পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের প্যানিক না হওয়ার আহ্বান বিএসইসি চেয়ারম্যানের

বিনিয়োগকারীদের প্যানিক না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম অর্থসংবাদকে বলেন, পুঁজিবাজারের গতিপথ ঠিক রাখতে একসময় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিলো। আবার শেয়ারবাজারের উন্নয়ন আরও সমৃদ্ধ করতে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাজারের গতিবিধির উপর ভিত্তি করে ফ্লোর প্রাইস আরোপ এবং প্রত্যাহার করা হয়।
তিনি বলেন, যে কোন স্টক একচেঞ্জে ফরেইন ইনভেস্টরদের অবদান বাজারকে আরও গতিশীল করে তুলে। আমাদের শেয়ারবাজারেও অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে তারা চাচ্ছিলো শেয়ারমূল্য সার্কিট ব্রেকারে আটকে না রেখে বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক। চলতি বছরে আমাদের ইনডেক্স, টার্নওভার (লেনদেন) কিন্তু বেশ বেড়েছে। আমরা ইতিবাচক বাজারের দিকে নজর রেখেই ফ্লোর প্রাইস তুলেছি। এতে যেমন টার্নওভার আরও বাড়বে, পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের কারণে বাজারে আরও কয়েকগুণ গতি ফিরবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সব প্রতিষ্ঠান একত্রে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যেন আতঙ্কিত না হয় সেদিকে নজর রাখবে বিএসইসি। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বেশ ইতিবাচক। তিনি আমাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন। সম্প্রতি আমাদের পরামর্শে বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বোর্ড পুর্নগঠন করেছেন। তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমরাও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করছি। যার সুফল বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে পাবেন।
এদিকে পুঁজিবাজারের শীর্ষ ব্রোকারহাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরাম আগামীকাল রোববার (২১ জানুয়ারি) বৈঠক ডেকেছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি, বিশেষ করে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। বিষয়টি অর্থসংবাদকে নিশ্চিত করেছেন ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের কারণে যাতে বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে ব্যাপারে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। আমরা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চাই, যাতে বাজার এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন, ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার হলেও উদ্বেগের কিছু নেই। দেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্থিরতা অনেকটাই কেটে গেছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। সামষ্টিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে চাপমুক্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেকটা যৌক্তিক পর্যায়ে আছে। তাই বাজার নিয়ে উদ্বেগের তেমন কিছু নেই। শুধু ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের কারণে যাতে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত না হন, বাজারে বিক্রির চাপ তৈরি না হয় সে লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের কথা বলবেন। পাশাপাশি নিজেরা বিনিয়োগে থাকার চেষ্টা করবেন।
এদিকে সম্প্রতি দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকারকে সামনে রেখে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে উন্নয়ন কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া আইনের মধ্যে থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর তারল্য আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতের অবদান আরও উল্লেখযোগ্য করার ব্যাপারটিও বৈঠকে উঠে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারের ৩৫ কোম্পানি ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলো থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। শেয়ারদরে লাগাতার পতন ঠেকাতে গত চার বছরে কয়েক দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়।
এদিকে শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হলেও ৩৫টি কোম্পানির উপর তা বহাল থাকবে। কোম্পানিগুলো হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বারাকা পাওয়ার, বিএটিবিসি, বেক্সিমকো, বিএসসিসিএল, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডোরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস লিমিটেড, কেপিসিএল, কট্টালি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, রেনাটা, রবি, সাইহাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।

পুঁজিবাজার
বিদায়ী সপ্তাহে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি। সমাপ্ত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এবং ৫ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, ব্র্যাক ব্যাংক, ন্যাশনাল টিউবস, ফাইন ফুডস, এবি ব্যাংক, রেনেটা পিএলসি এবং আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বার্জার পেইন্টস

