Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

শিল্প-বাণিজ্য

বাণিজ্য জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে এফবিসিসিআই-সিএইচসিসি

Published

on

প্রগতি লাইফ

বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অফ কমার্স (সিএইচসিসি)।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে আয়োজিত এক নেটওয়ার্কিং ডিনারে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা এবিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেবে এফবিসিসিআই। বাংলাদেশে সফররত কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বারের ব্যবসায়ীদের সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। এসময় দু’দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কানাডিয়ান ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য কর অব্যাহতি, ওয়ান স্টপ পরিষেবাসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বর্তমান সরকার ব্যবসা বান্ধব সরকার। তিনি কানাডার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি পোশাক খাত, পাট ও পাটজাত পণ্য, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল,পর্যটনসহ আরও কিছু খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

তৈরি পোশাকের বাইরেও পাট ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, ওষুধ, প্লাস্টিক আসবাবপত্র, হোম টেক্সটাইল, সিরামিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রনিক পণ্যসহ কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানি সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ব্যবসা ও বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত।

কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অফ কমারর্সের (সিএইচসিসি) সভাপতি এবং প্রতিনিধিদলের নেতা নরেশ কুমার নারায়ণ ভাই চাভদা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দারুণ ব্যবসায়িক সম্পর্ক বিদ্যমান।

বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভবনা বিদ্যমান। এফবিসিসিআইয়ের মতো, কানাডায়ও আমাদের অসংখ্য সদস্য রয়েছে যারা ব্যবসার সাথে জড়িত। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই এবং সিএইচসিসি উভয়ই এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসময় এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসায়ী নেতাদের কানাডা সফরের আমন্ত্রণ জানান সিএইচসিসি সভাপতি নরেশ কুমার নারায়ণ ভাই চাভদা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই পরিচালকবৃন্দ প্রমুখ।

শেয়ার করুন:-

শিল্প-বাণিজ্য

মার্কিন শুল্ক হ্রাসের পর স্থগিত কার্যাদেশ ফিরছে, সুবাতাস পোশাকখাতে

Published

on

প্রগতি লাইফ

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ (পাল্টা শুল্কও) হার কমিয়ে আনায়, দেশের রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বায়ারদের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তাছাড়া শুল্কের নতুন নির্ধারিত হারও— চীন ও ভারতের তুলনায় কম, যা মার্কিন বাজারে বাংলাদেশকে আরও প্রতিযোগী করেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় বায়ারদের সঙ্গে ক্রয়াদেশ নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হচ্ছে। কেউ কেউ আগের স্থগিত ক্রয়াদেশ অব্যাহত রাখার কথাও বলছেন বলে জানান রপ্তানিকারকরা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গতকাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, অনেক রপ্তানিকারক আমাদের জানিয়েছেন, বায়ারদের প্রতিনিধিরা যোগাযোগ শুরু করেছন এবং হোল্ড হওয়া অর্ডার ফিরতে শুরু করেছে। তবে একইসঙ্গে এতে আত্মপ্রসাদে না ভুগে—প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গত ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের উপর শুল্ক হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে। মার্কিন শুল্কের নতুন হারে– চীনের ৩০ শতাংশ এবং ভারতের ২৫ শতাংশের তুলনায় বাংলাদেশ এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। ভিয়েতনামের সঙ্গে ২০ শতাংশ হার সমান হলেও—পাকিস্তানের ১৯ শতাংশের চেয়ে একটু বেশি।

বিজিএমইএ বলছে, এই ২০ শতাংশ শুল্ক হারের সঙ্গে বিদ্যমান ১৬.৫ শতাংশ শুল্ক যোগ হয়ে মোট শুল্ক ৩৬.৫ শতাংশে দাঁড়াবে।

স্থগিত অর্ডার ফিরছে
ছয় জন রপ্তানিকারকের মধ্যে চার জন্য জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কের হার ঘোষণা করার পর আমেরিকান বায়াররা যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে কোনও কোনও বায়ার তারা আগে যেসব অর্ডার স্থগিত রেখেছিলেন— সেগুলোর কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।

স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৩ লাখ পিস পোশাকের অর্ডার হোল্ড করে রেখেছিলেন ইউএস বায়াররা ট্যারিফ ইস্যুর কারণে। ট্যারিফ রেট ২০ শতাংশে নামার পর তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, এবং ওই অর্ডার কন্টিনিউ করার জন্য বলেছেন।

স্প্যারো গ্রুপ প্রতিবছর প্রায় ৩০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে, যার মধ্যে ১৬ কোটি ডলারের পণ্য যায় ১৭টি মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বা বায়ারদের কাছে।

তিনি বলেন, আমার শীর্ষস্থানীয় ১২ বায়ার নতুন শুল্ক হার নিজেরাই বহন করছে, আমাদের ওপর চাপিয়ে দেননি। নতুন করে যেসব অর্ডার কন্টিনিউ করতে বলেছেন, ওই বাড়তি ট্যারিফের চাপও আমাদের ওপর দেননি। এই প্রেশার তারা নিজেরা নিয়েছেন। তবে আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে যেসব পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো সম্ভব হবে, অতিরিক্ত কস্ট-শেয়ারিং ছাড়াই তা আগের ট্যারিফ রেটের আওতায় থাকবে। এজন্য আমরা পণ্য ৫ আগস্টের মধ্যে পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি– বলেন তিনি।

অন্য রপ্তানিকারকরাও একই ধরনের ইতিবাচক অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন। ঢাকাভিত্তিক মার্কিন বাইয়িং হাউজ– লিয়াং ফ্যাশন লিমিটেড জানায়, তাদের ক্লায়েন্ট সাউথপোল শুল্কহার কমানোর ঠিক সেই দিনেই ৭৬,৬০০ পিস লং প্যান্ট ও শর্টসের একটি অর্ডার চূড়ান্ত করেছে। খুব শিগগিরই একই ধরনের আরও একটি অর্ডার আসার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আরেক শীর্ষ রপ্তানিকারক স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, ট্যারিফ ইস্যুর কারণে আমাদের বড় আকারের একটি অর্ডার হোল্ড ছিল। আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই অর্ডার কনফার্ম হবে।

‘এখনো বায়ারদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি। তবে প্রতিযোগী অন্য দেশে অর্ডারটি চলে যাওয়ার যে ভয় তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গেছে। কেননা তাদের তুলনায় আমাদের ট্যারিফ প্রায় সমান’ – উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন দেখার বিষয় তারা ক্রয়াদেশ কতটুকু দেয়। কেননা ট্যারিফের কারণে পণ্যের দাম বাড়বে। ফলে তাদের চাহিদা কমতে পারে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বছরে প্রায় ৮ কোটি ডলারের এই রপ্তানিকারক জোর দিয়ে বলেন, দাম কমানোর চাপ সত্ত্বেও—আমরা প্রাইস কমানো কিংবা ডিসকাউন্ট দেব না।

দেশটির বাজারে বর্তমানে তার মোট রপ্তানির ২০ শতাংশ হলেও—তা অচিরেই ২৭ শতাংশ হবে বলেও আশার কথা জানান তিনি।

ডিবিএলজি গ্রুপের ৩০ হাজার কর্মী রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা আশা করছি, দেশটির সঙ্গে আরো ভালো ব্যবসা হবে। কেননা কিছু অর্ডার চীন থেকে বাংলাদেশে সরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের গ্রোথ রেট (প্রবৃদ্ধির হার) ভালো ছিল। এমনকি গত বছর দেশটিতে বাংলাদেশের গ্রোথ রেট ছিলো ১৪ শতাংশ। এমন অবস্থায় এই নতুন ট্যারিফের কারনে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে সেই শঙ্কা কেটে গেছে। ওই বাজার আমাদের জন্য আরও ভালো হবে।

বিদেশী বায়ারদের পক্ষ হয়ে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কাজ করা প্রতিনিধিদের সংগঠন– বায়ার্স কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট কাজী ইফতেকার হোসেন মনে করেন, নতুন শুল্ক হারের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগী দেশগুলোয় কিছু অর্ডার চলে যাওয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা আর হবে না।

তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হোল্ড হওয়া অর্ডার নিয়ে নতুন করে নেগোসিয়েশন হবে। তখন বোঝা যাবে, বায়াররা কীভাবে এই বাড়তি ট্যারিফের প্রেশার সামলাতে চায়।

