অর্থনীতি
ইইউ ও যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

বাংলাদেশের পাট, পাটজাত, চামড়া ও চামড়াজাত খাতে বিনিয়োগ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। সাক্ষাতে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী তাদের জানান, বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখী করণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া চামড়াজাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল বিশেষ করে এপিআই খাত, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাইসাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদান করছে।
যেসব পণ্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে, সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যানু্ফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে অনুষ্ঠাতব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার কামনা করেন।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বর্তমানে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তিনি অংশীদারিত্বের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাদারি খাতে সার্টিফিকেশন ও অ্যাক্রেডিটেশন সমতায়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার ।
এছাড়া, সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা দূরীকরণ, সেবা প্রক্রিয়া সহজিকরণ, মেধাস্বত্বের প্রয়োগ ও সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উদারীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয় উল্লেখ করে ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
এ সময়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অফিস ভাঙচুর

গঠনতন্ত্র বিরোধী ও বিধি বহির্ভূতভাবে গঠিত বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির স্বঘোষিত অ্যাডহক কমিটির তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে সমিতির ইস্কাটন কার্যালয় তালা ভেঙে অফিস দখল, ভাঙচুর এবং সমিতির অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সারাদেশের এ পেশার সদস্যরা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সমিতির অফিসে সশস্ত্র দখল, সিসিটিভি ভাঙচুর এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গায়েবের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের ভাষ্যমতে এবং ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ ঘটনা এবং সশস্ত্র হামলায় নেতৃত্ব দেন স্বঘোষিত এডহক কমিটির আহবায়ক ও রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভিপি ড. আজিজুর রহমান এবং ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চের নেতৃত্ব দানকারী সাবেক সচিব সৈয়দ মাহবুব এ জামিল, আওয়ামী লীগের ভোট কারচুপির প্রত্যক্ষ সহযোগী সচিব গ্রুপের সদস্য ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিতর্কিত সাবেক চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি ও সচিব সচিব ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের একান্ত সহযোগী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমীর গবেষণা পরিচালক ড. নুরুজ্জামান, সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমান যুবলীগ কর্মী মুসলিম উদ্দিন রিফাত সহ ছাত্রলীগ যুবলীগের ৫০- ৬০ জন সশস্ত্র ক্যাডার।
এছাড়াও গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকাল ৪টায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলনের নাম করে সমিতির অফিসে এসে পুনরায় সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় তাদের নেতৃত্বে ভাড়া করা সশস্ত্র ক্যাডারদের দ্বারা অর্থনীতি সমিতির বর্তমান দপ্তর সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার বুলবুল, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমসহ সমিতির ঢাকাস্থ ইস্কাটন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করা হয়। এই নেককারজনক হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত থেকে হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মত অর্থনীতি পেশায় নিবেদিত পেশাজীবীদের এই গৌরবময় সংগঠনের দখল, পাল্টা দখল এবং তালা ভাঙ্গার মত অপেশাদারী আচরণের তীব্র নিন্দা জানান দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদগণ।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী দেশের পটপরিবর্তনের পর পূর্ববর্তী কার্যকরী কমিটি বর্তমান ২৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে অর্থনীতি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। অন্তবর্তীকালীন কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে বরেণ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ এবং সদস্য সচিব হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ মাইক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির বর্তমান নির্বাহী প্রধান ড. মো হেলাল উদ্দিন সহ দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, এবং অর্থনীতির গবেষক এবং পেশাজীবীগণ রয়েছেন, যা সমিতির সকল সদস্য দ্বারা সর্বজনগৃহীত এবং প্রশংসিত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার গত দুই মাসের মধ্যে সমিতির আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তিকরণ, গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংশোধন, গবেষণা জার্নাল প্রকাশ এবং দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা এবং অর্থনীতি সমিতির একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বঘোষিত এবং বিধি বহির্ভূত এডহক কমিটি গত ১২ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি এই ন্যাক্কারজনক সশস্ত্র হামলা চালায় যা অর্থনৈতিক সমিতির ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মতো পেশাজীবীদের এই সংগঠনের গৌরবময় ইতিহাসের সাথে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস, প্রয়াত অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহমদ, বিআইডেএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. মহিউদ্দিন আলমগীর, বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিনসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদগণ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহবায়ক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডক্টর মাহবুব উল্লাহ বলেন, সমিতির যে কোন সদস্য যে কোন দাবি-দাওয়া বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সাথে আলোচনা করে দাবি বাস্তবায়নের যৌক্তিক প্রচেষ্টা চালাতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের প্রয়াস না নিয়ে যেকোনো অপেশাদার মনোভাব নিয়ে দখল কিংবা হামলা করে কিংবা জিম্মি করে কোন দাবি-দাওয়া আদায়ের হীন প্রচেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বর্তমান সরকারকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ রাখছি এবং থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবের ছবি

