ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায় ছাড়া অন্য পদসমূহে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন থেকে নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকসহ অন্য পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে। এতে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষক ও নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আওতা (প্রবেশ পর্যায়ের পদ) ব্যতীত অন্য পদসমূহে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গর্ভর্নিং বডি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগে প্রতিষ্ঠানভেদে পদ্ধতিগত ভিন্নতা রয়েছে। এসব পদে নিয়োগ কার্যক্রমে অভিন্নতা ও স্বচ্ছতা আনার জন্য নির্দেশমালা জারি করা হলো।
শূন্য পদের চাহিদা যেভাবে:
ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১’ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শূন্য বা নবসৃষ্ট পদের প্রাপ্যতা নিরূপণ করবে। শূন্য পদের ধরন (কাঠামোভুক্ত, সৃষ্ট, অননুমোদিত সৃষ্ট, খণ্ডকালীন, চুক্তিভিত্তিক) উল্লেখপূর্বক শূন্য পদের বিবরণী প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত গভর্নিং বডি বা ব্যবস্থাপনা কমিটি বিদ্যমান না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।
প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগ করা যাবে না। প্রাপ্যতাবিহীন পদে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী নিয়োগ করা হলে তার সমুদয় দায়ভার নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে নিয়োজিত সবার ওপর ব্যক্তিগতভাবে বর্তাবে। নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর শতভাগ বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহন করতে হবে।
প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগকৃত কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মউশি) প্রস্তাব পাঠানো যাবে না। এ ধরনের প্রস্তাব পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগের জন্য মাউশির মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করাও যাবে না।
শূন্য পদ পূরণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি:
শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য দেশের বহুল প্রচারিত দুটি দৈনিক পত্রিকায় (একটি জাতীয় ও একটি স্থানীয়) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও সম্ভাব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির ব্যাপক প্রচার করতে হবে।
‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১’ ও এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী শূন্য পদের ধরন (এমপিও কিংবা নন-এমপিও পদ), সংখ্যা, বিষয়, আবেদন ফি, প্রত্যেক পদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার আবশ্যকীয় শর্তাবলি, বেতন গ্রেড, আবেদন দাখিলের নিয়ম এবং আবেদন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ও সময় বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে।
প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাই-বাছাই:
প্রাপ্ত আবেদনের সংক্ষিপ্ত তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড বা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নিমিত্ত ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির কর্তৃক রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে তিন সদস্যের একটি ‘আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি’ গঠন করতে হবে।
ওই কমিটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী প্রত্যেকটি পদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার শর্তাবলি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে বৈধ আবেদনকারীর তালিকা প্রণয়ন করবে। প্রাপ্ত আবেদন ও বৈধ আবেদনের তালিকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
এছাড়া নিয়োগের খরচ, নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর বণ্টন ও সময়, লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়ন, ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি, ফল তৈরি, নিয়োগের সুপারিশ, ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির করণীয় কী হবে, তা-ও এ নির্দেশমালায় বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
পুরো নীতিমালা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আরও ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ শেখ পরিবারের নাম

দেশের আরও ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ পরিবার ও তাদের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণও করা হয়েছে। আজ বুধবার (৪ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রহিমা অক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, নাম পরিবর্তন হওয়া ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম, ৫টি শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, ৪টি শেখ রাসেলের নামে ছিল। এছাড়া শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ আরজু মনি ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নামে একটি করে প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকার শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নাম বাদ দেয়। শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১০টি, শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নামে একটি, শেখ হাসিনার নামে একটি এবং মুজিবনগর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।
এছাড়া সম্প্রতি ৬৮টি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬টি শেখ পরিবারের নামে ছিল। ৩৭টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ছিল। শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নাম ছিল ১৬টি কলেজে। এছাড়া শেখ হাসিনার নামে ছিল ৫টি, শেখ রাসেল এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবতের নামে দুটি কলেজ ছিল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ বুধবার (০৪ জুন) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের পর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ৭০ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন বিকেল ৫টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এনটিআরসিএর বোর্ড সভা শেষ হওয়ার পরই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। দুপুর থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বোর্ড সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) হেলালুজ্জামান সরকার বলেন, মূলত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ নিয়েই আজকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আজ বিকেলে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।
২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পর্যায়ে রেকর্ডসংখ্যক প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ।
এরপর গত বছরের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হন, পাসের হার ছিল ২৪ শতাংশ। তখনই জানা যায়, উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ যোগ্যদের নিয়েই চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করা হবে।
কোন স্তরে কতজন?
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে— স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, কলেজ পর্যায়ে: ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন রয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
যেভাবে দেখা যাবে ফল
১৮তম নিবন্ধনের ফল জানতে প্রার্থীরা http://ntrca.gov.bd এবং http://ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের যেকোনটিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করলেই ফলাফল দেখতে পারবেন।
সামনে কী?
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের মধ্যদিয়ে এখন প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশের অপেক্ষা। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এসব পদে নিয়োগে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যাচাইয়ের পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও প্রিলিমিনারি যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অভিজ্ঞতা ছাড়াও চাকরি দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থাটির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগ এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ২৯ মে থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড় পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ
বিভাগ: সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
পদসংখ্যা: ১০টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ/এমবিএ
অন্যান্য যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ
বয়সসীমা: ২১ থেকে ২৮ বছর
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে
বেতন: ৩০,০০০ টাকা (মাসিক)
অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড়।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৪ জুন ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দোয়া ও মোনাজাত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান আজহারি।
শুক্রবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মা নামাজের পরে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি শোক যাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতির স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
দোয়া অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ তাকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। বিরূপ আবহাওয়া থাকলেও আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নাই। শহীদ জিয়ার স্মরণে আজ গরিব দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে আজকের দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন তাই জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি দেশে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্মরণ করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে তার স্বপ্ন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধভাবে বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইফাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী ইফাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর ১২টার দিকে ইবি থানা-ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এসে সমবেত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন সংগঠনটি।
বিক্ষোভ সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, সদস্য সাব্বির হোসাইন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, উল্লাস মাহমুদ, রাকিব হোসেন সাক্ষর, রনি, তৌহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম, আলামিন, রিয়াজ, রায়হান, মেহেদী, সাবিক, ওয়াশিকুর, জনি, উৎস, অনিক, বাপ্পী প্রমুখ।
ইবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, আপনারা জানেন, একদল সন্ত্রাসী কুয়েটের মেধাবী ছাত্র ইফাজের ওপর হামলা করেছে। গুপ্ত সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানাই।
ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, সারাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত যে গুপ্ত হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপত্তা চাই। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, আপনারা জাতির মেধাবী সন্তানদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করুন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমাদের অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছি। বর্তমান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ইন্টেরিম গভর্মেন্টের প্রতি এবং ইফাজের ওপর হামলালারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম