পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে ৭৬০ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের বৃদ্ধিতে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় এদিন কমেছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৭ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৯০ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৯ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়ে ২১৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৭৬০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৮০০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৫৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টি কোম্পানির, বিপরীতে ৯৫ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
প্রাইম ফাইন্যান্সের লোকসান কমেছে ১৫ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কেম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
রোববার (১৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৩৪ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৬ টাকা ৭১ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি সাক্ষাতে পদত্যাগ করতে পারেন বিএসইসি চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। এরই মধ্যে সোমবার (১৯ মে) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে জরুরি সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র অর্থ উপদেষ্টার কাছে জমা দিতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ অর্থ উপদেষ্টা সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইলে তাকে ১০ মিনিটের সময় দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে বিএসইসি চেয়ারম্যান অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন। এ সময়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র অর্থ উপদেষ্টার কাছে জমা দিতে পারেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এ পদে তার আর থাকা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করতে পারেন।
গত বছরের ১৮ আগস্ট খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে বিএসইসি চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর থেকে তিনি কঠোর হস্তে বিএসইসি অসৎ কর্মকর্তাদের অপসারণ করেন। চলতি বছরই তিনি বিএসইসি ১৬ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। এ সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের অনেকে বিএসইসি সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে থাকা শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এদিকে, পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে কফিন নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা।
রবিবার (১৮ মে) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এ ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকালে বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভের আয়োজক বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে বিনিয়োগকারীরা প্রথমে কফিন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে হাটখোলা মোড় হয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা প্রতীকী কফিন নিয়ে গায়েবানা জানাজা পড়েন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া বিনিয়োগকারীরা বলেন, শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের কারণে লাখো বিণিয়োগকারী পথে বসেছেন। মাকসুদের নেতৃত্বে বাজার থেকে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা মূলধন উধাও হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, পুঁজি হারিয়ে অনেক বিণিয়োগকারী হতাশায় পড়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবাজার বোঝেন না, তার নেতৃত্বে বাজারে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তারা আরো বলেন, গতকাল (শনিবার) এক বৈঠকে তিনি অংশীজনদের হুমকি দিয়েছেন, যাতে পুঁজিবাজার সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য গণমাধ্যমে না আসে এবং তার বিরুদ্ধে কেউ আন্দোলন না করে। বিনিয়োগকারীদের মতে, এই মানসিকতা দায়িত্বশীল পদে থাকা কারো হতে পারে না।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের পুঁজিবাজার রক্ষা করা আমাদের কাজ নয়- মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের মতে, অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ খাতকে রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব সংস্থার দায়িত্ব রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। এর আগে বাজারের এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আরো অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হবে।
তারা বলেন, বাধ্য হয়ে কফিন নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে। এখন যদি পরিবর্তন না আসে, তাহলে আন্দোলনের মাত্রা আরো বাড়ানো হবে। তাদের একটাই দাবি, বাজার বাঁচাতে হলে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার ও অর্থবাজারের ভূমিকা মুখোমুখি: ডিএসই চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজারের বিভিন্ন কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার ও অর্থবাজারের ভূমিকা মুখোমুখী। এছাড়াও নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্বাধীনতা, আইপিও প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন ও মূল্যায়ন, কর্পোরেট বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পলিসি ও প্রক্রিয়াসমূহ সহজীকরণ, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট ও ডিসক্লোজারের নির্ভরযোগ্যতা, বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের সক্ষমতা ও সুশাসন, ইনসাইডার ট্রেডিং, সার্ভেইল্যান্স ও পুঁজিবাজারের জন্য পলিসি সাপোর্ট সহ নানান সমস্যা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সাথে ডিএসই ও স্টেকহোল্ডারদের এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (১৮ মে) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পরিদর্শনে আসেন৷ এ সময় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মো. মহসিন চৌধুরী, মো. আলি আকবর, পুঁজিবাজার সংস্কার বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্টেকহোল্ডার-ডিবিএ, সিডিবিএল, সিসিবিএলের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে পুঁজিবাজারের পতনের কারণ উল্লেখ করে মমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজের অধিক সুদের হার, করপোরেট প্রফিট হ্রাস, নেগেটিভ ইক্যুইটি, টাকার অবমূল্যায়ন এবং ম্যানিপুলেটরের ভূমিকা।
পুঁজিবাজারের আস্থা বৃদ্ধির জন্য করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, বিও হিসাবের মেইনটেনেন্স ফি ছাড়, ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স মওকুফ, ব্রোকারেজ কমিশনের সর্বোচ্চ হার ০.৫% থেকে হ্রাস করে ০.৩৫% করা, ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত করা এবং লভ্যাংশের উত্সে কর ১০% বা ১৫% চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করা, নেগেটিভ ইক্যুইটির বোঝা থেকে বিনিয়োগকারীদের মুক্ত করা, প্রতি এক লক্ষ টাকার অগ্রীম আয়কর ৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ টাকা করা, সিসি একাউন্টের লভ্যাংশ ২৫% ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডে জমা রেখে বাকী অংশ ব্রোকারদের ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া, নেগেটিভ ইক্যুইটি ধীরে ধীরে প্রভিশনিং করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি সহায়তা প্রদানের জন্য নিয়ন্ত্রক ও বাজার মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে প্রতিমাসে যৌথ বেঠকের আয়োজন করা, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর ব্যবধান ন্যুনতম ১০% করা, বহুজাতিক ও ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন দেশীয় কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা, পুঁজিবাজারে থেকে অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়া পরিপূর্ণ ডিজিটালাইজ করা, কর্পোরেট বন্ডের ক্ষেত্রে অ্যাসেট ব্যাকড সিকিউরিটিজের আয়কে করমুক্ত করা এবং কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকার উপরে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে আইপিও/বন্ডের মাধ্যমে পুঁজিাবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন বাধ্যতামূলক করা।
সরকারের ম্যাক্রো চ্যালেঞ্জগুলো থেকে উত্তোরনে পুঁজিবাজারকে ব্যবহার সম্পর্কে মমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারের হাতে থাকা বহুজাতিক ও লাভজনক বেসরকারি কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার, সরকারের হাতে থাকা ব্যাংক, বীমা, বিমান সহ বিভিন্ন কোম্পানি বেসরকারীকরণ করা- যেখানে শর্ত থাকবে যে ২৪ মাসের মধ্যে তা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে, সরকার তার বিভিন্ন প্রাপ্যগুলোকে সিকিউরিটাইজেশন করতে পারে যা পরবর্তীতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে, সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি জমিতে আবাসন প্রকল্পসমূহকে রিয়েল স্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে করা যেতে পারে যা বিশ্বখ্যাত ফান্ড ম্যানেজাররা পরিচালনা করবে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য পুঁজিবাজারের মাধ্যমে বন্ড ইস্যু করতে পারে।
এসময় তিনি পুঁজিবাজার সংক্রান্ত পলিসিগত সিদ্ধান্তের নেয়ার ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের ন্যুনতম একজন প্রতিনিধি রাখার ব্যাপারে অনুরোধ করেন এবং ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এ ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আন্তরিকতার সাথে দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছে৷ প্রধান উপদেষ্টা দেশের উন্নয়ন ও সংস্কার তথা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন৷ দেশের অর্থনীতি এখন ঘুড়ে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধসহ অর্থনীতিতে অনেক ইতিবাচক ঘটনা ঘটছে। এসবের প্রভাব শিগগিরই পুঁজিবাজারে পড়বে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছে৷ উন্নয়নশীল দেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিদেশীদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পুঁজিবাজারের শক্ত কাঠামো গড়ে তুলতে হবে৷ পুঁজিবাজারকে শক্ত কাঠামোয় গড়ে তুলতে পারলে শিল্পোন্নয়নে পুঁজিসংগ্রহের পথ সহজ হবে৷
তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের অবকাঠামো, মানব সম্পদ ও আর্থিক মূলধন সবই বিদ্যমান। শুধু দেশ প্রেমের মানসিকতায় এগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইনস এর উদাহরণ দেন।ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য বিএসইসি চেষ্টা করছে৷ পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশের আলোকে খুব দ্রুতই পাবলিক ইস্যু রুলসের সংস্কার করা হবে, যা ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে৷ পুঁজিবাজারে বিদ্যমান যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা আপনাদের বা বিএসইসি এবং ডিএসইর আওতার মধ্যে আছে সেগুলো আপনারা সমাধান করুন। আর যে বিষয়গুলো আপনাদের আওতার বাইরে সেগুলো সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করুন। আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। আমি আপনাদের সব কথাই শুনবো এবং বাজার উন্নয়নে যা করা প্রয়োজন তার সবকিছুই করবো।
এছাড়াও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনগণ বাজার উন্নয়নে ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাকচার, এসএমই মার্কেট, এটিবি মার্কেট, বিও একাউন্ট বৃদ্ধি, মার্কেটে পার্টিসিপেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি, ব্যাংকের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পুঁজিবাজারের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ানো, ক্ষুদ্র জনগোষ্টিকে পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত করা, সিসিবিএলের বাস্তবায়ন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সমন্বয় বৃদ্ধি, দীর্ঘদিনের পুরাতন আইনগুলো যুগোপযোগী করা, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন রিভিউ করা, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উন্নতি, তালিকাভুক্তি কোম্পানির কর হার হ্রাস, নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির ট্যাক্স সুবিধা, সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজার আনা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ঋণ সহায়তা, ব্রোকার কমিশন, ফিনান্সিয়াল লিটারেসি, মার্কেট পলিসি, নেগেটিভ ইক্যুইটি এবং সিসি একাউন্টসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য যে, দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অধিকতর শক্তিশালীকরণ এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে গত ১৭ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. সাদেকুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বীমা ও পুঁজিবাজার অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব ও কমিটির সদস্য সচিব বিএসইসি’র কমিশনার ফারজানা লালারুখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশেদ মাকসুদকে সরানো না হলে আরও কঠোর আন্দোলন

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের প্রতিবাদে আজ রোববার লেনদেনে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পুরনো ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও কফিন মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।
এসময় এক বিনিয়োগকারী বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশেদ মাকসুদকে সরানো না হলে আরও কঠোর আন্দোলন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেখ হাসিনার চেয়ে রাশেদ মাকসুদ পাওয়ারফুল, আন্দোলন করেও সরানো যাচ্ছে না

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের প্রতিবাদে আজ রোববার লেনদেনে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পুরনো ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও কফিন মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এসময় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।
এসময় এক বিনিয়োগকারী বলেন, শেখ হাসিনার চেয়ে রাশেদ মাকসুদ পাওয়ারফুল, আন্দোলন করেও সরানো যাচ্ছে না।
কাফি