ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কুহেলিকা উৎসবে মাতোয়ারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশকে ‘কুহেলিকা আগমণ উৎসব’ এর মধ্যদিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বরণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যসহ সাংস্কৃতিক দিকগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সম্মুখে বটতলার প্রাঙ্গণে সেচ্ছাসেবী সংগঠন অভায়রণ্যের উদ্যোগে ‘কুহেলিকা আগমণ’ নামে এ উৎসব শুরু হয়। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন অভয়ারণ্যের উপদেষ্টা আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল।
সাজপসরা, চা ওয়ালী, খাইলেই পটবে, জিভে জল, বই তরুণী, বুক ভিলেজ, হৈ চৈ হেসেল, মুখরোচক, আগে এদিকে আসুন, চিঠিবক্স, দ্যা ফ্লাওয়ারস বি, ফুডিস ডাইন সহ বিভিন্ন ধরণের প্রায় ৩২টি স্টল নিয়ে চলমান এই কুহেলিকা উৎসবের আকর্ষণ ছিল গ্রাম বাংলার রুদ্রদার পুতুল নাচ, চিঠিবাক্স, পিঠাপুলি ও ঠেলাগাড়ির প্রতি। এসব স্টল ঘুরেঘুরে দর্শনার্থীরা বই, শীতের কাপড় ক্রয়সহ ভিন্ন স্বাদের ঐতিহ্যবাহী ভিন্ন ভিন্ন খাবারের স্বাদ নিচ্ছেন।
কুহেলিকা উৎসবে অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় ছিলো প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে চিঠিবাক্স। ক্যাম্পাসের যেকোনো শিক্ষার্থীর কাছে এই চিঠি পাঠানো যাবে। পছন্দের কারো কাছে চিঠি পাঠাতে হলে তার নাম, বিভাগ ও সেশন চিঠির খামের ওপর লিখে দিয়ে চিঠিবাক্সে ফেলে দিলে অভয়ারণ্যের সদস্যরা সেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যাবে সেই চিঠি।
ঘুরতে আসা নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরুর পরপরই এমন আয়োজন পেয়ে আমাদের খুবই ভালো লাগছে। আমরা প্রত্যেকটা স্টল ঘুরে দেখেছি, পাটিসাপটা পিঠা, চিকেন মোমো, ফুচকা খেয়েছি। সর্বত্র এক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পরের বার চেষ্টা করবো নিজেরাই একটি স্টল নেওয়ার।
অভয়ারণ্যের সাধারণ সম্পাদক হাসিন ইনতাশাফ অর্প বলেন, সোহান’স কোচিংয়ের সৌজন্যে কুহেলিকা উৎসবে আমরা ৩২ টি স্টল দিতে পারছি। তন্মধ্যে গহনা, ফুসকা, কসমেটিকস, কাঠের গহনা, ফুল ও বইয়ের স্টল রয়েছে। এই উৎসব ক্যাম্পাসের উদ্যাক্তাদের জন্য মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে।
সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে রয়েছে ‘রঞ্জন-১’ যেখানে মৌলিক গান, কবিতা আবৃত্তি, নাচ থাকবে। এই যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলিক প্রচারণা যেটা পুরো বাংলাদেশে মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিতে জড়িত থাকুক সেটাই কামনা করি।
এ সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক ফেরদৌস ইমন বলেন, এই কুহেলিকা উৎসব সফল করার লক্ষ্যে অভয়ারণ্যের সদস্যদের পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এজন্য আমাদের আয়োজন সুন্দর এবং গুছানো হয়েছে বলে মনে করছি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি যায়গা যেখানে ভিন্নভাবে কিছু উপস্থাপন করলে সর্বোচ্চ সাড়া পাওয়া যায়। আজকে থেকে আগামী দুইদিন এই কুহেলিকা উৎসব চলমান থাকবে।
প্রসঙ্গত, ‘শান্তি ও সংস্কৃতিতে অভয়ারণ্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম করে চলেছে ইবি শিক্ষার্থীদের হাতে গড়া এই সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’। এতে ১৫ জন কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ২৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাম্য হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না করলে যমুনায় যাবে ছাত্রদল: জহির রায়হান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ সহ সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ বলেন, সাম্য হত্যার আজকে ৭ দিন হয়ে গেছে। তবুও ইন্টেরিম কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে না পারলে ছাত্রদল বসে থাকবে না। প্রয়োজনে যমুনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে ছাত্রদল চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। যদি ছাত্রদল চায় তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারা বাংলাদেশ অচল করে দিতে পারে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে সাম্য হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে এর আগেও আমরা প্রশ্ন তুলেছি। সমাধান হয়নি। তারই পরিণতিতে সন্ত্রাসীর দ্বারা ছাত্রদলের কর্মীকে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। তিনজন আটক করেছে কিন্তু তারা আদৌও জড়িত কিনা এখনও স্পষ্ট করেনি ইন্টেরিম সরকার। ছাত্রদল কর্মী হওয়ায় আপনারা তদন্ত করছেন না।
আজ রাত ৯ টায় কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি জহির রায়হানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাস হলের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি বের করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক, আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক- আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন। সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম সৌরভ, উল্লাস মাহমুদ, মুক্তাদির রহমান রুকনুজ্জামান, রাকিব হোসেন সাক্ষর, রায়হানুল ইসলাম টিপু, মেহেদী হাসান, রিফাত, রিয়াজ, ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অক্সফোর্ড ছাড়লেন ব্র্যাকের জন্য, পরে জানলেন অফার লেটার বাতিল

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছিলেন মুহাম্মদ উবায়দুল হক (জাবের উবায়েদ)। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ পেয়ে ছেড়ে দেন অক্সফোর্ডের চাকরি। কিন্তু অফার লেটার সাসপেন্ড হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ মে) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমনটাই জানান উবায়দুল হক।
তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন- সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমার সঙ্গে বড় ধরনের একটি অন্যায় আচরণ করেছে। আমি স্কুল অব জেনারেল এডুকেশনে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে জয়েন করার জন্য আবেদন করি গত ফেব্রুয়ারিতে। দুই দফা ইন্টারভিউ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা ও সব প্রক্রিয়া শেষে কনফারমেশন ইমেইল পাই ২৮ এপ্রিল। লেকচারার হিসেবে অফার লেটার পাই গত ৯ মে। জয়েনিং ডেট উল্লেখ করা হয় জুনের ১ তারিখ। আমার সঙ্গে এইচআর থেকে যিনি যোগাযোগ করছিলেন তার পরামর্শক্রমে আমি ইউকে থেকে দেশে ফেরার সার্বিক প্রস্তুতি নিতে থাকি।
আপনারা জানেন যে আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাসেসমেন্ট অফিসার’ হিসেবে চাকরি করছিলাম গত মার্চ মাস থেকে। তবে দেশে আসতে চাচ্ছিলাম দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি কিছু অবদান রাখা যায় সে চিন্তা থেকে।
সেই এইচআর অফিসারের সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে আমি আমার অক্সফোর্ডের অফিসে মে মাসের শুরুতেই নোটিশ দেই। সে অনুযায়ী তারা আমার রিপ্লেসমেন্ট হায়ার করে গত ১৩ মে। আর আমি রিজাইন করি ১৪ মে। একইসঙ্গে ২০ তারিখে দেশে আসার বিমানের টিকেটও বুক করি।
আমি যখন দেশে আসার সব প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি এর মধ্যে গত ১৫ মে একতরফাভাবে কোনো কারণ না বলে আমার অফার লেটার সাসপেন্ড করে দেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
অক্সফোর্ডে আমার রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে নেওয়ায় আগের জবে জয়েন করার আর সুযোগ নেই। আমি ব্র্যাকের ফিরতি ইমেইলে কারণ জানতে চেয়েছি। এর কোনো জবাব পাইনি।
আজ আবার জেনারেল এডুকেশনে স্কুলের ডিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমায় এইচআর এর নোটিশ ও জবাবের দিকে রেফার করেন। আর বিস্তারিত কারণ বলার প্রয়োজন বোধ করেননি।
এইচআরের যে অফিসার আমার সঙ্গে সবকিছু নিয়ে আলাপ করেছেন শুরু থেকে তিনিও অফার সাসপেন্ডের ইমেইলের কপিতে আছে। তার এ ব্যাপারের জানার কথা থাকলেও উনি বলছেন যে কিছু জানেন না। উনি যেন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন ও অসত্য বলছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি আরও লেখেন, অফার লেটারে উল্লেখ ছিল যে জয়েনিং সন্তোষজনক ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের ওপরে নির্ভর করবে। আমার বিরুদ্ধে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। আমার মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড ও সোস্যাল মিডিয়ায় টুকটাক লিখি। জুলাই কেন্দ্রিক একটিভিজমকে প্রমোট করি।
আমি ব্র্যাক থেকে আমার সেকেন্ড মাস্টার্স করেছি। সম্মানজনক শিভেনিং স্কলারশিপ পেয়ে বিশ্বের ১ নম্বর এডুকেশন স্কুল (টাইমস হায়ার এডুকেশন সাবজেক্ট র্যাংকিং অনুযায়ী) Institute of Education, UCL এ পড়েছি। আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কর্মরতও ছিলাম।
উবায়দুল হক জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ১ বছর কাজ করেছি ‘আউটরিচ ডেলিভারি অ্যাসিস্ট্যান্ট’ এবং ‘অ্যাসেসমেন্ট অফিসার’ হিসেবে। আমার বিভিন্ন সাকসেস স্টোরি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করেছে দুই বার। তার পরেও আমার সঙ্গে এমন একটি অন্যায্য একটি জঘন্য আচরণ করলো; সেটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
