আইন-আদালত
বিসিএস সহকারী প্রকৌশলী নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে রুল

৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (৯ম গ্রেড) সহকারী প্রকৌশলী (পুর) নন-ক্যাডার পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অধীনে ১৭০টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার। রুলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (৯ম গ্রেড) সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অধীনে ১৭০টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গত ১৭ ডিসেম্বর মো. নয়ন হাসানসহ ৭ জন আবেদনকারী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই রিট দায়ের করেন। আবেদনকারীরা সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল বিভাগ থেকে পাস করেছেন। তারা ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় এমসিকিউ, লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হন।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫৬টি পদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৭টি পদ ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিদপ্তরের অধীনে ৭টি পদে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অধিযাচন পাঠানো হয়। কিন্তু সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (৯ম গ্রেড) সহকারী প্রকৌশলী (পুর) ১৭০টি নন-ক্যাডার পদে আবেদন আহ্বান না করেই নন-ক্যাডার পদের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে গত ৭ ডিসেম্বর। অথচ নন-ক্যাডার পদে আবেদন আহ্বান করার আগেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অধিযাচন পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে।
নিয়ম অনুযায়ী শূন্য পদ ও অধিযাচন থাকা সাপেক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (৯ম গ্রেড) সহকারী প্রকৌশলী (পুর) নন-ক্যাডার পদের ক্ষেত্রে করা হয়নি।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পিএসসির চেয়ারম্যান ও সচিব, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বিবাদী করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে দুটি বিভাগ গঠন করে জারি করা অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন।
আজ শনিবার আইনজীবী জুয়েল আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার গত ১২ মে এনবিআর এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে দুটি নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে একটি অধ্যাদেশ জারি করে।
রিট আবেদনে এই অধ্যাদেশটিকে কেন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুল জারি করলে, সেই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় অধ্যাদেশের কার্যক্রম স্থগিত রাখারও আবেদন করা হয়েছে। রিটে আইন সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী জুয়েল আজাদ মনে করেন, অংশীজনদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এনবিআরকে বিলুপ্ত না করে বরং সংস্কার করা যেত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে (বোনের শ্বশুর) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে তার স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি করে ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতাল নেওয়া হয়।
অবস্থার অনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। ঘটনার পর দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার রায় আজ

মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আছিয়ার পরিবারসহ সবাই। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ১২ মে সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়। তবে প্রথমদিন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ১৩ মে আবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়।
সেদিন আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য ছিল। আদালতে সকালে এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটিতে সাতটি জব্দ তালিকা ছিল। এই সাতটি জব্দ তালিকায় ১৬ জন সাক্ষী ছিল। যার মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ সাক্ষ্য দিয়ে তাদের জব্দ তালিকাকে সত্যায়ন করেছেন। জব্দ করা আলামতকে আদালতে সত্যায়ন করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, এই মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল। পাঁচ ডাক্তার মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছিলেন। তারা ইতোমধ্যে আদালতে সাক্ষী দিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেটকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন এবং মেডিকেল সার্টিফিকেটে তারা তাদের স্বাক্ষর শনাক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, সর্বোপরি এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে আদালতে আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত আইন ২০০৩ এর ৯ এর দুই ধারাকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম হয়েছেন।
আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বলেন, আমরা আদালতের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছি। আছিয়ার মতো আর কোনো শিশু যাতে এমন নৃশংসতার শিকার না হয়, সেজন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
মাগুরা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসু বলেন, বিগত সময়ে এ ধরনের ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় দীর্ঘ সময়ে আদালতে রায়ের অপেক্ষায় থাকলেও এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সমাজ একটি নতুন বার্তা পাবে, যেখানে কোনো অপরাধী অপরাধ করলে তার শাস্তি পেতেই হবে, সে আজই হোক, বা কাল হোক।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
ঘটনার পর দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। স্থানীয় আইনজীবীরাও অভিযুক্তদের জন্য কোনো ধরনের আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দুদকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কিমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত মামলায় ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে তারেকপত্নীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) তিন বছরের কারাদণ্ডের আপিলের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট।
জোবাইদা রহমানের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমানকে দুটি অভিযোগে নয় বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ২০০৪- এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জোবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড দেন। তাকেও জরিমানা করা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।
এদিকে গত বছরের শেষের দিকে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে সরকার। সেই গেজেটে বলা বলা হয়, ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা স্থগিতের বিষয়ে দাখিল করা আবেদন এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের আলোকে ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন (১০ অক্টোবর, ২০২৪ ইং তারিখের বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত) সংশোধনপূর্বক আইনের ক্ষমতাবলে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, ঢাকা এর মেট্রো বিশেষ মামলা নং-৩৪১/২০২২ [কাফরুল থানার মামলা নং-৫২, তারিখ-২৬-০৯-২০০৭] -এ তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত দণ্ডাদেশ আদালতে আপিল দায়েরের নিমিত্ত বিনাশর্তে ১ (এক) বছরের জন্য স্থগিত করা হলো।
এরপর চলতি বছরের ৬ মে দেশে ফেরেন জোবাইদা রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস মো. রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী মোসা. লুৎফুন নাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব মো. আকিজ উদ্দিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম, মো. আলনার আলী, বেদার উল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দিন, রোখসানা খাতুন, রবিয়া খাতুন, নাছির উদ্দিন, মুহাম্মদ সাইফু উদ্দিন, মো. গোলামুর রহমান, এস. এম জামাল উদ্দিন, হাসমত আরা বেগম ও মুহাম্মদ সাইফু উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ও দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক পৃথক দুটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।