পুঁজিবাজার
ডিএসইর তিন সদস্য যেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন

দেশের বৃহৎ পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) তিন সদস্য আজ নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন মন্ত্রিপরিষদে জায়গা পাওয়া ঢাকা স্টক একচেঞ্জের তিন সদস্য হলেন- এআরসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহমান, মোনা ফাইন্যান্সিয়াল কন্সালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম (টিটু) এবং এইচআর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক সাবের হোসেন চৌধুরী।
ফরিদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করা মো. আবদুর রহমান নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন; টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে নির্বাচন করা ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম (টিটু) পেয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব আর ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত সাবের হোসেন চৌধুরী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সামলাবেন।
এছাড়া ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করা প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিবর্গরা হলেন- বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার জাহিদ মালেক, এইচআর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক সাবের হোসেন চৌধুরী, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার এ.কে. আজাদ, এআরসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহমান, মোনা ফাইন্যান্সিয়াল কন্সালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আহসানুল ইসলাম, ট্রেজারার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, ট্রাস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মন্ডল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মমিন মন্ডল, বিএনবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম, আরএকে ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিচালক এসএকে একরামুজ্জামান, আনোয়ার খান মডার্ন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেইন খান, স্নিগ্ধা ইকুইটিজ লিমিটেডের পরিচালক নিজাম উদ্দিন হাজারী, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক এইচ.এম. ইব্রাহিম এবং মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের পরিচালক সাকিব আল হাসান।
অর্থসংবাদ/এমআই

পুঁজিবাজার
অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না বিডিকম অনলাইন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সম্প্রতি কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ডিএসই’র পাঠানো নোটিশের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ১৩ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। আর গত ০৪ সেপ্টেম্বর বাজার শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৩ টাকা ৩০ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এসময়ের মধ্যে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০ টাকা।
এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
কাফি
পুঁজিবাজার
দেড় ঘণ্টায় ২৫৮ শেয়ারের দরবৃদ্ধি, লেনদেন ৫৮৭ কোটি টাকা

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ২৫৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৫৮৭ কোটি টাকার বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩২মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ২৫ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৪০ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ১ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৯ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৩১ ও ২১৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ৫৮৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫৮টির, কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২ কোম্পানির শেয়ারদর।
কাফি
পুঁজিবাজার
শেয়ার হস্তান্তর করবেন সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা ইফতেখার আজিম আহমেদের কাছে থাকা ২ লাখ শেয়ার তার ছেলে সালেহ আহমেদকে (কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) হস্তান্তর করবেন।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমসের বাইরে শেয়ারগুলো উপহার হিসেবে হস্তান্তর করবেন এই উদ্যোক্তা। যা ৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
কাফি
পুঁজিবাজার
মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বঙ্গজের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বঙ্গজ লিমিটেডের শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সম্প্রতি কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ডিএসই’র পাঠানো নোটিশের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ০৪ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১১০ টাকা ১০ পয়সা। আর গত ০৪ সেপ্টেম্বর বাজার শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৩৯ টাকা ৬০ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এসময়ের মধ্যে শেয়ারটির দর বেড়েছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সা।
এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
কাফি
পুঁজিবাজার
মবিল যমুনাকে ১১৭০ কোটি টাকা ঋণ দিল ব্র্যাক ব্যাংক

দুটি বিশাল সমুদ্রগামী ট্যাংকার কেনার জন্য ব্র্যাক ব্যাংক মবিল যমুনাকে (এমজেএল বাংলাদেশ) প্রায় ১ হাজার ১৭০ কোটি টাকা (৯৫.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে শিপিং ও পেট্রোলিয়াম খাতে দেওয়া এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় একক বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ। সম্প্রতি এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই চুক্তির ফলে এমজেএল বাংলাদেশ তাদের বহরে যুক্ত করেছে ‘এমটি ওমেরা গ্যালাক্সি’ নামের একটি বিশাল তেলবাহী ট্যাংকার। প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ডেডওয়েট টন ধারণক্ষমতার এই জাহাজটি বর্তমানে বাংলাদেশের পতাকাবাহী সবচেয়ে বড় সমুদ্রগামী জাহাজ। এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলোকে পরিবহন সেবা দেবে।
শুধু তাই নয়, এমজেএল বাংলাদেশ আরও একটি ‘আফ্রাম্যাক্স’ ট্যাংকার, যার নাম ‘এমটি ওমেরা লিবার্টি’, কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। এটি বর্তমানে একটি জাহাজ নির্মাণ কারখানায় তৈরি হচ্ছে।
এই ঋণ চুক্তিটি গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মবিল হাউসে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং এমজেএল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়া এম হাসান এবং এমজেএল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরীসহ দুই প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রেফাত উল্লাহ খান জানান, এই ঋণ চুক্তিটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এটি শুধু বাংলাদেশের সামুদ্রিক লজিস্টিক সক্ষমতা বাড়াবে না, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গতি আনবে। একই সাথে এটি বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতেও সহায়তা করবে।
এই ঋণ সুবিধা এমজেএল বাংলাদেশকে তাদের বহরে আধুনিক জাহাজ যুক্ত করার সুযোগ করে দেবে, যা বাংলাদেশের সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।