লাইফস্টাইল
ছোলা ভাজা যে ৫ কারণে খাবেন
ছোলা ভাজা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটি সুস্বাদু একটি নাস্তা হিসেবেও বেছে নেন অনেকে। বিশেষ করে স্কুলে টিফিনের সময়ে ছোলাভাজা কিনে খাওয়ার স্মৃতি আছে অনেকেরই। আবার বন্ধু কিংবা পারিবারিক আড্ডায় ছোলা ভাজা খাওয়া হয়। একমুঠো ছোলা ভাজা প্রাণবন্ত করতে পারে আপনার ভ্রমণের সময়টাকেও। এইযে যেকোনো সময় খাওয়া হয়, তা কি কেবল এমনিতেই? নিশ্চিত থাকুন যে ছোলা ভাজা খাওয়ার উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এমনকী আপনারও হয়তো অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ছোলা ভাজা খেলে কী উপকার হয়-
১. ফাইবার এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ
ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলা ভাজা শরীরে এই দুই উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। একশো গ্রাম ছোলা ভাজার মধ্যে প্রায় ১৮ থেকে ২০ গ্রাম এই দুই পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে ঘন ঘন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা আপনার জন্য সহজ হয়। এছাড়াও এটি শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনাকে আরও সক্রিয় থাকতে কাজ করে।
২. ওজন কমাতে সাহায্য করে
ছোলা ভাজা ওজন কমাতে সহায়ক। কারণ এতে থাকে উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট যা আপনার পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরিয়ে রাখে। এতে কম ক্যালোরি থাকে তাই আপনাকে অতিরিক্ত ক্যালোরির বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না। সুতরাং ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাওয়া বাদ দিন এবং এর পরিবর্তে এক মুঠো ছোলা ভাজা বেছে নিন।
৩. হাড়ের জন্য উপকারী
ছোলা ভাজা আপনার হাড়ের জন্য ভালো। এটি শুধুমাত্র ফাইবার এবং প্রোটিনের একটি বড় উৎস নয়, ক্যালসিয়ামেরও। এই কারণে এটি আপনার হাড় শক্তিশালী করার জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম না থাকে, তাহলে বয়সের আগেই হাড়ের সমস্যা হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় ছোলা ভাজা যোগ করুন। এতে হাড় সংশ্লিষ্ট সমস্ত অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে।
৪. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
আপনি কি জানেন যে ছোলা ভাজা হার্ট ভালো রাখতেও কাজ করতে পারে? তামা এবং ফসফরাসের উপস্থিতি একে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে যোগ্য করে তোলে, যা হার্টের জন্য সহায়ক। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, ফসফরাসের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এই ছোলাভাজা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই হার্ট ভালো রাখতে পারেন।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
ডায়াবেটিস রোগীরাও কোনোরকম চিন্তা ছাড়াই ছোলা ভাজা খেতে পারেন। এই খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যা আরও উপকারী। কম-জিআই খাবার মানে হলো যে এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ ওঠানামা করবে না। এর উচ্চ ফাইবার উপাদানও গ্লুকোজের ধীর নিঃসরণে সাহায্য করে, এইভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
হাত-পায়ের তালু ঘামলে যা করবেন
ঘাম হওয়া মানুষের জীবনে স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি কোনো অসুখ নয়। তবে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ঘাম হওয়াকে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ‘হাইপারহাইড্রোসিস’ বলা হয়।
শরীরের পাশাপাশি দেহের নির্দিষ্ট জায়গাতেও এরকম হতে পারে। যেমন- হাত ও পায়ের তালু। এতে করে প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজ যেমন লেখালেখি, মোবাইল-কম্পিউটার চালানোতে অসুবিধা হয়। কেডস, বুট বা স্নিকার্স পরলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটি শীতকালে বেশি দেখা যায়। তবে গরমেও হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের কিছু ঘরোয়া উপায় আছে:
পানি
পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখে। ফলে ঘাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই হাত ও পায়ের তালুর ঘাম রোধে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়মিত বিরতিতে হাত ও পা ধোয়ার চেষ্টা করুন।
গোলাপজল
ঘাম প্রতিরোধে গোলাপজল অত্যন্ত কার্যকর। এ ক্ষেত্রে বাজার থেকে কেনা কিংবা ঘরে বানানো উভয় গোলাপজলই ব্যবহার করা যাবে। প্রতিদিন অন্তত তিনবার তুলা বা সুতি কাপড়ের সাহায্যে হাত ও পায়ের তালুতে গোলাপজল ম্যাসাজ করতে পারেন।
ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ভিজিয়ে রাখা
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখা ঘাম কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে থাকা ট্যানিন প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিজান্ট’য়ের প্রভাব রাখে যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
বেকিং সোডা
হাত ও পায়ের তালুর অতিরিক্ত ঘাম প্রতিরোধে অন্যতম ঘরোয়া উপায় হলো বেকিং সোডা। প্রথমে এক বোল কুসুম গরম পানি নিন। এতে দুই থেকে তিন চামচ বেকিং সোডা মেশান। সোডা মিশ্রিত পানিতে অন্তত ৩০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন। পরে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এতে ঘামের সমস্যায় উপকার পাওয়া যাবে।
লেবুর রস
