অর্থনীতি
চালের পর এবার চড়া ডিম-মাছের বাজার
প্রধান খাদ্যশস্য চালের পর এবার ডিম-মাছের বাজারও চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে। গরু ও মুরগির মাংসের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। তাতে দর বেড়েছে সব ধরনের মাছের। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের এমন চড়া দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা একের পর এক পণ্যের দর বাড়াচ্ছে। নামকাওয়াস্তে বাজারে অভিযান হলেও কার্যত এর সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা। তাই পণ্যের সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে।
ভরা মৌসুমেও বাজারে এখন সব ধরনের সবজির দাম চড়া। গতকাল মগবাজার, সেগুনবাগিচা ও মালিবাগ বাজারে দেখা গেছে, ছোট আকারের একটা লাউ কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। শিমের কেজিতে খরচ করা লাগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ফুল ও বাঁধাকপির পিস আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আলুর কেজি এখনও ৫০ টাকার বেশি। সবজির চড়া দামের কারণে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছে ডিমের দোকানে। তাতে তেতে উঠেছে ডিমের বাজার। গত বছর ডিমের বাজার বেশ বেসামাল হয়েছিল। বিশেষ করে গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দর বেড়ে এক পর্যায়ে ডিমের ডজন ছুঁয়েছিল ১৭০ টাকা। এরপর সরকার আমদানির অনুমতি দিলে বাজার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৭০ টাকার ডিমের ডজন কমে নেমে আসে ১২০ টাকায়। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। তবে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর বাজারে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দর বেড়ে যায়। ডিমের বাজারও কিছুটা নড়েচড়ে ওঠে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দর বেড়েছে ৫ টাকা। ফলে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে এখন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে কিনতে গেলে ডজনে আরও ৫ টাকা বেশি খরচ করতে হয়। অর্থাৎ ডজনে গুনতে হচ্ছে ১৪০ টাকা। সেই হিসাবে ডজনে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
গত বছরের শেষ দুই মাস মাংস বিক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল ক্রেতাদের। স্ব-উদ্যোগেই তারা দর কমিয়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি শুরু করে গরুর মাংস। তবে নির্বাচনের পর তারা আবার কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেন। তাতে প্রতি কেজির দাম দাঁড়ায় ৭০০ টাকা। দুই দিন ধরে দেশি গরুর মাংস তকমা দিয়ে কেউ কেউ ৭৫০ টাকা দরেও বিক্রি করছেন।
ব্রয়লার মুরগির দরও বাড়তি। গত ১৫ থেকে ২০ দিনে ধীরে ধীরে বেড়ে ব্রয়লারের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়ে সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।
গরুর মাংস ও ব্রয়লারের দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মাছের বাজারে। কিছু দিন ধরে বাড়তি সব ধরনের মাছের দাম। স্বল্প আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি কিনেন পাঙাশ, তেলাপিয়া ও চাষের কই।
বাজারে এই তিন পদের মাছের দর বেড়েছে। প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তেলাপিয়ার কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা এবং চাষের কই মাছের কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ আগে এ তিন জাতের মাছ অন্তত ৩০ টাকা কম দরে কেনা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি রুই আকারভেদে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং কাতলার কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাবদার কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং মাছ আকারভেদে কেজি ৪৮০ থেকে ৬০০, চিংড়ির কেজি আকারভেদে ৫৫০ থেকে ৮০০, ছোট ট্যাংরা মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ এবং বোয়াল মাছের কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ-মাংস, সবজি ছাড়াও বাজারে সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে ছোলা, অ্যাংকর ও মুগ ডালের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ছোলার কেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১১০, অ্যাংকর ডাল ৭৫ থেকে ৮০ এবং মুগ ডালের কেজি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজউক কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মমিন উদ্দিন একটি অফিস আদেশ জারি করে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, রাজউকের ৯ম গ্রেডে ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের এবং অবশিষ্ট গ্রেড ১০ থেকে অন্য গ্রেডের কর্মকর্তাদের সম্পদ বিবরণী আগামী ৩০ নভেম্বর মধ্যে চেয়ারম্যান দপ্তরে দাখিল করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিটকয়েনের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ
একটি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ছুইছুই করছে। আজ শুক্রবার বিটকয়েনের দাম ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে ছাড়িয়েছে। এই দাম বিটকয়েনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকে। আর্থিক বাজারের প্রত্যাশা, ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টোবান্ধব হবে। খবর রয়টার্সের
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম দিগুণের বেশি হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিটকয়েনের দাম ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি বেড়েছে ৪৫ শতাংশের বেশি। আজ শুক্রবার একটি বিটকয়েন বিক্রি হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে।
মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে বিটকয়েন পাল্লা দিচ্ছে ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। বিনিয়োগকারীরা মনে করেছেন, ট্রাম্পের বন্ধুরা এবং যেসব বিষয়ে তার আগ্রহ আছে, সেসব বিষয় তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভালো করবে।
সিডনির এটিএফএক্স গ্লোবালের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিক টুইডেল বলেন, ‘বিটকয়েনের দাম বাড়ছে ট্রাম্পের জন্যই। কারণ, তিনি এই শিল্পের খুবই সমর্থনকারী। এর মানে হলো, ক্রিপ্টোর মজুত ও মুদ্রা উভয়েইর চাহিদা আরও বাড়বে। নির্বাচনের ফল আসার পর বিটকয়েনের দাম প্রায় রেকর্ড পর্যায়ে ওঠার মানে হলো, এই মুদ্রার ওপরে কেবল খোলা আকাশ রয়েছে।’
