকর্তারা এমন কর্মীদের প্রশংসা করেন যারা সৃজনশীলতা এবং দক্ষতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারে। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হওয়া, সংশোধনের প্রয়োজন এমন সমস্যা চিহ্নিত করতে পারা এবং কার্যকর ফলাফল নিয়ে আসে এমন সমাধান নিয়ে আসা একটি মূল্যবান দক্ষতা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
৮৪ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো হোয়াটসঅ্যাপ
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়।
নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রায়ই কাটছাঁট চালায় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নিয়মও আনে প্রতিষ্ঠানটিতে, যেগুলো অমান্য করলেই শান্তির আওতায় আনা হয় ব্যবহারকারীদের। এবার এসব নিয়ম না মানায় সম্প্রতি প্রায় ৮৪ লাখ (৮.৪ মিলিয়ন) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। খবর: জি নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত ভারতে লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকে। বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকায় হ্যাকাররা মেটা মালিকানাধীন অ্যাপটিকে বারবার টার্গেট করে। এর ফলে নতুন নতুন নিয়ম আনে অ্যাপটি। সম্প্রতি এই নিয়ম না মানার কারণে ভারতের প্রায় ৮৪ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে মেটা।
বন্ধ করে দেয়া অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই স্প্যাম বা অটোমেটেড বার্তা পাঠানোর কারণে বাতিল করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিজস্ব সুরক্ষা প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্ল্যাটফর্মে অপব্যবহার রোধে কাজ করছে।
মেটার সাম্প্রতিক ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ আগস্টে ভারতে প্রায় ৮৪ লাখ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে। তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম ২০২১-এর ধারা ৪(১)(ডি) এবং ধারা ৩এ(৭) মেনে হোয়াটসঅ্যাপের নীতি লঙ্ঘন বা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞা মূলত হোয়াটমেসঅ্যাপের প্রো-অ্যাকটিভ ডিটেকশন মেকানিজমের মাধ্যমে হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৬১ হাজার অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যবহারকারীর অভিযোগ দায়ের করার আগেই বন্ধ করা হয়। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, চলতি বছরের আগস্টে তারা ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৭০৭টি অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টির বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ধীরে খাবার খাওয়ার ৫ উপকারিতা
ধীরে ধীরে খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া রোধ, হজমের উন্নতি, ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে, যা খাবারের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। যারা তাদের খাওয়ার গতি কমাতে চায় তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা সহজ কৌশল এবং পদ্ধতির পরামর্শ দেন। এটি শুধু স্বাস্থ্য ঝুঁকিই কমায় না, সেইসঙ্গে খাবারের সময়কে আনন্দদায়ক করে তোলে।
১. খাওয়ার পরিবেশ পরিবর্তন করা
যদিও প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করার জন্য সংগ্রাম করতে হতে পারে তবে শেষ পর্যন্ত সাফল্য পাবেন। টিভির আশপাশ থেকে খাবার টেবিলে স্থানান্তর করা আপনাকে খাওয়ার দিকে মনোযোগ রাখতে এবং আপনি যে খাবার খাচ্ছেন তার সঙ্গে আরও সংযুক্ত বোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
২. চিবানো গণনা
ধীরে ধীরে খাওয়ার এই পদ্ধতিটি বেশিরভাগের জন্য কম কার্যকর বলে মনে হতে পারে। কারণ এটি গণনা করতে ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক বা এই পদ্ধতিকে বিভ্রান্তিকর বলে মনে করতে পারে। তবে একবার খাবার গলানোর আগে ২৪ বার চিবিয়ে নিলে এটি অভ্যাসে পরিণত হবে।
৩. অল্প অল্প পানি পান করা
ধীরে ধীরে খাওয়ার আরেকটি কৌশল হলো পানির ছোট চুমুক নেওয়া বা আসল খাবারের মধ্যে সালাদ খাওয়া। এটি হাইড্রেশন উন্নত করে এবং খাদ্য গ্রহণ করা কমায়। সেইসঙ্গে এটি আপনাকে ধীরে ধীরে খেতেও সাহায্য করতে পারে।
৪. ধীরে খায় এমন কারও সঙ্গে খাওয়া
ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো আপনার গতিকে একজন ধীরে খাবার খাওয়া বন্ধুর সঙ্গে মেলানো। আপনার বন্ধুর খাওয়ার গতি অনুকরণ করার চেষ্টা করলে তা খাবার খাওয়ার সময় আপনাকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে।
৫. চামচ নামিয়ে রাখুন
যারা ধীরে ধীরে খেতে চান তাদের জন্য এই সহজ কৌশলটি সবচেয়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একটি কামড় খাওয়া এবং তারপর প্লেটে চামচটি বিশ্রামে রাখার অভ্যাস আপনাকে আরও ধীরে ধীরে খেতে এবং খাবার উপভোগ করতে সহায়তা করতে পারে।
এমআই