আমেরিকান কটনে বাড়ছে সুযোগ
বিজিএমইএর সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্যারিফ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা আছে, কোনো পোশাক উৎপাদনে যদি নূন্যতম ২০ শতাংশ আমেরিকার কাঁচামাল (যেমন আমেরিকার তুলা) ব্যবহার করা হয়, তাহলে এসব কাঁচামালের মূল্যের উপর এই অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ আমেরিকার কাঁচামাল ব্যবহার করলে বাড়তি শুল্ক ছাড় পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি করা পোশাকের ৭৫ শতাংশই কটনের বা তুলার সুতা থেকে তৈরি। ফলে এটি বাস্তবায়ন হলে তা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ইতোমধ্যে কিছু কার্যক্রম শুরু করছেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি তুলার প্রয়োজন হয়, যার মধ্যে মাত্র ৩০ কোটি ডলারের তুলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই আমদানি বাড়িয়ে ১ বিলিয়ন ডলার করার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

মার্কিন বাজারে বছরে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যার মধ্যে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার পোশাক পণ্য।

মূল্য সংযোজনের শর্ত নিয়ে অনিশ্চয়তা
এতসব ইতিবাচকতার মধ্যেও ২০ শতাংশ শুল্ক হার প্রয়োগের কিছু শর্ত নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। বিশেষ করে, ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের শর্ত থাকলে কিছু পণ্যে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকরা।

এইচকেসি অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ৪০ শতাংশ ভ্যালু এডিশনের শর্ত রয়েছে কিনা, তা আমরা এখনো জানি না। যদি থাকে, তাহলে আমরা সমস্যায় পড়ব। কেননা, কিছু পণ্যে এই হারে ভ্যালু এডিশন করা যায় না।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুও বলেছেন, মূল্য সংযোজনসহ অন্যান্য শর্ত এখনো জানা নেই। একই কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ মোস্তফা আবিদ খান। তাঁর মতে, এসব শর্ত জানার আগে এখনই কোন কনক্লুশনে আসার সুযোগ নেই।

বাড়াতে হবে সক্ষমতা
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাড়তি ২০ শতাংশ শুল্ক ভারের একটি অংশ এখানকার তাদের ওপর আসার আশঙ্কাও রয়েছে। এমন অবস্থায় প্রতিযোগিতার সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বন্দর, কাস্টমসের দক্ষতা, লজিস্টিকস সক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি।

তিনি বলেন, আমরা একান্তভাবে আশা করি, শিল্প ও দেশের স্বার্থে সরকারের সকল নীতি সহায়তা চলমান থাকবে, এনবিআর-সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে কাস্টমস সংক্রান্ত নীতিগুলো শিল্পবান্ধব করা, চট্রগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিল্পে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ রাখার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

ড. মোস্তফা আবিদ খান বলেন, এক্সপোর্টার, বায়ার ও কনজ্যুমার – এই তিন গ্রুপের সবার ওপরই কিছুটা চাপ আসবে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের ওপরও কিছুটা প্রাইস প্রেশার আসতে পারে। এই প্রেশারে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে ট্রেড কস্ট কমাতে হবে। কাস্টমসের অপ্রয়োজনীয় খরচ ও সময় কমানো সম্ভব হলে এফিসিয়েন্সি বাড়ানো সম্ভব।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

ঢাকায় পর্যটন মেলা ৩০ অক্টোবর

Published

on

প্রগতি লাইফ

দেশের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ ও পর্যটন মেলা ১৩তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (টোয়াব)।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর ২০২৫ তিন দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে (বিসিএফসিসি)।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

রবিবার (২০ জুলাই) টোয়াব কার্যালয়ে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান টোয়াবের সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এসময় তিনি বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসার নানা বাধাবিপত্তি ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে এসব সমস্যার বিষয়ে তুলে এনে এই খাতকে অনেকটা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেশের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ ও পর্যটন মেলা ১৩তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) আয়োজন করতে যাচ্ছে

