কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মীদের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান

আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মীবৃন্দের মেধাবী সন্তানদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং সমমানের ও-লেভেল, এ-লেভেল পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের স্বীকৃতি স্বরুপ সংবর্ধনা
প্রদান করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার (২০ জানুয়ারি) আইএফআইসি টাওয়ারে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার ১১৩ জন কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে পুরষ্কার ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বৃন্দ, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধানসহ ব্যাংকের উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ ও কৃতি সন্তানদের পরিবারের সদস্যরা।

কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের প্রজেক্ট কালচার উইদাউট বর্ডারস ৪.০

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট আয়োজন করলো তাদের বহুল প্রতীক্ষিত বৈশ্বিক উদ্যোগ কালচার উইদাউট বর্ডারস ৪.০। ২০২২ সালে যাত্রা শুরু করা এই প্রজেক্ট এখন কেবল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উদযাপন নয় বরং সীমান্ত ছাড়িয়ে ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও নতুন সম্ভাবনার প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
এবারের আয়োজন নতুন মাত্রা পেয়েছে। শুধু সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীই নয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও উপস্থাপিত হয়েছে। তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্যপ্রযুক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পাট শিল্পসহ নানা খাতকে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশসহ টিউনিসিয়া, ভারত, ফিলিপাইন, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাম্বিয়া, পর্তুগাল, কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, ব্রাজিল, গিনি এবং ম্যাকাও এসএআর, চীনসহ ১৫টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অনলাইনে অংশ নেন। প্রতিনিধিরা দেখান কিভাবে সংস্কৃতি ও বাণিজ্য মিলেই হতে পারে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার সেতুবন্ধন।
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট ২০২৫ এর লোকাল প্রেসিডেন্ট সুজাউর রহমান ইমনের অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বে এবং প্রজেক্ট ডিরেক্টর গিবসন মধু এরিক ও প্রজেক্ট লিড মো. তানভীর হাসানের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় প্রজেক্টটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জেসিআই ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট, গ্লোবাল লিডার ও সিনেটররা উপস্থিত ছিলেন এবং তরুণদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন সৃষ্টির জেসিআই’র ভিশনকে আরও শক্তিশালী করে তোলেন।
সবচেয়ে আলোচিত ছিল ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত তৃতীয় সেশন, যেখানে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। বিদেশি প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখে মুগ্ধ হন এবং ভবিষ্যতে ব্যবসা ও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দীর্ঘমেয়াদি মূল্য সংযোজনের জন্য একটি অনলাইন প্রেজেন্টেশন আর্কাইভ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী, ব্যবসায়িক অন্তর্দৃষ্টি ও অন্যান্য রিসোর্স পুনরায় দেখতে পারবেন।
আয়োজনের মূল বার্তা ছিল, সংস্কৃতি আনে বোঝাপড়া, ব্যবসা আনে সুযোগ, আর দু’য়ে মিলে গড়ে ওঠে শান্তি ও সমৃদ্ধি। ২০২৫ সালের অধ্যায় শেষ করে কালচার উইদাউট বর্ডারস রেখে গেল এক শক্তিশালী বার্তা, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই যৌথ প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন ও সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি। আগামী ২০২৬ সালের পর্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮-৪০ বছর বয়সী উদ্যমী তরুণদের একটি সংগঠন। জেসিআইর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। ১২০টিরও বেশি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে। বিশ্বে এর সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআইয়ের প্রায় ৩৫টির বেশি লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে। এরমধ্যে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট সবচেয়ে বড় এবং পুরোনো।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক রিট, আদালতের দণ্ড ও জরিমানা