অ্যাস্ট্রিজান্ট উপাদান সমৃদ্ধ যা অতিরিক্ত ঘাম কমাতে সহায়তা করে। তাজা লেবুর রস হাতের তালুতে ঘষে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
কর্পূর
সামান্য গরম পানিতে কর্পূর গুলে হাত ও পা ১৫ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। কর্পূর শীতলকারক উপাদান যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কর্পূরের গুঁড়ার সাথে ট্যালকম পাউডার বা নারিকেল তেল মিশিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল আসে। ক্রমাগত হাত ও পা ঘামা খুবই বিরক্তিকর বিষয়। তবে সঠিকভাবে খেয়াল রাখলে আর সতর্ক হলে এর প্রকোপ অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করবেন যেভাবে
ব্রণের সমস্যা গুরুতর না হলেও ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এটি কেবল চেহারা সৌন্দর্যই নষ্ট করে ক্ষান্ত হয় না, সেইসঙ্গে ত্বকে জ্বালা, চুলকানির মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। তবে ব্রণ হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এক্ষেত্রে অনেকগুলো ঘরোয়া উপায় রয়েছে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থাকবে না। ব্রণ হলে তাই প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিকারের চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও বজায় রাখতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং ব্রণ নিরাময় করে। খাঁটি অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ব্রণের স্থানে করুন এবং এটি ধুয়ে ফেলার আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল তেল তার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমাতে এবং প্রদাহ প্রশমিত করতে সাহায্য করে। নারিকেল বা জোজোবা তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। ভালো ফলাফলের জন্য এটি প্রতিদিন দুইবার ব্যবহার করুন।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে এবং ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এক ভাগ আপেল সাইডার ভিনেগার দুই ভাগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে একটি তুলোর বল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি ধুয়ে ফেলার আগে এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করুন।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি
ব্রণ প্রতিরোধের জন্য ভালো স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন গোসল করুন, বিশেষ করে ঘামের পরে, ত্বক পরিষ্কারে ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে সাবান এড়িয়ে চলুন যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে ফেলতে পারে এবং আরও জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
এক্সফোলিয়েশন
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করতে সাহায্য করতে পারে যা ছিদ্রগুলোকে আটকে রাখে। সপ্তাহে একবার বা দুইবার ত্বকে এক্সফোলিয়েট করুন। সেজন্য একটি মৃদু এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব বা লুফা ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট না করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন, কারণ এটি আরও জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেভাবে পেঁয়াজ কাটলে চোখে পানি আসবে না
আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়ই। ঝাঁঝালো স্বাদের এই ভেষজ না থাকলে অনেক খাবারই পানসে লাগে। তবে একটা মুশকিল, পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখে পানি আসার সমস্যা হয় অনেকেরই। অনেক সময় বেশি পেঁয়াজও কাটার প্রয়োজন হয়। তখন পড়তে হয় অসুবিধায়। কারণ চোখের পানির কারণে পেঁয়াজ কাটাই সম্ভব হয় না বলতে গেলে। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এমন অবস্থারও রয়েছে সমাধান।
পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে পানি আসে কেন?
পেঁয়াজে থাকে সালফেনিক অ্যাসিড। যখন আমরা পেঁয়াজ কাটি তখন সেই অ্যাসিড অন্য এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। এর ফলে তৈরি হয় সালফার গ্যাস। তখন এই গ্যাস চোখে গেলেই চোখ জ্বলতে থাকে এবং পানি পড়া শুরু হয়। তবে রান্নার সময় আর এই এনজাইম কাজ করে না। যে কারণে কাটার সময় সমস্যা হলেও রান্নার সময় সমস্যা হয় না। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক পেঁয়াজ কাটার সময় কী করলে চোখে পানি আসবে না-
চুইংগাম চিবানো
অবাক হলেন নিশ্চয়ই? ভাবছেন, পেঁয়াজ কাটার সঙ্গে চুইংগাম চিবানোর সম্পর্ক কোথায়? একটা সম্পর্ক তো রয়েছেই। আপনি যদি পেঁয়াজ কাটার সময় চুইংগাম চিবুতে থাকেন তাহলে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা হবে না। কারণ আপনার মুখে যদি চুইংগাম থাকে তাহলে পেঁয়াজের ঝাঁঝ আর চোখ পর্যন্ত যাবে না। ফলে চোখে পানি আসার সমস্যাও বন্ধ হবে।
ফ্রিজে রাখুন
পেঁয়াজ কাটার কিছুক্ষণ অর্থাৎ অন্তত ১৫ মিনিট আগে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর বের করে কেটে নিন। তাহলে আর চোখে পানি আসবে না। কারণ পেঁয়াজ ঠান্ডা হয়ে গেলে এনজাইম ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না। এর ফলে আর চোখ জ্বলবে না এবং চোখ থেকে পানিও পড়বে না।
ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার
আপনি যখন ভোঁতা ছরি বা বটি ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখ থেকে পানি পড়বেই। এর বদলে ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার করলে আর সমস্যা হবে না। তাই এক্ষেত্রে সব সময় ধারালো বটি বা ছুরি বেছে নিন। এতে সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিসের ‘যম’ দারুহরিদ্রার যত গুণ
