জাতীয়
কারসাজি করে দাম বাড়ালে জেলে পাঠানো হবে: প্রধানমন্ত্রী

পণ্যের দাম কারসাজি করে বৃদ্ধিকারীদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অস্বাভাবিকভাবে ও দুরভিসন্ধি করে যারা পণ্য মজুত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেশে আর কখনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ে কেউ যেন কোনো খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, সেটা এবার প্রমাণিত হয়েছে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন অন্য পথে হাঁটছে।
পরে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা বৈঠকে উপস্থিত আছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
প্রবাসীসহ তিন ছকে বিভক্ত হচ্ছে এনআইডি সেবা

জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) তথ্য-উপাত্ত সংশোধনের আবেদন দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে তিনটি ছকে বিভক্ত করা হয়েছে। সাধারণ, প্রবাসী ও চাকুরিজীবী শ্রেণিতে ভাগ করে পৃথক তিনটি তদন্ত প্রতিবেদন ‘ছক’ সচিবালয়ের অনুমোদনক্রমে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়া যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোনো এনআইডি সংশোধনের আবেদন বাতিল করা যাবে না। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান নির্দেশনাটি মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নাগরিক সেবা সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন ‘ক, খ, গ’ ক্যাটাগরিতে বিভাজনের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (আদর্শ পরিচালন পদ্ধতি) অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন সভার সিদ্ধান্ত এবং পরিপত্রে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও পাঠ পর্যায়ে ‘ক, খ, গ’ ক্যাটাগরির আবেদনের নিষ্পত্তির হার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না পৌঁছানোয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
এছাড়া অনেক আবেদন দীর্ঘদিন ধরে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। এমনকি আবেদনের শ্রেণি বিভাজন না করেও রেখে দেওয়া হয়েছে। এতে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তাদের ১০টি অঞ্চল থেকে ক্যাটাগরি বিভাজন বা অ্যাসাইন হওয়ার পর নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তাদের শুধু তার আওতাভুক্ত আবেদন নিষ্পত্তি (অনুমোদন/আংশিক অনুমোদন/বাতিল) করতে হবে; দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার আওতাভুক্ত আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপারগ হলে আবেদন সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম (যথাযথ দলিলাদি সংযোজন ও যাচাই এবং তদন্ত/শুনানি গ্রহণ) সম্পন্ন করে পরবর্তী ধাপে পাঠাতে হবে; মাঠ পর্যায়ে তদন্ত না হলে অথবা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোনো আবেদন বাতিল করা যাবে না।
ইসি জানায়, এনআইডি সার্ভারে সাড়ে ১২ কোটির মতো নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এদের অনেকেরই এনআইডিতে নানা ভুল থাকায় সংশোধনের আবেদন পড়ছে প্রতিদিন। দ্রুততার সঙ্গে এনআইডি সংশোধন না হওয়ার কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়ছেন। জনভোগান্তি কমিয়ে এনআইডি সেবা সহজ করার জন্যই এ নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনে পাঠিয়েছে ইসি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদযাত্রা: ২ জুনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যেসব যাত্রী আগামী ২ জুন ভ্রমণ করতে চান তাদের টিকিট আজ থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ৮টায় অনলাইনে ২ জুনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩ জুনের টিকিট ২৪ মে, ৪ জুনের টিকিট ২৫ মে, ৫ জুনের টিকিট ২৬ মে ও ৬ জুনের টিকিট ২৭ মে পাওয়া যাবে।
এদিকে ঈদ পরবর্তী ফিরতি যাত্রায় ৯ জুনের অগ্রীম টিকিট ৩০ মে পাওয়া যাবে। এছাড়া ১০ জুনের টিকিট ৩১ মে, ১১ জুনের টিকিট ১ জুন, ১২ জুনের টিকিট ২ জুন, ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন এবং ১৫ জুনের অগ্রীম টিকিট ৫ জুন পাওয়া যাবে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। ঈদযাত্রার সব টিকিট কিনতে হবে অনলাইনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়া সেই ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ

জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়া সেই ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। ফলে সরকারি দপ্তর, থানাসমূহে হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়।
এ অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা আশ্রয় প্রার্থনা করেন। উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল।
এ প্রেক্ষিতে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)-সহ সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল। সে সময়ে শুধু মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশির ভাগই ১/২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।’
সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একই দিনে ১৯৩ জন ব্যক্তিবর্গের একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরন করা হয়- যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়। সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এসব ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ জন ব্যক্তিবর্গের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্যসহ) এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির সাথে সংযুক্ত করা হলো।
এ অবস্থায়, সকলকে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সাথে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদের সাক্ষাৎ, পদত্যাগ না করার অনুরোধ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা পুনর্বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সক্ষাৎ করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সাক্ষাতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ড. ইউনূস দুই ছাত্র উপদেষ্টাকেও ডেকে সংযত না হলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এ সময় তারা সংযত হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও পদত্যাগে নিজের ইচ্ছের কথা জানান। তবে উপস্থিত উপদেষ্টারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধানকে।
সূত্র: মানবজমিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেনানিবাসে ৬২৬ জনকে আশ্রয়, যা বলছে সেনাবাহিনী

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয়গ্রহণকারী ৬২৬ জনের প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অবস্থান জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে আইএসপিআরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়।
ফলশ্রুতিতে, সরকারি দপ্তর, থানায় হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়।
এমতাবস্থায়, ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকরা আশ্রয় প্রার্থনা করেন। উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল।
আইএসপিআর জানায়, এ পরিপ্রেক্ষিতে, ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
সে সময়ে শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ১/২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে গত বছরের ১৮ আগস্ট আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একইদিনে ১৯৩ জন ব্যক্তির একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়- যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়।
সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এসব ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ জন ব্যক্তির একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্যসহ) এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো।
এমতাবস্থায়, সবাইকে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
কাফি