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচূত হওয়ার পর বাংলাদেশে একাধিক বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অর্ধশতাধিক স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা। এখনো দেশের সবকটি নোট ও সারক মুদ্রায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শোভা পাচ্ছে।ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ নতুন টাকা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ব্যাংকগুলোতে নতুন নোট পাওয়া যাবে। তবে এবার বাজারে আসতে যাওয়া নোটগুলোতেও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ৫, ২০ ও ৫০ টাকার এসব নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
ছোট এসব নোটের পাশাপাশি বাজারে ছাড়া ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোটও বিদ্যমান ডিজাইনের বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নোটগুলো ছাড়বে সেগুলো নতুন করে ছাপানো হবে না। পূর্বের ছাপানো টাকাই বাজারে ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে এ মুহূর্তে বিপুল পরিমাণ ছাপানো নোট রয়েছে।
ছাপানো এ নোটগুলো বাতিল করলে বিপুল অংকের অর্থের অপচয় হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অপচয় করতে চাচ্ছে না। এজন্য আগে ছাপানো নোটগুলোই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে ছাড়া হবে। তবে আগামী এপ্রিল-মে নাগাদ নতুন ছাপা নোট বাজারে আসবে।
সেই নোটের ডিজাইনও প্রস্তুত হয়েছে। নতুন ছাপা ওই নোটে শেখ মুজিবের জায়গায় ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্য এবং জুলাই বিপ্লবের দোলচিত্র বা গ্রাফিতি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট রয়েছে। এসব নোট পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকঋণ পুনঃতফসিল বেড়েছে ১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা

বিদায়ী ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল বেড়েছে ১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এ খাতে নতুন করে ব্যাপক পরিমাণে খেলাপি ঋণ বাড়ায় পুনঃতফসিলের পরিমাণও বাড়ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ঋণ পুনঃতফসিল করেছে ২০ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১৮ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।
পুনঃতফসিল বাড়লেও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের (১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা) ১৭ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় খেলাপি কম দেখাতে নানারকম ছাড় দেওয়া হয়েছে। ঋণ পুনঃতফসিলের নীতিমালা সহজ করে ২০২২ সালে পুরো প্রক্রিয়া ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে ব্যাপক পরিমাণে পুনঃতফসিল বাড়ছে।
তারা আরও বলেন, পুনঃতফসিল করতে একসময় ১০-১২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট প্রয়োজন হতো। কিন্তু সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এসেই পুনঃতফসিল ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ডাউন পেমন্টও মাত্র ২-৪ শতাংশে নামিয়ে আনেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো, যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পুনঃতফসিল করেছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর পুনঃতফসিল করা ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা। তবে বিদেশি ব্যাংকগুলো এ সময় কোনো খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্যাসের দাম বাড়লে অনেক কারখানা বন্ধ হবে: বিটিএমএ সভাপতি

