গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেনে ব্যয় অক্টোবরের চেয়ে ৯.৫১ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে দেশের বাইরে বাংলাদেশি নাগরিকরা মোট ৪৮৭ কোটি টাকা মূল্যের ডলার লেনদেন করেছেন; অক্টোবরে এর পরিমাণ ছিল ৫৩৯ কোটি টাকা।
নভেম্বরে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি নাগরিকরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ১৯৪ কোটি টাকার কেনাকাটা করেছেন, যা অক্টোবরের চেয়ে ২.৭৭ শতাংশ কম।। অক্টোবরে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি নাগরিকেরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ১৯৯ কোটি টাকা মূল্যের ডলার লেনদেন করেছিলেন।
বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডধারীরা নভেম্বরে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ বেশি ডলার ব্যয় করেছেন।
দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন নভেম্বর মাসে ২.১৮ শতাংশ কমে ২,৫৪০ কোটি টাকায় নেমেছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আলোচ্য এই সময়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এ সময় ভারতে খরচ হয়েছে মোট খরচের ১৭.৮৭ শতাংশ। লেনদেনের পরের তালিকায় অন্যান্য দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫.০১ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৮.৪৯ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৮.২৮ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ৭.১০ শতাংশ, কানাডায় ৬.৭৬ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ৬.৭১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি হয়েছে মূলত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। বিদেশে মোট ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের ৪৯.৫৭ শতাংশ হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয়। এছাড়া রিটেইল আউটলেট, ওষুধ ও ফার্মেসি, কাপড়চোপড়, পোশাক কেনা, নগদ উত্তোলন ও পরিবহনেও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করা হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বেশিরভাগ লেনদেন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা, যার পরিমাণ ২৪.৭৪ শতাংশ।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মোট লেনদেনের ১৩.৭৬ শতাংশ, ভারতের নাগরিকেরা ৯.৮৪ শতাংশ, জাপানের নাগরিকেরা ৩.৯২ শতাংশ, সিঙ্গাপুরের নাগরিকেরা ৩.৬৮ শতাংশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকেরা ৩.২২ শতাংশ লেনদেন করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কার্ডধারীদের এখন বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করার খরচ আরও বেড়েছে। এর ফলে তারা কার্ড ব্যবহার করে, বিশেষ করে অপ্রয়োজনীয় জিনিসের পেছনে খরচ করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্যমতে, কার্ডের জন্য ডলারের রেট গত কয়েক মাস ধরে ১১৫ টাকার ওপরে আছে। দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে এ রেট।