জাতীয়
বাংলাদেশে পান করা ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যানসারের জীবাণু: গবেষণা

বাংলাদেশিদের পান করা প্রায় অর্ধেক পানিতেই বিপজ্জনকভাবে উচ্চমাত্রার আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ক্যানসার সৃষ্টিকারী আর্সেনিকের মাত্রা বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যের ন্য মারাত্মক ঝুঁকির হলেও দেশটির মানুষ এই পানি পান করছেন। বুধবার বিজ্ঞানবিষয়ক পিএলওএস ওয়ান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা পরিচালনার জন্য সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। গবেষকরা আর্সেনিক নিঃসরণের মাত্রা বোঝার জন্য পানিতে অক্সিজেনের ঘনত্ব, পিএইচ এবং তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখেছেন। গবেষকরা বলেছেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের পান করা পানির ৪৯ শতাংশের মধ্যে ক্যানসার সৃষ্টিকারী আর্সেনিকের অনিরাপদ মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
পানিতে অতিরিক্ত মাত্রায় আর্সেনিকের উপস্থিতির কারণে মানুষের শরীরে আরসেনিকসিস হয়। যা থেকে ফুসফুস, মূত্রাশয়, কিডনি এবং ত্বকের ক্যানসার হতে পারে।
এই গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সংকটের তীব্রতাকে তুলে ধরেছে। গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি প্রায়ই প্রবল বন্যার মুখোমুখি হয়। একই সঙ্গে জলবায়ু সংকটের ক্ষতিকর প্রভাবের সবচেয়ে ঝুঁকিতেও আছে বাংলাদেশ। দেশটিতে ইতিমধ্যে আর্সেনিকের কারণে লাখ লাখ মানুষ ত্বক, মূত্রাশয় ও ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছেন।
২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমের তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের প্রায় ২১ শতাংশ এলাকায় বন্যা হয়। পিএলওএস ওয়ান সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পানিতে অতিরিক্ত মাত্রার আর্সেনিকের উপস্থিতির সাথে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মৌসুমী ভারী বন্যার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সমুদ্রের নোনা পানি সুপেয় পানির সাথে মিশে যাওয়ায় পলি থেকে আর্সেনিক নির্গত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, পানিতে আর্সেনিকের সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা ১০ পার্টস পার বিলিয়ন (পিপিবি)। কিন্তু বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ এলাকার নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা ডব্লিউএইচও নির্দেশিত সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বলে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন।
কিছু কিছু এলাকার পানিতে আর্সেনিকের ঘনত্ব প্রতি লিটারে ৪৫০ মাইক্রোগ্রাম পাওয়া গেছে। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে ৪৫ গুণ বেশি।
গবেষণাটির মুখ্য গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের নরউইচ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সেথ ফ্রিসবি বলেছেন, এই সংকট কেবল বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের বাসিন্দাদেরও আর্সেনিক বিষক্রিয়া প্রভাবিত করছে।
তিনি বলেন, ‘‘সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির একই রাসায়নিক প্রক্রিয়া পলি থেকে আর্সেনিককে বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে যায়। পলি থেকে নির্গত আর্সেনিক বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নলকূপের পানিতেও মিশছে।’’
ড. ফ্রিসবি বলেন, আর্সেনিক বিষক্রিয়ার প্রভাব বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়ার ১১ বছর আগে উপমহাদেশে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ভারত এবং বাংলাদেশে পানিতে আর্সেনিকের উচ্চ মাত্রার উপস্থিতি কয়েক দশকের পুরোনো; যা উভয় দেশের জনসংখ্যাকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
গবেষণার এই ফলাফল জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা। গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান কিংবা আর্সেনিকের সংস্পর্শে এলে ক্যানসার এবং ভাস্কুলার রোগসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ভূগর্ভস্থ পানির দূষণ রোধে পানি পরিশোধন প্রযুক্তি এবং অবকাঠামোসহ সম্ভাব্য অন্যান্য সমাধানমূলক ব্যবস্থা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধার দাবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ন্যায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধা প্রদানের দাবি বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের। এই সুবিধা দিতে গত ২০২০ সালে বিগত সরকারের নিকট আবেদন করেছিলো সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। তবে কোনো সুফল পায়নি তারা।
বুধবার (১২ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রবাবর এবিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ সচিবালয়সহ সারা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবীনামা পেশ এবং ন্যয্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে। এ পরিষদ ছাত্র-জনতার বিপ্লব এবং আত্মত্যাগের বিনিময়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। বর্তমান সরকার দীর্ঘদিনের সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনকল্পে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে আপনার নেতৃত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রেশন এবং ওএমএস পন্য সরবরাহের পরিধি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে এবং স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এর সুবিধা সারা বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে যা অত্যন্ত প্রশংসার দাবীদার।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারণী কার্যাবলিসহ প্রজাতন্ত্রের সকল কার্যক্রম সচিবালয় থেকে সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সুচারুভাবে এ সকল কার্যাদি সম্পাদন করে থাকেন। এ সকল কার্যসম্পাদনে বিভিন্ন সময়ে ছুটিরদিনসহ অফিস সময়ের পরেও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এ জন্য সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত আর্থিক কোন সুবিধা অর্থাৎ রেশন কিংবা সচিবালয় ভাতা দেয়া হয় না। পক্ষান্তরে, বিভিন্ন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থার প্রায় ৮ লক্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রেশনের পাশাপাশি বিশেষ ঝুঁকিভাতাও পাচ্ছেন (সংলাগ- ১)। ফলে, তাদের সাথে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দুদকের ন্যায় ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধা প্রদানের জন্য বিগত ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলাম। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ৩৭০নং স্মারকে জানানো হয়, বর্তমান অর্থবছরে করোনা মহামারিজনিত কারণে খাদ্যশস্যের বিলি বিতরণ বেশি হয়েছে। এছাড়া, এ বছর মজুত পরিস্থিতি আশানুরুপ নয় বিধায় আবেদনটি বিবেচনা করার সুযোগ নেই” (সংলাগ-২)। এ পত্র প্রাপ্তির পর ইতোমধ্যে প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া, ২০১৫ সালে জাতীয় বেতনস্কেল প্রদানের পর প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হলেও আর কোন বেতনস্কেল জারি না হওয়ায় বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে স্বল্প আয়ের সচিবালয়ের কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থার কর্মচারীদের সাথে সচিবালয়ের কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনকল্পে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় ন্যায্যমূলে রেশন সুবিধা প্রদানে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৃহস্পতিবার দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসার কারণে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এনআইডি’র সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সারাদেশে নিজ অফিসের সামনে মানববন্ধন করবেন। এর ফলে এ দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সারাদেশে সব ধরনের এনআইডি সেবা।
বুধবার (১২ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন।
মনির হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একই প্রতিষ্ঠানে থাকবে। বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশন চাচ্ছে ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনে থাকুক। কিন্তু মাঝপথে দেখলাম এনআইডি নিয়ে আলাদা একটা কমিশন করার জন্য। এর প্রতিবাদে আমরা সিইসিকে একটা স্মারকলিপি দিয়েছি। সে ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনও সরকারকে অবগত করেছে। কিন্তু আমরা এখনো দৃশ্যমান কোনো ফল দেখতে পাচ্ছি না। তাই এনআইডি নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার সব নির্বাচন অফিসের সামনে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করবো। বেলা ১১ থেকে ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবো।
এসময় এনআইডি সেবা বন্ধ থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মনির হোসেন বলেন, আমরা সবাই অফিস কক্ষ ছেড়ে অফিসের সামনে স্ট্যান্ড ফর এনআইডি কর্মসূচি পালন করবো। তাহলে এনআইডি সেবা দেবে কে? সুতরাং এ সময় সব কাজ বন্ধ থাকবে।
নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, এনআইডি কার্যক্রম যাতে ইসি থেকে না যায় সে বিষয়ে কমিশন সব উদ্যোগ নেবে। এনআইডি যদি ইসি থেকে অন্যত্র চলে যায় তাহলে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়বে। এনআইডি ও ভোটার তালিকা জমজ সন্তান। এনআইডি নির্বাচন কমিশনে থাকা উচিত। স্বৈরাচার সরকার এনআইডি নির্বাচন কমিশন থেকে সরানোর চক্রান্ত করেছিল। এনআইডি’র মাধ্যমে ১৮৩ প্রতিষ্ঠানকে আমরা তথ্য দিচ্ছি। এনআইডি কমিশন থেকে সরে গেলে হুমকির মুখে পড়বে। তিল তিল করে গড়ে ওঠা এনআইডি ধ্বংসও হতে পারে। নির্বাচন কমিশন চার থেকে ৫ হাজার জনবল তৈরি করেছে এনআইডি সেবা দেওয়ার জন্য।
এনআইডি’র সিস্টেম ম্যানেজার (কারিগরি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এনআইডি এমনভাবে জন্ম হয়েছে, এটা কমিশন থেকে আলাদা করার মতো নয়। ডাটাবেইজ একটা। কোনো প্রতিষ্ঠান এনআইডি নিতে হলে ভোটার তালিকাও নিতে হবে। এনআইডি নিলে ভোটার তালিকা ব্যাহত হবে। এনআইডি চলে গেলে ভোটার তালিকায় ভাটা পড়বে। এনআইডির জন্ম হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সুতরাং এখানে থাকা দরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এনআইডি পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি: প্রেস সচিব