আলোচনায় টোয়াব সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতের রয়েছে অপার সম্ভাবনা, তবে এর পূর্ণ বাস্তবায়নে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যথাযথ অবকাঠামোর ঘাটতি, দক্ষ জনবলের অভাব, পরিকল্পিত পর্যটন নীতির প্রয়োগে দুর্বলতা, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত সমস্যা—এসবই আমাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে অন্তরায় হয়ে আছে। এসব সমস্যার টেকসই সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ, আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও গন্তব্য উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। টোয়াব ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে এই সমস্যাগুলোর ওপর আলোকপাত করে কার্যকর সমাধানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে যা এই খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

পর্যটন মেলা নিয়ে তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন করে আসছে টোয়াব। দেশের পর্যটন খাতে তারা মূল অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। মেলাটি শুধু দেশের পর্যটন শিল্পেই নয়, বরং প্রতিবেশী ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সময় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, বিটিটিএফ পর্যটন শিল্প বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই মেলার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটন উদ্যোক্তা ও অংশীজনদের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি হয়, যা পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ, নীতি সহায়তা এবং নতুন গন্তব্য প্রসারে ভূমিকা রাখে।

দেশের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ ও পর্যটন মেলা ১৩তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) আয়োজন করতে যাচ্ছে

এবারের আয়োজনে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাড়ার যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত। এটিজেএফবি সবসময় এই খাতের টেকসই উন্নয়নের পক্ষে এবং আমরা এই আয়োজনের সফলতা কামনা করছি।

এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক বাতেন বিপ্লব বলেন, পর্যটন উন্নয়নের জন্য শুধু মেলা আয়োজনই নয়, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা, প্রচার ও আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে সক্ষম সেবা নিশ্চিত করাও জরুরি। বিটিটিএফের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি করে, তবে এর সুফল পেতে হলে আমাদের সামগ্রিক খাতকে আরও পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।

এবারের আয়োজনে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং চীনসহ মোট ২২০টি স্টল থাকবে। থাকবে বিটুবি এক্সচেঞ্জ, রাউন্ড টেবিল আলোচনা, সেমিনার, গন্তব্য উপস্থাপনা, সংবাদ সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজকদের ভাষ্যে, এসব সুযোগ যেকোনো অংশগ্রহণকারীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

পাশাপাশি, প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (এনটিও), বিদেশি ট্যুর অপারেটর ও অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

আলোচনা সভায় এটিজেএফবির সহ-সভাপতি রাজীব ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস কবীর ও আদনান রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলতাব হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ রুমি, রাশিদুল হাসান ও গোলাম মর্তুজা অন্তু উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের ডিরেক্টর (ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ডিরেক্টর (প্রোপার্টি অ্যান্ড অ্যাসেটস) জিয়াউর রহমান জাকির, টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী প্রমুখ।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়ে বিশাল তালিকা পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

প্রগতি লাইফ

বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়ে পণ্যের ‘বিশাল’ তালিকা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) গতকাল রোববার তাকে এসব পণ্যের একটি তালিকা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ট্রাম্প-শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশগ্রহণ শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর গতরাতে টেলিফোনে এ তথ্য জানান তিনি। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রধান বাণিজ্য আলোচনাকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনার পর ঢাকায় ফিরেছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মাহবুবুর বলেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএসটিআরের সঙ্গে আলোচনার সময় কয়েকটি বিষয় ছাড়া প্রায় সব বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে।’ কোন কোন পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তালিকা বিশাল’। সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বহু বছর ধরে অনেক মার্কিন পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে। যেমন: তুলা, গম, সয়াবিন বীজ ও তেল এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানিতে শুল্ক নেই।’

আরও পণ্য এই শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার এখতিয়ার এককভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নিতে আগামী শনিবার একটি বৈঠক হবে বলে জানান মাহবুবুর।

এরপর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে, যাতে আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩৫ শতাংশ ট্রাম্প-শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই নতুন করে শুল্কহার চূড়ান্ত করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। পরবর্তী বৈঠকও ওয়াশিংটন ডিসিতে হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প-শুল্কের ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশ অনেক মার্কিন পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করে এবং উড়োজাহাজ, এলএনজি, তুলা, গম, সয়াবিনসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে থাকে। গত বছর বাংলাদেশ আট বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে এবং দেশটি থেকে আমদানি করেছে দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য।

‘ফ্রেমওয়ার্ক ডিল’

