জাতীয়
দেশে গ্যাস সংকট কমার আভাস প্রতিমন্ত্রীর

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস-সংকট আগামী দু’একদিনের মধ্যে কমে যাবে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মহেশখালীর এলএনজি এফএসআরইউয়ের কারিগরি ত্রুটির কারণে সরবরাহ না থাকায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট শুরু হয়। তবে ওইদিন রাত থেকে পাইপলাইনে সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রাহকরা গ্যাস পেতে থাকেন। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকে। তবে দুপুর ১২টার পর গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে।
অন্যদিকে কারিগরি ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শীতের সময় গ্যাসের সংকট এমনিতেও থাকে। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্রাহক এলপিজি ব্যবহার করেন। বাসা-বাড়িতে চুলায় গ্যাসের সংযোগ খুব অল্প। চুলায় গ্যাস ব্যবহার করে ঢাকা এবং এর আশেপাশের কিছু অংশ, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশের মানুষ। বিস্তীর্ণ এলাকায় আমরা প্রায় সাড়ে সাত লাখ গ্যাসের অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করেছি। তারপরও আবার নতুন করে অবৈধ লাইন চালু হচ্ছে। এ কারণে একটা বিরাট এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
সব গ্রাহকদের মিটারের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এরই মধ্যে সাড়ে চার লাখ গ্যাস মিটার লাগানো হয়ে গেছে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে আগামী তিন বছরের মাথায় সব জায়গায় গ্যাসের মিটার চালু করা। আমরা বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম গ্যাস মিটার স্থাপন করতে। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের জন্য সেটি করতে দেরি হয়েছে। সে সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমাদেরকে বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান ফাইন্যান্স করছে। এরই মধ্যে জালালাবাদে ৫০ হাজার মিটার, কর্ণফুলীতে আড়াই লাখ মিটার এবং ঢাকায় সাড়ে ৪ লাখ মিটার লাগানোর কাজ চলছে। আমরা চাইছি এলপিজির পরিধিটা আরও বাড়াতে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপিজি এখন বাসা-বাড়ি এবং গাড়িতেও ব্যবহার হচ্ছে। অনেকে এর দাম কম-বেশি নিয়ে কথা বলেন। আমরা একটা মানদণ্ড ধরে দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছি। বিশ্ববাজারে এলপিজির দামের ওপর ভিত্তি করে দেশীয় বাজারে দাম নির্ধারণ করা হয়। এখন বিশ্ববাজারে দাম কিছুটা কম বলেই বাজারে কিছুটা কম দামে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে। আমি সবাইকে আবারও অনুরোধ করব, আপনারা ধৈর্য ধরুন। আমরা শিগগিরই বাসা বাড়িতে মিটার লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সংযোগের চেষ্টা করছি।
কতদিনে এ সংকট সমাধান হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এ সংকটের সমাধান হবে। এটা আমাদের অনেক আগের একটা পরিকল্পনা। আমাদের প্রায় ২০ লাখ মিটার বসাতে হবে। প্রায় ৫ থেকে ৭ বছর আগে জাইকা আমাদের এ প্রকল্পে ফান্ড দিয়েছিল। এখন নতুন করে অর্থের সম্ভাবনা পাওয়ায় আমরা আবার কাজ শুরু করেছি।
শীতকালেও লোডশেডিং কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে গ্যাসের ডিমান্ড প্রায় ৩৮০০ এমএমসিএফডি। আমরা এখন সরবরাহ করতে পারি ৩২০০ এমএমসিএফডি গ্যাস। এখানে আমাদের শিল্পকারখানা ও বিদ্যুৎ-এর ক্ষেত্রে একটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন গ্যাস না থাকায় পাওয়ার প্লান্ট কিছুটা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ কারণে আমাদের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি আজ-কালের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বৃষ্টিতে ভিজে আন্তঃক্যাডারদের মানববন্ধন

