ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নিকাব না খোলায় মৌখিক পরীক্ষা দেয়া হলো না ইবি ছাত্রীর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা পরীক্ষায় নেকাব খুলতে বলায় ভাইভায় নেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তুবার। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ভাইভায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
বিভাগটির এক সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর বিভাগটির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ভাইভায় নেকাব পরে অংশ নেয় এক ছাত্রী। এ সময় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন। এ সময় তিনি নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রয়োজনে নারী শিক্ষকের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ভাইভা বোর্ডের সকল শিক্ষকদের সিদ্ধান্তে নেকাব পরিধানরত অবস্থায় ভাইভা নিতে অস্বীকৃতি জানায় শিক্ষকগণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর আমাদের ফার্স্ট ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষার ভাইভা ছিল। আমি আগে থেকেই নেকাব পড়ি তো ওইদিন নেকাব পড়েই ভাইভায় গিয়েছিলাম। তো স্যাররা বলল আমাকে নেকাব না খুললে ভাইভা দিতে দিবে না। তারপর আমি নেকাব খুলতে অসম্মতি জানাই। আইডিন্টিফিকেশনের জন্য নারী শিক্ষক দিয়ে আইডেন্টিফাই এর ব্যাপারে বলেছিলাম। একজন ম্যাম উপস্থিত থাকার পরেও আমাকে আলাদাভাবে নারী শিক্ষক দিয়ে আইডিন্টিফাই করতে অসম্মতি জানায় ভাইবা বোর্ড।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরো জানান, শিক্ষকরা এমনও বলছে যে নেকাব না খুলে ভাইবা নিতে দিবে না এবং পরীক্ষায় ফেইলও করতে পারো সেজন্য। আমি বারবার রিকুয়েষ্ট করার পরও স্যাররা এ বিষয়ে সম্মত হয় নি। স্যারদের মূলত উদ্দেশ্য ছিল যেনো আমি নেকাব খুলে ভাইভা দেই। তাদের আইডিন্টিফিকেশনের কোনো ইনটেনশনও ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভাইভা বোর্ডে তাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান থেকে একাধিকবার বোঝানো হয়েছে। প্রথম দফায় প্রায় ২৫ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় এসেও সে নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানায়৷ পরবর্তীতে আমরা তার বাবাকেও ইনফর্ম করি। তিনি তার সন্তানকে আরেকটি সুযোগ দিতে বলেন। সে অনুযায়ী ক্যাম্পাস খোলার পর ১৭ জানুয়ারি সে ৩ জন বান্ধুবী নিয়ে ভাইভা দিতে এলেও পরিচয় শনাক্তে অস্বীকৃতি জানায়। সেদিনও সে চাইলে ভাইভা দিতে পারত কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় তার ভাইভা নেওয়া হয়নি।
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শিমুল রায় বলেন, রেজাল্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত তার ভাইভা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি কিন্তু তাকে রাজি করাতে পারিনি। আমরা তাকে বলেছিলাম যে ভবিষ্যতে যদি নারী শিক্ষিকা কেও না থাকে, তখন তাকে সেভাবেই ভাইভা দিতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই তার নেকাব খোলানো ছিল না। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল তাকে শিক্ষর্থী হিসেবে চিহ্নিত করা।
পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক উম্মে সালমা লুনা বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা তো এডমিশন টেস্টে মুখ, কান খুলেই এক্সাম দিয়েছেন। আমাদের ক্লাসরুমেও অনেক শিক্ষার্থী নেকাব পড়ে। আমরা কখনোই তাদের বিরূপ কিছু বলি না। এখন, ভাইবার দিন ওই শিক্ষার্থীকে দুই দফায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বোঝানো হয়েছে। কিন্তু সে রাজি হয়নি।
ফিমেল টিচার দিয়ে আইডিন্টিফাই করার প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রশাসন কাছ থেকে এমন লিখিত কোন নির্দেশনা পায়নি। প্রশাসন যদি এ ব্যপারে কোন নির্দেশনা দেয় তবে আমরা অবশ্যই তা পালন করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিন বলেন, মানুষ ধর্ম কর্ম করবে আমরা সেখানে বাধা দিবো না। তবে যে-কোনো ফ্যাকাল্টি ই হোক না কেনো তাকে ভাইভায় আইডিন্টিফাই করার ব্যবস্থায় আসতে হবে। যেভাবেই হোক না কেনো। অনেকে আছে যারা নারী শিক্ষক ছাড়া করতে চায় না সেক্ষেত্রে নারী শিক্ষক দিয়ে করানো হবে।
যদি বোর্ডে ফিমেল টিচার না থাকে সেক্ষেত্রে জানতে চাইলে বলেন, সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা আছে। তার বান্ধবীরা থাকবে বা কোনো ম্যামকে এনে তা করা যাবে। এইজন্য যে আমরা পরীক্ষা নিবো না বা পরীক্ষা নেয়া যাবে না বিষয়টা এমন না।
এদিকে, ২১ জানুয়ারি (রবিবার) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরেউক্ত ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখা।
এ সময়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমিন বলেন, ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দাকে অবমাননা করা হয়েছে যেখানে আল্লাহ পর্দাকে ফরজ বিধান বলে গণ্য করেছেন। যে এ বিধান অমান্য করবে সে মুসলিম থাকতে পারে না। নামাজ, রোজা যেমন ইসলামের বিধান তেমনই পর্দা নারীদের জন্য করণীয় বিধান। এটাকে আমরা অপদস্ত হতে দিতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট আবেদন থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য যেন বজায় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় যে উদ্দশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে তা যেনো বজায় থাকে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা কেউ যেন ঘটাতে না পারে।
অর্থসংবাদ/কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া ফের শুরু

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রাতিষ্ঠানে এক লাখেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগের আবেদনপ্রক্রিয়া আবারও শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন।
এর আগে বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৮টা থেকে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত করা হয়। জরুরি কারিগরি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আবেদন স্থগিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
জানা গেছে, সারাদেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এক লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ২২ জুন থেকে শুরু হওয়া এ আবেদন ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল।
আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ জুলাই পর্যন্ত। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে এর আগেই তা স্থগিত করা হয়।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই শহীদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ইবি বৈবিছাআ’র মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী গ্রামে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত, ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল এবং মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা।
বুধবার (২ জুলাই) দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শৈলকূপার চড়ুইবিল গ্রামে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল, জুলাই আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা গেছে, উপাচার্যের নিজস্ব ফান্ড থেকে জুলাই বিপ্লবে আহত মোট ১১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫৮ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে, আজকের আয়োজনের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাসব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই হাজার গাছ রোপণ’সহ মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবেন।
কবর জিয়ারত শেষে সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তাই শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আমাদের মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছি। শহীদ সাব্বির ১৮ জুলাই ঢাকায় উত্তরাতে কর্মরত ছিল। দুপুর ২ টা নাগদ তার বসের সাথে আন্দোলনে বের হয়েছিল এবং গুলি তার গলা ছেদ করে বের হয়ে যায়। এভাবে শৈলকূপার চড়ইবিল গ্রামের সাব্বির আমাদের ভাই শহীদ হন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন,আজকের এই দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে জুলাই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে প্রায় পনেরো বছরের স্বৈরশাসককে সরাতে গিয়ে আন্দোলনে আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। আজ শহীদদের জন্য দোয়া শেষে তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আজকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মৃতি রক্ষা করবে। জুলাই বিপ্লব হয়েছিল বৈষম্য দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য। এই গাছগুলো আমাদের শপথের সাক্ষী হয়ে থাকবে। আমরা অন্যায়কে দূরীভূত করব, সত্য প্রতিষ্ঠা করবো, ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠন করবো, নতুন বাংলাদেশ গড়বো।
জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীদের অনুদানের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে অনুদান দিয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য এবং যারা জুলাই বিপ্লবের অংশগ্রহণ করেছে আগামী দিনে তাদের জন্যও সুবিধার কথা খেয়াল রাখবো এবং তারা সবসময় আমাদের বিবেচনায় থাকবে। জুলাই আগস্ট যেনো আমাদের আদর্শ হয়। পরিবর্তিত বাংলাদেশে জুলাই আগস্টের ত্যাগ ও আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করি।
দিনব্যাপী কর্মসূচির কবর জিয়ারত অংশে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ। পরবর্তী কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: ওবায়দুল ইসলাম, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়কসহ অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মচারী, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, সহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইউজিসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইবি উপাচার্যের চীন সফর

বাংলাদেশে চীন দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চীন সফরে যোগদান করবেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আগামী ৬ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত (ভ্রমণ সময় ব্যতীত) মোট ৬ দিনের সফরে যাচ্ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত পহেলা জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল খরচ বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন দূতাবাস বহন করবেন। এতে বাংলাদেশ সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আর্থিক সম্পৃক্ততা থাকবেন না। মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কর্মস্থলে যোগদান করবেন। ভ্রমণের একটি প্রতিবেদন তাঁর প্রত্যাবর্তনের ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এছাড়া উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ইয়াকুব আলী উপাচার্যের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু জানান, উপাচার্যের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ তারিখে উপাচার্যের সফরে যাবেন। তিনি উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির চেয়ারম্যানের অধীনে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাচ্ছেন।
ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ জানান, উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির অধীনে একটা বড় প্রতিনিধিদল নিয়ে চীন সফরে যাওয়া হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ সঙ্গে থাকবেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ১৮ হলে ফার্স্ট এইড বক্স বিতরণ করলো ছাত্রশিবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ফার্স্ট এইড বক্স বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আজ বুধবার (২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিটি হলের প্রতিনিধিদের হাতে এসব ফার্স্ট এইড বক্স তুলে দেন ঢাবি শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা সেক্রেটারি মুহিউদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, বিজ্ঞান সম্পাদক ইকবাল হায়দারসহ শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতেই ফার্স্ট এইড বক্স সরবরাহ করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মৌলিক দায়িত্ববোধ থেকেই ছাত্রশিবির তার ছাত্রকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের তারিখ ঘোষণা

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ১৮ জুলাই (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষা ওইদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
বুধবার (২ জুলাই) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার হল, আসনবিন্যাস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) প্রকাশ করা হবে।
অনুষ্ঠিতব্য এই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে মোট তিন হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ২ হাজার ৭০০ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩০০ জন।
এর আগে, ২০২৩ সালে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ বিসিএসের আওতায় ৩৯তম ও ৪২তম বিসিএসে নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রায় ৯ হাজার চিকিৎসক।
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানের সময়সীমা ছিল ১ জুন সকাল ১০টা থেকে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিশেষ এই বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা হবে মোট ৩০০ নম্বরের। এর মধ্যে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য।
এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রার্থীরা দুটি ভাগে পরীক্ষা দেবেন। পেশাগত বিষয়ে থাকবে ১০০ নম্বর, আর সাধারণ বিষয়ে থাকবে বাকি ১০০ নম্বর। সাধারণ বিষয়ের নম্বর বণ্টন হলো— বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, গাণিতিক যুক্তি ১০ ও মানসিক দক্ষতা ১০ নম্বর।
দুই ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। আর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রার্থীকে অন্তত ৫০ নম্বর পেতে হবে।
কাফি