ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের ৩ স্বর্ণপদক জয়

২৫তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ৩টি স্বর্ণপদকসহ মোট ১৫টি পদক অর্জন করেছে বাংলাদেশ দল। স্বর্ণপদক ছাড়া বাকিগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি রৌপ্যপদক, ৪টি ব্রোঞ্জপদক ও ২টি টেকনিক্যাল পদক।
১৬ থেকে ১৯ জানুয়ারি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ২৫তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২০ জানুয়ারি) এথেন্সের ফ্যালিরো কোস্টাল জোন অলিম্পিক কমপ্লেক্সে অলিম্পিয়াডের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২৬টি দেশের এক হাজার ৪০০ প্রতিযোগী এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। রোবোটিকসের আন্তর্জাতিক উৎসবে বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের দল অংশ নেন। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আরো উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ দলের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও প্রধান রোবোটিকস কোচ মিশাল ইসলাম।
বাংলাদেশ দলের পক্ষে ২৫তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে রোবট ইন মুভি জুনিয়র গ্রুপে রোবোস্পারকার্স দলের জাইমা যাহিন ওয়ারা, রোবট ইন মুভি সিনিয়র গ্রুপে রোবো ইডিয়টস দলের নাশীতাত যাইনাহ্ রহমান, প্রপা হালদার ও মার্জিয়া আফিফা পৃথিবী এবং ক্রিয়েটিভ আইডিয়া সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের সদস্য মিসবাহ উদ্দিন ইনান।
প্রতিযোগিতায় রৌপ্যপদক অর্জন করেছে ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি জুনিয়র গ্রুপে টিম পাই দলের মাহরুজ মোহাম্মদ আয়মান, ফিজিক্যাল কম্পিউটিং জুনিয়র গ্রুপে রোবোস্পারকার্স দলের জাইমা যাহিন ওয়ারা, টিম পাই দলের সদস্য মাহরুজ মোহাম্মদ, রোবট ইন মুভি সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের মিসবাহ উদ্দিন ইনান ও সাদিয়া আক্তার স্বর্ণা, অ্যাফিসিয়েনাদোস দলের মাইশা সোবহান, সামিয়া মেহনাজ ও মাশকুর মালিক মোস্তফা এবং এআই অটোনমাস ড্রাইভিং সিনিয়র গ্রুপে এক্সফ্যানাটিক দলের মাহির তাজওয়ার চৌধুরী।
বাংলাদেশ দলের পক্ষে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ক্রিয়েটিভ আইডিয়া জুনিয়র গ্রুপে রোবোস্পারকার্স দলের সদস্য জাইমা যাহিন ওয়ারা, ফিজিক্যাল কম্পিউটিং সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের সদস্য মিসবাহ উদ্দিন ইনান, এক্সফ্যানাটিক দলের সদস্য মাহির তাজওয়ার চৌধুরী ও ফাতিন আল হাবীব নাফিস এবং রোবট ইন মুভি সিনিয়র গ্রুপে টেক অটোক্র্যাটস দলের আন নাফিউ, নামিয়া রউজাত নুবালা ও রুবাইয়্যাত এইচ রহমান। এ ছাড়া বাংলাদেশ দলের পক্ষে টেকনিক্যাল পদক অর্জন করেছে ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি সিনিয়র গ্রুপে অটোমেশন ৭১ দলের সদস্য সাদিয়া আক্তার স্বর্ণা এবং রোবো সোলো দলের সদস্য ফাতিন আল হাবীব নাফিস।
এথেন্স থেকে বাংলাদেশ দলের দলনেতা ও আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক লাফিফা জামাল জানান, ‘বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোবোটিকসে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে। এই শিক্ষার্থীদের উপযোগী একটি আধুনিক রোবোটিকস ল্যাব দেশে স্থাপন সম্ভব হলে আমাদের বাচ্চারা রোবোটিকস প্রযুক্তিতে আরো বেশি দক্ষ হবে।’
বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের পৃষ্ঠপোষক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বিজয়ীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অক্সফোর্ড ছাড়লেন ব্র্যাকের জন্য, পরে জানলেন অফার লেটার বাতিল

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছিলেন মুহাম্মদ উবায়দুল হক (জাবের উবায়েদ)। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ পেয়ে ছেড়ে দেন অক্সফোর্ডের চাকরি। কিন্তু অফার লেটার সাসপেন্ড হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ মে) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমনটাই জানান উবায়দুল হক।
তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন- সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমার সঙ্গে বড় ধরনের একটি অন্যায় আচরণ করেছে। আমি স্কুল অব জেনারেল এডুকেশনে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে জয়েন করার জন্য আবেদন করি গত ফেব্রুয়ারিতে। দুই দফা ইন্টারভিউ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা ও সব প্রক্রিয়া শেষে কনফারমেশন ইমেইল পাই ২৮ এপ্রিল। লেকচারার হিসেবে অফার লেটার পাই গত ৯ মে। জয়েনিং ডেট উল্লেখ করা হয় জুনের ১ তারিখ। আমার সঙ্গে এইচআর থেকে যিনি যোগাযোগ করছিলেন তার পরামর্শক্রমে আমি ইউকে থেকে দেশে ফেরার সার্বিক প্রস্তুতি নিতে থাকি।