শিল্পখাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৭০ টাকা করলে একটার পর একটা কারখানা বন্ধ হবে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, গ্যাসের দাম ৭০ টাকা করলে তা কোনোভাবেই টেকসই হবে না। এতে নতুন কোনো বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করবে না। ব্যাংক কোনো নতুন প্রকল্পে অর্থায়ন করছে না। বর্তমানে এক কিউবিক মিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা। এটা বাড়িয়ে নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি এক্সিবিশন (ডিটিজি) আয়োজন উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগামী ২০ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ডিটিজি-এর ১৯তম সংস্করণ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরা (আইসিসিবি), ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিটিএমএ এবং ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোং, লিমিটেড, হংকংয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০০৪ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি এক্সিবিশন (ডিটিজি) আয়োজন করা হচ্ছে।
৩৩টি দেশের এক হাজার ৬০০টি স্টল এবং এক হাজার ১০০-এরও বেশি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড সম্মিলিতভাবে প্রদর্শনীতে টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট খাতের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শন করবে। চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তুরস্কসহ বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবে।
মেলায় প্রদর্শিত হবে টেক্সটাইল মেশিনারি, ফেব্রিক, ফিলামেন্ট, কেমিক্যালস, ডাইং প্রযুক্তি এবং এক্সেসরিজ। এছাড়াও থাকবে টেকসই উৎপাদন ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনার। পাশাপাশি, ডিটিজি ফ্যাশন শো থাকবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে, যা ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, আইসিসিবির ৩ নম্বর হলে পরিবেশিত হবে। অন্যান্য সংস্করণের মতো এবারও ডিটিজি মেলাটি সুযোগ করে দেবে এক ছাদের নিচে দেশি-বিদেশি ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনাল, ম্যানুফ্যাকচারার, সাপ্লাইয়ার প্রত্যেককে একত্রে যুক্ত হবার।
দেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের জন্য এ আয়োজনটিতে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। প্রদর্শনীটির লক্ষ্য, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সংশ্লিষ্ট শিল্পে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অদের পরিচয় ঘটানো। ডিটিজি মেলাটি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ ও বিটিএমএর ভাবমূর্তির পরিচায়ক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাজেট প্রস্তাবনা চেয়েছে এনবিআর

আসছে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট অধিকতর অংশগ্রহণমূলক, গণমুখী, শিল্প, ব্যবসা ও করদাতাবান্ধব করতে করদাতা, বিভিন্ন শিল্প ও বণিক সমিতি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ লক্ষ্যে দেশের সব চেম্বারস ও অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের বাজেট প্রস্তাবনা লিখিত আকারে ২২ মার্চের মধ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আরেকটি সফটকপি ই-মেইলে পাঠাতে বলেছে এনবিআর।
এ বিষয়ে এনবিআরের তথ্য কর্মকর্তা আল আমিন শেখ বলেন, সরকারের রাজস্ব আহরণ বাজেট প্রণয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব নীতিমালা প্রস্তুত করে থাকে। এ লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গণমুখী বাজেট প্রণয়নে বরাবরই সব পর্যায়ের সম্মতির করদাতা বিভিন্ন শিল্প ও বণিক সমিতি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের কাছ থেকে এনবিআরের বাজেট প্রস্তাব আহ্বান করেছে।
এনবিআর জানায়, বাজেট প্রস্তুতে সহায়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের স্ব স্ব বাজেট প্রস্তাব দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কাছে লিখিতভাবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে প্রস্তাবের আরেকটি সফটকপি ই-মেইল nbrbudget2025@gmail.com এর মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। যেসব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দপ্তর কোন চেম্বার বা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নয় তারাও সরাসরি উক্ত ই-মেইলের মাধ্যমে বাজেট প্রস্তাব প্রেরণ করতে পারবেন।
এনবিআর আশা করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য একটি অংশীদারিত্বমূলক, গণমুখী, শিল্প, ব্যবসা ও করদাতাবান্ধব এবং একইসঙ্গে রাজস্ব সম্ভাবনাময় বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।