মাগুরার শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন।
সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে রয়েছেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ ও থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকেরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (১২ মার্চ) সকালে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এপেক্স গ্রুপের এক কর্মকর্তা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৬ সালে যোগাযোগ, নৌপরিবহণ, বেসামরিক বিমান চলাচল; পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০০১ সালে কৃষি, নৌপরিবহণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি ।
১৯৪২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্ম নেওয়া মঞ্জুর এলাহী কলকাতার সেন্ট জাভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ পরিবারের নামযুক্ত সেনাবাহিনীর ১৬ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

শেখ পরিবারের নামযুক্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আওতাধীন ১৬টি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুমোদনের পর সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগের নাম বাতিল করে নতুন নামকরণের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
নতুন নামের তালিকা অনুযায়ী, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেনানিবাস রাখা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাসের নতুন নাম হয়েছে মিঠামইন সেনানিবাস। সেইসঙ্গে বরিশালের লেবুখালিতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম বদলে বরিশাল সেনানিবাস, শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে পদ্মা সেনানিবাস রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তন করে বিএমএ একাডেমিক কমপ্লেক্স রাখা হয়েছে এবং হালিশহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের নতুন নাম আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল রাখা হয়েছে। কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে অবস্থিত মুজিব রেজিমেন্ট আর্টিলারির নাম বদলে রাখা হয়েছে ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি।
একইসঙ্গে ঢাকার বিজয় সরণিতে অবস্থিত অ্যাডহক বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের নতুন নাম রাখা হয়েছে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর। আর শরীয়তপুরের জাজিরায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম চরজানাজাতের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম জাজিরা।
এ ছাড়াও ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের নাম স্বাধীনতা জাদুঘর, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম যমুনা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জলসিঁড়িতে অবস্থিত শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন নাম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ রাখা হয়েছে।