প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলকভাবে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ডিএস পুলের কোটা বাতিল ও সকল ক্যাডারের সমতা বিধানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২০ মে) আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহ্বানে ঢাকায় কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫ ক্যাডারের সদস্যরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১২জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অথচ, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, সরকারি বিধি-বিধান ভঙ্গ করে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি করেছেন, মিছিল করেছেন। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
কয়েকদিন আগে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে। ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেন, একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারের গোষ্ঠী-স্বার্থে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিসংখ্যান, ডাক, পরিবার-পরিকল্পনা, কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সময় আরও বলা হয়, পক্ষপাত দুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়া একটি ক্যাডারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা জানিয়েছিলেন যে, “এটাই চূড়ান্ত নয়, ঐকমত্য কমিশনে দাবি জানাবেন।”
অন্যদিকে ঐকমত্য কমিশন নিজেরা কিছু না করে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছেন। জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল সার্ভিসের দাবিকে অগ্রাহ্য করে, একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থে ৫৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তার দাবিকে উপেক্ষা করা হলে, তা প্রত্যাখ্যান করবে পরিষদ। এসময় পরিষদের পক্ষ থেকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় (ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার) বাস্তবায়ন, উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ , সকল ক্যাডারের সমতা বিধান ও বিভিন্ন ক্যাডারে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত নিরসনের আহ্বান জানানো হয়।
তারা বলেন, ডিএস পুলের কোটাকে কোনভাবেই মেনে নেবে না পরিষদ। এটা জুলাই বিপ্লবের সাথে সাংঘর্ষিক। কোটা বজায় রাখার জন্য এদেশের এত ছাত্র-জনতা জীবন দেন নাই। জুলাই পরবর্তী সকল কোটার অবসান হয়েছে, ডিএস পুলের কোটাও বাতিল করতে হবে। জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল প্রশাসনের দাবিতে পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে কর্মকর্তারা দৃঢ়তা প্রকাশ করেন। আগামী ২৬ মে তারিখের মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২৭ ও ২৮ মে তারিখে অর্ধদিবস (সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত) কলমবিরতি কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, পরিষদের পক্ষ থেকে একই দাবিতে গত ২ মার্চ তারিখে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। এছাড়াও, গতবছর ২৪ ডিসেম্বর তারিখে সারাদেশে ১ ঘন্টার কলম বিরতি কর্মসূচি ও ২৬ ডিসেম্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। আজ সকালে এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্টারলিংক বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে দুটি ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করেছে- রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। এই প্যাকেজগুলোর মাসিক মূল্য যথাক্রমে ৬ হাজার টাকা ও ৪ হাজার ২০০ টাকা।
সংযোগ গ্রহণের জন্য গ্রাহকদের এককালীন ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি হার্ডওয়্যার কিট কিনতে হবে, যেখানে থাকবে স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড এবং প্রয়োজনীয় ক্যাবল।
এই প্যাকেজগুলোতে কোনো নির্ধারিত ডেটা সীমা নেই এবং ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস গতিতে ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। স্টারলিংকের এই সেবা দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে।
এদিকে খরচ কিছুটা বেশি হলেও স্টারলিংক প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য একটি উচ্চমান ও উচ্চগতির টেকসই ইন্টারনেট সেবার বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক বা দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে এই সেবা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও এনজিও, ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা সারা বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য উচ্চগতির সংযোগ ব্যবহার করতে পারবেন- যা তাদের কর্মদক্ষতা ও কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এদিকে স্টারলিংকের প্রতিটি ডিভাইসের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে দেশে নতুন টেলিগ্রাম সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রথমবারের মতো স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে প্রবেশ করলাম আমরা। স্টারলিংকের ডেটার লিমিট থাকবে না। আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উপদেষ্টাদের জন্য ২৫ গাড়ি কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল সরকার

উপদেষ্টা বা মন্ত্রী ও সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য ২৫টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই গাড়ি কেনার জন্য নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে তিনটি প্রস্তাব উপস্থানের জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়নি। বাকি দুটি প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রস্তাবে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে এবং একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়নি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা বা মন্ত্রী ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য ২৫টি গাড়ি কেনার জন্য নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়। তবে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেয়নি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আ. লীগের দোসর আমলাদের তালিকা প্রকাশ করলো জুলাই ঐক্য

আওয়ামী পুনর্বাসন ঠেকাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’ সচিবালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) জুলাই ঐক্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এ সময় শহীদ মুহতাসির রহমান আলিফের বাবা মোহাম্মদ গাজীউর রহমান তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম পড়ে শোনান।
তালিকায় ৪৪ জন আমলার নাম রয়েছে, যাদের আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা হলেন-
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমূল আহসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহানা আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এমদাদুল্লাহ মিয়া, ভূমি আপিল বোর্ডের সচিব মো. ইব্রাহিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. নাজমা মোবারেক, ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন সদস্য মো. রুহুল আমিন, দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন চেয়ারম্যান মো. আমিনুল আহসান, বিপিএটিসি র্যাকটর সচিব সাঈদ মাহবুব খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. মোকাব্বের।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাহদুর রহমান, জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির রেক্টও (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব, এ.এইচ.এম শফিকুজ্জামান,জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসারন আফরোজ।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (চুক্তিভিত্তিক) মোহাম্মদ জয়নুল বারী, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান (চুক্তিভিত্তিক) মো. মুসলিম চৌধুরী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী।
বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক (সচিব) শরিফা খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), জাহেদা পারভীন, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, প্লানিং কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) এ.এম আকমল হোসেন আজান, প্লানিং কমিশনের সদস্য, ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংযুক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) গাজী মহম্মদ সাইফুজ্জামান, বাংলাদেশ চিনিও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ডক্টর লিপিকা ভদ্র।
জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. আব্দুল কাইয়ুম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুরোতে চুক্তিভিত্তিক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সালেহ আহমেদ মোজাফফর, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) কেথ্য খান, জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ বাপহুল আলেম।
ওয়াশিংটন ডিসির অতিরিক্ত সচিব ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) কাজা এনামূল হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মো. মামদুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইঞ্জিনে আগুন ধরা তার্কিশ ফ্লাইটের নিরাপদ অবতরণ শাহজালালে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, তার্কিশ এয়ারলাইনসের TK713 ফ্লাইটটি (এয়ারবাস A330-303) সকাল ৭টায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। উড্ডয়নের প্রায় ১৫ মিনিট পর পাইলট একটি ইঞ্জিনে (বিমানে দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক লক্ষ্য করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বিমানটি প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিয়ে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ জানান, উড্ডয়নের পরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে সামান্য স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, এটি বার্ড হিটের কারণে ঘটতে পারে। তবে যাত্রীরা সবাই নিরাপদে রয়েছেন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের প্লেন থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং তাদের হোটেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার ভেঙে পড়ে যায়। তবে পাইলটের দক্ষতায় সেটিও নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। ফ্লাইটটিতে ৭১ জন যাত্রী ছিল, যার মধ্যে শিশুও ছিল।
এমএস