অর্থনীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করবে: ডিসিসিআই

সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় ডিসিসিআই।
এর আগে আজ বিকেলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২য় ষাণ্মাসিক (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঘোষিত মুদ্রানীতি সম্পর্কে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, এই মুদ্রানীতি দেশের আর্থিক খাতকে পুনর্জীবিত এবং প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রবাহ নিশ্চিত করা ও মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখতে সহায়তা করবে।
বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে মুদ্রানীতিতে ‘ক্রগিং পেগ’ পদ্ধতি অনুসরণের উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ডিসিসিআই। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে নীতিসুদহার (রেপোরেট) ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ উন্নীত করে বাজারে মুদ্রা প্রবাহ হ্রাস করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার এ উদ্যোগ কার্যকর হবে বলে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে এ নীতি সুনির্দিষ্ট প্রভাব রাখবে, তাছাড়া অন্যান্য প্রি-ফাইন্যান্সিং ও রি-ফ্যাইন্যান্সিং স্কিমের মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতকে সহায়তা করবে।
সর্বশেষ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ‘স্মার্ট’-এর উপর ভিত্তি করে ঋণের সুদ হার নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল, তবে সেটি খুব বেশি কার্যকর হয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়নি, কারণ গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৫%, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫%-এর চেয়ে বেশি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনায়নে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে গৃহীত উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
তিনি বলেন, জানুয়ারি-জুন ২০২৪ মেয়াদে সরকারিখাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭.৮ শতাংশ, যদিও জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে ৩৭.৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে অর্জিত হয়েছিল মাত্র ১৮ শতাংশ। অপরদিকে জানুয়ারি-জুন ২০২৪ মেয়াদে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে ১০.৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে অর্জিত হয়েছিল মাত্র ১০.২ শতাংশ। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা, গত মেয়াদের অর্জিত মাত্রার চেয়ে কম নির্ধারণ করা হয়েছে, যদিও ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দেশের বেসরকারি খাত ঋণ প্রবাহের এর লক্ষ্যমাত্রা আরো বেশি প্রত্যাশা করেছিল।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, যথাযথ আর্থিক ঋণ কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে বেসরকারিখাতে অধিকহারে ঋণ প্রবাহ নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সরকারিখাতে ঋণ হ্রাসের পাশাপাশি বেসরকারিখাতে ঋণ বৃদ্ধি কল্পে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতাসাধন এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের উপর জোরারোপ করেন।
মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনয়নে, ঢাকা চেম্বার সভাপতি মনে করেন যে, ‘ক্রগিং পেগ’ পদ্ধতি বাজারকে কিছুটা স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হবে, তবে এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে তারল্য বৃদ্ধি কল্পে ‘এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ)’ হার পূর্বের ১৫ শতাংশ, ৬০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশের তুলনায় যথাক্রমে ৭.৫ শতাংশ, ৩০ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও পেমেন্টের ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ৪০ শতাংশ অফশোর ব্যাংকিং অপারেশন্স হতে ধারের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডিসিসিআই সভাপতি মনে করেন, এ উদ্যোগ বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রার পরিস্থিতিতে স্থিতিশীল করবে, যদিও সীমিত হস্তক্ষেপ এবং সুসংগঠিত নীতি-কাঠামোর আওতায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে ৪-৫ বছর লেগে যাবে: গভর্নর

আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে চার-পাঁচ বছর লেগে যাবে। তবে এক বছরের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, পলাতক পাচারকারীদের লুটের জব্দকৃত টাকা ও শেয়ার দরিদ্রদের জন্য ও জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হবে। এ লক্ষ্যে ফান্ড তৈরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আইনের সঠিক ধারা মেনেই সবকিছু করা হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মে মাসের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬১ কোটি ডলার

চলতি মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারায় নতুন রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে। দেশে চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ১৬১ কোটি ডলারের। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে আসছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বা ১১৫৫ কোটি টাকা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে প্রবাসী আয় ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মে’র প্রথম ১৭ দিনে ১৬১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
অন্যদিকে, কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টি। এরমধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসে ২৭৫ কোটি ডলারের।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পোশাকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তবে বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রয়োজনে সকল কিছু করা হবে।
আজ রোববার (১৮ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ভারত গতকাল যে পদক্ষপটা নিলো সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা কী করছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখনো অফিসিয়ালি ভারতের পদক্ষেপের বিষয়ে কিছু জানি না। তবে সোস্যাল মিডিয়া ও নিউজ থেকে আমরা জানি তারা স্থলবন্দর বিশেষ করে আখাউড়া, ডাউকিসহ কিছু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ফর্মালি জানার পর ব্যবস্থা নিতে পারবো। আমাদের বিশ্লেষণ চলছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সেটা করছে। আমরা উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা করণীয় নির্ধারণ করবো।
আমরা ভারতের যে সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারছি তাতে আমাদের বাণিজ্য বড় ধরনের প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য, আসবাবপত্র, ফলের জুসসহ বিভিন্ন পণ্যে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের দেশ থেকে খুব বেশি যে সবকিছু যায় তা কিন্তু না। গার্মেন্টস শিল্পের একটা বড় পরিমাণ যায়। আপনারা এটা জানেন যে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনই আমাদের বড় লক্ষ্য৷ এটা দুইজনের জন্য লাভজনক বিষয়। আমরা নিশ্চয়ই মনে করি ভারত নিজেও একটা টেক্সটাইল বা বস্ত্রশিল্পে সমৃদ্ধ দেশ। এরপরও যখন আমাদের দেশ থেকে এসব পণ্য রপ্তানি হয় সেটা আমাদের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই। তবে আমরা আশা করি উভয় দেশের ভোক্তা ও উৎপাদনের স্বার্থে এটা চলমান থাকবে।
এর আগেও ট্রান্সশিপমেন্ট, এখন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা; এই দুইটা বিষয় ভারত কেন করেছে বলে আপনি মনে করেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রভাব আমাদের নেই। আমরা নিজেদের সক্ষমতা ব্যবহার করে নিজস্বভাবেই এই সমস্যার সমাধান করেছি।
ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আপনার মনে হয়- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই, এটাতো প্রতিযোগিতার সক্ষমতার বিষয়। বিভিন্ন সময় আপনারা দেখেছেন আমরা যেহেতু ভৌগোলিকভাবে কানেক্টেড একটা দেশ। আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা, পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য জিনিস নির্দিষ্ট। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের কৃষিপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করি, ভারতও করে। সেটা চলমান একটা প্রক্রিয়া। এটা বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া আমরা সেটা বিষয়ে কাজ করছি। সেখানে যদি সমস্যা দেখা দেয় বা তৈরি হয় তাহলে উভয়পক্ষ আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু বন্দর এখনো চালু আছে। যে কয়টা বন্ধ হয়েছে সেখানে ৯০ শতাংশ নয়। আমাদের সংস্থাগুলো কাজ করছে। আমি এখনো রিপোর্টটা দেখিনি। আপনারা যেমন সোস্যাল মিডিয়াতে দেখেছেন আমিও সোস্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। আমাদের আরও দু-একদিন সময় লাগবে পুরো পরিস্থিতিটা জানার জন্য আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। আজ না হয় কালের মধ্যে তথ্য পেয়ে যাবো, তখন আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারবো।
ভারতের সাথে কি তাহলে আলোচনায় যাবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনে সকল কিছু করবো। তবে এ বিষয়টি আমাদের এখনো অফিসিয়ালি জানানো হয়নি।
যে দুইটি সিদ্ধান্ত আমরা দেখলাম সেটা সাম্প্রতিক দুই দেশের সম্পর্কের কারণে হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার কাজ বাণিজ্য আমি এটাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই। সবসময় যেটা বলে এসেছি আমি উদার বাণিজ্যে বিশ্বাসী। আমার কাছে বাণিজ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমার দেশের ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য উদারীকরণ ও বাণিজ্য ইনক্লুশন ছাড়া আর কোনো রাস্তা আমি দেখি না।
সরকার বলছে আমরা বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন করবো, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবো অথচ পরিস্থিতি উল্টো দেখা যাচ্ছে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এই জিনিসগুলোই আলোচনায় নিয়ে আসবো। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ভারতের সাথে আমাদের যে বাণিজ্য সেটা ভারতের দিকেই অধিক ভারী। আমরা নিশ্চয়ই এই অবস্থানগুলো তুলে ধরবো। একই সঙ্গে আশা করছি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবো।
এ ধরেনর সিদ্ধান্তে ভারতের সাথে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বে সেটা কীভাবে কমিয়ে আনবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, একদিনে তো আর বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারবেন না। আমরা যেটা ভারত থেকে রিসোর্স করি সেটা পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হিসেবে, ভারতও সেটা করে। সেটা প্রাকৃতিক বিষয়ের কারণেই হয়ে আসছে। আমরা আমাদের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা বাণিজ্য বৃদ্ধি করবো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটে বরাবরের মতো এবারও বড় ৫ খাতেই ৭০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত করা হয়।
এডিপির খসড়া জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদন দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এনইসি সভা শেষে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এডিপিতে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা এক হাজার ১৪২ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বরাবরের মতো এবারও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে। মোট বরাদ্দের ২৫.৬৪ শতাংশ বা ৫৮ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪.০৮ শতাংশ বা ৩২ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। ১২.৪২ শতাংশ বা ২৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা খাত। গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাতে ৯.৯০ শতাংশ বা ২২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। আর স্বাস্থ্য খাত পেয়েছে ৭.৮৯ শতাংশ বা ১৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা ।
এছাড়া স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৩ হাজার ৪৭২ কোটি, কৃষি খাতে ১০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১০ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনীতিক সেবা খাতে ৫ হাজার ৩৮ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, ধর্ম, সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতে ৩ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতে ২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা, সামাজিক সুরক্ষা খাতে ২ হাজার ১৮ কোটি টাকা, সাধারণ সরকারি সেবা খাতে এক হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা ও প্রতিরক্ষা খাতে ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে সংশোধিত এডিপিতে তা কমিয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট মূল এডিপির তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম হলেও সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো চাহিদা দিয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে সরকারের অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, আর বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারের অর্থায়ন কমে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে, আর বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৮৬ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি বিবেচনায় বৈঠক আজ

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটে বরাবরের মতো এবারও বড় ৫ খাতেই ৭০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে শুধু পরিবহন ও যোগাযোগ খাতই ২৫ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে।
আজ রবিবার (১৮ মে) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত করা হবে। এডিপির খসড়া এনইসির সভায় অনুমোদন দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বর্ধিত সভা সূত্রে জানা যায়, এবার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৪৪ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা।
জানা যায়, বরাবরের মতো এবারও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। মোট বরাদ্দের ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ বা ৫৮ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে এ খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বা ৩২ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ২৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা খাত। গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ২২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। আর স্বাস্থ্যখাত পেয়েছে ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ১৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।
এছাড়া স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৩ হাজার ৪৭২ কোটি, কৃষি খাতে ১০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১০ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনীতিক সেবাখাতে ৫ হাজার ৩৮ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, ধর্ম, সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতে ৩ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতে ২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা, সামাজিক সুরক্ষা খাতে ২ হাজার ১৮ কোটি টাকা, সাধারণ সরকারি সেবাখাতে এক হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা ও প্রতিরক্ষা খাতে ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে সংশোধিত এডিপিতে তা কমিয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট মূল এডিপির তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম হলেও সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো চাহিদা দিয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে সরকারের অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, আর বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারের অর্থায়ন কমে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে, আর বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৮৬ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়েছে।