বিনোদন
ভালোবাসা ভাগাভাগি হয়ে গেছে: বুবলী

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান নায়িকা শবনম বুবলী। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সমান তালে কাজ করছেন ওটিটিতেও। ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঝামেলা থাকা সত্ত্বেও কাজ করে যাচ্ছেন নিয়োমিত। গেল বছর চার সিনেমা দিয়ে পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন তিনি। এবার দেশের গন্ডি পার হয়ে ওপার বাংলায় কাজ করতে যাচ্ছেন এই নায়িকা। কলকাতায় ‘ফ্ল্যাশব্যাক’ নামের একটি সিনেমায় যুক্ত হয়ে শুটিং শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে সিনেমাটির কলকাতা পর্বের শুটিং, পরবর্তী শুটিং হবে ডুয়ার্সে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) ‘ফ্ল্যাশব্যাক’ সিনেমাটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় নির্মাতা রাশেদ রাহা, অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলি, সৌরভ দাসসহ সিনেমার কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বুবলীও।
প্রথমবার টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখছেন বুবলী। বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে সৌভাগ্যবানও মনে করছেন এই অভিনেত্রী। সংবাদ সম্মেলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে বুবলী বলেন, ২০২৪ সালে আমার সিনেমার যাত্রা শুরু হচ্ছে টালিউড ইন্ডাট্রির ছবি দিয়ে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে এটা আমার প্রথম ছবি। এতে সহশিল্পী হিসেবে আছেন কৌশিক গাঙ্গুলি স্যার ও সৌরভ দাস দাদার মত অভিনেতা। এটি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন রাশেদ রাহা। এমন একটি ছবিতে কাজের মাধ্যমে বছর শুরু হওয়া সৌভাগ্যের। সবকিছু মিলে মনে হচ্ছে বিশেষ কিছুই হতে যাচ্ছে।
বুবলীর কথায়, বাংলাদেশ ও এখানকার মধ্যে বড় মিল হলো ভাষাগত। যদিও আমাদের একই ভাষা কিন্তু দুই বাংলাতেই মিষ্টি-দুষ্টু একটা ভাব আছে। আর ভালোবাসাটা ভাগাভাগি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ-কলকাতায় আমরা মিলেমিশে একাকার। ঢাকা থেকে কলকাতা আসতে ৩০-৪০ মিনিট লাগে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে ব্যারিকেড, নিয়ম-কানুন, ভিসা- এতো কিছু না থেকে যদি অবাধ যাতায়াত হতো তাহলে মনে হয় আরও বেশি ভালো হত। অবশ্য এটাতে কিছু করার নেই। কারণ, দেশের জায়গা থেকে মেইনটেইন করতে হয়। তবে দুই ইন্ডাস্ট্রির আবেগ ভালোবাসা শেয়ার হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই দিয়েছেন ‘পুলসিরাত’ নামের নতুন এক সিনেমার খবর। এছাড়া, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘মায়া: দ্য লাভ’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’সহ এ বছরে মুক্তির অপেক্ষায় বুবলীর বেশ কয়েকটি সিনেমা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বিনোদন
ঝিনাইদহে ইত্যাদির আয়োজন, দর্শকদের মাঝে উৎসবের আমেজ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ বরাবরের মতো এবারও রাজধানীর বাইরের কোনো স্থানে ধারণ করা হচ্ছে। এবারের পর্ব ধারণ করা হচ্ছে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামার—দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারে।
অনুষ্ঠানের জন্য সাজানো হয়েছে দত্তনগর কৃষি ফার্মের ঐতিহাসিক কুশাডাঙ্গা বটতলা প্রাঙ্গণ। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও নানা সাজে প্রস্তুত করা হয়েছে পুরো আয়োজনস্থল।
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই পর্বের ধারণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করবেন বরেণ্য উপস্থাপক হানিফ সংকেত। তার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এবারের পর্বে থাকছে ঝিনাইদহের ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং স্থানীয় মানুষের জীবনগাঁথার নানা দিক। বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে—সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন, বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের জন্মভিটা, এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বেথুলি বটগাছ এবং জেলার বিভিন্ন বাওড়ভিত্তিক লোকজ সংস্কৃতির গল্প।
ইত্যাদি টিমের আগমনে ঝিনাইদহ জেলাসহ আশপাশের এলাকার মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠান সরাসরি দেখার সুযোগ পেতে স্থানীয়দের মাঝে দেখা যাচ্ছে প্রবল আগ্রহ।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা আক্তার জানান, “ইত্যাদি আয়োজনে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
নায়িকা থেকে উদ্যোক্তা: দুধের ব্যবসায় নামলেন মিষ্টি জান্নাত

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় মুখ মিষ্টি জান্নাত। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসায়িক উদ্যোগেও সক্রিয় তিনি। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন পর্দার বাইরে থাকলেও এবার ফিরছেন বড় আয়োজন নিয়ে। সামনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার দুটি বড় বাজেটের সিনেমা এবং একটি ওয়েব ফিল্ম, যেখানে তিনি একজন সাইকো কিলারের চরিত্রে অভিনয় রবেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের আসন্ন কাজ ও নতুন ব্যবসা নিয়ে কথা বলেন মিষ্টি জান্নাত। সেই আলোচনায় উঠে আসে তার নতুন উদ্যেগ—উটের দুধ আমদানির পরিকল্পনা।
নায়িকা বলেন, “আমি নিজে উটের দুধ দিয়ে তৈরি চা খাই। এবার বাংলাদেশে উটের দুধের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই এটি বাজারে আনব।”
উটের দুধের প্রতি মানুষের আগ্রহ থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তিনি। তার ভাষায়, “আমি যেখানে যাই, সবাই জানতে চান—উটের দুধের চায়ের স্বাদ কেমন। এখন আর প্রশ্ন শুনতে হবে না, সবাই নিজেরাই তা চেখে দেখতে পারবেন।”
তিনি আরও জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে উটের দুধ আমদানি করা হবে এবং সবার জন্য সহজলভ্য করতে এটি ২০০ মিলিলিটার প্যাকেটে বাজারজাত করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মিষ্টি জান্নাতের। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত কাজ করে চলেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
নেটিজেনদের বিরূপ মন্তব্য নিয়ে নুসরাত: ‘তারা হতাশাগ্রস্ত’

টালিউডে আসছে নতুন ছবি ‘আড়ি’। এতে অভিনয় করছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা যশ দাসগুপ্ত এবং অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। ছবির মূল গল্প মা-ছেলের মমতাময় সম্পর্ককে ঘিরে। তাই এই গল্পে যুক্ত হয়েছেন ভারতের প্রবীণ অভিনেত্রী মৌসুমি চ্যাটার্জি, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রিয় মুখ।
একসময় মৌসুমি চ্যাটার্জি ছিলেন বাংলা সিনেমার এক অনন্য ‘নস্টালজিয়া’। এবারও তিনি আসছেন দর্শকদের মন জয় করতে, তবে নায়িকার চরিত্রে নয়—এই সিনেমায় তিনি যশের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন।সম্প্রতি ‘আড়ি’ ছবির প্রচারণা উপলক্ষে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন যশ ও নুসরাত। এই সময় আলোচনায় উঠে আসে সিনেমার নানা দিক থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও।
বর্তমানে যশ ও নুসরাত দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। নিয়মিত নানা ছবি, ভিডিও ও আপডেট শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে। তবে সেই পোস্টগুলোর মন্তব্য ঘরে প্রায়ই আসছে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। ‘আড়ি’ ছবির মূল প্রতিপাদ্য যেখানে মা-ছেলের ভালোবাসা, মমতা—সেই প্রেক্ষাপটে তাদের পোস্টে অনেকে মায়ের নাম জড়িয়ে অশোভন ভাষা ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে যশ ও নুসরাত খোলাখুলি মত প্রকাশ করেন।
নুসরাত বলেন, ‘যারা মা-বাবাকে জড়িয়ে গালাগাল করে, তাদের অভিভাবকেরা হয়তো জানেনই না যে তাদের সন্তান এমন কাজ করছে। যদি জানতেন, তাহলে হয়তো তারা থামাতেন।’ যশ বলেন, ‘কোনও মা-বাবা সন্তানকে এমন শিক্ষা দিতে পারেন না। যারা এমন আচরণ করছে, তারা আসলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের সহানুভূতির প্রয়োজন রয়েছে। তারা চাইলে জিমে যেতে পারে, শরীরচর্চা করতে পারে। এতে শরীর ভালো থাকবে, মনের হতাশাও কাটবে।’
নুসরাত যোগ করেন, ‘যারা মা তুলে গাল দেয়, তারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত।’
নুসরত বলেন, ‘যারা মা-বাবা তুলে গালি দেয়, তাদের বাবা-মায়েরা জানেন না, তারা এটা করছে। যদি জানত তাহলে তারা এটা করতো না।’ যশ বলে ওঠেন, ‘কোনো মা-বাবা এমন শিক্ষা দিতে পারেন না। যারা এটা করছে, তাদের সাহায্য দরকার। তারা জিম করতে পারে, ওজন তুলতে পারে। ঘাম ঝরবে, ফ্রাসট্রেশন কেটে যাবে।’ নুসরাত বললেন, ‘যারা মা তুলে গালি দেয়, তারা ফ্রাস্ট্রেটেড’।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
‘জংলি’ সিনেমায় কেন পারিশ্রমিক নেননি সিয়াম?

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর এই ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে প্রতিবারই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় নতুন নতুন চলচ্চিত্র। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ছয়টি চলচ্চিত্র। ছবিগুলো হলো—‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’, ‘চক্কর ৩০২’ ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘জ্বীন-৩’। দেশের বিভিন্ন সিনেপ্লেক্স থেকে শুরু করে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে বেশ দাপটের সঙ্গেই চলছে ঈদের সিনেমাগুলো।
ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’ সিনেমার শো প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। দর্শকদের চাহিদার কারণে সিনেপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখায় ‘জংলি’র শো বেড়েছে। প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটির সবগুলো শো হাউজফুল যাচ্ছিল। তবুও বরবাদ ও দাগির কারণে জংলির শো-এর পরিমাণ কম ছিল। যে কারণে দর্শকরাও টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় বিষয়টি বেশ আলোচনার সৃষ্টি করলে স্টার সিনেপ্লেক্সে জংলির শো বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, এই ‘জংলি’ সিনেমায় কাজ করতে কোন পারিশ্রমিক নেননি নায়ক। বরং তার পারিশ্রমিক তিনি সিনেমায় ইনভেস্ট করেছেন। বিষয়টি সিয়াম নিজেই নিশ্চিত করেছেন। যার ফলাফল সিনেমা মুক্তির পর তিনি পাচ্ছেন। দর্শকরা সিনেমাটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। মুক্তির দশম দিনেও সিনেপ্লেক্সে হাউজফুল যাচ্ছে জংলির শো।
সিয়াম বলেন, আমরা যখন সিনেমাটা শুরু করছিলাম তখন আমি আমার পারিশ্রমিকের অংশটা নিয়ে নিলে বাজেট নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতো টিমকে। সিনেমাটা যাতে ভালো হয়, সেজন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি আমার পারিশ্রমিক নেব না। পরে যদি সিনেমাটি থেকে লাভ হয় তখন আমি সেই লভ্যাংশ নেব।
‘জংলি’ সিনেমার প্রযোজনার সঙ্গে আপনি যুক্ত আছেন কি না এমন প্রশ্নে সিয়ামের উত্তর, আমি আমার পারিশ্রমিক না নিয়ে সেটা সিনেমায় ইনভেস্ট করেছি।
এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমায় সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম এবং রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেঘনা আলমকে অপহরণের তথ্য সত্য নয়: ডিএমপি

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে। তবে তাকে অপহরণের অভিযোগটি সঠিক নয়। মেঘনা আলমের আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘলা আলমকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়।
তালেবুর রহমান আরও জানান, মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয়। তার আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।