গত ১০ নভেম্বর আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৮০,০০০ ডলারে পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞরা রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছেন, বর্তমান বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকলে বিটকয়েনের দাম ৩ লাখ ডলারে পৌঁছানোও অবাক করার মতো কিছু হবে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার মাধ্যমে এর দাম ওঠা-নামা করে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে বিটকয়েন কারেন্সি মার্কেটে প্রকাশ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকে কলমানি সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়ালো
ব্যাংক খাতে কলমানি সুদহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। সপ্তাহের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার কলমানি বাজারে এক দিনের জন্য ধার নেওয়া টাকার গড় সুদহার উঠেছে ১০ দশমিক ০৯ শতাংশে। ১৩ নভেম্বর থেকে এই সুদহার ১০ শতাংশ বা তার ওপরে রয়েছে। কলমানি বাজারে সুদহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে কলমানি বাজারে এক দিনের জন্য টাকা ধারের ক্ষেত্রে সুদহার ১০ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। আবার চার দিন ও সাত দিনের জন্য টাকা ধারের ক্ষেত্রে এই সুদহার আরও বেশি। গতকাল চার দিনের ধারের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ছিল সোয়া ১২ শতাংশ। আর সাত দিনের ধারের ক্ষেত্রে এই সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তবে কলমানিতে বিভিন্ন মেয়াদে ধারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টাকা লেনদেন হয় এক দিনের ধার হিসেবে।
কলমানি হচ্ছে সরকারি–বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে টাকা ধার দেওয়া–নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় যেসব ব্যাংকের হাতে নগদ টাকার সংকট থাকে তারা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য বা অর্থ থাকে তাদের কাছ থেকে টাকা ধার করে। এ জন্য সুদ দিতে হয়। সুদহার নির্ধারিত হয় চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে। ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে টাকা ধার দেওয়া–নেওয়া করলেও দিন শেষে লেনদেন ও সুদের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কলমানি বাজারের প্রতিদিনের লেনদেন ও সুদের তথ্য প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ২০১৬ সাল থেকে কলমানি বাজারের তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ সালের পর গতকালই প্রথম কলমানিতে এক দিনের ধারের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ১০ দশমিক ০৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এদিন এক দিনের জন্য কলমানিতে ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়, যার সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১১ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। এক দিনের ধারের ক্ষেত্রে কলমানিতে গড় সুদহার প্রথম ১০ শতাংশে উন্নীত হয় ১৩ নভেম্বর। ওই দিন এই বাজারে এক দিনের জন্য ৩ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
ব্যাংকাররা বলছেন, বর্তমানে কিছু ব্যাংক তীব্র তারল্যসংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংকের সংকট এতটাই প্রকট যে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। আবার সরকারি ট্রেজারি বিল–বন্ডের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংক বেশি লাভের আশায় কলমানির বদলে বিল–বন্ডে অর্থ বিনিয়োগ করছে। ফলে কলমানিতে টাকা ধার দেওয়া বা এই বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ব্যাংকের সংখ্যা কমে গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সমস্যা নিরসনে বিআইএ’র সভা
দেশের নন-লাইফ বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর সমস্যা নিরসনে করণীয় ঠিক করতে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে অ্যাসোসিয়েশনের কনফারেস রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিভিন্ন নন-লাইফ বিমা কোম্পানির ৪২ জন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইএ’র নন-লাইফ টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক ও রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা পি কে রায়।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) ও প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট হোসেন আখতার সভায় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈদয় বদরুল আলম, সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, মো. ইমাম শাহীন।
সভায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করেন এবং এসব সমস্যা নিরসনের জন্য নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন। বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট, প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী কমিটির সদস্যরা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মুডিসের রেটিংয়ে সঠিক চিত্র উঠে আসেনি দাবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ঋণমান নির্ণয়কারী মার্কিন এজেন্সি মুডিস রেটিংয়ে বাংলাদেশের আর্থ-রাজনৈতিক অবস্থার সঠিক চিত্র উঠে আসেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান কমানোর মাত্র দুদিনের মাথায় ছটি বেসরকারি ব্যাংকের ঋণমান কমানোর পর বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এমন দাবি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি একটি বড় রূপান্তরের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে। এর ইতিবাচক ফল পেতে আরও সময় লাগবে। দেশি-বিদেশি অংশীদারদের সমর্থন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি বাড়াবে।
এর আগে, গত বুধবার (২১ নভেম্বর) ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে মুডিস।
একই সময়ে মুডিস ছটি ব্যাংকের এলটি ডিপোজিট বা দীর্ঘমেয়াদি আমানতের রেটিং পূর্বাভাস পরিবর্তন করে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক করেছে।
এমআই