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গতকাল বলেছেন, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফ্রেমওয়ার্ক ডিল করতে চায়—যেখানে নিরাপত্তা উদ্বেগসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা শুধু বাণিজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের জাতীয় নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করছে যে বাংলাদেশ কীভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি কাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং বিষয়টি আলোচনাধীন।’

ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যকার আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং ট্রাম্প-শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই আলোচনা শেষ হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

আট মাস পর ভারত থেকে এলো ১০ টন কাঁচা মরিচ

Published

on

প্রগতি লাইফ

দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে করে ১০ টনের বেশি কাঁচা মরিচ বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বগুড়ার এন পি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩ টন ৫০০ কেজি ও হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স সততা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৬ টন ৭২০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত বছরের ১৪ নভেম্বর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩টি ট্রাকে ৩১ টন ৮৩ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছিল। এরপর ৭ মাস ২৬ দিন ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিরামপুর ও আশপাশের উপজেলার খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ মানভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে মে মাসের শেষে দাবদাহের কারণে জমিতে থাকা কাঁচা মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে উৎপাদনও কমে যায়। ফলে সে সময় থেকে বিরামপুর ও হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। তবে গতকাল সকালে বিরামপুরের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় সবজির পাইকারি বাজারের কাঁচা মরিচের ব্যবসায়ী মানিক হোসেন বলেন, গত মাসে খরার কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে, দামও বাড়তি। তিন দিন আগেও পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল সকালে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ (বিজলী প্লাস) ১৩০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেছি। ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বাড়লে বাজারে দামও কমবে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আড়াই হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) পেয়েছে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

৪৩ পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই প্রণোদনা পাবেন ব্যবসায়ীরা

Published

on

প্রগতি লাইফ

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৪৩ খাতে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা আগের মতোই বহাল রেখেছে সরকার। জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানি প্রণোদনা এবং নগদ সহায়তার হার পণ্যভেদে দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, তিন কারণে রপ্তানি খাতে আর্থিক প্রণোদনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সময়সীমা আরও পাঁচ মাস পিছিয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী বছরের (২০২৬) জুলাই থেকে এটি কার্যকর করার কথা ছিল। এখন তা পিছিয়ে আগামী বছরের নভেম্বর মাস নির্ধারণ করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সূত্রটি জানায়, যে কারণে এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অধিক হারে শুল্কারোপ, স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে ভারতের বিধিনিষেধ এবং গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিল্প খাতে অস্থিরতা। বিগত সাত অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি খাতে প্রণোদনা দেওয়ার পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। এই আর্থিক প্রণোদনার সিংহভাগ (৮০ ভাগের বেশি) পেয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গত বছরের দুই দফায় রপ্তানি প্রণোদনা কমায়। তখন বলা হয়, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর কোনো ধরনের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া যায় না। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর একবারে সহায়তা প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই ধাপে ধাপে সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

কোন খাতে কত প্রণোদনা
নগদ সহায়তার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত। দেশি সুতা ব্যবহার করে উৎপাদিত তৈরি পোশাক নতুন বাজারে রপ্তানি করলে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রণোদনা মিলবে; যা গত বছরের জুনের আগে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ।

বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা ১০ শতাংশ এবং ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদারে ৬ শতাংশ প্রণোদনা মিলবে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ মিলবে।

কয়েক বছর ধরেই পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমছে। তারপরও বৈচিত্র্যময় পাটপণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা বহাল থাকবে। এ ছাড়া পাটজাত পণ্যে ৫ শতাংশ এবং পাট সুতায় প্রণোদনা মিলবে ৩ শতাংশ। একইভাবে হালকা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ, ওষুধের কাঁচামালে ৫ শতাংশ, বাইসাইকেল রপ্তানিতে ৩ শতাংশ এবং আসবাব পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা থাকবে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া হিমায়িত চিংড়ি, মোটরসাইকেল, ইলেকট্রনিকস, পেট বোতল ফ্লেক্স, জাহাজ, প্লাস্টিক পণ্য, হাতে তৈরি পণ্য যেমন হোগলা, খড়, আখ বা নারিকেলের ছোবড়া, তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট, গরু, মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ, কাঁকড়া, কুঁচে, আগর, আঁতর ইত্যাদি পণ্য রপ্তানিতেও নগদ সহায়তা আগের মতো থাকবে।

জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, রপ্তানিতে নগদ সহায়তার অর্থ পেতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয় ব্যবসায়ীদের। এটি কমিয়ে আনতে প্রবাসী আয়ের বিপরীতে যেভাবে প্রণোদনা দেয়, সেভাবে রপ্তানিকারকদেরও দিতে পারে সরকার। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী দেশ ভারত বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশে ঘটছে উল্টো। এদিকে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি খরচ বাড়লেও প্রণোদনা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

প্রগতি লাইফ প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার16 minutes ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০ কোম্পানির মধ্যে ১৫৪টির শেয়ারদর বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে...

প্রগতি লাইফ প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার35 minutes ago

লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সিটি ব্যাংক পিএলসি। আজ কোম্পানিটির ৪৫ কোটি...

প্রগতি লাইফ প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার50 minutes ago

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তাতে প্রধান সূচক কমেছে...

প্রগতি লাইফ প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার1 hour ago

বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি সমাপ্ত হিসাববছরে জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স এবং প্রগ্রেসিভ...

প্রগতি লাইফ প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার3 hours ago

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সম্প্রতি কোম্পানিটির...

প্রগতি লাইফ প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার3 hours ago

দুই ঘন্টায় লেনদেন ৪৫৯ কোটি টাকা

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন চলছে। এদিন প্রথম দুই ঘন্টায়...

প্রগতি লাইফ প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার4 hours ago

লুব-রেফ বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  AdLink দ্বারা...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  
প্রগতি লাইফ
জাতীয়6 minutes ago

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতির অঙ্গীকার সিইসির

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার16 minutes ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার35 minutes ago

লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার50 minutes ago

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার1 hour ago

বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি

প্রগতি লাইফ
বীমা1 hour ago

ফারইস্টের সাবেক সিইওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্যপাচার মামলা

প্রগতি লাইফ
রাজনীতি2 hours ago

সংস্কার না করলে জুলাই ঘোষণাপত্র বর্জনের ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের

প্রগতি লাইফ
আইন-আদালত3 hours ago

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: ৩০ আসামির বিচার শুরু

প্রগতি লাইফ
অর্থনীতি3 hours ago

ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত আর্থিক খাত সংস্কার করে যাব: অর্থ উপদেষ্টা

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার3 hours ago

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের

প্রগতি লাইফ
জাতীয়6 minutes ago

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতির অঙ্গীকার সিইসির

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার16 minutes ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার35 minutes ago

লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার50 minutes ago

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার1 hour ago

বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি

প্রগতি লাইফ
বীমা1 hour ago

ফারইস্টের সাবেক সিইওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্যপাচার মামলা

প্রগতি লাইফ
রাজনীতি2 hours ago

সংস্কার না করলে জুলাই ঘোষণাপত্র বর্জনের ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের

প্রগতি লাইফ
আইন-আদালত3 hours ago

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: ৩০ আসামির বিচার শুরু

প্রগতি লাইফ
অর্থনীতি3 hours ago

ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত আর্থিক খাত সংস্কার করে যাব: অর্থ উপদেষ্টা

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার3 hours ago

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের

প্রগতি লাইফ
জাতীয়6 minutes ago

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতির অঙ্গীকার সিইসির

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার16 minutes ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার35 minutes ago

লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার50 minutes ago

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার1 hour ago

বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি

প্রগতি লাইফ
বীমা1 hour ago

ফারইস্টের সাবেক সিইওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্যপাচার মামলা

প্রগতি লাইফ
রাজনীতি2 hours ago

সংস্কার না করলে জুলাই ঘোষণাপত্র বর্জনের ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের

প্রগতি লাইফ
আইন-আদালত3 hours ago

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: ৩০ আসামির বিচার শুরু

প্রগতি লাইফ
অর্থনীতি3 hours ago

ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত আর্থিক খাত সংস্কার করে যাব: অর্থ উপদেষ্টা

প্রগতি লাইফ
পুঁজিবাজার3 hours ago

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের