জাতীয়
বাজারে আসছে বাঙালি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত কৃত্রিম কিডনি

বাঙালি বিজ্ঞানী শুভ রায়ের আবিষ্কৃত কৃত্রিম কিডনি (বৃক্ক) বাজারে আসছে হয়তো এ বছরই। আকারে মানুষের হাতের মুঠোর সমান। আসল বৃক্কের প্রতিস্থাপনের তুলনায় এই কিডনি বসানোর জন্য রোগীর খরচ হবে অনেক কম। বাংলাদেশি বিজ্ঞানী শুভ রায়ের আবিষ্কার করা এই কৃত্রিম বৃক্ক বিশ্ব বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ২০২৪ এর মধ্যেই।
কেবল ভারতেই প্রতিবছর খুব কম করে হলেও আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হয় কিডনিজনিত বিভিন্ন অসুখে। এই কৃত্রিম কিডনি বাজারে এলে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ ও তাঁদের পরিবার-পরিজনদের দুশ্চিন্তার দিন চিরতরে শেষ হবে। সেই স্বপ্নই দেখতেন বিজ্ঞানী শুভ রায়।
ড. শুভ রায় আমেরিকা প্রবাসী এক বাঙালি বিজ্ঞানী। যিনি একজন জৈব প্রকৌশলী (বায়ো-ইঞ্জিনিয়ার)। ইনি বছর কয়েক আগেই প্রথম কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
ঢাকার বিখ্যাত চিকিৎসক অশোক নাথ রায়ের পুত্র শুভ। জন্ম ঢাকায়, ১৯৬৯ সালের ১০ নভেম্বর। আদি বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার রোসাংগিরিতে। ছোটবেলা থেকেই শুভ ছিলেন কল্পনাপ্রবণ। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বিষয় তাঁকে বেশি আকর্ষণ করতো। ঢাকার একটা নার্সারি স্কুলে ভর্তিও হয়েছিলেন।
কিন্তু যখন শুভ’র বয়স পাঁচ, চিকিৎসক অশোক নাথ রায়কে কর্মসূত্রে চলে যেতে হয়েছিল আফ্রিকার দেশ উগান্ডায়। বাংলাদেশ ছেড়ে ছোট্ট শুভ ভর্তি হয়েছিলেন উগান্ডার জিনজা সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে। সেখানেই বিদ্যালয় জীবন শেষ করে, আমেরিকা পাড়ি দেন শুভ।
ওহাইও’র মাউন্ট ইউনিয়ন কলেজ থেকে একই সঙ্গে কম্পিউটার সাইন্স, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে স্নাতক হন মেধাবী শুভ।
এরপর ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৯৫ সালে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ও কম্পিউটার সাইন্সে পিএইচডি সম্পন্ন করেন ২০০১ সালে।
১৯৯৮ সালে ওহাইওর ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের বায়ো মাইক্রো ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেমস ল্যাবরেটরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে যোগ দেন ড. শুভ রায়। মানুষের শরীরের অপার রহস্য তাঁকে তখন থেকেই ভাবাতে শুরু করে।
চাকরির সঙ্গে সঙ্গে ড. শুভ রায় বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শিক্ষকতা করতে থাকেন ক্লিভল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সাইন্সে শিক্ষকতা করতে থাকেন কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটিতে।
২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মলিকুলার মেডিসিনে শিক্ষকতা করেন লার্নার কলেজ অব মেডিসিনে।
এরপর, ২০০৯ সালে তিনি ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মূত্রনালি (নেফ্রোলজি) বিভাগের দায়িত্বে আসেন। তখনই তিনি নিজের চোখে খুব কাছে থেকে দেখেছেন বৃক্কের অসুখে ভুগতে থাকা মানুষদের। জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা কিছু মানুষের মুখ তাঁকে রাতদিন চিন্তামগ্ন রাখতো। দিন শেষে ঘরে ফিরে কোনো কাজে মন বসাতে পারতেন না তিনি।