আমি আর ব্র্যাকে জয়েন করবো না। কিন্তু এমন আচরণ তারা কীভাবে একজন মানুষের সঙ্গে করতে পারে সেটা বুঝতে চাই। কীভাবে আমার যোগ্যতাকে, দক্ষতাকে অগ্রাহ্য করে আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করলো এর জবাব চাই। আমার মতো একজনের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারলে আরও কত মানুষের সঙ্গে এমন হয় সেটা আমরা জানি না। এর প্রতিকার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে হতেই হবে।
জানা যায়, উবায়দুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে যোগদান করেন। এর আগে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বরাতে কমিউনিকেশন অফিস গণমাধ্যমকে জানান, ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ধারা ৫ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার অফার লেটারটি প্রত্যাহার করেছে। যথাযথ বিবেচনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দেশের ১১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

স্থানীয় অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি বিবেচনায় দেশের আরও ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রেবেকা সুলতানার স্বাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী এই পরিবর্তন করা হয়েছে।
নাম পরিবর্তন পাওয়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে— জামালপুরের শাহিনুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যার নতুন নাম হয়েছে কাজির আখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও অধ্যাপক আব্দুল হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আনিছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে তারারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোনাকান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে।
অন্যান্য বিদ্যালয়ের মধ্যে, আতামারী ফাতেমা মির্জা রওশন আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম আতামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোর্দ্দ জোনাইল সমসাদ আরা বুলু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম খোর্দ্দ জোনাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রুকনাই বদরুল আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নাম রুকনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের আলহাজ সেলিম আহম্মেদ ভুঁইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কুকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শ্রীনগরের জশুরগাঁও আভা রানী ঘোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম জশুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সুকুমার রঞ্জন ঘোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চিকনিসার সুকুমার রঞ্জন ঘোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে প্রাণী মন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চিকনিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। একই জেলার বরপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ করা হয়েছে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ বরপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে এবং এটি নীতিমালাভিত্তিক ও স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণে বাস্তবায়িত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

কাকরাইলে গণঅনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ এ ঘোষণা দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন , সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে।
এর আগে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে গণঅনশনে বসেন। গণঅনশনটি আয়োজন করে ‘জবি ঐক্য’, যেখানে প্রায় পাঁচ হাজার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আবাসন বৃত্তি চালু, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ চার দাবিতে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে গণঅনশন বসল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চার দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়। শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে অন্তবর্তীকালীন প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের অর্গানাইজিং উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় ইডেন মহিলা কলেজের ১নং গেটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার অভিপ্রায়ে, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও অধিভুক্তি বাতিলের পরবর্তী অন্তবর্তীকালীন প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি সবার কাছে তুলে ধরতে জরুরি ভিত্তিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।