সারাদেশ
চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

মহেশখালির তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনালে কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রামে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই গ্যাস নেই। আজ পেট্রোবাংলা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে।
দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কম্পানিগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। এতে আরো বলা হয়, দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, একই অফিসের ৪ কর্মকর্তাসহ নিহত ৫

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে একটি ট্রাকের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মাইক্রোবাসটির চালক এবং ঠাকুরগাঁও ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসের ৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই অফিসের আরও তিনজন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তারা সবাই ট্রেনিংয়ের উদ্দেশে রংপুরে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৯ মে) সকালে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জের বাবলু ফার্ম এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন, ঠাকুরগাঁও অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসের অডিটর জুলফিকার আলী (৪৬), সহকারী অডিটর ও ইমরুল হোসেন (৪৫), দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও গাড়িচালক মানিক হোসেন। আর আহতরা হলেন, ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোবিন্দ নগর মুন্সিহাট এলাকার আজগর আলী ছেলে মিজানুর রহমান সরকার (৫০), শরিফুল ইসলামের ছেলে আল মামুন (৪০) ও দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ধানঘড়া এলাকার মোহাম্মদ ইদ্রিস আলীর ছেলে নাহিদ হোসেন (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও থেকে ৭ জন নোয়া মাইক্রোবাসে ট্রেনিংয়ের জন্য ঠাকুরগাঁও ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসে কর্মরত ৭ জন রংপুর যাচ্ছিলেন। দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বাবলুর ফার্ম নামকস্থানে অপরপ্রান্ত থেকে ছুটে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে চারজনের প্রাণহানি ঘটে। আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার আলম খান জানান, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ এলাকায়। নিহত ব্যক্তিরা ঠাকুরগাঁওয়ের। ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কাজ করছেন।
ওসি আরও বলেন, মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানায় পড়েছে। বীরগঞ্জ থানা পুলিশ হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
আজ আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর আওতাধীন কিছু এলাকায় উন্নয়নকাজের জন্য আজ রবিবার (১৮ মে) সিলেটের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
শনিবার (১৭ মে) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আওতাধীন সিলেট শেখঘাট উপকেন্দ্রের ৩৩/১১ কেভি ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।
এলাকাগুলো হলো-নগরীর জল্লারপাড়, ক্বীন ব্রিজ, নবাব রোড, লালা দীঘিরপার, ঘাসিটুলা, পুলিশ লাইন, সার্কিট হাউজ এক্সপ্রেস, কলাপাড়া, ভাতালিয়া ফিডারের আওতাধীন সিজিএম কোর্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেতার, সাগর দীঘিরপাডর, দাড়িয়াপাড়া, জল্লারপাড়, জামতলা, মির্জাজাঙ্গাল, ছায়ানীড়, ছায়াতরু, সরষপুর গলি।
এতে আরও বলা হয়, এ ছাড়াও মদন মোহন কলেজ,লামাবাজার (আংশিক), মাছুদিঘীর পার, রামেরদিঘীর পার, তালতলা, তেলিহাওর, শেখঘাট, শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকা, পশ্চিম কাজির বাজার, জিতু মিয়ার পয়েন্ট তৎসলগ্ন কুয়ারপার, বিলপার, ইঙ্গুলাল রোড, লালাদিঘীর পার, নবীন আবাসিক এলাকা, ভাঙ্গাটিকর এলাকাসমূহ। কাজ শেষ হয়ে গেলে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হতে পারে।
সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহক ভোগান্তির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বিউবো কর্তৃপক্ষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
গোসাইরহাটের সাবেক পৌর মেয়র বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল আউয়াল সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল আউয়াল সরদার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে তিনি গা ঢাকা দেন। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে গেলে তাকে আটক করে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ। শুক্রবার সকালে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গোসাইরহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। গোসাইরহাট থানা পুলিশ দুপুরে তাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শরীয়তপুর কারাগারে প্রেরণ করে।
গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলম বলেন, মেয়র আব্দুল আউয়াল দেশ ছেড়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে গোসাইরহাট থানায় প্রেরণ করে। পরে আমার তাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শরীয়তপুর কারাগারে পাঠিয়েছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও আট কর্মকর্তা কর্মচারীকে বহিষ্কার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের রূপপুর প্রকল্পে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে গ্রিনসিটির সাইট কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরা রূপপুর প্রকল্পের কর্মরত নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) কর্মকর্তা কর্মচারী।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইমেইলে বরখাস্তের অফিস আদেশ পাঠানো হয়। বুধবার তা কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৮ মে এনপিসিবিএল-এর দাপ্তরিক আদেশ তাদের ১৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বরখাস্তরা হলেন, কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক ইকতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিপ্লব ও শামীম আহমেদ, ঊর্ধ্বতন সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মনির, সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ঊর্ধ্বতন উপসহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেনুজ্জামান খাঁন, সরকারি ব্যবস্থাপক মো. গোলাম আজম, টেকনিশিয়ান রিয়াজউদ্দিন ও মো. ইসমাইল হোসেন।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বুধবার বিকেলে রূপপুর প্রকল্পের সাইট অফিস ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানান, রূপপুরের ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও চাকরিবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাময়িক বরখাস্তের পর গ্রিনসিটি কার্যালয়ে সিকিউরিটি এন্ড ফিজিক্যাল প্রটেকশন সার্ভিসেস বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তাদের ইমেইল পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প সাইটে ও এনপিসিবিএল- এ শৃঙ্খলাবিরোধী বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন বা কর্তব্য অবহেলা করেছেন বা অসদাচরণ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে বিধায় আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ ও ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ চান কিনা তা ১০-কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো। পাশাপাশি সার্ভিস রেগুলেশন ২০২৫ প্রবিধান ৪৪.১ অনুযায়ী আপনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে ঈশ্বরদীর রূপপুরে কোম্পানির প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ২৮ এপ্রিল আন্দোলন শুরু করেন। ৬ মে তারা ঈশ্বরদী শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। পরদিন ৭ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে কোম্পানির অফিসে তারা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন। এতে এনপিসিবিএল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি ও কোম্পানির আইন মেনে চলার চিঠি দেয়। না মানায় পরদিন ৮ মে কোম্পানির ১৮ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এভাবে একই ঘটনার দায়ে আজ ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
একদিনে বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১০

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলায় বজ্রপাতে ৫ জন, কিশোরগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজন, শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধান কাটতে গিয়ে এক কৃষক, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধান কাটার সময় এক শ্রমিক এবং ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার নাসিরনগর ও আখাউড়া উপজেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় তিনজন ও আখাউড়া উপজেলায় দুজন রয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বজ্রপাতের সময় কৃষিকাজ ও মাঠে অবস্থানের সময়ই অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নাসিরনগরে বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন হামিদা বেগম (৪০) নামের এক নারী। তার কণ্ঠনালি ঝলসে গেছে এবং তিনি বর্তমানে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নাসিরনগরের হতাহতরা হলেন, চাঁনপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), গোকর্ণ গ্রামের বাসিন্দা মো. শামসুল হুদা (৬৫), কচুয়া গ্রামের শিশু জাকিয়া (৭), ভলাকুট ইউনিয়ন দুর্গাপুর গ্রামের হামিদা বেগম (৪০),
আখাউড়ায় নিহতরা হলেন, রুটি গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের যুবক জাকির খাঁ (২২)।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবহাওয়া হঠাৎ রূপ পরিবর্তন এবং বজ্রপাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে দুটি গরুও মারা গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, এটি একটি হৃদয়বিদারক দিন। বজ্রপাতের সময় নিরাপদে থাকার বিষয়ে সচেতনতা আরও বাড়ানো জরুরি। নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, নিহতদের পরিবারকে প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ওসি মো. ছমিউদ্দিন বলেন, বজ্রপাতের সময়ে খোলা মাঠে অবস্থান করায় এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। সচেতনতার অভাবকেও কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ: ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলায় বজ্রপাতে এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৬০), শ্রীনগর ইউনিয়নের ইউনুস মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (২৮) ও কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের হাজারী নগর গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী সফু মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (১৭)। তিনি ভৈরবের হাজী আসমত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া গ্রামের আবু বকর (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ফারুক মিয়া বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাওরে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন এ ছাড়া ফয়সাল মিয়া বাড়ির পাশের জমিতে ধানের খড় আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। অপরদিকে কবির হোসেন জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা জুই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বজ্রপাতে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
অপরদিকে হোসেনপুর উপজেলার কুড়িঘাটে এলাকায় বজ্রপাতে আহত হন আড়াইবাড়িয়া গ্রামের আবু বকর। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকো।
শেরপুর: জেলার নালিতাবাড়ীতে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন খবির উদ্দিন (৪৫) নামে এক কৃষিশ্রমিক। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক শ্রমিক সকুল (২০)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত খবির উদ্দিন ও আহত সকুল দুজনেই একই উপজেলার উত্তর কাপাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খবির উদ্দিন, সজমুল মিয়া এবং আরও কয়েকজন শ্রমিক মজুরির বিনিময়ে আন্ধারুপাড়ার কৃষক সারোয়ার হোসেনের বোরো ধান কাটছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে খোলা মাঠেই বজ্রপাতে খবির উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং সকুল আহত হন। পরে তাদের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খবির উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সকুল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাহাদ রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা। তিনি বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্রই আমাদের ফোর্স পাঠিয়েছি। বজ্রপাতের সময় ৮-৯ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর মধ্যে একজন নিহত হন ও ৩-৪ জন আহত হন। তবে আহতদের অবস্থা এখন ভালো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা-বুলপুরে বজ্রপাতে আব্দুল কাইয়ুম (৫৫) নামে একজন ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কাইয়ুম নয়াগোলা-সাতনইল মহল্লার মৃত্যু সাইফুউদ্দিনের ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, বিকেলে সদর উপজেলার বুলনপুর এলাকায় ধান কাটছিলেন আব্দুল কাইয়ুম। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে পরিবারে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে নিহত বেড়ে ২ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (১১ মে) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মরাকুড়ি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, স্থানীয় ছনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মজি মিয়ার ছেলে মো. সজীব (২৩) এবং পার্শ্ববর্তী চর ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আফছর আলীর ছেলে মো. সুরুজ মিয়া (৬০)।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান শফিক খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নিহত সজীবের প্রতিবেশী চাচা মো. আজাদ জানান, ঘটনার সময় নিহত সজীব গরুর খাবারের জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিড়য়েছিল। এ সময় হঠাৎ ঝড় শুরু হলে সে একটি কড়ই গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ঝড়ের কবলে গাছটি উপড়ে গিয়ে সজীবের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুম মিয়া খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে সজীব নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে, ঝড়ের সময় বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুরুজ আলী নামে এক ব্যক্তি। এ সময় হঠাৎ ঝড়ের কবলে একটি গাছের ডাল ভেঙে তার মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই সেও মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোবারক হোসেন।