সারাক্ষণ ভাবতেন কীভাবে সারা বিশ্বে বৃক্কের অসুখে ভোগা মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানো যায়। কীভাবে আরও কিছুদিন তাদের আয়ু বাড়িয়ে দেওয়া যায়। রাতের পর রাত জেগে মানুষের বৃক্কের সূক্ষাতিসূক্ষ্ম অংশগুলো ও তাদের কাজ নিয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি।
মানুষের কল্যাণে শুরু করেছিলেন এক দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা। বায়ো-ইঞ্জিনিয়ার ড. শুভ রায়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান (বায়োইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড থেরাপিউটিক সায়েন্স) পড়িয়ে আসছিলেন ২০০৮ সাল থেকেই। সেখানেই শুরু করলেন এক দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন অধ্যাপক ও গবেষককে নিয়ে শুরু করেছিলেন ‘কৃত্রিম বৃক্ক’ বা বায়ো আর্টিফিসিয়াল কিডনি (Bio-artificial Kidney) তৈরির কাজ। আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে। গবেষক দলে ছিলেন বিশিষ্ট মূত্রনালি বিশেষজ্ঞ (নেফ্রোলজিস্ট) উইলিয়াম এফ ফিসেল।
দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলেছিল নিরলস গবেষণা। একদিন ড. শুভ রায় আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন সিলিকন ন্যানোপোর ম্যামব্রেন (Silicon Nanopore Membrane-SNM)। এটি সিলিকন নির্মিত সূক্ষ্ম ছিদ্রযুক্ত একটা পর্দা, যা রক্তকে নিখুঁতভাবে ছেঁকে ফেলতে সক্ষম। বাকিটা ইতিহাস।
৪১ জন নাছোড়বান্দা বিজ্ঞানীর নিরলস পরিশ্রমে তৈরি হয়ে গেল কৃত্রিম বৃক্ক।
আমাদের দু’টো বৃক্ক রক্তস্রোত থেকে দূষিত পদার্থগুলো ছেঁকে (Filter) নেয়। জীবন্ত বৃক্কের কোষ দিয়ে তৈরি বায়ো রিঅ্যাক্টর এবং সূক্ষ্ম পর্দার (এসএনএম) মাধ্যমে কৃত্রিম বৃক্ক একইভাবে রক্ত শোধনের কাজ করতে পারে।
যেভাবে শরীরে বসানো হবে এই কৃত্রিম বৃক্ক
আমাদের তলপেটের পেছন দিকে আমাদের দুটো বৃক্ক থাকে। সেখানেই যে কোনো একদিকে, কফির কাপের মতো দেখতে এই কৃত্রিম বৃক্ক বসিয়ে দেওয়া হবে। হৃৎপিণ্ড থেকে দূষিত রক্ত আসবে কৃত্রিম বৃক্কের মধ্যে। সেই রক্তকে ছেঁকে নিয়ে বিশুদ্ধ করে দেবে কৃত্রিম বৃক্ক।
একইসঙ্গে কৃত্রিম বৃক্ক নজর রাখবে গুরুত্বপূর্ণ হরমোনগুলোর উৎপাদন ও ক্ষরণের উপরেও। আসল বৃক্কের মতোই রক্ত শোধন করা ছাড়াও এই কৃত্রিম বৃক্ক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ভিটামিন ডি তৈরি করবে।
কৃত্রিম এই বৃক্ক আমেরিকার কয়েক হাজার রোগীর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে বসান হয়েছিল। সে পরীক্ষায় সাফল্যের পথে এগিয়ে চলেছে ড. শুভ রায়ের আবিষ্কৃত কৃত্রিম বৃক্ক (Bio-artificial Kidney)। ড. শুভ ও তাঁর টিম এখন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফডিএ (Food and Drug Administration- FDA ) এর চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়।
অনুমোদন আসতে চলেছে কিছুদিনের মধ্যেই। হয়তো এই বছরের শেষেই। তারপর বিশ্ব বাজারে কৃত্রিম বৃক্ক আসতে বেশি সময় নেবে না। কারণ দ্রুত উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে।
এখন প্রশ্ন একটাই, কতো দাম হতে পারে একটা কৃত্রিম বৃক্কের?