আপনারা জানেন যে আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাসেসমেন্ট অফিসার’ হিসেবে চাকরি করছিলাম গত মার্চ মাস থেকে। তবে দেশে আসতে চাচ্ছিলাম দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি কিছু অবদান রাখা যায় সে চিন্তা থেকে।
সেই এইচআর অফিসারের সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে আমি আমার অক্সফোর্ডের অফিসে মে মাসের শুরুতেই নোটিশ দেই। সে অনুযায়ী তারা আমার রিপ্লেসমেন্ট হায়ার করে গত ১৩ মে। আর আমি রিজাইন করি ১৪ মে। একইসঙ্গে ২০ তারিখে দেশে আসার বিমানের টিকেটও বুক করি।
আমি যখন দেশে আসার সব প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি এর মধ্যে গত ১৫ মে একতরফাভাবে কোনো কারণ না বলে আমার অফার লেটার সাসপেন্ড করে দেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
অক্সফোর্ডে আমার রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে নেওয়ায় আগের জবে জয়েন করার আর সুযোগ নেই। আমি ব্র্যাকের ফিরতি ইমেইলে কারণ জানতে চেয়েছি। এর কোনো জবাব পাইনি।
আজ আবার জেনারেল এডুকেশনে স্কুলের ডিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমায় এইচআর এর নোটিশ ও জবাবের দিকে রেফার করেন। আর বিস্তারিত কারণ বলার প্রয়োজন বোধ করেননি।
এইচআরের যে অফিসার আমার সঙ্গে সবকিছু নিয়ে আলাপ করেছেন শুরু থেকে তিনিও অফার সাসপেন্ডের ইমেইলের কপিতে আছে। তার এ ব্যাপারের জানার কথা থাকলেও উনি বলছেন যে কিছু জানেন না। উনি যেন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন ও অসত্য বলছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি আরও লেখেন, অফার লেটারে উল্লেখ ছিল যে জয়েনিং সন্তোষজনক ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের ওপরে নির্ভর করবে। আমার বিরুদ্ধে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। আমার মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড ও সোস্যাল মিডিয়ায় টুকটাক লিখি। জুলাই কেন্দ্রিক একটিভিজমকে প্রমোট করি।
আমি ব্র্যাক থেকে আমার সেকেন্ড মাস্টার্স করেছি। সম্মানজনক শিভেনিং স্কলারশিপ পেয়ে বিশ্বের ১ নম্বর এডুকেশন স্কুল (টাইমস হায়ার এডুকেশন সাবজেক্ট র্যাংকিং অনুযায়ী) Institute of Education, UCL এ পড়েছি। আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কর্মরতও ছিলাম।
উবায়দুল হক জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ১ বছর কাজ করেছি ‘আউটরিচ ডেলিভারি অ্যাসিস্ট্যান্ট’ এবং ‘অ্যাসেসমেন্ট অফিসার’ হিসেবে। আমার বিভিন্ন সাকসেস স্টোরি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করেছে দুই বার। তার পরেও আমার সঙ্গে এমন একটি অন্যায্য একটি জঘন্য আচরণ করলো; সেটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
আমি আর ব্র্যাকে জয়েন করবো না। কিন্তু এমন আচরণ তারা কীভাবে একজন মানুষের সঙ্গে করতে পারে সেটা বুঝতে চাই। কীভাবে আমার যোগ্যতাকে, দক্ষতাকে অগ্রাহ্য করে আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করলো এর জবাব চাই। আমার মতো একজনের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারলে আরও কত মানুষের সঙ্গে এমন হয় সেটা আমরা জানি না। এর প্রতিকার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে হতেই হবে।
জানা যায়, উবায়দুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে যোগদান করেন। এর আগে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বরাতে কমিউনিকেশন অফিস গণমাধ্যমকে জানান, ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ধারা ৫ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার অফার লেটারটি প্রত্যাহার করেছে। যথাযথ বিবেচনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দেশের ১১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

স্থানীয় অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি বিবেচনায় দেশের আরও ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রেবেকা সুলতানার স্বাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী এই পরিবর্তন করা হয়েছে।