প্রতারণার মাধ্যমে রিট পিটিশন দাখিল করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির এবং আদালতের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগে ৬জনকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। একই সাথে মামলার বিষয়ে ভবিষ্যতে কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- এম.এ. সবুর, বশির আহমেদ, শওকত আজিজ (রাসেল), বজল আহমেদ, আহমেদ আরিফ বিল্লাহ ও সুজন চন্দ্র নাথ।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ, যা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নেতৃত্বে ছিল, তা ভেঙে দেয়। সম্প্রতি দুদকের মামলায় এই গ্রুপটির ২৩ জনের বিরুদ্ধে শেয়ার জব্দ দাবি করে আদালত নির্দেশও জারী করেন। এরপর এই গ্রুপটিরই একাংশ গত জুলাইতে ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার এবং কোম্পানিজ অ্যাক্ট, ১৯৯৪-এর ২৩৩ ধারার অধীনে পিটিশন দাখিল করে। তারা পরিচালনা পর্ষদের পুনর্গঠন, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্ডার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। রিটকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথমে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চ এজিএম স্থগিত করে আদেশ দেন। তবে, আপিল বিভাগের চেম্বার জজ পরে এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার অনুমতি দেন এবং তা কার্যকর হয়।
কিন্তু সম্প্রতি ইউসিবির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান (সুপ্রিম কোর্ট) জানান, কয়েকজন পিটিশনকারী দেশেই ছিলেন না, অথচ তারা হলফনামা জমা দিয়েছেন যেন তারা স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এতে শপথ কমিশনার এবং আদালতকে প্রতারিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডিংয়ের যোগ্যতা দেখানো হয়েছে, যা ব্যাংকের সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
ইউসিবির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবীরা যুক্তি দেন, পিটিশনকারীদের এ আচরণ প্রতারণার শামিল এবং এর মাধ্যমে ব্যাংকের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে ইউসিবি চলমান সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমানতকারীদের আস্থা পুনঃস্থাপন এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর ফল হিসেবে এ বছরের প্রথম আট মাসেই ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি নেট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি এবং ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি নতুন একাউন্ট খোলা হয়েছে, যা একটি রেকর্ড।
আদালত রায়ে পিটিশনকারীদের একই বিষয়ে নতুন মামলা দায়েরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ইউসিবিকে এবং ৩ লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও মার্শাল অফিসে জমা দিতে হবে।
রায়ের ফলে বশির আহমেদ ও তার সহযোগীদের শুধু মোটা অঙ্কের জরিমানাই বহন করতে হবে না, বরং তাদের সুনামও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ব্যাংকিং খাতে একটি শক্ত বার্তা যে কোনো ধরনের সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা এখন আদালতের কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে এবং দায়ীদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংক ও বিডিডিএন জব ফেয়ারে ৪৬ প্রতিবন্ধীব্যক্তির কর্মসংস্থান

ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগে ‘অপরাজেয় আমি’ এর অংশ হিসেবে ও বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিসঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্কের (বিডিডিএন) সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য একটি জব ফেয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এই চাকরি মেলাটি প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য মেধা ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে এক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ু
শুক্রবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এ মেলায় ৬০০ -এরও বেশি নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী এবং ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিলো ম্যানুফ্যাকচারিং, রিটেইল, ব্যাংকিং, আইসিটি, টেক্সটাইল ও উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বার্জার পেইন্টস, উর্মি গ্রুপ, টিম গ্রুপ, শিন শিন গ্রুপ, সাজিদা ফাউন্ডেশন, এ সি আই লজিস্টিকস (স্বপ্ন), এম. এম. ইস্পাহানি, ব্র্যাক ব্যাংক, বি-স্ক্যানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে নিজ নিজ নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন চাকরিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধীব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, সত্যিকারের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পায়। এই ধরনের জব ফেয়ার আমাদের দেখিয়ে দেয় কিভাবে সরকার, বেসরকারি খাত ও সহযোগী সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে অন্তর্ভুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আবদুল মোমেন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক শুধুমাত্র আর্থিক সেবাই নয়, কর্মসংস্থানের মতো শক্তিশালী সুযোগ সৃষ্টিতেও বিশ্বাস করে। কর্মসংস্থানই মর্যাদা, ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার অন্যতম মাধ্যম। এই মেলার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য প্রতিভা ও কর্মসংস্থানের এক অনন্য সমন্বয় হয়েছে।
বিডিডিএন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির বলেন, এই জব ফেয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার একটি বাস্তব অগ্রগতি। প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য দরজা খুলে দিয়ে আমরা শুধু তাঁদেরকেই নয়, জাতীয় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকেও উন্মোচন করছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিডিএন বোর্ড সদস্য ও বিইএফ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিগনেট ম্যাক্স টুনিয়ন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন, যারা অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার তৈরির এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে সাজায়, যেন সামাজিক সংকীর্ণতা এবং আর্থিক বাধা দূর করে প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং একটি অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান।
কর্পোরেট সংবাদ
হায়ারের গ্লোবাল পার্টনারশিপ: একসঙ্গে লিভারপুল ও পিএসজি