সঠিক দাম এখনো জানা যায়নি। তবে, অসহায় পরিবারদের বৃক্ক রোগীর নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে, সব শেষে বৃক্ক প্রতিস্থাপনের জন্য বিরাট অঙ্কের টাকা জোগাড় করতে হয়। তার তুলনায় কৃত্রিম বৃক্ক বসানোর খরচ অনেক কম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ড. শুভ রায়।
তিনি এখন মগ্ন রয়েছেন কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় বা ইমপ্লান্টেবল বায়ো-আর্টিফিসিয়াল প্যানক্রেস-আইবিএপি (Implantable Bio-Artificial Pancreas- IBAP) তৈরিতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি লেখেন, সোমবার (১৯ মে) বিকালে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টা জানিয়েছেন এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
‘শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টার্লিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে,’ যোগ করেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও লেখেন, এখানে কোন স্পীড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এম্বিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো।
তিনি বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, পাশাপাশি, যেসব এলাকায় এখনও ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এর সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স মালিকানাধীন স্টারলিংক মূলত লো-আর্থ অরবিট (এলইও) স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে। এটি বিশেষ করে দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে এখনও অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় ফাইবার অপটিক বা ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংক সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পেল পাকিস্তানের এয়ারসিয়াল

পাকিস্তানের বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার-সিয়াল বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ অনুমোদন দিয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আমরা এয়ারসিয়ালকে অনুমোদন দিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি।
এয়ার-সিয়াল শুধু বাংলাদেশ-পাকিস্তান রুটেই ফ্লাইট পরিচালনা করবে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক রুটেও ট্রানজিট সুবিধা দেবে।
পাকিস্তানের শিয়ালকোট ভিত্তিক এয়ার-সিয়াল ২০১৫ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু করে। তাদের ৬টি এয়ারবাস রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাই জিন্নাহ-কে করাচি-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন দেয় বেবিচক।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা পিআইএ ২০১৮ সালে আর্থিক ক্ষতি ও যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টিকিট ছাড়াই বিমানে ওঠার চেষ্টা, যুবক আটক

বিনা টিকিটে বিমানে ওঠার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে (বিজি ৪৩৭) কক্সবাজার যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই যাত্রীর নাম আমান। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ। তিনি বলেন, আমরা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তাকে বিমানবন্দরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি ৪৩৭ কক্সবাজার যাওয়ার শিডিউল ছিল। আটক ব্যক্তি টার্মিনালে প্রবেশের প্রথম ধাপ পার হন। বোর্ডিং পাস না নিয়েই দ্বিতীয় ধাপও পার হন তিনি। এরপর বিমানে ওঠার আগে বোর্ডিং কার্ড চেক করার সময় তিনি কার্ড দেখাতে পারেননি। পরে বিমানবন্দরে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা তাকে আটক করেন।
এদিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে ওই ব্যক্তি এতদূর পর্যন্ত যেতে পারলেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে চলছে তোলপাড়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে আগ্রহী আলজেরিয়া

আলজেরিয়া বাংলাদেশে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজসহ অন্যান্য জলযান আমদানি করতে আগ্রহী।
সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি এ আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আলজেরিয়া সরকার বাংলাদেশের সাথে একটি ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। বাংলাদেশ জাহাজ শিল্পে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আলজেরিয়া বাংলাদেশে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজসহ অন্যান্য জলযান আমদানি করতে আগ্রহী। এছাড়াও, আলজেরিয়া সরকার বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগাতে চায়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত মেরিটাইম সেক্টরে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সাথে আলজেরিয়ার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আন্তর্জাতিকমানের জাহাজ তৈরি হচ্ছে এবং বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ রপ্তানি করা হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। এ সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে মেরিন একাডেমিসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে চট্টগ্রাম, মোংলাসহ অন্যান্য বন্দর এবং শিপইয়ার্ড/ডকইয়ার্ড ও বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো পরিদর্শনের আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান জাহাজ শিল্পসহ মেরিটাইম সেক্টরে আলজেরিয়া সরকারকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাথে আলজেরিয়ার সরাসরি ফ্লাইট চালুর অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ বিষয়ে আলজেরিয়া সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে আলজেরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের লন্ডনে ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য আন্তর্জাতিক নৌপরিবহণ সংস্থার (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি-সি নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বাংলাদেশের প্রার্থিতার জন্য আলজেরিয়ার সমর্থন কামনা করেন। আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বিএম জামাল হোসেনসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর কারণ জানালেন উপদেষ্টা আসিফ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর কারণ হিসেবে ১০টি জটিলতার কথা তুলে ধরেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, প্রথমত, আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করেছে।
দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি।
তৃতীয়ত, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সাথে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
চতুর্থত, উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই।
পঞ্চমত, শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনো বিচারাধীন।
ষষ্ঠত, বরিশাল সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত মামলায় আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না।
সপ্তম, মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
অষ্টম, নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ‘‘কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ’’ এর কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে।
নবম, এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
দশম, আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।
তিনি আরও লিখেছেন, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এই আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এই উপদেষ্টা বলেন, এসব জটিলতা নিরসন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এই আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোনো কারণ খুঁজে পেলাম না! আবার কেউ বলবেন না যে এটা সাধারণ জনগণ করছে, কারণ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।