শিল্প-বাণিজ্য
রুপিতে বাণিজ্য বাড়াতে চায় ভারত
রুপিতে বাণিজ্যের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা আরও বাড়িয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রণয় ভার্মা এ কথা জানান।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) শিল্পমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এসএমই খাতকে দু’দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একে অন্যের কাছ থেকে শিখতে পারি। আমরা রুপিতে বাণিজ্যের যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তা আরও বাড়িয়ে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভারত অন্যান্য দেশ থেকে যেসব দ্রব্য আমদানি করে, তার মধ্যে যেগুলো বাংলাদেশে পাওয়া যায় সেগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনসহ (আইটিইসি) ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিদের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ছে।
এনসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা টেকনোলজি খাতে এবং সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল সরবরাহের জন্য ভারতের সহযোগিতা নিতে পারি। বাংলাদেশের বিএসটিআই এবং বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সঙ্গে ভারতের সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা দরকার।
সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের সার কারখানাগুলোতে সার উৎপাদিত হচ্ছে এবং আমদানিকৃত সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে সারের কোনো সংকট হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
শিল্প উপদেষ্টার সঙ্গে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরীর (পারভেজ) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শিল্প ভবনে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে উপদেষ্টাকে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ হতে ‘আমার পণ্য আমার দেশ’ লোগো সম্বলিত একটি স্যুভেনির উপহার দেওয়া হয়।
সভাপতি বিসিআই প্রথমে উপদেষ্টাকে বিসিআইর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তিনি বিসিআইর পরিচালনা পর্ষদের সকলকে উপদেষ্টার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। অত:পর বিসিআই সভাপতি শিল্প খাতে বর্তমান চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে জ্বালানি সংকট (গ্যাস বিদ্যুৎ) বিষয়ে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
বিসিআই সভাপতি বলেন, শিল্প উৎপাদন ব্যহত হলে তার প্রভাব অন্নান্য খাতেও পড়ে বিশেষ করে সেবা খাত, কৃষি খাত ইত্যাদি। তিনি ব্যবসা ক্ষেত্রে ক্রমাগত ব্যাংক সুদহার বৃদ্ধি, এনবিআর কর্তৃক এইচএস কোড জটিলতা, কারখানা বন্ধ থাকায় মালিকদের বেতন দিতে সমস্যা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ইত্যাদি বিষয়সমূহ উপদেষ্টার নজরে আনেন। তিনি বিসিআই-শিল্প মন্ত্রনালয় এক সাথে শিল্প মেলা আয়োজন, বাংলাদেশ থেকে হালাল পণ্য রপ্তানীর সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যাবহার এবং হালাল সার্টিফিকেট প্রদানে বিসিআইকে অনুমতি প্রদান করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেন।
তিনি শিল্প ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব দূরকরণে এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপকের অভাব পূরনে প্রশিক্ষন কারিকুলাম ও যন্ত্রপাতি চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপডেট করার বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বে-সরকারি খাত এক সাথে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিল্প মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে মাননীয় উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
সভায় উপস্থিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বিসিআই সভাপতির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় আপনার বিষয় সমূহ সমাধানে নিজে এবং অন্নান্য মন্ত্রণালয়কেও সমস্যা সমূহ সমাধানে উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সুপারিশ করবেন। তিনি বিসিআইর সাথে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যাক্ত করেন।
উপদেষ্টা বিসিআইর পরিচালকদের বক্তব্য শোনেন এবং বলেন, দেশের শিল্প সমূহের অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। আমরা চাই দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাক দেশীয় শিল্প যাতে টিকে থাকতে পারে সে জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। দক্ষ কর্মী তৈরীর ক্ষেত্রে কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন ও দক্ষ প্রশিক্ষক সৃষ্টিতে আমরা আপনাদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আহবান করছি। আমি শিল্প মালিকদের কাছে আহবান করবো যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায় এর জন্য রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা করবে। তিনি শ্রমিক-মালিক সু-সম্পর্ক বজায় রেখে শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনার আহবান জানান এবং সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। পরিশেষে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় বিসিআইর উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পবিচালকবর্গ, ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা, জিয়া হায়দার মিঠু, শাহ আলম লিটু, মো. খায়ের মিয়া, মো. সেলিম জাহান, মো. মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন, এনডিসি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মো. সলিম উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শোনার এবং বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিবকে বিসিআই সভাপতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্যারিস আন্তর্জাতিক খাদ্য মেলা শুরু
ফ্রান্সের প্যারিসের অদূরে পাঁচ দিনব্যাপী ৬০তম প্যারিস আন্তর্জাতিক খাদ্য মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে।
প্যারিস নর্ড ভিলেপিন্ট প্রদর্শনী কেন্দ্রে ১৯ অক্টোবর শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ৬০০টি ফরাসিসহ সাড়ে সাত হাজারের বেশি স্টল থাকছে এ মেলায়। ২০৫টি দেশ প্রতিনিধিত্ব করেছে এতে।
স্ব স্ব দেশ তাদের পন্যের প্রদর্শনী, মতমিনিময় ও অর্ডার সংগ্রহ করে থাকে।
এবার মেলায় বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২টি স্টল নিয়েছে প্রাণ ও সিটি গ্রুপ। তবে অন্যান্য অনেক কোম্পানীকে বিচ্ছিন্নভাবে ভিজিটর হিসাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। শুধুমাত্র প্রান গ্রুপ প্রতি বছরের ন্যায় এবার বেশ বড আকারে স্টলসহ অংশগ্রহণ করে। এতে সিটি গ্রুপ প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে পোশাক শিল্প এখন স্থিতিশীল: বিজিএমইএ
পোশাক শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে বর্তমানে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে। সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতায় বিজিএমইএ বোর্ড বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
আজ শনিবার উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সবাই আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। তার জন্য বিজিএমইএ বোর্ড সরকার
ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তাছাড়া ক্রেতারাও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর আস্থা রেখেছে। বিজিএমইএ বোর্ডের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারের নির্দেশনায় পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গঠন হয়েছে এবং যৌথবাহিনী গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিতভাবে টহল পরিচালনা করেছে। বিজিএমইএ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং চালু করেছে।
তিনি আরও বলেন, পোশাক কারখানাগুলোতে আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বিজিএমইএ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিজিএমইএ বোর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও দেখা করেছে। তারপর বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতনভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম অসন্তোষে আশুলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বেতনভাতা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না। বিজিএমইএ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ৩৯টি পোশাক কারখানাকে সুদবিহীন সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ সময় বোর্ডের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পিটার হাসের নেতৃত্বে পেট্রোবাংলায় এক্সিলারেটের প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ দেখিয়েছে এক্সিলারেট এনার্জি। এ বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে বুধবার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে মার্কিন কোম্পানিটির একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছে। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া পিটার ডি হাস, যাকে সম্প্রতি এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশনে টার্মিনালের সংখ্যা আরো বাড়াতে চায় এক্সিলারেট। আর পেট্রোবাংলা চায় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে মহেশখালীতে এলএনজির ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণ করতে। তাই অন্যান্য কোম্পানির মতো এক্সিলারেট এনার্জিকেও সেখানে অংশ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি সরবরাহের জন্য পেট্রোবাংলার মাস্টার সেলস পারচেজ এগ্রিমেন্টে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অফশোর বিডিং রাউন্ডে কীভাবে এক্সিলারেট সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে।
রাজধানীর পেট্রোসেন্টারে এক্সিলারেটের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খান, পরিচালক (প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম। জানতে চাইলে প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সিলারেট এনার্জির প্রতিনিধি দলের সৌজন্য বৈঠক হয়েছে। এটি নিয়মিত বৈঠকের একটি অংশ বলা চলে। আগামীতে পেট্রোবাংলার এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, স্পট এলএনজি কার্গো আমদানি এবং অফশোর বিডিং হবে। এগুলোয় তাদের (এক্সিলারেট এনার্জি) অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যান্য কোম্পানির মতো তারাও যাতে অংশ নিতে পারে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, পটুয়াখালীর পায়রায় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ আইনে (বিশেষ আইন) করা টার্ম-শিট চুক্তি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত সপ্তাহের এ চুক্তি বাতিলের বিষয়টি এক্সিলারেট এনার্জিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয় পেট্রোবাংলা। এ কারণেই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে পেট্রোবাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষ আইনের আওতায় সামিটের সঙ্গে করা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছে পেট্রোবাংলা। এখন নতুন করে কক্সবাজারের মহেশখালী, পটুয়াখালীর পায়রা ও মাতারবাড়ীর স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে। এসব দরপত্রে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিকে অংশ নিতে বলা হয়েছে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য বর্তমান যে তালিকা করা রয়েছে, সেটি আবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে। এক্সিলারেট চাইলে নতুন তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
মহেশখালীতে বর্তমানে এক্সিলারেট এনার্জির একটি টার্মিনাল রয়েছে। এর মাধ্যমে তারা দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। পেট্রোবাংলার সঙ্গে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হয় গ্যাস সরবরাহ। পেট্রোবাংলার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ১৫ বছর মেয়াদি গ্যাস চুক্তি রয়েছে।
দেশে দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি সরবরাহের জন্য গত বছরের নভেম্বরে পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সিলারেট এনার্জি চুক্তি করে। সে অনুযায়ী, এক্সিলারেট এনার্জির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট গ্যাস মার্কেটিংয়ের কাছ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে শূন্য দশমিক ৮৫ থেকে এক এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করবে সরকার। এক্সিলারেট ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
তিনদিনে ভারত থেকে এলো ৫৯৩ টন কাঁচামরিচ
তিনদিনে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৮০৬ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। তারপরও যশোরের সব খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা। কারণ হিসেবে দুর্গাপূজার জন্য টানা পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি বাড়লেও আড়তে তেমন কমেনি কাঁচামরিচের দাম। পাঁচদিন বন্দর বন্ধ থাকবে জেনে কাঁচামাল গুদামজাত করে দাম বাড়িয়েছেন আড়তদাররা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বেনাপোল ও শার্শার একাধিক বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও এসব বাজারে ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি। আজ তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে বেনাপোল বন্দরে কয়েকগুণ বেড়েছে কাঁচামরিচের আমদানি। গত সোমবার একদিনে ৫০ ট্রাকে ৫৮২ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ ট্রাকে ১৪৪ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাকে ৮০ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়।
আমদানিকৃত এসব কাঁচামরিচের ক্রয় থেকে শুরু করে শুল্ক-কর মিলিয়ে খরচ পড়ছে ৯৬-১০০ টাকা কেজি। অথচ যশোরে বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি দরে।
বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, পেঁয়াজে তেমন পড়তা না থাকায় এখন কাঁচামরিচ আমদানি করছি। বর্তমানে মরিচ আমদানি বেশি হচ্ছে। বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ভাবটা অচিরেই কেটে যাবে। গত তিনদিনে প্রায় ৬৭ ট্রাকে ৮০৬ টন মরিচ আমদানি হয়েছে এ বন্দরে দিয়ে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াসিন জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রশিদ, মূল্য তালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, ভারত থেকে তিনদিনে ৮০৬ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে এ বন্দরে দিয়ে। বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন আমদানিকারকরা। পচনশীল পণ্য হিসেবে আমরা দ্রুত খালাস দিয়ে থাকি। দামের বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।