পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে বিডি থাই

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৪৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিডি থাইয়ের ২৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা সি পার্ল বিচের আজ ১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।
বুধবার লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, রুপালী ব্যাংক, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, অলিম্পিক এক্সসরিজ, ইস্টার্ন হাউজিং, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং এমারল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

পুঁজিবাজার
কনফিডেন্স সিমেন্টের রাইট শেয়ার ইস্যু আবেদন পুনর্বিবেচনায় বিএসইসিকে চিঠি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদনটি পুনর্বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০০ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ২০৫ টাকা উত্তোলন করতে চায়। যে আবেদন বিএসইসি বাতিল করে দিয়েছে। যা পুনঃবিবেচনা করার জন্য বিএসইসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
লাফার্জহোলসিমের কর্পোরেট উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির কর্পোরেট উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির কর্পোরেট উদ্যোক্তা সিনহা ফ্যাশনস লিমিটেড ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছেন।
এর আগে ২৯ জুন কোম্পানিটির এই উদ্যোক্তা উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দেন।
কাফি
পুঁজিবাজার
৯২ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি কিনছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাড়ছে উৎপাদন সক্ষমতা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নতুন উৎপাদন লাইন স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানিটি স্থানীয় বাজার থেকে প্রায় ৯২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হবে পাউডার ড্রিংক উৎপাদনের জন্য, যার মধ্যে রয়েছে সিপো ফ্রুটি স্যালাইন ও অরেঞ্জ পাউডার ড্রিংক।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, নতুন উৎপাদন লাইন চালু হলে বছরে ৪ হাজার ৪২৭ মেট্রিক টন পাউডার ড্রিংক উৎপাদন করা যাবে। যার মধ্যে সিপো ফ্রুটি স্যালাইন হবে ১ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন এবং অরেঞ্জ পাউডার ড্রিংক ২ হাজার ৭৪৫ মেট্রিক টন।
এই নতুন উৎপাদন লাইন নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুর বন্দরের কেওধলা, মদনপুর কারখানায় স্থাপন ও কমিশন করা হবে।
অর্থসংবাদ/কাফি
পুঁজিবাজার
যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিতে যাচ্ছে মুন্নু সিরামিক, লেনক্স কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যুক্তরাষ্ট্রে সিরামিক পণ্য রফতানি করবে। বিশ্বের অন্যতম প্রিমিয়াম টেবলওয়্যার ব্র্যান্ড লেনক্স কর্পোরেশন ইউএসএ’র সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করেছে কোম্পানিটি। এই চুক্তির আওতায় উচ্চমানের পোর্সেলিন ও বোন চায়না ডিনারওয়্যার যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করবে মুন্নু সিরামিক।
সোমবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত এইচআরকে লিগ্যাসি ভবনে অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চুক্তির আওতায়, মুন্নু সিরামিক লেনক্স কর্পোরেশনের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এক্সক্লুসিভ ভেন্ডার হিসেবে উচ্চমানের বোন চায়না ও পোর্সেলিন ডিনারওয়্যার সরবরাহ করবে। মাসে প্রায় ২০ লাখ পিস ডিনারওয়্যার উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে কাজ শুরু করবে কোম্পানিটি। এছাড়া, মুন্নুর উন্নত মানের উৎপাদন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ—বিশেষত মার্কিন ফেডারেল মানদণ্ড অনুসারে। লেনক্সর নান্দনিকতা, উদ্ভাবন ও গুণগত মানের সঙ্গে সমন্বয়ে এটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
লেনক্সের কৌশলগত সুফল হবে, একটি নির্ভরযোগ্য, বর্ধনযোগ্য ও ব্যয়সাশ্রয়ী সাপ্লাই চেইন গঠন, যা তাদের মান ও উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করবে। আর মুন্নুর জন্য কৌশলগত সুফল হবে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দৃঢ় উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা, একটি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে “মেড ইন বাংলাদেশ” কারিগরি প্রদর্শনের সুযোগ, কোম্পানির প্রাকৃতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত।
এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব কোম্পানির রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক অবস্থান মজবুত করবে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বাড়াবে এবং দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ ও শেয়ারহোল্ডারদের মুনাফা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
কাফি
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার ভীষণভাবে পঙ্গু হয়ে আছে: ডিএসই চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজারকে বলা হয় মুক্তবাজার অর্থনীতির সর্বোত্তম সৃষ্টি। অমাদের দেশে দূর্ভাগ্যজনকভাবে বিগত বছরের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি বা যে নীতি সেটার কারনে আমাদের পুঁজিবাজার ভীষণভাবে সংকুচিত এবং পঙ্গু হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
সোমবার (১৪ জুলাই) ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির আলোচনায় এসব কথা বলেন ডিএসই চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে রেগুলেশনকে এত কঠোর করা হয় যে, ভালো কোম্পানি যারা তাদের জন্য কস্ট অব কমপ্লায়েন্স খুব এক্সটেন্সিভ হয়। তারা সাধারণত এই রেগুলেশনের মধ্যে আসতে চায় না। মার্কেটের প্লেয়াররা ভালভাবে তাদের কাজ করতে পারে না।
পুঁজিবাজারকে অবশ্যই মার্কেটের ওপরে ছেড়ে দিতে হবে উল্লেখ করে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, এখানে মার্কেটের যারা অংশীজন আছে তাদের অংশগ্রহণেই যদি কোন ইনইফিসিয়েন্সি থাকে সেটাকে দূর করতে হবে। রেগুলেটর এখানে এসে প্রভাবিত করতে পারে না। যখন রেফারি হিসেবে ডিএসইকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তখন তাকে রেফারির ভূমিকা পালন করতে দিতে হবে। তাদেরকে বলা যাবে না যে এই সময়ে তুমি বাঁশি বাজাও আর এই সময়ে বাজাবে না। আমরা আশা করছি এই জায়গাটাতে পরিবর্তন আসবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ও অভিযোগ ছিল যে আমরা শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে নিয়োগ দিতে পারছি না। এটা মার্কেটের উপরে একটা অবিশ্বাস তৈরি করেছে। এ মাসের প্রথমে নতুন চিফ অপারেটিং অফিসার এবং চিফ টেকনোলজি অফিসার জয়েন করেছেন। আমরা আশা করছি শীঘ্রই আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ রিস্ক অফিসার জয়েন করে যাবেন। আমরা অন্যান্য জায়গা শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি।
মমিনুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে তালিকাভুক্তির কাজ স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে আসবে। সামগ্রিকভাব আমরা কিভাবে ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতেও কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, আইপিও ডিজিটালাইজেশনের কাজ করছি। আমরা কথা দিচ্ছি আগামী এক বছরের মধ্যে ১০টি আইপিও আমরা চাচ্ছি। আমরা বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ২ মাসের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পাদন করব। এই মুহূর্তে যা ২ বছরের মতো লেগে যায়।