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) শেয়ারবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বার্জার পেইন্টসের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে বার্জার পেইন্টসের দর কমেছে ১১.৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১ হজার ৭৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ টাকা ৬০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৯৫ টাকা।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৬ টাকা ৫০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৬০ পয়সা বা ৯.২৩ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ৮.৭৩ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে লাভেলো আইসক্রীম। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১০৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রহিমা ফুডের দর কমেছে ৭.৯৩ শতাংশ, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫.৫৬ শতাংশ, সমতা লেদারের ৫.২৩ শতাংশ, সোনারগাঁ ৫.০৭ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ৪.৮৭ শতাংশ, ইস্টার্ন কেবলসের ৪.১৮ শতাংশ এবং মুন্নু এগ্রোর ৪.১৮ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) ব্যাংক হলিডের কারণে শেয়ারবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে ৩১.২৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসএমইএলএলইসি মিউচুয়াল ফান্ড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ২০.৭২ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ২০ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে রূপালী ব্যাংক। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ২১ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর বেড়েছে ১৯.০৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৫.৩২ শতাংশ, মেঘনা পেটের ১৪.৯৩ শতাংশ, ড়েশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৪.৪২ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড মিলের ১২.৮৭ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১২.৫০ শতাংশ এবং ইন্দো-বাংলা ফার্মার ১২.১০ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) একদিন হলিডে থাকার কারণে পুঁজিবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রীম। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৮৩ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ০৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৩০ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে অগ্নি সিস্টেমের ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা, সী পার্ল রিসোর্টের ১০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ফাইন ফুডের ৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজের ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার

বর্তমানে পুঁজিবাজারের মাঠ তো খেলার জন্য পুরো প্রস্তুত। যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য ভালো ফল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার এম. আলী আকবর।
শুক্রবার (৪ জুলাই) ও শনিবার (৫ জুলাই) দুই দিনব্যাপী আশুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএমে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) যৌথ উদ্যোগে আবাসিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার শুরুতে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমজেএম) সভাপতি এসএম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি ফাউল খেলতে চাচ্ছেন, এমন মাঠ নেই তাই আস্থা পাচ্ছেন না? নাকি শৃঙ্খলভাবে খেলার মাঠে আস্থা পাচ্ছেন না, যেখানে প্লেয়িং ফিল্ডে সুন্দরভাবে খেলা যায়? আমি বুঝতে পারছি না বিনিয়োগকারীরা কোন ধরনের মার্কেটের জন্য আস্থার সংকট দেখছে। আমরা চাই বিনিয়োগকারীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। আর পুঁজিবাজারও যেন উন্নতি করে।
তিনি আরো বলেন, শেয়ারবাজারে আস্থা সংকট নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি নিজেও জানি না আস্থা কখন কিভাবে, কার ওপর হয় এবং তা কতক্ষণ থাকে।তবে আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারব এই বাজারে আমার কোনো নেতিবাচক ভূমিকা নেই। এই কমিশন ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করে না। বিশ্বাস বা কনফিডেন্স কখন কোন বিষয়ে কার ওপর হয়, সেটা কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারেন না। এই মাকেটের ব্যাপারে কোনো ধরনের নেতিবাচক ভূমিকা বিএসইসির নেই। আমরা চাই মার্কেট ভালো হোক।
আলী আকবর বলেন, সাধারণভাবে প্রশ্ন জাগে বিএসইসি এত জরিমানা কেন করে? যখন কেউ আইন বা বিধি লঙ্ঘন করে তখনই পেনাল্টি করা হয়। যে বা যারা পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করবে বা করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তবে এটা আগেও করা হয়েছে, কৌশলে। অথবা করা হয়নি।
তিনি বলেন, সত্য সুন্দরের সাথে অসত্যকে মিশ্রণ করা যাবে না। যিনি জরিমানা পরিশোধে রাজি, তার কোনো সমস্যা নেই। আর যিনি আপিল করবেন, সেটিও তার অধিকার। কমিশনের পক্ষে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়। পুঁজিবাজার ধ্বংসে যেসব চক্র সক্রিয়, বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি অ্যানফোর্সমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। এটা না করলে বাজারকে সঠিকপথে রাখা যাবে না। পেনাল্টির ব্যাপারে দুটো অপশন, একটি আমাদের পেনাল্টির টাকা আপনি দিয়ে দেবেন। অপরটি হলো টাকা না দিয়ে আপনি আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। তবে পেনাল্টির টাকা একদিন না এক সময় আদায় হবেই।
বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিএসইসি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের রিপোর্ট আমাদের বড় সহায়তা করে। অনেক সময় সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবেও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। আজকের এই প্রশিক্ষণ তাদের আরও কার্যকর রিপোর্টিংয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করি।
সিএমজেএফ সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাজার উন্নয়নে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সময়োপযোগী।