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার টানা ১৬ বছর ধরে ইউরোমনিটরে ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি বহুবছরের বৈশ্বিক অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দুটি ফুটবল ক্লাব, লিভারপুল ও প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি)-এর সঙ্গে।
জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত আইএফএ এক্সিবিশনে নতুন ব্র্যান্ড কৌশল উন্মোচনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় দুই ক্লাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় হায়ার মাঠে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও রিটেইল টাচপয়েন্টস-এ অ্যাক্টিভেশন করবে, ফানস দের জন্য এক্সক্লুসিভ এক্সপেরিয়েন্স তৈরি করবে এবং কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্ট হোম প্রোডাক্ট আনার পরিকল্পনা করেছে।
হায়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট হাইশান লিয়াং বলেন: “বিশ্বের দুই শীর্ষ ক্লাবের সঙ্গে পার্টনারশিপ আমাদের গ্লোবাল ভিশন ও ইনোভেশন-কে আরও শক্তিশালী করবে।”
লিভারপুল এফসি, প্রতিষ্ঠিত ১৮৯২ সালে, ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল ক্লাব। তাদের রয়েছে ১৯টি লীগ টাইটেল, ৬টি ইউরোপিয়ান কাপ এবং প্রায় ৫০ কোটি গ্লোবাল ফ্যানবেস। ক্লাবটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার বেন ল্যাটি বলেন: “হায়ারের গ্লোবাল রিচ আমাদের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফ্যানবেস-এর সঙ্গে মিলে যায়, আমরা একসাথে কাজ করতে উচ্ছ্বসিত।”
প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি) ফরাসি ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাব। গত ১২ মৌসুমে তারা ১০টি লীগ ১ টাইটেল জিতেছে এবং ইন্টারন্যাশনাল সুপারস্টারস নিয়ে গঠিত। ক্লাবটির চিফ রেভিনিউ অফিসার রিচার্ড হিজেলগ্রেভ বলেন: “এই পার্টনারশিপ আমাদের ফানস দের আরও কাছে নিয়ে আসবে—স্টেডিয়াম-এ এবং ঘরে।”
হায়ার ইতিমধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও টেনিস সহ বিভিন্ন খেলায় গ্লোবাল স্পনসরশিপ পোর্টফোলিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে লা লিগা, লা লিগা পর্তুগাল, রয়্যাল মরোক্কান ফুটবল ফেডারেশন এবং এটিপি ট্যুর।
বাংলাদেশে হায়ার দ্রুত পপুলার হয়ে উঠছে। স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স, মডার্ন শোরুম এবং লোকাল মার্কেটিং ইনিশিয়েটিভস-এর মাধ্যমে হায়ার এখন গ্লোবাল ইনোভেশন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের ১০ দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

এনআরবিসি ব্যাংকের দশ দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্ব) ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সনদপত্র বিতরণ করেন এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হাফিজ ইমরোজ মাহমুদ এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক মো. আবদুল্লাহ-আল-ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সেবার উৎকর্ষতা অর্জন, নিয়ম-নীতির যথাযথ পরিপালন এবং কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনামাফিক প্রশিক্ষণ আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, উপশাখা ও বিভাগের মোট ৪২ জন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। সমাপনী দিনে সেরা তিন প্রশিক্ষণার্থীকে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দশ দিনব্যাপী এই কোর্সে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম, কমপ্লায়েন্স, গ্রাহকসেবা, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।