নাম পরিবর্তন পাওয়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে— জামালপুরের শাহিনুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যার নতুন নাম হয়েছে কাজির আখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও অধ্যাপক আব্দুল হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আনিছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে তারারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোনাকান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে।
অন্যান্য বিদ্যালয়ের মধ্যে, আতামারী ফাতেমা মির্জা রওশন আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম আতামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোর্দ্দ জোনাইল সমসাদ আরা বুলু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম খোর্দ্দ জোনাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রুকনাই বদরুল আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নাম রুকনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের আলহাজ সেলিম আহম্মেদ ভুঁইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কুকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শ্রীনগরের জশুরগাঁও আভা রানী ঘোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম জশুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সুকুমার রঞ্জন ঘোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চিকনিসার সুকুমার রঞ্জন ঘোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে প্রাণী মন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চিকনিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। একই জেলার বরপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ করা হয়েছে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ বরপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে এবং এটি নীতিমালাভিত্তিক ও স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণে বাস্তবায়িত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

কাকরাইলে গণঅনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ এ ঘোষণা দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন , সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে।
এর আগে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে গণঅনশনে বসেন। গণঅনশনটি আয়োজন করে ‘জবি ঐক্য’, যেখানে প্রায় পাঁচ হাজার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আবাসন বৃত্তি চালু, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ চার দাবিতে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে গণঅনশন বসল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চার দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়। শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে অন্তবর্তীকালীন প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের অর্গানাইজিং উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় ইডেন মহিলা কলেজের ১নং গেটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার অভিপ্রায়ে, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও অধিভুক্তি বাতিলের পরবর্তী অন্তবর্তীকালীন প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি সবার কাছে তুলে ধরতে জরুরি ভিত্তিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জবি শিক্ষার্থীদের ৪ দফা: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চার দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) জুমার নামাজের পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনাইরাও।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহীন আহমেদ খান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। নয়তো সাবেক-বর্তমান সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আরও জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান বলেন, সব দাবিই যৌক্তিক। দাবিগুলো আজকের নতুন কোনো দাবি নয়। অনেকদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানিয়ে আসছেন। তাই দাবিগুলোর পুরোটাই মেনে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, চার দফা দাবিতে তৃতীয়দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে তারা আজ কাকরাইল মোড়ে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার ভবনের যাওয়ার সড়কের মুখে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
তাদের চার দফা হলো- ১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; ৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।