শুধু দামি ওষুধ ও পণ্য কিনেই যে আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে, এমনটি কিন্তু নয়। কিছু কিছু প্রাকৃতিক উপাদানও স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের মতো। দারুহরিদ্রা এমনই একটি চমৎকার আয়ুর্বেদিক ওষুধ।
এটি ব্যবহারে শরীরে আশ্চর্যজনক উপকারিতা দেখা যায়। এটি পেট সংক্রান্ত যে কোনও রোগ নিরাময় করতে খুবই উপকারী। এই ফলটি চোখের জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। এই ওষুধটি চর্মরোগ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো।
দারুহরিদ্রা প্রসঙ্গে তথ্য দিতে গিয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জানান, আয়ুর্বেদে শত শত বছর ধরে দারুহরিদ্রা ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ব্যবহার শরীরে আশ্চর্যজনক উপকার এনে দেয়। এই ফলটি আমাদের পেটের রোগ নিরাময়েও ব্যবহৃত হয়।
এটি পেটের সমস্ত রোগ নিরাময় করে এবং শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। দারুহরিদ্রা চোখ ও কানের রোগও নিরাময় করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে ঘটতে থাকা প্রদাহকে দ্রুত নিরাময় করে।
এ ছাড়া, এই ফলটি ক্ষত নিরাময়ের পাশাপাশি ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাকেও দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এই ওষুধে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এটি ব্যবহার করা খুব সহজ। এটি সহজেই যে কোনও জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়। এই ফলটি জলে সেদ্ধ করে ক্বাথ তৈরি করে পান করা যেতে পারে। এ ছাড়া, এর পাউডারও তৈরি করা যায়। দারুহরিদ্রা পাউডার দুধ এবং জলে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জানান, কম খরচে চিকিৎসার জন্য দারুহরিদ্রা একটি ভালো বিকল্প। এটি পিসিওডি রোগে নারীদের প্রাকৃতিকভাবে চিকিৎসা করতে ব্যবহার করা হয়। এই ফলটিতে প্রোটিন, আয়রন এবং জিংক ও ম্যাঙ্গানিজের মতো নানা প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। তাই এটি সবার জন্যই উপকারী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে তুলসি পাতা
বর্ষাকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, সেইসঙ্গে বৃদ্ধি পায় সংক্রমণের ঝুঁকিও। এসময় হঠাৎ পরিবর্তন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে, যার ফলে আমরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ি। বছরের এই সময়ে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরের মতো রোগ দেখা দিতে পারি। এই কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আমাদের খাবারের তালিকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার এবং পানীয় যোগ করার পরামর্শ দেন। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে তুলসি পাতা।
বর্ষায় তুলসি পাতা কেন খাবেন?
এই ভেষজটি উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা দিতে পারে। বর্ষাকালে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখন তাকে শক্তিশালী করে আমাদের ফিট ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তুলসি পাতা। তুলসী পাতায় নির্দিষ্ট তেল রয়েছে যা ক্ষতিকারক সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই কারণেই বর্ষাকালের খাবারের তালিকায় তুলসি পাতা যোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১. তুলসী এবং হলুদ
হলুদ আমাদের রান্নাঘরের একটি প্রধান উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পরিচিত। এই বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে দ্রুত এবং সহজে তুলসি এবং হলুদের পানীয় তৈরি করে খেতে পারেন। এই দুই উপাদানেরই প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং সংক্রমণকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে মিষ্টি স্বাদ যোগ করতে চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
২. তুলসি এবং আদা চাটনি
আপনি কি জানেন তুলসি চাটনি তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়? আপনার খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি সুস্থও রাখবে। চাটনিতে আদা এবং তেঁতুলও থাকে, যা এর পুষ্টিগুণকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আপনি যদি এই চাটনিটি দীর্ঘ সময় ভালো রাখতে চান তবে এটি একটি এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করতে ভুলবেন না।
৩. তুলসি পনির স্যান্ডউইচ
তুলসি এবং পনির দিয়ে তৈরি এই স্যান্ডউইচ সকালে খেলে তা আপনার দিনটিকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুরু করার অভিজ্ঞতা দেবে। এটি বেশ স্বাস্থ্যকর এবং মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। এটি ছোট-বড় সবার জন্যই আকর্ষণীয় খাবার। এর সঙ্গে স্যান্ডউইচে আপনার পছন্দের অন্য সবজি যোগ করুন।
আপনি যদি চা প্রেমী হন তবে সাধারণ চায়ের বদলে এ ধরনের হার্বাল চা বেছে নিতে পারেন। তুলসি, আদা এবং অন্যান্য বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি এই চা বর্ষাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একটি চমৎকার পানীয় হিসেবে কাজ করে। তুলসি এবং আদার এই চায়ে মিষ্টি স্বাদ যোগ করতে চাইলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে চিনি মেশাবেন না।