অন্যান্য
পাট ও বস্ত্র খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ২০ কোটি টাকা

রাপ্তানি আয়ে বড় ভূমিকা রাখে দেশের বস্ত্র ও পাট শিল্প। তবে কয়েক বছর ধরে এই খাতে রপ্তানি কিছুটা কমছে। তাই এই খাতে শিল্পের উন্নয়নে ও দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। গত কয়েক বছরে এই খাতে বেশ কিছু প্রকল্পও নিয়েছে সরকার।
এদিকে চলতি অর্থবছরের মাঝপথে এসেও এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি খুব বেশি ভালো নয়। গড় অগ্রগতির চেয়েও কম।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) যেখানে ৩৭০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তা সংশোধিত এডিপিতে বাড়িয়ে ৩৯০ কোটি ৯ লাখ করা হচ্ছে। অর্থাৎ বরাদ্দ বাড়ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এডিপিতে যেখানে ২১টি প্রকল্প বরাদ্দ পেয়েছিল। সংশোধিত এডিপিতে সেখানে ২৪টি প্রকল্প বরাদ্দ পাচ্ছে। যার মধ্যে দুটি একেবারে নতুন এবং একটি পুরনো প্রকল্প নামমাত্র বরাদ্দ পাচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে এই মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি মাত্র ১০.১৬ শতাংশ। খরচ করেছে মাত্র ৩৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যেখানে নভেম্বর পর্যন্ত গড় এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭.০৬ শতাংশ।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেশির ভাগ প্রকল্পই ২০১৭ বা ২০১৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে।
প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। অথচ তিন বছরে প্রকল্পগুলো শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২০ বা ২০২১ সালে চালু হওয়া প্রকল্পগুলোরও অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন হার একেবারেই কম। বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলতি অর্থবছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেই অনুযায়ী কাজের অগ্রগতি নেই।
এ খাতে এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়ে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, অনেক ক্ষেত্রে অর্থছাড় কম হওয়ার কারণেও প্রকল্প দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করায় মূলত নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প শেষ হয় না। একটু পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পে সময় দিলেই যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেন আমীর হামজা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মুফতি আমীর হামজা।
রবিবার (২৫ মে) কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আব্দুল ওয়াহিদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে তাঁর নাম ঘোষণা করেন জামায়াত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোবারক হোসেন জানান, কুষ্টিয়া-৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে মোট ৩০০ আসনের অধিকাংশ প্রার্থী ঘোষণা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি ছাড়া জামায়াত ইসলামী কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।
মুফতি আমীর হামজার সম্পর্কে মোবারক হোসেন বলেন, আমরা যে প্রার্থী দিয়েছি, তিনি শুধু দেশের মধ্যে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও সুপরিচিত একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য আলমগীর বিশ্বাস এবং অধ্যাপক খন্দকার এ কে এম আলী মহসীন।
অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল গফুর, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, কুষ্টিয়া শহর আমির এনামুল হক, ছাত্রশিবির শহর সভাপতি সেলিম রেজা, জেলা সভাপতি খাজা আহমেদ প্রমুখ।
জামায়াতের এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্দা উঠলো বালার বাজার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের

বালার বাজার ওয়ান্ডার্স ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত বালার বাজার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের প্রতিযোগিতা সিজন-০৫, যেখানে মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকাল ৪টায় সখিপুর, শরীয়তপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বালার হাটের তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা ওঠে। পুরো মাঠ ছিল উৎসবমুখর, করতালিতে মুখরিত।
উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হয় বালারবাজার ব্যবসায়ী ফুটবল একাদশ বনাম ডিএমখালি ফুটবল একাদশ। খেলায় বালারবাজার একাদশ ৪-০ গোলে জয়লাভ করে। বালারবাজার ব্যবসায়ী ফুটবল একাদশের খেলোয়াড় নাইজেরিয়া থেকে আগত ইব্রাহিম ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।
প্রধান অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান কিরণ। তিনি বলেন, এলাকাভিত্তিক খেলাধুলার মাধ্যমে যুবসমাজকে খারাপ দিক থেকে দূরে রাখা যায়। খেলাধুলা সময়কে গঠনমূলক কাজে ব্যয় করতে শেখায়। আমি আয়োজক, খেলোয়াড়, অভিভাবক ও দর্শকদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া ও ভালোবাসা জানাই।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সখিপুর থানা যুবদলের সভাপতি ও বালার বাজার ওয়ান্ডার্স ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মোস্তাক আহমেদ মাসুম বালা।
টুর্নামেন্ট পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন মো. জসিম মুন্সি ও মাইদুল ইউসুফ জিসান বালা। ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আরশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকবৃন্দ এবং বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যারা মাঠে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের উৎসাহ জুগিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ব্র্যাক ব্যাংকের বোনাস লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষণাকৃত বোনাস লভ্যাংশে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ করে। এরমধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের প্রস্তাবে বিএসইসির কাছে আবেদন করলে সম্প্রতি বিএসইসি তা অনুমোদন করে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস লভ্যাংশ ইস্যু করা যায় না। আর বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসি তা ইস্যুর কারণ যাচাই করে দেখে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
নিজের রাইফেলের গুলিতেই প্রাণ গেলো ভারতীয় সেনার

নিজ রাইফেলের গুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৮ মে) দেশটির জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই সেনার পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে একটি পোস্টের ভেতরে ওই সেনা সদস্য তার নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে ছোড়া গুলিতে মারা গেছেন। তেলেঙ্গানার বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি এই সেনা সীমান্ত ফাঁড়ির সরোজে সেন্ট্রি ডিউটিতে ছিলেন। সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্যমতে, ঘটনাটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটে।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে যে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে, তার এই পদক্ষেপের পেছনের উদ্দেশ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের ‘কফিন মিছিল’ আজ

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারনের দাবিতে আজ রবিবার (১৮ মে) ‘কফিন মিছিল’ এর ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের ব্যানারে এই মিছিল করা হবে।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে কফিন মিছিল করবেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে গত ৮ মে দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে আইসিবির সামনে সংগঠনটির নেতারাসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ‘কাফন মিছিল’ করেন।
বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে প্রতিদিন যেভাবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে শেয়ারবাজার নামের খাতটি মাটির সাথে মিশে যাবে। এ খাতের সংশ্লিষ্টরা নিংশ্ব হয়ে যাবেন। এমনকি শেয়ারবাজারের সাথে জড়িত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে চাকরী হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছেন অনেকে।
এই অবস্থায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে রবিবার আড়াইটায় শাপলা চত্বরে ‘কফিন মিছিল’ এর ডাক দিয়েছে ইনভেস্টর এসোসিয়েশন। এতে সকল বিনিয়োগকারী ও অংশীজনকে অংশ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
এসএম