বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স এন্ড ডিলার্স এসোসিয়েশন (বারভিডা) নেতৃবৃন্দের সাথে অতিরিক্ত ডিআইজির (ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ) আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনায় মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর হতে আমদানিকৃত গাড়ি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার প্রবেশ পথে অযৌক্তিকভাবে যাতে কোন মামলার শিকার না হয় এবং বিআরটিএ এর গ্যারেজ টোকেন যৌক্তিকতার সহিত দেখা হয় তার জন্য অনুরোধ করেন।
বারভিডা নেতৃবৃন্দ বলেন, আমদানিকৃত গাড়ি স্থান পরিবর্তনের জন্য বিআরটিএ গ্যারেজ নাম্বার ব্যবহারের প্রথা চালু কিংবা বৈধতা রয়েছে।
এছাড়াও মোংলা ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকসহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার পথে গাড়িগুলো ‘চৌরকার্য’ রোধ আরও নিরাপত্তা জোড়দারসহ বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হয়।
ডিসি ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ মোহাম্মদ মইনুল হাসান (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বারভিডার প্রস্তাবসমূহ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন এবং অযৌক্তিকভাবে কেউ কোন হয়রানির শিকার হবে না এ ব্যাপারে শতভাগ আশ্বাস্ত প্রদান করেন। তিনি প্রত্যেক শোরুমের সামনে যাতে আগত ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা কোন গাড়ি মূল সড়কে অবৈধ পার্কিং না করে সেজন্য অনুরোধ জানান। একইসাথে প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার স্বস্ব প্রতিষ্ঠাানের পর্যাপ্ত সিসিটিভির ব্যবস্থা করেন সেজন্য তিনি অনুরোধ করেন।
বারভিডা প্রেসিডেন্ট মো. হাবিব উল্লাহ ডন সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ) মোহাম্মদ মাইনুল হাসান পিপিএম। বারভিডা সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মমদ শহীদুল ইসলাম এবং বারভিডা ভাইস প্রেসিডেন্ট ২ ও বারভিডা বিআরটিএ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রিয়াজ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সংগঠনের বিপুল সংখ্যাক সদস্যসহ ট্রাফিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, বারভিডা দীর্ঘ প্রায় ৪ দশক ধরে দেশে জাপানের মানসম্মত এবং পরিবেশ-বান্ধব গাড়ি আমদানির মাধ্যমে দেশের পরিবহন খাতে অবদান রেখে চলেছে। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বারভিডা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার স্থানীয় বিনিয়োগ এবং বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও বারভিডা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প, ওয়ার্কশপ এবং গাড়িচালকদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশে লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত।