আন্তর্জাতিক
৪ হাজার কোটির প্রাসাদ, ৮ টি জেট বিমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারের

সংযুক্ত আরব আমির শাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহয়ানের পরিবার। বিন জায়েদের সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে যে কারোর চোখ কপালে উঠবে। ৪০৭৮ কোটি টাকার প্রাসাদ (তিনটি পেন্টাগনের আকার), আটটি ব্যক্তিগত জেট এবং একটি জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারটির।
বৃহৎ গম্বুজবিশিষ্ট প্রাসাদে ৩ লাখ ৩৫ হাজার স্ফটিকের তৈরি ঝাড়বাতি রয়েছে। যে প্রাসাদে এই পরিবার থাকে তা ৯৪ একর জায়গার উপর তৈরি। সেখানকার নকশা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হতে পারে আপনার।
এ ছাড়াও লন্ডন, প্যারিসের মতো বিশ্বের বড় বড় শহরে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের। পরিবার বিশ্বের তেলের রিজার্ভের প্রায় ছয় শতাংশের মালিক। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার বড় অঙ্কের শেয়ার রয়েছে এই পরিবারের হাতেই। সেই তালিকায় রয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স থেকে রিহানার বিউটি ব্র্যান্ড ফেনটি। দুবাইয়ের লোকজন তাকে এমবিজেড নামেও চেনে।
নাহিয়ানের পরিবারে রয়েছেন ১৮ ভাই, ১১ বোন, ৯ ছেলে মেয়ে, ১৮ জন নাতি-নাতনি। তাহনউন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, প্রেসিডেন্টের ভাই, পরিবারের প্রধান বিনিয়োগ কোম্পানির প্রধান যার মূল্য গত পাঁচ বছরে প্রায় ২৮,০০০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটি, বর্তমানে ২৩৫ বিলিয়ন মূল্যের, কৃষি, শক্তি, বিনোদন এবং সামুদ্রিক ব্যবসার মালিক। কয়েক হাজার লোক তাঁদের কোম্পানিতে কর্মরত। এছাড়াও নাহিয়ানের কাছে ৭০০টিরও বেশি গাড়ির সংগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এসইউভিসহ পাঁচটি বুগাতি ভেরন, একটি ল্যাম্বরগিনি রেভেনটন, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ সিএলকে জিটিআর, একটি ফেরারি ৫৯৯এক্সএক্স ও একটি ম্যাকলারেন এমসি১২।
২০১৫ সালে নিউ ইয়র্কারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, দুবাই রাজপরিবারের সম্পদ বৃটিশ রাজপরিবারের সমতুল্য ছিল। ২০০৮ সালে, এমবিজেড এর আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ ইউকে ফুটবল দল ম্যানচেস্টার সিটিকে ২১২২কোটিতে কিনেছিল। কোম্পানিটি সিটি ফুটবল গ্রুপের ৮১ শতাংশের মালিক যা ম্যানচেস্টার সিটি, মুম্বাই সিটি, মেলবোর্ন সিটি এবং নিউ ইয়র্ক সিটি ফুটবল ক্লাব পরিচালনা করে।

আন্তর্জাতিক
শুল্ক কার্যকরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন লবিস্ট নিয়োগ করলো ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক আরোপ কার্যকর হতে যাচ্ছে দুদিন পরই। এই শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায় ভারতের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। তাই শেষ মুহূর্তে শুল্ক কমানোর জন্য ওয়াশিংটনে দ্বিতীয় একটি লবিং ফার্ম ভাড়া করেছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় দূতাবাস এবার চুক্তি করেছে মার্কারি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স নামের একটি লবিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠানটিকে দিতে হবে ৭৫ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯১ লাখ টাকার সমান। তিন মাসের জন্য এই চুক্তি কার্যকর হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ট্র এই প্রতিষ্ঠান ১৫ আগস্ট থেকেই ভারতের হয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে ও কৌশলগত প্রচারণায় সহায়তা দেবে।
এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রভাব খাটানোর প্রচেষ্টা আরও তীব্র হলো বলে মনে করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। কূটনৈতিক মহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে পাকিস্তান ওয়াশিংটনে ভারতের চেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করছে। কারণ, ইসলামাবাদ ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের সাবেক বডিগার্ড কিথ শিলারের প্রতিষ্ঠিত এক লবিং ফার্মকে কাজে লাগাচ্ছে।
ভারতের পক্ষে এবার লবিং করবেন চার সদস্যের একটি দল। এর নেতৃত্বে রয়েছেন মার্কারি অ্যাফেয়ার্সের অংশীদার ডেভিড ভিটার, যিনি আগে লুইজিয়ানার রিপাবলিকান সিনেটর ছিলেন, এবং ব্রায়ান লানজা, যিনি ট্রাম্প ট্রানজিশন টিমের যোগাযোগ পরিচালক ছিলেন। এ দলে আরও আছেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে নির্বাচিত প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য কেভিন থমাস।
মারকারি অ্যাফেয়ার্স অতীতে চীনা টেলিকম জায়ান্ট জেডটিই এবং হাংঝো হিকভিশনের পক্ষে লবিং করেছে। এই দুই কোম্পানিই ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল।
এপ্রিল মাসেই ভারত আরেকটি ফার্ম—এসএইচডব্লিউ পার্টনার্স এলএলসির সঙ্গে চুক্তি করে। সেটির নেতৃত্বে ছিলেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী জেসন মিলার। তাদেরকে প্রতি মাসে দিতে হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিকে ১৮ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে নয়াদিল্লি।
সব মিলিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ সহজ করতে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ কমাতে ভারত একের পর এক প্রভাবশালী লবিস্ট ভাড়া করছে। তবুও সমালোচকরা বলছেন, রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভ কমার সম্ভাবনা আপাতত কমই।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের কারণে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, গত ১৪ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার ২২২ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৩ হাজার ৫৫১ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৪ হাজার ৬৬৫ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৪ হাজার ৬ জন রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ২০ হাজার জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১২ হাজার ৯২০ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৬ জন। তাদের মধ্যে ইথিওপিয়ান ও ইয়েমেনি নাগরিকদের সংখ্যাই বেশি। পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টার সময় আরও ৩৩ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১৮ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে ২৫ হাজার ৯২১ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ হাজার ৪১৯ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫০২ জন নারী।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
মরু অঞ্চলের দেশ সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।
আন্তর্জাতিক
ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না: খামেনি

ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানকে পরাধীন করার মার্কিন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন খামেনি। রোববার (২৪ আগস্ট) তেহরানের এক মসজিদে দেওয়া বক্তব্য পরে খামেনির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জুনের যুদ্ধ ইরানকে দুর্বল না করে বরং আরও শক্ত করেছে। খামেনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য হলো ইরানকে নিজের ইচ্ছামতো চালানো এবং ওয়াশিংটনের আনুগত্যে বাধ্য করা। কিন্তু ইরানি জাতি সেনাবাহিনী, সরকার ও ব্যবস্থার পাশে থেকে শত্রুদের শক্তিশালী আঘাত করেছে।”
বিদেশি শক্তিগুলো এখন ভেতর থেকে ইরানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। “শত্রুর মূল কৌশল হলো দেশে বিভেদ তৈরি করা। আমেরিকা ও ইসরায়েলের এজেন্টরা ইরানি সমাজে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে,” অভিযোগ করেন খামেনি। তিনি দেশের জনগণকে প্রশংসা করে বলেন, “আজ আল্লাহর অশেষ কৃপায় দেশ ঐক্যবদ্ধ। মতের অমিল থাকলেও যখন রাষ্ট্র ও শত্রুর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গ আসে, তখন জনগণ এক হয়ে যায়।”
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে জিম্মি সংকটের পর থেকে ইরান-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে। এরপর থেকে দেশটির ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। যদিও ইরান বারবার অস্বীকার করেছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে।
আগামী মঙ্গলবার ইরান ইউরোপের তিন দেশ—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে বৈঠকে বসবে। তবে ইউরোপীয় শক্তিগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কোনো চুক্তিতে না পৌঁছালে আবারও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
আন্তর্জাতিক
মিয়ানমারে ঐতিহাসিক রেলসেতু উড়িয়ে দিলো বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের একটি ঐতিহাসিক রেলসেতু বোমা হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। ঔপনিবেশিক আমলের বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে সেতু হিসেবে পরিচিত ওই সেতু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিদ্রোহীরা উড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে জান্তা।
রোববার মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্র একাধিক গোষ্ঠী বোমা হামলা চালিয়ে ঔপনিবেশিক আমলের একটি রেলসেতু ধ্বংস করেছে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার গৃহযুদ্ধের কবলে রয়েছে। তখন থেকেই দেশটির জাতিগত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোটের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ্য মিন তুন এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঐতিহাসিক ‘গোকটেইক সেতু’ ধ্বংস করেছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৩৪ ফুট উঁচুতে অবস্থিত গোকটেইক রেলওয়ে সেতু মিয়ানমারের সবচেয়ে উঁচু সেতু। ১৯০১ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে চালুর সময় এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে ট্রেসেল সেতু।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, দেশটির মান্দালয় থেকে উত্তর শান অঙ্গরাজ্যকে রেলপথে সংযুক্ত করা এই সেতুটি আংশিকভাবে ধসে পড়েছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে টিএনএলএর মুখপাত্র লওয়ে ইয়াই উ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জান্তার বোমা হামলায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘‘আজ সকালে মিয়ানমার সেনারা ড্রোন ব্যবহার করে আমাদের ঘাঁটিগুলোতে হামলার চেষ্টা করে। তারা আমাদের বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। কিন্তু তাদের বোমা গোকটেইক সেতুতেও আঘাত হানে।’’
সম্প্রতি নাওংকিও ও কিয়াউকমি শহরে দেশটির জান্তা সৈন্য ও টিএনএলএর যোদ্ধাদের মাঝে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। যদিও গত জুলাইয়ে নাওংকিও শহর পুনর্দখলের দাবি করেছিল জান্তা।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ঢোকার সময় বাংলাদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আটক

সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
কর্মকর্তাদের বরাতে ভারতীয় সংবামাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে হাকিমপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে বিএসএফ সদস্যরা ওই বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেন।
পরে প্রটোকল অনুযায়ী তাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।