জাতীয়
লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এ নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শিশু আয়ানের মৃত্যুতে ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিপক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক্ষেত্রে আদালতের যে নির্দেশনা আছে তা দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিন আয়ানের বাবা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেলের পুরো ঘটনা তুলে ধরে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৮ হাজার এবং ক্লিনিক ৯ হাজার। এর বাইরে যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক এখনও নিবন্ধিত হয়নি তাদের বিরুদ্ধে শিগগির অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন
বাংলাদেশের জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৭২ সালের ৪ মে স্বাধীন বাংলাদেশে আসার তারিখ থেকে তাকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করা হয়েছে। এটি সবার অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি এরই মধ্যে বাংলাদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য। এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও স্বীকৃত। তবে কবির ঢাকায় আসার দিন থেকে তাকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেওয়ার একটা দাবি ছিল বাংলাদেশের জনগণের। এবার সেই স্বীকৃতি দিয়ে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলো।
কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে আসে তৎকালীন সরকার। তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়।
১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট এই চির বিদ্রোহী কবির জীবনাবসান হয়। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
কবির প্রয়াণে দুইদিনের রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন করে বাংলাদেশ। পরবর্তীকালে তাকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়।
১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার আলবার্ট হলে গোটা বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস. ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ্র দাশসহ বহু বরণ্যে ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারী’ ও ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে বাংলাদেশে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টারাও কবিকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তবে জাতীয় কবি হিসেবে নজরুল সর্বজনস্বীকৃত হলেও এর আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মুজিব কিল্লা নির্মাণে দুর্নীতির অনুসন্ধান
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, ম্যুরাল এবং মুজিব কিল্লা নির্মাণে সংঘটিত দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরাল স্থাপনে সরকারি অর্থ অপচয় ও তছরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত বিল প্রদান এবং গভীর নলকূপের দুই-তৃতীয়াংশ বিকল থাকার অভিযোগও রয়েছে।
কমিশনের মহাপরিচালক বলেন, দুদক এসব অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পিএসসিতে আরও ছয় সদস্য নিয়োগ
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে আরও ছয়জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব আবুল হায়াত মো. রফিক।
নতুন যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা হলেন- অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার, মো. মুনির হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ এফ জগলুল আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহিনা সোবহান।
এর আগে দুই ধাপে ৮ জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। নতুন ৬ জন নিয়োগ পাওয়ায় পিএসসির সদস্য সংখ্যা হলো ১৪ জন।
ছয়টি পৃথক প্রজ্ঞাপনে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি ছয়জনকে জনস্বার্থে পিএসসির সদস্য পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্তরা দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত পিএসসির সদস্য পদে বহাল থাকবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৪৩ বিসিএস থেকে ২২৭ জন বাদ
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশের ভিত্তিতে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জনকে গেজেটভুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যাখ্যা দিলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
নতুন করে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। তবে এবারের হালনাগাদে দেখা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষ ভোটার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এবার নারী ভোটারের তুলনায় পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ জন বেশি।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশন জানায়, গত বছরের ২ মার্চ মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন এবং নারী ভোটার ছিলেন ৫ কোটি ৯৭ লাখ ০৪ হাজার ৬৪১ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার ছিল ৯৩২ জন।
২০২৪ সালের হালনাগাদে নতুন ভোটার হয়েছেন মোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৬ জন, নারী ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৪ জন এবং হিজড়া ৬২ জন।
এর ফলে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ জন ও হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৯৯৪ জন। মোট ভোটার বৃদ্ধির হার ১.৫০ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, দাবি আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কারও কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারবেন। দাবি আপত্তি জানানোর শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি।
ইসি জানায়, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হতে পারে।