অর্থনীতি
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ছাড়পত্র বন্ধ করা হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, এই বসাটা একটি স্বদিচ্ছার প্রকাশ। আপনাদের, আমাদের সবারই মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গিকার- দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং যাতে সহজলভ্য হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারসাজিতে কিছু কিছু জিনিসের ব্যত্যয় ঘটেছে, সে ব্যত্যয় যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে যাতে পদক্ষেপ আমরা নিতে পারি, কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল কথা হলো, বাজারে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শর্টেজ নেই। কিন্তু কিছু মধ্যস্বত্ত্বভোগী আছে, কিছু মতলববাজী যারা কারসাজি করে তারা আছে। সেই শ্রেণির কৃত্রিম একটি সংকটের কারণে আমরা এ ধরনের একটি বিপদে পড়ি। সুতরাং আপনারা আজ থেকে আশ্বস্ত হতে পারেন, যেসব মেজার্স আমরা কঠিনভাবে নেবো, ইনশাল্লাহ আমরা আশা করি শিগগিরই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
কারা বাজার ম্যানুপুলেট করছে, তাদের শনাক্ত করা গেছে কি না, এমন প্রশ্নে আব্দুর রহমান বলেন, বের অবশ্যই করছি। সেই পূর্ণাঙ্গ বের করার ব্যাপারটি সময় সাপেক্ষ। আমরা আলোচনা করছি। চিহ্নিতকরণ যখন সুনির্দিষ্ট করা যাবে, তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, লাইসেন্স বাতিল করা হবে, তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ছাড়পত্র বন্ধ করা হবে।
কিসের ভিত্তিতে আপনারা বলছেন রমজানের পণ্যের সংকট নেই? এমন প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রহমান বলেন, সব পরিসংখ্যান আছে, কোনো কিছুতে শর্টেজ নেই। টেকটিক্যাল রিজনে সেই পরিসংখ্যানের বিস্তারিত আপনাদের (সাংবাদিক) দিতে চাই না। অনুমাননির্ভর এক জিনিস, সন্দেহ করা এক জিনিস, সন্দেহের তালিকা এক জিনিস, সেটিকে সুস্পষ্ট করা আরেক জিনিস। সেই সুস্পষ্টকরণ সম্পন্ন হলেই চিহ্নিত করা যাবে কারা এরসঙ্গে জড়িত। এজন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
ডলার সংকট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রজমানের যেসব পণ্য আমদানি করি, গত বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৮টি প্রোডাক্টের যত এলসি হয়েছিল, এবার তার থেকে ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি হয়েছে। এলসি ওপেন করার সমস্যা ঠিক না। পণ্যগুলো সময় মতো দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। কোনো মধ্যস্বত্ত্বভোগী সমস্যা না করলে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।
রিজার্ভ বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, করছি-তো আমরা। আপনারা দেখছেন আমাদের যারা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স তাদের সঙ্গে মাল্টিকারেন্সি অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করছি। শুধু ডলার দিয়ে তো আমরা করছি না।
বেসরকারি খাত সংকটের মধ্যে আছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কী চলতে পারছে, আপনি কী মনে করেন? এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট সেক্টর, প্রাইভেট সেক্টর। সরকারি প্রণোদনা আর মাল্টিপল অ্যাপ্রোচ ছাড়াতো অন্য কিছু করা যায় না। তবে ব্রড সেক্টরগুলো আন্ডার কন্ট্রোলড।
এর আগে বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, রমজান আসছে। আমরা সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখলাম, কোনো শর্টেজ নেই। রজমানের সময় যেসব আইটেম লাগে। চিন্তার কোনো কারণ নেই। শর্টেজেরও কোনো কারণ নেই। কিছু মহল চেষ্টা করে কীভাবে সিচুয়েশনকে ডিস্টাবলাইজ করা যায়। যেখানে মার্কেট ইকোনমি অপারেট করছে সেখানে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, যেভাবে প্রাইস লেভেলকে ধরে রাখা যায় সে কাজগুলো সরকার করছে। আমরা মনে করি চিন্তার কোনো কারণ নাই। দরকার হলে আমরা অনেক কঠোর পদক্ষেপের দিকে চলে যাবো। দরকার হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দিকে যাবো, কাউকে ছাড় দেবো না।
এখনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, না। এখনো হয়নি।
তাহলে জরুরি বৈঠকের কারণ কী? সাংবাদিকরা এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর ন্যাচারালি সবাই বলছে কী করছেন, কী করলেন?
আপনাদের টার্গেট কি শুধু রমজান? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু রমজান না, রমজান নিয়ে চিন্তা আছে মানুষের মধ্যে, সেজন্য।
চালের দাম বাড়ানোর পর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে, এটি জানানোর পর অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আলোচনা করছি, দেখছি। দেখেন আপনারা। এরই মধ্যে দাম কমেছে।
ব্যবসায়ীরা এখন ট্রাক নিয়ে জমি থেকে আলু তুলছে। তাদের লাভ হচ্ছে। বাজারে মনোপলি হচ্ছে, সেখানে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অ্যাকশনে যাচ্ছি।
জিনিসপত্রের দাম কত দিনের মধ্যে কমবে, এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেভাবে এটা কখনোই বলা সম্ভব না।
আমদানিকে প্রাধান্য দেবেন কি না, এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, দরকার হলে আমদানি করতে হবে, এখনো এ রকম কিছু হয় নাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বাংলাদেশকে ২৪১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে আইডিবি

বাংলাদেশকে ২৪১ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ দেবে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)। বৃহস্পতিবার (২১ মে) আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে আইডিবির পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ সরকার ও আইডিবির মধ্যে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
‘কন্সট্রাকশন অফ ফাইভ ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট ব্রিজ ইন ময়মনসিংহ ডিভিশন, বাংলাদেশ (বিজিডি ১০৯৬)’ শীর্ষক প্রকল্পে এ ঋণ দিচ্ছে আইডিবি।
এ ঋণচুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. রামি আহমেদ স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরকালে আইডিবিতে বাংলাদেশ সরকারের বিকল্প গভর্নর মোহাম্মদ হাসান আরিফ; আলজেরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স রাশেদ আহমেদ এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আল জাসের উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে ৫টি জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল সেতু নির্মাণের ফলে ময়মনসিংহ বিভাগের প্রত্যন্ত এলাকায় সুনামগঞ্জ-জামালপুর সীমান্ত সড়ক এবং শ্যামগঞ্জ-দুর্গাপুর সীমান্ত সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা, পরিবহন সুবিধা, সড়ক নিরাপত্তা, শিক্ষার প্রসার, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিসহ দারিদ্র ও সামাজিক বৈষম্য হ্রাস সম্ভব হবে।
আইডিবি বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনুদান, প্রকল্প ঋণ, বাণিজ্য অর্থায়ন, বেসরকারি খাতের অর্থায়ন, রপ্তানি ঋণ গ্যারান্টি ইত্যাদির মাধ্যমে অব্যাহত সহায়তা প্রদান করে আসছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক লাফে তেলের দাম ৩৫ টাকা বাড়াল টিসিবি

সারাদেশে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে এবার সংস্থাটি সকল পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বাড়তি দামেই কিনতে হবে তাদের পণ্য। যদিও বাজার মূল্য থেকে অনেক কম দাম রয়েছে এসব পণ্যের। বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে এ পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
দেশব্যাপী প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। এসব পণ্যের মধ্যে প্রতি লিটার তেলে ৩৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে, প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে টিসিবি। টিসিবি জানিয়েছে, যেকোনো সাধারণ ভোক্তা ঈদের পণ্য কিনতে পারবেন বিশেষ ট্রাকসেলে।
তবে বৃহস্পতিবার থেকে ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন-আয়ের পরিবারের মধ্যে পূর্বের মূল্যেই টিসিবির পণ্য বিক্রি হবে। বাড়তি দাম শুধু কার্ডধারী ছাড়া যেকোনো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য।
দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে টিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার টিসিবির পণ্য বিক্রিতে বড় ভর্তুকি দিচ্ছে। সে খরচ কমাতে দাম কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। সে বাড়তি দামও সমন্বয় করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ কার্যক্রমের পাশাপাশি যেকোনো ভোক্তার কাছে সারাদেশ প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি বিক্রি হবে। ঢাকায় ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি, ছয়টি বিভাগীয় শহরে ১০ টি করে অবশিষ্ট ৫৬ জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাক থাকবে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম ২২ মে থেকে শুরু হয়ে ৩ জুন পর্যন্ত (শুক্রবার ও ছুটির দিনসহ) চলমান থাকবে।
ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবারও বাড়ল সোনার দাম

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বেড়েছে। এবার ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৭ মে দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৮ মে থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর ৩৬ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৪ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদ উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু বৃহস্পতিবার

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে তিনটি পণ্য বিক্রি করবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সংস্থাটি ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করবে। টিসিবির পরিবার কার্ড ছাড়াই যেকোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। তবে কার্ডধারীদের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি পড়বে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ৩ জুন পর্যন্ত এ বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। শুক্রবার ও ছুটির দিনেও পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। বুধবার (২১ মে) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় টিসিবি।
সারা দেশে প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি, অন্য ছয়টি বিভাগীয় শহরে ১০টি করে এবং অবশিষ্ট ৫৬টি জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১৩৫ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৮০ টাকা ও চিনি ৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।
যদিও টিসিবির কার্ডধারীদের চেয়ে এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেশি, তবে বাজারমূল্য থেকে কম। টিসিবির কার্ডধারীদের কাছে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সারা দেশে স্মার্ট কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করে আসছে টিসিবি। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি পণ্য বিক্রি করবে সংস্থাটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আগামী মাসে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: গভর্নর

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যার জন্য সময় প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।