জাতীয়
ইজতেমা ও বইমেলায় বাড়তে পারে মেট্রোরেল চলাচলের সময়

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একুশে গ্রন্থমেলা ও বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মেট্রোরেল চলাচলের সময় সমন্বয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মেট্রোরেলের সময়সীমা বাড়ানোর তাগিদ আছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কোন দিন কতটা পর্যন্ত চলবে সেই বিষয়টা ভাবা হবে।
শনিবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে এমআরটি লাইন-৬ এর প্রশাসনিক ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, খুবই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মেট্রোরেল চলাচলের প্রযুক্তি সাজানো হয়েছে। কাজেই এর ব্যত্যয় হলে সমস্যা হতে পারে। ইজতেমা এবার দুই ভাগে নাকি এক ভাগে হবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টা ঠিক হলে আমরা এ ব্যাপারে সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় আছে বইমেলা। সময় বৃদ্ধির ব্যাপারটা এক-দেড় ঘণ্টা বিশেষ বিশেষ দিনে প্রসারিত করার অনুরোধ আছে। সেটা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ পর্যন্ত ৬টি মেট্রো লাইন আমরা উপহার দেব দেশের জনগণকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটাই অঙ্গীকার। এজন্য সমীক্ষা চলছে। এ মাসে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
নরওয়ের প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন আজ

দুই দিনের সফরে আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা সফরে আসছেন নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী স্টাইন রেনাতে জেহিম। তার সফরে রোহিঙ্গা সমস্যা প্রাধান্য পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকায় আসবেন নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। ঢাকা সফরকালে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি–সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়াদা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
নরওয়ের প্রতিমন্ত্রীর সফরে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ওনার মূল ফোকাস রোহিঙ্গা। এর সঙ্গে জলবায়ু, উন্নয়ন ইস্যু থাকবে। প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। তিনি বাংলাদেশে থাকা নরওয়ের কিছু প্রকল্প আছে সেগুলা দেখবেন।
আগামী বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে নরওয়ের প্রতিমন্ত্রীর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি লেখেন, সোমবার (১৯ মে) বিকালে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টা জানিয়েছেন এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
‘শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টার্লিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে,’ যোগ করেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও লেখেন, এখানে কোন স্পীড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এম্বিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো।
তিনি বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, পাশাপাশি, যেসব এলাকায় এখনও ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এর সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স মালিকানাধীন স্টারলিংক মূলত লো-আর্থ অরবিট (এলইও) স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে। এটি বিশেষ করে দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে এখনও অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় ফাইবার অপটিক বা ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংক সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পেল পাকিস্তানের এয়ারসিয়াল

পাকিস্তানের বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার-সিয়াল বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ অনুমোদন দিয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আমরা এয়ারসিয়ালকে অনুমোদন দিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি।
এয়ার-সিয়াল শুধু বাংলাদেশ-পাকিস্তান রুটেই ফ্লাইট পরিচালনা করবে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক রুটেও ট্রানজিট সুবিধা দেবে।
পাকিস্তানের শিয়ালকোট ভিত্তিক এয়ার-সিয়াল ২০১৫ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু করে। তাদের ৬টি এয়ারবাস রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাই জিন্নাহ-কে করাচি-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন দেয় বেবিচক।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা পিআইএ ২০১৮ সালে আর্থিক ক্ষতি ও যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টিকিট ছাড়াই বিমানে ওঠার চেষ্টা, যুবক আটক

বিনা টিকিটে বিমানে ওঠার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে (বিজি ৪৩৭) কক্সবাজার যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই যাত্রীর নাম আমান। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ। তিনি বলেন, আমরা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তাকে বিমানবন্দরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি ৪৩৭ কক্সবাজার যাওয়ার শিডিউল ছিল। আটক ব্যক্তি টার্মিনালে প্রবেশের প্রথম ধাপ পার হন। বোর্ডিং পাস না নিয়েই দ্বিতীয় ধাপও পার হন তিনি। এরপর বিমানে ওঠার আগে বোর্ডিং কার্ড চেক করার সময় তিনি কার্ড দেখাতে পারেননি। পরে বিমানবন্দরে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা তাকে আটক করেন।
এদিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে ওই ব্যক্তি এতদূর পর্যন্ত যেতে পারলেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে চলছে তোলপাড়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে আগ্রহী আলজেরিয়া

আলজেরিয়া বাংলাদেশে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজসহ অন্যান্য জলযান আমদানি করতে আগ্রহী।
সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি এ আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আলজেরিয়া সরকার বাংলাদেশের সাথে একটি ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। বাংলাদেশ জাহাজ শিল্পে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আলজেরিয়া বাংলাদেশে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজসহ অন্যান্য জলযান আমদানি করতে আগ্রহী। এছাড়াও, আলজেরিয়া সরকার বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগাতে চায়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত মেরিটাইম সেক্টরে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সাথে আলজেরিয়ার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আন্তর্জাতিকমানের জাহাজ তৈরি হচ্ছে এবং বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ রপ্তানি করা হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। এ সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে মেরিন একাডেমিসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে চট্টগ্রাম, মোংলাসহ অন্যান্য বন্দর এবং শিপইয়ার্ড/ডকইয়ার্ড ও বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো পরিদর্শনের আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান জাহাজ শিল্পসহ মেরিটাইম সেক্টরে আলজেরিয়া সরকারকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাথে আলজেরিয়ার সরাসরি ফ্লাইট চালুর অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ বিষয়ে আলজেরিয়া সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে আলজেরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের লন্ডনে ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য আন্তর্জাতিক নৌপরিবহণ সংস্থার (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি-সি নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বাংলাদেশের প্রার্থিতার জন্য আলজেরিয়ার সমর্থন কামনা করেন। আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বিএম জামাল হোসেনসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।